পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ
স্পষ্ট মনে আছে, তখন ইংলিশ চ্যানেল পার করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ১৯৮৮ সাল হবে। পুরীর সমুদ্রে গিয়ে অনুশীলন করতাম। একদিন এরকম সাঁতার কাটছি। হঠাৎ দূর থেকে কেমন একটা আওয়াজ কানে আসে। জায়গাটা বেশ নিরিবিলি। প্রথমে ঠিক বুঝতে পারিনি। পরে লক্ষ্য করি, সমুদ্রে একটু দূরে একটা টিউব ভেসে যাচ্ছে। আর তাতে একজন যুবক। দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর দিকে সাঁতরে যাই। সমুদ্রের পারে নুলিয়ারাও বিষয়টি লক্ষ্য করেছিলেন। তাঁদের সাহায্যে কোনওরকমে ওই যুবককে পাড়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হই। ততক্ষণে যুবকের শরীর নীলচে হয়ে উঠেছে। কতক্ষণ ধরে তিনি টিউবের সাহায্যে সমুদ্রে ভেসে ছিলেন, জানি না। তবে আরও কিছুক্ষণ থাকলে যে বড় অঘটন ঘটত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আরেকটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটে ’৮৯ সালে। প্রথমবার ইংলিশ চ্যানেল পার করব। তার আগে লন্ডনে গিয়েছি। আমি ছাড়াও সেবার এক মেক্সিকান যুবতীও এসেছিল। বয়স পঁচিশের বেশি নয়। আমার আগেই তাঁর চ্যানেল পার হওয়ার কথা। সে যেদিন জলে নামবে, তার আগের রাতেও একসঙ্গে ডিনার করেছিলাম। সে জলে নামার কিছুক্ষণ পরেই খবর এল, সাঁতার কাটতে কাটতে ওই মেক্সিকান যুবতী নাকি অসুস্থ হয়ে পরে। বাঁচানো যায়নি। ওই ঘটনা একেবারে নাড়িয়ে দিয়েছিল আমায়। কথায় বলে, জলই জীবন। আমি বলি, সতর্ক না হলে জলই ভয়ঙ্কর। তাই, জলে নামার আগে শারীরিক পরীক্ষা ‘মাস্ট’! দরকার নিজের সম্পর্কে স্পষ্ট
ধ্যান ধারনাও।