পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ
গরমে ঘুমাতে কষ্ট হয় কেন?
গ্রীষ্মে তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে ভালো ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। জার্নাল অব স্লিপ রিসার্চ-এর সাম্প্রতিক প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ঋতুগত পরিবর্তন আমাদের ঘুমের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। সমীক্ষার হিসেবে তিনটি কারণে গ্রীষ্মে ভালো ঘুম হয় না।
• উচ্চ তাপমাত্রার কারণে শরীর সহজে ঠান্ডা হয় না। প্রচণ্ড ঘাম হয়ে বিছানা স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়। তাই ঘুমাতে অস্বস্তি হয়।
• গ্রীষ্মকালে দিন বড় হওয়ায় আমাদের শরীরে বেশি সময় ধরে আলো পড়ে। ফলে আমাদের ঘুমে ছন্দপতন ঘটে। রাতে জেগে থাকার প্রবণতাও বাড়ে।
• অন্ধকার মেলাটোনিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন ঘুমাতে সাহায্য করে। গ্রীষ্মকালে দিন বড় হওয়ায় মেলাটোনিন উৎপাদনে বাধার সৃষ্টি হয়। তাই ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে।
তাহলে কীভাবে গরমে আরামের ঘুম সম্ভব?
১. ঘরের তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখুন
গরমে ভালো ঘুমের জন্য ঘরের তাপমাত্রা ঠান্ডা ও আরামদায়ক রাখা জরুরি। ঘরের তাপমাত্রা কমাতে ফ্যান ব্যবহার করুন। লাইট বন্ধ করুন। গরম উপযোগী বিছানার চাদর ব্যবহার করুন। এইসব আপনার শান্তির ঘুমে সাহায্য করবে।
২. প্রচুর জল পান করুন
আপনি যদি সঠিকভাবে হাইড্রেটেড না হন, তবে অবশ্যই আপনার ঘুমের চক্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর অর্থ এই নয় যে ঘুমাতে যাওয়ার ঠিক আগে অনেক জল পান করতে হবে। শুধু নিশ্চিত হয়ে নিন, আপনি সারা দিন প্রচুর জল পান করছেন।
৩. স্ক্রিনের টাইম কমান
স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ও কম্পিউটারের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের নীল আলো মেলাটোনিন বা ঘুম নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায়। ঘুমের চক্র ঠিক রাখতে স্ক্রিনের টাইম কমান। বিশেষ করে ঘুমানোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে সব ধরনের স্ক্রিন থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
৪. পা ঠান্ডা রাখুন!
ঘুমানোর আগে পা ঠান্ডা রাখুন। তাহলে শরীরের তাপমাত্রাও সহজে কমে আসবে। মস্তিষ্কে সংকেতও পৌঁছবে এখন ঘুমাতে যাওয়ার সময়।
৫. আরামদায়ক ঘুমের পোশাক
রাতে ঢিলেঢালা পোশাক পরা উচিত, যার মধ্যে দিয়ে সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারে। এ ধরনের পোশাক শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৬. দিনের ঘুম সীমিত করুন
অনেকেরই ভাতঘুমের অভ্যাস রয়েছে। খেয়াল রাখতে হবে, এই ঘুমের সময় যেন ২০–৩০ মিনিটের বেশি না হয়। না হলে এটি আপনার রাতের ঘুম নষ্ট করবে।
৭. নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমান
চেষ্টা করুন রোজ নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে। সময়মতো রাতের খাবার খাওয়া, স্ক্রিন লাইট এড়িয়ে যাওয়া এবং একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া শুধুমাত্র ভালো ঘুমের জন্যই নয়, সুস্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত জরুরি।
৮. ঘুমের আগে মানসিক চাপ কমান
মানসিক চাপ কমবেশি সবারই থাকে। যদি মানসিক চাপ আপনার ঘুম নষ্ট করে, তাহলে শোওয়ার আগে মানসিক চাপমুক্ত হওয়ার কৌশলগুলো অনুশীলন করুন। যেমন মেডিটেশন, স্নান, গভীর শ্বাস নেওয়ার ব্যায়াম বা মৃদু শরীর প্রসারিত করা। এগুলি আপনাকে শিথিল ও শান্ত করে। রাতে আরও ভালো ঘুমাতেও সাহায্য করবে।