পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ
সুমনার সমস্যা আবার একটু আলাদা। ছেলে অর্কর স্কুলের খাতা চেক করতে গিয়ে দেখেন অনেক জাগয়া ফাঁকা। ক্লাসে আনমনা থাকে বলে মেয়েকে বকাবকি করেছিলেন। তবে বকাবকিতে কোনও কাজ হচ্ছে না। মেয়েকে চেপে ধরতে সে জানাল, পিছনের বেঞ্চে বসে সে বোর্ড দেখতে পায় না। তাছাড়া তিনি অনেক দিন ধরেই লক্ষ্য করছেন মেয়ের চোখ পিটপিট করছে। সন্দেহ হওয়ায় চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যান পরামর্শের জন্য। অভিজ্ঞ চিকিৎকস অর্কর চক্ষু পরীক্ষা করে জানিয়ে দেন, পাওয়ার এসেছে অর্কর। যার পোশাকি নাম মায়োপিয়া।
বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অরণ্যব্রত দাস জানিয়েছেন, মাথাধরা, মাথায় যন্ত্রণা, চোখ পিটপিটের মতো সমস্যা নিয়ে অনেক শিশুকে আনছেন তাঁদের অভিভাবকরা। এছাড়া জলপড়া, চোখলালের মতো চোখের মরশুমি সমস্যা নিয়েও অনেকে আসেন।
চোখ ভালো রাখার ১০টি উপায়—
বাচ্চারা যাতে যথেষ্ট আলোয় পড়াশোনা করে, তার দিকে নজর রাখতে হবে।
চোখ থেকে কম করে ১৪ ইঞ্চ দূরে বই রাখতে হবে। দূরত্ব কম হলে দেখার জন্য চোখে চাপ পড়ে।
দিনে ২ থেকে ৩ বার চোখে জল দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
সবুজ শাকসব্জি খাওয়া অভ্যাস করতে হবে।
খেতে হবে মরশুমি ফল ।
কোনও বাচ্চার চশমা থাকলে তা চোখে পরে পড়াশোনা করতে হবে।
দূরে তাকানোর অভ্যাস করতে হবে।
চার দেওয়ালের মধ্যে থেকে শিশুদের বার করতে হবে। খোলা মাঠে শিশুদের বেড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
বিস্তৃত সবুজ মাঠ দেখার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। সুবজ রঙ চোখের আরাম দেয়।
যোগ ব্যায়াম করতে হবে। চোখের জন্য বিশেষ ত্রাতক ব্যায়াম করতে হবে।
কী করবেন না?
অনেকেই ঘুম থেকে উঠে জোরে চোখে জরে ঝাপটা দেন। প্রচলিত বিশ্বাস, এতে চোখ ভালো থাকে। শিশুদেরও এই ‘সুঅভ্যাস’ গড়ার উপর জোর দেন। তবে চিকিৎসকরা বলছেন খুব জোরে জোরে চোখে জলের ঝাপটা দেওয়া উচিত নয়। এতে চোখের উপরের স্তর ছিড়ে যেতে পারে। তাছাড়া চশমা নিয়েও সতর্ক থাকতে হবে। একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর পাওয়ার পরীক্ষা ও চশমার গ্লাস বদলানো প্রয়োজন। মনে রাখবেন, বাচ্চাদের পাওয়ার দ্রুত বদলায়। তাই এই পরীক্ষা নিয়ে হেলাফেলা করা উচিত নয়।