প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
আমি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের এক কর্মাধ্যক্ষ। অনেকের মতো একাধিক গুরুদায়িত্ব সামলাতে হয়। যে কাজ করতে গিয়েই গত ১০ জুলাই আক্রান্ত হই এবং সুস্থ হয়ে উঠি ১৫ জুলাই। তারপর কিছুদিন বাড়িতে থেকে আবার পরীক্ষা করিয়ে বাইরে বের হই। আমাকে তো কারও কটূ কথা সহ্য করতে হয়নি। তাহলে বাকি মানুষদের ক্ষেত্রে কেন অভব্য আচরণ! আমি জনপ্রতিনিধি, তাই করোনা হলেও সাত খুন মাফ? আর বাকিদের হলে তাঁরা অচ্ছ্যুত? স্বাভাবিকভাবেই বুঝতে পারি, মানুষ এই রোগ সম্পর্কে এখনও অনেক কিছু জানেন না। মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। সচেতনতা হতে হবে। আর এগুলি থাকলে এই রোগ জয় করে ফেরা অসম্ভব নয়। এখন আমাদের রাজ্যে দৈনিক গড়পিছু তিন হাজারের উপরে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই পরিসংখ্যান দেখে যদি ভয় পান, তাহলেই বিপদ! আদতে এখন লালারস নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। যেকারণে আক্রান্তের সংখ্যার দৈনিক কিছুটা বাড়ছে। কিন্তু, তাতে চিন্তা কেন থাকবে! নমুনা পরীক্ষা হলে তো বাস্তব অবস্থা উঠে আসবে। একটা কথা মাথায় রাখা উচিত, মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং সামাজিক দূরত্ববিধিকে মান্যতা দেওয়া—এই ত্রিফলা শক্তিতেই করোনা সংক্রমণকে দমিয়ে রাখা সম্ভব। তবুও আমি দেখেছি, সচেতনতার অভাব কিছু মানুষের রক্তে যেন বাসা বেঁধে রয়েছে। সেগুলি নিজে থেকে যদি তাঁরা হটিয়ে দেয়, ভালো। নাহলে মোকাবিলা তো দূর, করোনা আরও বেশি প্রাণঘাতী হয়ে উঠবে।