কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
বহু পুরুষ এখনও ভাবেন, ঘর মোছা, বাসন মাজা, কাপড় কাচা, রান্না করা আসলে মহিলার কাজ। অন্যদিকে হয়তো শুধু বাজার করাটাই পুরুষের কাজ। বুঝতে হবে, আমাদের সমাজে লিঙ্গ অনুসারে কাজের এই ভাগ করা হয়েছে কিন্তু পারস্পরিক শ্রদ্ধার অভাবে। দীর্ঘদিন ধরে পাশাপাশি থাকতে থাকতে কিছু কিছু সম্পর্কে সামান্য একঘেয়েমি এবং বিরক্তি হয়তো চলে আসে। বাড়ির বাইরে কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে আমরা সেই ধরনের বিরক্তি এবং একঘেয়েমি প্রকাশ করি না। আর এখন বাধ্যতামূলক সহাবস্থানে চলে যেতে হয়েছে। তাই এই সময় পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ না থাকলে, অন্য মানুষটির প্রতি যে ক্ষোভ বা বিরক্তি তা অন্যভাবে প্রকাশ পেতে পারে। অতএব শ্রদ্ধা করতে শিখুন। • পরিবারের সকলের সঙ্গে কথা বলে বাড়ির কাজ ভাগ করে নিন। কাজের লিঙ্গ এবং শ্রেণীভেদ হয় না। ছোট ছোট কাজগুলির মধ্যে আনন্দ আবিষ্কার করতে শিখুন। বাড়ির কোন কোণে পুরনো হেয়ারপিন পড়েছিল, সেটা দেখে উৎফুল্ল অনুভব করুন বা আলমারির তলা থেকে পুরনো স্যালারি স্লিপ উদ্ধারের পর একটু হাসুন। • অযথা সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকা বন্ধ করুন। প্রচুর গুজব ছাড়াচ্ছে সেখানে। এমনকী সরকারের নাম করেও গুজব ছড়াচ্ছে। তথ্যের জন্য ভরসা রাখুন সংবাদপত্র এবং নিউজ চ্যানেলে। • সবসময় করোনা ভাইরাস নিয়ে খবর রাখার দরকার নেই। বরং সরকারি নির্দেশ মতো প্রতিরোধের বিষয়গুলি জানুন। • যে কাজগুলো করবেন ভেবেও করা হয়নি, সেগুলো করুন। উদাহরণ— কবিতা লেখা, গান করা, ছবি আঁকার কথা বলা যায়। পড়তে পারেন গল্পের বইও। • পরিবারের সকলে মিলে সিনেমা দেখুন। সকলের পছন্দকে গুরুত্ব দিন। ডিজাস্টার মুভি না দেখার চেষ্টা করুন। মনে চাপ কম পড়বে। • ধৈর্য বাড়াতে প্রাণায়াম, যোগব্যায়ামের সাহায্য নিতে পারেন। • খুব রাগ হলে, উত্তেজিত হয়ে পড়লে কোনও ফুল বা আরাধ্যের কথা ভাবতে ভাবতে অথবা বুকের ওঠানামার দিকে লক্ষ রেখে পাঁচ মিনিট ধীরে এবং লম্বা শ্বাসের ব্যায়াম করুন। দেখবেন দিনরাত এক বাড়িতে থাকলেও শান্তিই শান্তি!