Bartaman Patrika
শরীর ও স্বাস্থ্য
 

নোভেল করোনা ভাইরাস কি জীবাণু অস্ত্র?
মহামারীর সঙ্গে লড়াই করতে গবেষণাও জরুরি

 
জানাচ্ছেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন ইউনিটের প্রধান ডাঃ সুগত দাশগুপ্ত।

• নোভেল করোনা কি জীবাণু অস্ত্র?
•• বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন মহলে ছড়াতে শুরু করেছে আতঙ্ক। কেউ কেউ হয়তো মনে করছেন সাম্প্রতিক নোভেল করোনা ভাইরাস আসলে একধরনের জীবাণু অস্ত্র এবং তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে! অথচ সত্যিটা হল নোভেল করোনা ভাইরাসকে জীবাণু অস্ত্র ভাবার কোনও কারণ নেই। এখনও পর্যন্ত করোনার বিরুদ্ধে এইরকম কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কোভিড-১৯ একটি বিশ্বব্যাপী মহামারী। একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সেভাবেই এর মোকাবিলা সারা পৃথিবী করছে। আমাদের দেশ এবং রাজ্যও করছে। আমরা সবাই করছি।
• জীবাণু অস্ত্র তাহলে কী?
•• ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া হল এক ধরনের অণুজীব। এই ধরনের অণুজীব দ্বারা তৈরি হয় বায়োলজিক্যাল উইপেন বা জীবাণু অস্ত্র। উদাহরণ হিসেবে অ্যানথ্রাক্স, বটুলিনিয়াম টক্সিন, প্লেগের মতো জৈবিক উপাদানের কথা বলা যায়। কোনও রাষ্ট্র বা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী দ্বারা পরীক্ষাগারে এই ধরনের জীবাণু প্রস্তুত করে অন্য কোনও রাষ্ট্রে নিয়ন্ত্রিতভাবে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়িয়ে দিলে তখন বলা যায় জীবাণু অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, যে পক্ষ জীবাণু ছড়াচ্ছে, তারা কিন্তু এই জীবাণু অস্ত্রের দ্বারা বহুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। শত্রুপক্ষ জীবাণুর ক্ষতিকর প্রভাবে ভোগে। ক্ষতিকর অণুজীবগুলি খুব কম সময়ের মধ্যে উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহে ছড়িয়ে যায়, বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করে ও দ্রুত জীবটির মৃত্যু ঘটায়।
• জীবাণু অস্ত্র ব্যবহারের নজিরগুলি সম্পর্কে যদি বলেন?
•• আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল-এর পক্ষ থেকে জীবাণু অস্ত্রের ভয়াবহতার উপর ভিত্তি করে মোট তিনটি শ্রেণীবিভাগ করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গেই জানিয়ে রাখি, খোদ আমেরিকার বিরুদ্ধেই কিন্তু বেশ কয়েকবার জীবাণু অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে! এবার দেখে নেওয়া যাক জীবাণু অস্ত্রের শ্রেণীবিভাগ এবং সেগুলি ব্যবহারের নজির।
বিভাগ-ক (জনস্বাস্থ্যের প্রবল ক্ষতি)
১) অ্যানথ্রাক্স রোগ। রোগের কারণ ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস (ব্যাকটেরিয়া)। এই জীবাণু অস্ত্রের ব্যবহার করা হয়েছিল প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে। এছাড়া জানা যায়, সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৭৯ সালে, জাপান ১৯৯৫ সালে ও আমেরিকা ২০০১ সালে এই জীবাণুর অপব্যবহার করে।
২) বটুলিজম অসুখ। রোগের কারণ ক্লসট্রিডিয়াম বটুলিনাম টক্সিন ব্যাকটেরিয়া। শোনা যায় বিশ্বযুদ্ধগুলিতে ছাড়াও পরবর্তীকালে সোভিয়েত ইউনিয়ন জাপান ও আমেরিকা এই ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহার করেছিল।
৩) হেমোরেজিক ফিভার (অসুখ)। মারবার্গ, ইবোলা, অ্যারেনা ভাইরাস। সোভিয়েত ইউনিয়ন জৈব অস্ত্র হিসেবে এই ভাইরাসের ব্যবহার করেছিল বলে সন্দেহ করা হয়।
৪) প্লেগ রোগ। অসুখের কারণ ইয়েরসিনিয়া পেস্টিস ব্যাকটেরিয়া। চতুর্দশ শতকে ইউরোপে প্রকোপ দেখা যায়। এছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও এই ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহার হয়েছিল বলে সন্দেহ।
৫) স্মল পক্স অসুখ। রোগের কারণ ভ্যারিওলা ভাইরাস। উত্তর আমেরিকায় অষ্টাদশ শতকে এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছিল।
৬) টুলারেমিয়া অসুখ। রোগের কারণ ফ্রান্সিসেলা টুলারেনসিস ব্যাকটেরিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এই ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহার করা হয়েছিল।
বিভাগ-খ (জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি)
১) ব্রুসেলোসিস অসুখ। কারণ ব্রুসেলা ব্যাকটেরিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল।
২) কলেরা। কারণ ভিব্রিও কলেরি ব্যাকটেরিয়া। ব্যবহার হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে।
৩) এনকেফেলাইটিস। রোগের কারণ আলফা ভাইরাস। ব্যবহার হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে।
৪) ফুড পয়েজনিং। সালমোনেলা, শিগেলা ব্যাকটেরিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং ৯০-এর দশকে শীতল যুদ্ধে আমেরিকা এই ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহার করে বলে সন্দেহ।
৫) গ্ল্যান্ডার্স। বারখলডেরিয়া ম্যালেই ব্যাকটেরিয়া। ব্যবহার করা হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে।
৬) সিটাকসিস অসুখ। ক্ল্যামাইডিয়া সিটাকি ব্যাকটেরিয়া। ব্যবহার করা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে।
৭) কিউ ফিভার । কক্সিয়েল্লা বারনেটি ব্যাকটেরিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
৮) টাইফাস রোগ। রিকেটসিয়া প্রাওয়াজেকি(রিকেটশিয়া)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহার হয়েছিল।
বিভাগ-গ
(নতুন জীবাণু যাদের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বারা বেশি ক্ষতিকারক করে তোলা হয়)
 হান্টা ভাইরাস, নিপা ভাইরাস, টিক্-বর্ন এনকেফেলাইটিস ভাইরাস, হেমারেজিক ফিভার ভাইরাস, ইয়েলো ফিভার ভাইরাস সমূহ এবং বিভিন্ন মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া।
• জৈব অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে কি কোনও ব্যবস্থা নেই?
•• প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জীবাণু অস্ত্রের ব্যবহারের ভয়াবহতা কাঁপিয়ে দিয়েছিল সমগ্র বিশ্বকে। লক্ষ লক্ষ মানুষ এবং সৈনিকের অকাল মৃত্যুর কারণে জীবাণু অস্ত্রের ব্যবহারকারী রাষ্ট্রের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছিল ক্রমশ। আন্তর্জাতিক নানা মহলের চাপে শেষ পর্যন্ত ১৯২৫ সালে স্বাক্ষরিত হয় জেনেভা চুক্তি। এই চুক্তি অনুযায়ী সমগ্র বিশ্বজুড়েই জীবাণু অস্ত্র ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়। তবে জেনেভা চুক্তিতে জীবাণু .নিয়ে গবেষণা স্তব্ধ করার কথা বলা হয়নি। তাই বিভিন্ন দেশ যেমন ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, ইতালি, কানাডা, বেলজিয়াম, পোলান্ড, সোভিয়েত ইউনিয়ন (অধুনা রাশিয়া) জীবাণু নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যেতে থাকে। মনে রাখতে হবে, ১৯২৫ সালের জেনেভা চুক্তিতে আমেরিকা কিন্তু সই করেনি। বরং জীবাণু গবেষণাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যায় তারা। এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধলে ফের জীবাণু অস্ত্রের ব্যাপক ব্যবহার দেখা যায়। পুনরায় সংগঠিত হয় প্রতিবাদ চিকিৎসাশাস্ত্রের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে। জেনেভা চুক্তির অর্ধশতক পর, অর্থাৎ ১৯৭৫ সালে আয়োজিত হয় বায়োলজিক্যাল উইপেনস কনভেনশন (বিডব্লিউসি)। সেখানে সমস্তরকমের জীবাণু অস্ত্র তৈরি ও মজুত রাখা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। আগে থেকে মজুত করা সমস্ত জীবাণু বা জৈব অস্ত্র ধ্বংস করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। আমেরিকাও শেষ পর্যন্ত এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। মনে রাখতে হবে, ১৯৭৫ সালের বিডব্লিউসি ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি যেখানে শুধুমাত্র রোগ প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয় বা রোগ নিরাময়ের জন্য জীবাণু বা জৈব পদার্থের ব্যবহার বাদ দিয়ে সমস্ত রকম হানিকর জীবাণু অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯৭৫-এর পর থেকে প্রতি ৫ বছর এই নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। এখনও এই কাজ চলছে।
২০১৫ অবধি ভারত সহ বিশ্বের ১৭৩টি দেশ এই চুক্তির আওতাধীন হয়েছে। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, জেনেভা চুক্তি বা বিডব্লিউসি— কোনও চুক্তিতেই জীবাণু নিয়ে গবেষণা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়নি।
এই প্রসঙ্গেই বলে রাখি, ২০০১ সালে ‘আমেরিকার অ্যানথ্রাক্স লেটারস’ বা ‘অ্যানথ্রাক্স পত্র’ র ঘটনার পরে গত কুড়ি বছরে সারা পৃথিবীতেই কোনও প্রমাণিত জীবাণু-অস্ত্র ব্যবহারের ঘটনা ঘটেনি।
• জীবাণু নিয়ে গবেষণা চলছে মানে, বেশ কিছু দেশের কাছে ভয়ঙ্কর জীবাণু রয়েই গেছে?
•• উন্নত বেশ কিছু দেশে মারাত্মক ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাযুক্ত পরীক্ষাগারে জীবাণু নিয়ে গবেষণা চলতেই পারে। কোন ধরনের জীবাণু আছে তা বলা সম্ভব নয়।
জীবাণু নিয়ে গবেষণা মূলত তিনটি কারণে করা হয়—
ক) জীবাণু সংক্রমণের দ্বারা হওয়া ব্যাধির উন্নততর নির্ণয়পদ্ধতি আবিষ্কার।
খ) রোগ প্রতিরোধের জন্য উন্নততর ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক আবিষ্কার।
গ) রোগ নিরাময়ের উন্নততর ওষুধ আবিষ্কার।
এবার খেয়াল করে দেখুন, বহু জটিল রোগের জন্ম দেওয়া ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোনও ওষুধ আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ আজকের কোভিড-১৯ এবং ডেঙ্গু। এমনকী এর আগে অন্যধরনের করোনা ভাইরাস দ্বারা হওয়া সার্স বা মার্স-এর কোনও অব্যর্থ ওষুধ তৈরি হল না। এমনকী প্রতিষেধকও তৈরি হল না। ভারতেই ডেঙ্গুতে দেশ জুড়ে বহু প্রাণহানি হওয়া সত্ত্বেও আজ অবধি কোনও ওষুধ বা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। এই প্রসঙ্গেই একটা কথা বলা দরকার— শুধু জীবাণু অস্ত্র নিয়েই আমরা এতক্ষণ কথা বলছি। অথচ খেয়াল করে দেখুন, সচেতনতার অভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে নিঃশব্দে, বহু ব্যাকটেরিয়া ভোল বদল করে ফেলছে।
আজকের ক্রিটিক্যাল কেয়ার চিকিৎসার একটি বড় সমস্যা হল, বিভিন্ন মারণ ব্যাকটেরিয়ার চরিত্রে রদবদল এবং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়া। ফলে চেনাজানা বহু ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে উন্নত সব অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করছে না! বহু ওষুধে কাজ না হওয়া ব্যাকটেরিয়াদের বলা হয় মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া। এই সব সংক্রমণ মারাত্মক। কারণ চিকিৎসক হিসেবে মোকাবিলা করার মতো পর্যাপ্ত রকমের ওষুধ আমাদের হাতে থাকে না। এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া পরিবেশে ছড়িয়ে পড়লে কী হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। তাই গবেষণা থমকে দেওয়ার ফল মারাত্মক হতে পারে।
• জীবাণু অস্ত্র প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের দেশের অবস্থান কোথায়?
• গত একশো বছরের ইতিহাসে একাধিক প্রাকৃতিক মহামারী হলেও, আমাদের দেশে প্রমাণিত জীবাণু-সন্ত্রাসের কোনও ঘটনা ঘটেনি।
• অনেকে বলেন, পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে নাকি ভারতের শেষ পোলিও রোগীর জীবাণু সংগ্রহ করে রাখা আছে?
•• পোলিও ভাইরাস সংগ্রহের বিষয়টি জীবাণুবিদ্যার অন্তর্গত। সাধারণ জ্ঞান অনুযায়ী বলা যায়, পরবর্তীকালে বড় দুর্ঘটনা এড়াতে জীবাণু নিয়ে গবেষণা করা হল যুক্তিযুক্ত উপায়। এই উপায়ে আরও উন্নততর ভ্যাকসিন আবিষ্কার সম্ভব হবে। গবেষণা চালানোর আরও একটি বড় কারণ হল, এখনও পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, আফগানিস্তানের মতো একাধিক দেশে পোলিও রোগ নির্মূল করা যায়নি। সেখান থেকে ভাইরাস নতুন করে এদেশে চলে আসার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই গবেষণা চলাই বাঞ্ছনীয়।
সাক্ষাৎকার: সুপ্রিয় নায়েক
 
19th  March, 2020
গৃহবন্দিত্বে দাম্পত্য বিবাদে না গিয়ে মানসিক
শান্তির খোঁজ করুন বিকল্প উপায়ে 

ডাঃ দেবাঞ্জন পান, বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ: চীনে লকডাউনের পর বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন জমা পড়ছে আগের তুলনায় অনেক বেশি— এমনটাই দাবি করা হচ্ছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। আরও দাবি করা হচ্ছে, এই বিচ্ছেদের কারণ হল লকডাউনের সময় স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে বেশি সময় কাটিয়ে ফেলা! বিশদ

বাড়িতে বসে তৈরি করে
ফেলুন হ্যান্ড স্যানিটাইজার 

করোনা আতঙ্ক ছড়াতেই বাজারে আকাল অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজারের। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কয়েকটি সহজলভ্য উপাদান দিয়ে তৈরি করে ফেলা যায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার। মনে রাখবেন, অ্যালকোহলের মাত্রা ৭০ শতাংশ বা তার উপরে থাকতে হবে।   বিশদ

27th  March, 2020
করোনা: ডায়ালিসিস রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি
ডাঃ পিনাকী মুখোপাধ্যায়
বিভাগীয় প্রধান (নেফ্রোলজি), এনআরএস মেডিক্যাল কলেজিস রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি

কোভিড ১৯-এ জর্জরিত ভারত সহ গোটা বিশ্ব। নিস্তার নেই বয়স নির্বিশেষে কোনও মানুষের। এই সময়ে বিশেষত ডায়ালিসিস রোগীদের জন্য বিশেষ সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে।
বিশদ

26th  March, 2020
আইসোলেশন কী?
কখন আইসোলেশন?

 করোনা আক্রান্ত দেশ বা এলাকা থেকে আসা মানুষদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
 করোনা রোগীদের সংস্পর্শে আসা মানুষদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হবে। বিশদ

25th  March, 2020
 কোয়ারেন্টাইন কী?
কখন কোয়ারেন্টাইন?

গ্রেড ১: প্রধানত আক্রান্ত দেশগুলি থেকে রোগীদের আসা শুরু হওয়া
গ্রেড ২: পজিটিভ কেস থেকে স্থানীয় মানুষদের মধ্যে সংক্রমণ শুরু হওয়া (ভারত এখন এই জায়গায়)।
গ্রেড ৩: জনসাধারণের মধ্যে এবং বড় বড় এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া।
গ্রেড ৪: স্থানীয়ভাবে মহামারী ছড়িয়ে পড়া। কোথায় শেষ বুঝতে না পারা। ইতালি এবং চীনের ক্ষেত্রে যা হয়েছে। বিশদ

25th  March, 2020
প্লাস্টিক ও স্টিলে করোনা বাঁচে ৭২ ঘন্টা,
খবরের কাগজের মাধ্যমে ছড়ায় না  

ডাঃ প্রীতম রায়, কো-অর্ডিনেটর, পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা: কোভিড ১৯ বা নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রভাব এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সাধারণ মানুষের মধ্যেও নানাবিধ প্রশ্ন। কোনও জিনিস স্পর্শ করলে কি করোনা সংক্রামিত হতে পারে? এমনও সব চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।  
বিশদ

25th  March, 2020
ন্যূনতম এক মিটারের দূরত্ব অপরিহার্য
করোনা আক্রান্তের এক হাঁচিতেই ছড়ায়
৪০ লাখ ভাইরাস, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

বিশ্বজিৎ দাস, কলকাতা: করোনা আক্রান্তের এক হাঁচিতে ছড়ায় ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ ভাইরাস। তখন তার গতি থাকে প্রতি ঘন্টায় ৫০ মাইল। তাই দরকার সামাজিক দূরত্ব বা ‘সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং’ মেনে চলা। দরকার লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা। নির্দেশ মেনে বাড়িতে থাকা।  
বিশদ

25th  March, 2020
কলেরা থেকে করোনা
বহু ভাইরাসকেই ‘অস্ত্র’ বানানোর অভিযোগ রয়েছে

 মহামারীর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার সময়ই ষড়যন্ত্রের তত্ত্বটা তুলেছিলেন ইজরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রাক্তন কর্তা ও জীবাণু অস্ত্র বিশারদ ড্যানি শোহাম। বলেছিলেন, দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের কারণ উহান ইনস্টিটিউটের ন্যাশনাল বায়োসেফটি ল্যাব।
বিশদ

19th  March, 2020
কোভিড ১৯ প্রতিরোধের টিপ্‌স

঩ বারবার হাত ধুয়ে ফেলাই নোভেল করোনা প্রতিরোধের অন্যতম কার্যকরী উপায়। হাঁচি-কাশির পর, এই রোগে আক্রান্তের পরিচর্যা করার পর, রান্নার আগে-পরে, খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পর, পশুর সংস্পর্শে আসলে বা পশুর বর্জ্য পরিষ্কারের পর অবশ্যই হাত জীবাণু মুক্ত করতে হবে।
বিশদ

19th  March, 2020
শিশুদের কখন অপারেশন
প্রয়োজন, আলোচনা সম্মেলনে 

ইন্ডিয়ান সোসাইটি অব পেডিয়াট্রিক নিউরোসার্জারির বার্ষিক সম্মেলন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল। পার্ক ক্লিনিক ও সংগঠনটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সম্মেলনের চেয়ারম্যান ডাঃ সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়, সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি ডাঃ সুরেশ শঙ্খলা, বিশিষ্ট পেডিয়াট্রিক নিউরোসার্জেন ডাঃ কৌশিক শীল, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশিষ্ট চিত্র পরিচালক অপর্ণা সেন সহ বহু বিশিষ্টজন। 
বিশদ

12th  March, 2020
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম ডেকে আনতে পারে বন্ধ্যাত্ব 

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (পিসিওএস) কী?
পিসিওএস এমন এক অবস্থা যা মেনস্ট্রুয়েশন, সন্তান ধারণের সক্ষমতা, শারীরিক গঠন এমনকী দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। ১৫-৪৫ বছর বয়সি মহিলাদের প্রায় ১০ থেকে ২৬ শতাংশ মহিলা পিসিওএস-এর সমস্যায় ভোগেন।  বিশদ

12th  March, 2020
জুনোসিস কী? বাঁচবেন কীভাবে?  

মানুষ ছাড়া অন্যান্য যে কোনও প্রাণীর শরীর থেকে মানুষের শরীরে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ফাঙ্গাস বাসা বাধলে জুনোসিস ডিজিস বলা হয়। এক্ষেত্রে পশু, পাখি, পতঙ্গ বা সরীসৃপের শরীর থেকে বিভিন্ন উপায়ে রোগ জীবাণু মানুষের দেহে সংক্রামিত হয়ে থাকে।
বিশদ

12th  March, 2020
চিকেন খান নিশ্চিন্তে, করোনার সঙ্গে সম্পর্ক নেই 

করোনা-আতঙ্ক শুরু হতে না হতেই চিকেনের উপর কোপ পড়তে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু জানাচ্ছেন এবারের ভাইরাসটির সঙ্গে মুরগির মাংসের কোনও সম্পর্ক নেই। কোন জীব থেকে কোন মারণ ভাইরাস সচরাচর ছড়ায়, সেই তালিকা দেখলেই ঘুচে যাবে যাবতীয় আশঙ্কা। আলোচনা করলেন বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রাণীবিজ্ঞানীরা। 
বিশদ

12th  March, 2020
অফিসের টেনশন কাটানোর সহজ টিপস 

অফিসে প্রচণ্ড কাজের চাপ? কাজের চাপের ভারে কাজেই বসছে না মন? কাজ জমে জমে কাজের পাহাড়ে পরিণত হচ্ছে? অসেচতনতায় কাজে ভুল বাড়ছে? অফিসের ঝামেলার রেশ পড়ছে ব্যক্তিগত জীবনে? কোন পথে মুক্তি বুঝতে পারছেন না?  বিশদ

10th  March, 2020
একনজরে
নয়াদিল্লি ও নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা, ১ এপ্রিল: করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় যৌথভাবে ১ হাজার ১২৫ কোটি টাকা খরচ করার কথা জানাল তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা উইপ্রো লিমিটেড, উইপ্রো এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেড এবং সংস্থার কর্ণধারের নামাঙ্কিত আজিম প্রেমজি ফাউন্ডেশন।   ...

সংবাদদাতা, কাঁথি: করোনা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে লকডাউন চলাকালীন ১০০ শতাংশ বকেয়া কৃষিঋণ আদায় করে নজির গড়ল কাঁথির দইসাই সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি। বকেয়া ১ কোটি টাকার বেশি কৃষিঋণ আদায় করেছে সমিতি। দেশজুড়ে লকডাউন চলায় সকলেই গৃহবন্দি।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এখনও দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে, তৃতীয় ধাপে পৌঁছয়নি। এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন একমাত্র পথ, তা কোনওভাবেই শিথিল করা যাবে না। মানুষের বাড়িতে থাকা প্রয়োজন।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এগিয়ে এল ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। এখনও পর্যন্ত তারা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ৮০ হাজার লিটার স্যানিটাইজার সরবরাহ করেছে।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০২: ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের জন্ম
১৯৩৩: ক্রিকেটার রনজিৎ সিংজির মৃত্যু
১৯৬৯: অভিনেতা অজয় দেবগনের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৬৪ টাকা ৭৬.৩৬ টাকা
পাউন্ড ৭৬.৩৬ টাকা ৯৪.৮৪ টাকা
ইউরো ৮১.৭৩ টাকা ৮৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
01st  April, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১৮ চৈত্র ১৪২৬, ১ এপ্রিল ২০২০, বুধবার, (চৈত্র শুক্লপক্ষ) অষ্টমী ৫৫/১৯ রাত্রি ৩/৪১। আর্দ্রা ৩৪/৫০ রাত্রি ৭/২৯। সূ উ ৫/৩৩/১, অ ৫/৪৮/১১, অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৮ গতে ১১/১৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে ৪/২৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ১০/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩৬ গতে ১০/৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪১ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩৬ গতে ৪/৪ মধ্যে।
১৮ চৈত্র ১৪২৬, ১ এপ্রিল ২০২০, বুধবার, অষ্টমী ৪১/১৫/৩৫ রাত্রি ১০/৪/৫৮। আর্দ্রা ২২/৩০/৫২ দিবা ২/৩৫/৫। সূ উ ৫/৩৪/৪৪, অ ৫/৪৮/৩১। অমৃতযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে ও ৯/৩২ গতে ১১/১২ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৫/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১/৩২ গতে ৫/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৩৮/১১ গতে ১০/৯/৫৪ মধ্যে।
 ৭ শাবান

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯০২: ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের জন্ম১৯৩৩: ক্রিকেটার রনজিৎ সিংজির ...বিশদ

07:03:20 PM

বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়াল 

12:02:29 AM

বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াল 

09:45:51 PM

মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সোহিনীর এক লক্ষ 
করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর ...বিশদ

08:27:27 PM

দেশে করোনা আক্রান্ত ২৩৩১ জন, মৃত ৭৩: পিটিআই 

07:35:43 PM

রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ জন, নবান্নে জানালেন  মুখ্যসচিব
বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ করোনা মোকাবিলায় নবান্নে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের ...বিশদ

06:34:00 PM