Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

মেরুপ্রভার খেলা

রহস্য মোড়া আমাদের এই সৌরজগৎ। প্রতিনিয়তই অগোচরে এমন সব ঘটনা ঘটছে যার রহস্যভেদে বেগ পেতে হয় বিজ্ঞানীদের। সম্প্রতি (১১ মে, ২০২৪) এমনই এক ঘটনা ঘটে গেল। কী এমন ঘটনা? সেটি হল সূর্য থেকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এসেছিল সবচেয়ে বড় ও ভয়ঙ্কর সৌরঝড় বা ‘জিওম্যাগনেটিক স্টর্ম’। জ্যোতিবিজ্ঞানীদের মতে, সৌরঝড়ের নাম হল ‘করোনাল ম্যাস ইজেকশন’ এমনিতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে অহরহ আছড়ে পড়ে জলন্ত সূর্যের দীর্ঘশ্বাস। তবে সব সৌরঝড়ের তীব্রতা একরকম নয়। কোনওরকমে এ যাবৎ তা থেকে রক্ষা পেয়ে আসছে পৃথিবী। তবে আগামী দিনে আরও বিপদ অপেক্ষা করছে বলে জানাল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। তারা জানিয়েছে উত্তর মেরুর উপর দিয়ে বিমান চলাচল ইতিমধ্যেই বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। আপনা-আপনিই বহু বিমানের উড়ানের দিশা পাল্টে যাচ্ছে। আগামী দিনে আরও মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে এই সৌরঝড়ের। কারণ প্রতিবারই শক্তি বাড়িয়ে সে আঘাত করছে পৃথিবীকে। আর সেই ঝড়ের বিরুদ্ধে যুঝে চলছে পৃথিবী। কিন্তু শক্তি এভাবে ক্রমশ বাড়তে থাকলে কতদিন পৃথিবী তা আর সহ্য করতে পারবে, সেই আশঙ্কার কথা শোনাল ইসরো। পৃথিবীতে এই সৌরঝড়ের প্রভাবও হয় সুদূরপ্রসারী। এতে মহাকাশে বিরাজমান কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পৃথিবীর রেডিও সংযোগ এবং বৈদ্যুতিন যোগাযোগও বাধাপ্রাপ্ত হয়। পাশাপাশি সৌর বিকিরণ সংস্পর্শে এসে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তেজস্ক্রিয়তা চরম পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে, যা থেকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে কর্মরত বিজ্ঞানী এমনকী মেরুপ্রদেশের কাছাকাছি এলাকায় বসবাসকারী মানুষজন জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। আর সরাসরি যদি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে সৌরঝড় তাহলে মুহূর্তের মধ্যে সব নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তবে এই বিপদ থেকে পৃথিবীকে বরাবর রক্ষা করে আসছে ভূচৌম্বকীয় ক্ষেত্র। যা বর্মের মতো পৃথিবীকে আগলে রেখেছে, আঘাত থেকে বাঁচিয়ে চলেছে। এই ভূচৌম্বকীয় ক্ষেত্রে ধাক্কা খেয়ে মহাশূন্যে ফিরে যায় সৌরঝড়।
এদিকে গবেষণায় বলা হয়েছে ১৮৫৯ ও ১৯২১ সালে পৃথিবীতে এমন সৌরঝড় হয়েছিল। বিজ্ঞানীদের হিসাব অনুযায়ী মোটামুটিভাবে ৮০ থেকে ১০০ বছরে একবার সূর্যের প্রাকৃতিক জীবনচক্রের জন্য সৌরঝড় বৃদ্ধি পায়। আর এটি পৃথিবীকে আচ্ছন্ন করে রাখে। সম্প্রতি যে সৌরঝড় পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছে তা গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ও বিপজ্জনক বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। সূর্যের মধ্যেকার সেই তীব্র ঝড়ের ছবি তুলেছে ইসরোর সৌরযান আদিত্য এল-১ এবং চন্দ্রযান-২। যা চন্দ্রের কক্ষপথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ইসরোর মতে, ২০০৩ সালের পর এটাই ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড়। ২০০৩ সালের অক্টোবরে হ্যালোউইনের সময় শেষবার যখন সৌরঝড় পৃথিবীতে পৌঁছায় তখন প্রায় ভূত দেখার অবস্থা হয়েছিল অনেক দেশের। সুইডেনে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে, ট্রান্সফর্মার নষ্ট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকায়। এবারের শক্তিশালী সৌরঝড়টি জিওম্যাগনেটিক সূচকে ৯-এ পৌঁছিয়েছিল, যা সৌরঝড়ের সর্বোচ্চ স্তর। বলা হচ্ছে জি-ফাইভ গোত্রের জিওম্যাগনেটিক স্টর্ম। এই ঝড়ের জেরে পৃথিবীর টেলি যোগাযোগ, ইন্টারনেট পরিষেবা, জিপিএস সিস্টেম ও মোবাইল নেটওয়ার্ক-এর উপর কিছুক্ষণের জন্য প্রভাব পড়েছিল। এই সৌরঝড় প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং আমেরিকান অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছিল। এর আগে ১৯২১ সালে সৌরঝড়ে যে ক্ষতি হয়েছিল তা অকল্পনীয়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যার নাম ‘ব্যারিংটন এফেক্ট’। তখন ঝড়ের কবলে পৃথিবীকে ঘিরে থাকা বিশালাকৃতির চৌম্বক ক্ষেত্রে বড় বড় ফাটল ধরেছিল। এ সবের ফাঁকা জায়গা দিয়ে বিষাক্ত সৌরকণা আর মহাজাগতিক রশ্মি প্রবেশ করেছিল। এমনকী ১৯৮৯ সালের মার্চে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা সৌরঝড়ের ঝাপটায় কানাডায় পুরো কুইবেক প্রদেশে টানা ৯ ঘণ্টা ‘ব্ল্যাক আউট’ হয়ে গিয়েছিল।
যে সৌড়ঝড়কে ঘিরে বিজ্ঞানীরা প্রমাদ গুনছেন, তা আসলে কী? প্রতিনিয়ত সূর্যগহ্বরে ঘটে চলেছে নানারকম ছোট বড় বিস্ফোরণ। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন বিস্ফোরণের ফলে সূর্য থেকে প্রচুর পরিমাণে আয়নিত কণা এবং ইলেকট্রনের মিশ্রণ, সৌরপ্লাজমা স্রোতের আকারে মহাশূন্যে ছড়িয়ে পড়ে, যা ঘণ্টায় ৩০ লক্ষ মাইল গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে, ওই শক্তিকেই সৌরঝড় বলা হয়। এই সৌরঝড় পৃথিবীতে পৌঁছতে কয়েক মিনিট বা ঘণ্টা লাগতে পারে। আবার দু-একটা দিনও লাগতে পারে। সৌরঝড়ের পাশাপাশি সূর্য থেকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে সৌরবায়ু, সৌরশিখা ও সৌরকণা। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এবং চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের (ম্যাগনেটোস্ফিয়ার) সামনে সেগুলি বাধাপ্রাপ্ত হয়। তবে বাধা পেলেও, নিরক্ষীয় অঞ্চলের চেয়ে মেরু অঞ্চলে ঢোকার রাস্তা সহজ। সমান্তরাল গতিপথই রাস্তা বাতলে দেয়। সৌরঝড় মানেই আধানযুক্ত কণার বা আয়নের স্রোত। তা পৃথিবীতে বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ার এবং মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে এই আয়নগুলি জমা হয় পৃথিবীর উত্তর এবং দক্ষিণ গোলার্ধে। সুতরাং পৃথিবীতে ঢুকতেই ইলেকট্রনের সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের আয়নিত অক্সিজেন ও নাইট্রোজেনের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। এর ফলে ইলেকট্রনের শক্তির হাতবদল, বায়ুমণ্ডলকে পরিবর্তন এবং তারই চূড়ান্ত ফলাফল আকাশ জুড়ে আলোর মেলা। যাকে বাংলায় বলা হয় ‘মেরুজ্যোতি’ বা মেরুপ্রভা। ইংরেজিতে ‘অরোরা’। ১৬১৯ সালে ইতালীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালিলিও এই মেরুজ্যোতির নামকরণ করেন।
এ বারের আলোর মেলা দিগদিগন্তে ছড়িয়ে পড়েছিল। তার কারণ একটাই—শক্তিশালী সৌরঝড়ের প্রভাব। পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ৯৭-১০০০ কিলোমিটার বায়ুমণ্ডল পর্যন্ত আকাশ জুড়ে এঁকে দিয়েছিল আলোর মেলা। লাল, সবুজ নীলের মতো বাহারি রঙের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছিল রাতের কালো অন্ধকার আকাশ। পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে নৃত্যরত এই আলোকচ্ছটা যা মানুষের চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছিল। আর এর জেরেই সুদূর তাসমানিয়া (অস্ট্রেলিয়া) থেকে শুরু করে ব্রিটেন ও আমেরিকার আকাশে বর্ণিল আলো বা মেরুজ্যোতি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। এমন বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছিল ভারতও। ওই দিন ভারতের লাদাখের প্রান্তবর্তী গ্রাম হ্যানলের আকাশেও দেখা গিয়েছিল লাল আলোর মেরুজ্যোতি। ভৌগোলিক অবস্থানের নিরিখেই লাদাখের মতো জায়গায় মেরুজ্যোতির দর্শন পাওয়া প্রায় বিরল ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। যে সুইজারল্যান্ডে কখনই মেরুজ্যোতি দেখা যায় না, ওই দিন সেই সুইজারল্যান্ডের আকাশেও চলেছিল আলোর খেলা। মেরুজ্যোতির ছটা দেখল আমেরিকার টেক্সাস, ক্যারোলিনা, জর্জিয়ার মতো দক্ষিণী প্রদেশ, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি ইত্যাদি। আমেরিকার ন্যাশনাল ওসানিক অ্যান্ড অ্যাটমসস্ফেরিক অ্যাড মিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে সূর্যের যে অঞ্চলে সৌরঝড় হচ্ছে, তা পৃথিবীর ব্যাসের ১৫ গুণ। অর্থাৎ ১৫টা পৃথিবীকে পাশাপাশি রাখলে যে প্রস্থ হয় ততগুণ। সূর্যের ওই তল্লাটের মোট পরিধির প্রায় ১৪ শতাংশ। প্রায় ২ লক্ষ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে এই সানস্পটের ক্লাস্টার। এতদিন পৃথিবী থেকে স্পষ্ট দেখা গেলেও, সম্প্রতি চোখের আড়াল হয়েছে সে। কিন্তু যাওয়ার আগে ফের পৃথিবীর দিকে দু-দু’টি সৌরঝড় নিক্ষেপ করে গিয়েছে। মেরুজ্যোতি বা অরোরা ঘিরে জড়িয়ে আছে নানা পৌরাণিক কাহিনি। উত্তর মেরুর এই আলোককে অরোরা বোরিয়ালিস এবং দক্ষিণ মেরুতে অরোরা অস্ট্রালিস নামে অভিহিত করা হয়! রোমানদের ভোরের দেবী ‘অরোরা’, গ্রিকদের উত্তরের বাতাসের দেবী ‘বোরিয়ালিস’ এবং দক্ষিণা বাতাসের দেবতা ‘নটুস’ বা ‘অস্টার’-এর সঙ্গে মিল রেখে এই নামকরণ হয়। আর আক্ষরিক অর্থেই ইংরাজিতে এই আলো উত্তর মেরুতে নর্দার্ন লাইটস এবং দক্ষিণ মেরুতে সাউদার্ন লাইটস নামে পরিচিত। তবে নানাকারণে সাউদার্ন লাইটসের চেয়ে নর্দার্ন লাইটস-এর জৌলুস বরাবরই বেশি।
ফিনো ইউগ্রিকদের মতে, অরোরা ছিল অশনি বা দুর্ভাগ্যের সঙ্কেত। ফিনো ইউগ্রিকরা মনে করত মৃতদের আত্মা ফিরে আসত এই আলো হয়ে। তারা বিশ্বাস করত, তাদের কোনও কাজে আত্মারা অসন্তুষ্ট হলে তুলে নিয়ে যাবে কিংবা শিরচ্ছেদ করবে জীবিতদের। ফিনল্যান্ডে এই অরোরার সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক ‘শিয়াল’ এর গল্প। তাদের মতে, পাহাড়ের ফাঁকফোঁকর দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে পাহাড়ের গায়ে লেজ লেগে আবহাওয়া ভেদে আগুনের ফুলকি কিংবা তুষারপাতের কারণে সৃষ্টি হতো এই আলোর।
সৌরঝড় পৃথিবীর সীমানায় আসার সঙ্গে সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের উপরের দিকে থাকা অক্সিজেনের সঙ্গে সৌর আয়নের সমন্বয়ে নিঃসৃত হয় লাল আলোক রশ্মির, একটু নিচু উচ্চতায় অক্সিজেনের সঙ্গে সমন্বয় হলে বিকিরণ হয় সবুজাভ ও হলুদাভ বর্ণের এবং অরোরা নীচের অংশ লালচে ও নীলচে বর্ণ তৈরি হয়। নাইট্রোজেনের সঙ্গে সৌর আয়নের সমন্বয়ে। আর এ সবের জেরেই রাতের দিগন্তে দেখা যায় বর্ণালীর আলোকচ্ছটা। অসংখ্য তারার ভিড়ে এমনই নৈসর্গিক দৃশ্য যা দেখে চোখ জুড়ায় সকলেরই। এক ঝলক দেখলে মনে হবে যেন কোনও স্বপ্নের রাজ্য, যা কোনও দিন বাস্তবে দেখা যাবে না।
09th  June, 2024
কেন ব্যাক পাসের নিয়ম বদল?

১৯৯২ সালে ডেনমার্কের ইউরো জয়কে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় অঘটন মানা হয়। সেবার তো টুর্নামেন্টে খেলারই কথা ছিল না ড্যানিশদের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বলকান যুদ্ধের জন্য যুগোস্লাভিয়ার অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
বিশদ

09th  June, 2024
কোকোনাট ক্যান্ডেলস

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী।
বিশদ

09th  June, 2024
রবীন্দ্রনাথের  পরিবেশ ভাবনা

জীবনশিল্পী রবীন্দ্রনাথ। যা কবির চোখে দেখেছেন, অনুভব করেছেন, ব্যবহারিক জীবনে মানুষের মাঝে তার বিকাশ দেখতে চেয়েছেন বারবার। তাতেই তাঁর আনন্দ, তাতেই তৃপ্তি। তা না হলে বর্ষামঙ্গল, হলকর্ষণ সবেতেই বৃক্ষরোপণকে উৎসবে আয়োজনে ভরিয়ে তোলার প্রয়োজনও বোধহয় ছিল না।
বিশদ

02nd  June, 2024
চাঁদ কি ছোট হচ্ছে!

মামার বাড়ি মানেই দেদার খেলাধুলো। মায়ের চোখরাঙানি থেকে একটু নিস্তার। তিতাস দু’দিন হল মামাবাড়ি এসেছে। পরীক্ষা শেষের পর। সকালে পাশের মাঠে একটু ফুটবল খেলে বাড়ি ঢুকতেই দিদা বলল, এই রোদে কেউ খেলে? আঁচল দিয়ে মুখটা মুছিয়ে বলল, দেখ তো, চাঁদপানা মুখটা রোদে কেমন ছোট হয়ে গিয়েছে।
বিশদ

02nd  June, 2024
ঠিকানা চাও, বলছি শোন...

কবি সুকুমার রায়ের ‘ঠিকানা’ কবিতা তোমরা নিশ্চয়ই পড়েছ। আদ্যানাথের মেসোকে খুঁজতে গিয়ে কতই না চক্কর কাটতে হয়েছিল জগমোহনকে! তবে শুধু কবিতা বা সাহিত্যে নয়, যুগ যুগ ধরে কারও বাড়ি, দপ্তর, দোকানের হদিশ পেতে এমনভাবেই নাকানি-চোবানি খেতে হয়েছে সকলকে।
বিশদ

02nd  June, 2024
দুঃসাহসী কলম্বাস
অনির্বাণ রক্ষিত

আমেরিকা মহাদেশের আবিষ্কর্তার নামটি শুনলেই চোখের সামনে ফুটে ওঠে ভ্রমণপিপাসু সাহসী এক নাবিকের ছবি। যিনি চেয়েছিলেন সমুদ্রপথে পাড়ি দিয়ে নতুন নতুন দেশের খোঁজ করতে। আর সেই নেশাই তাঁকে প্রেরণা জুগিয়েছিল এক নতুন মহাদেশ আবিষ্কার করার। বিশদ

26th  May, 2024
আশ্চর্য গাছ
সায়নদীপ ঘোষ

দেখলে মনে হবে নীচের অংশ আকাশের দিকে। আর উপরের অংশ রয়েছে মাটির তলায়। মস্ত বড় কাণ্ড নিয়ে দিব্যি দাঁড়িয়ে রয়েছে গাছটি। ডালপালা, পাতা নেই বললেই চলে। ঠিক যেন মরা গাছ। তোমরা হয়তো ভাবছ, এটা নিশ্চয়ই কোনও অলৌকিক সৃষ্টি। বিশদ

26th  May, 2024
ঝুলন্ত টব

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

26th  May, 2024
আজও জীবিত প্রাচীন ভাষা

কত ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ বেশ কয়েকটি সুপ্রাচীন ভাষা আজও বহাল তবিয়তে বেঁচে রয়েছে। এই ভাষাগুলিতে এখন লক্ষ লক্ষ মানুষ কথা বলেন। তারই খোঁজ নিলেন সোমা চক্রবর্তী বিশদ

26th  May, 2024
মায়া
ধ্রুব মুখোপাধ্যায়

ভেবেছিল, সবকিছুই হয়তো বদলে যাবে। চিনতে পারবে না কিছু। অথর্ব নিজেও তো কম বদলায়নি। গ্রাম ছাড়ার পর বিগত পঁচিশ বছরে চুলে পাক ধরেছে, চোখে চশমা উঠেছে। এমনকী...। যাইহোক, তবে গ্রামটা সেভাবে বদলায়নি। চিনতে অসুবিধা হল না। বিশদ

19th  May, 2024
রহস্যে ঘেরা গ্রহাণু বলয়
স্বরূপ কুলভী

খোলো খোলো, হে আকাশ, স্তব্ধ তব নীল যবনিকা—’।  মহাবিশ্বে কত যে রহস্য লুকিয়ে আছে, তার কতটুকুই বা জানি আমরা। সেখানে পরতে পরতে বিস্ময়। এমনই একটা বিস্ময় হল গ্রহাণু। এগুলিকে কিন্তু পৃথিবী থেকে খালি চোখে দেখতে পাওয়া যায় না।  এখন প্রশ্ন হল, এই গ্রহাণু আসলে কী? কোথায় বা সেগুলি থাকে?  বিশদ

19th  May, 2024
এস্কিমো লোককথা
দ্যুতিমান ভট্টাচার্য

রাতের আকাশকে সাজিয়ে রাখে হাজার হাজার তারা। কিছু তারাকে কাল্পনিকভাবে যোগ করলে তৈরি হয় নক্ষত্রমণ্ডলী। উত্তর মেরুতে বসবাসকারী এস্কিমোদের লোককথায় রয়েছে তারা তৈরির নানান কাহিনি।  বিশদ

19th  May, 2024
মহাকাশ স্টেশনে গাছপালা!

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনগুলিতে গাছ লাগানো হচ্ছে। অক্সিজেনের জোগান অব্যাহত রাখাই এর আসল উদ্দেশ্য। পৃথিবী থেকে মহাশূন্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ক্লোরেলা নামক একপ্রকার শৈবাল। কতটা সফল মহাকাশযাত্রীদের এই উদ্যোগ জানালেন উৎপল অধিকারী। বিশদ

12th  May, 2024
ছুটির মজা

এবছর অনেকটা আগেই পড়ে গিয়েছে গরমের ছুটি। তীব্র দাবদাহ কমে কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। কীভাবে কাটছে ছুটি? আগেভাগেই জানিয়েছিল মালদহের শুক্রবারি আবুল কাশেম হাই মাদ্রাসার পড়ুয়ারা। বিশদ

12th  May, 2024
একনজরে
জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে ইতালির আপুলিয়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তৃতীয়বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর এটাই মোদির প্রথম বিদেশ সফর। এবিষয়ে বিবৃতি দিয়ে বিদেশ ...

ঘোলা জল ঘিরে রাজনীতি বালুরঘাটে। অভিযোগ, গত সাতদিন ধরে পুরসভা বাড়ি বাড়ি যে পানীয় জল সরবরাহ করছে তা ঘোলা। ট্যাপ থেকে বেরচ্ছে লাল জল। ...

রাজ্যে মোট কতগুলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে তার তথ্য তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। ভোট মেটার পর আদর্শ আচরণ বিধি উঠে গেলেও রাজ্যে রয়ে গিয়েছে ...

আইএসএলের সর্বাধিক গোলদাতা দিমিত্রিয়াস ডায়ামান্টোকোসকে সই করিয়ে দলবদলের বাজার জমিয়ে দিল ইস্ট বেঙ্গল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বায়ু দিবস
১৭৫২: আমেরিকান বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ঘুড়ির সাহায্যে বিদ্যুতের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন
১৭৫৯: ঔরঙ্গজেব আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রার সিংহাসনে আরোহণ করেন
১৮৪৮: বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক বার্লিন শহরকে জার্মানির রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করেন
১৮৫৪: কলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উদ্যোগে প্রেসিডেন্সি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৫৫: ব্রিটেনে সংবাদপত্রের উপর থেকে কর তুলে দেওয়া হয়
১৮৯৬: জাপানে সুনামিতে ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু
১৮৯৯: ভারতীয় ভাস্কর,চিত্রশিল্পী এবং ললিত কলা একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরীর জন্ম
১৯০৮: কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ চালু হয়
১৯৫০: শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তালের জন্ম
১৯৫৩: চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের জন্ম
১৯৬০: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়
১৯৬৯: জার্মানির গোলকিপার অলিভার কানের জন্ম
১৯৭৭: দীর্ঘ ৪০ বছর পর স্পেনে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৯৮৬: ভারতে বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দলের (R.S.P.) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য তারাপদ লাহিড়ীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭২ টাকা ৮৪.৪৬ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৮৬ টাকা ১০৮.৩৪ টাকা
ইউরো ৮৮.২০ টাকা ৯১.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪। নবমী ৫৪/৩ রাত্রি ২/৩৩। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র ৮/১৫ দিবা ৮/১৪। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৮ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১ গতে ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১১/১৫ গতে ১/২৪ মধ্যে পুনঃ ২/৪৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১২/৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৬ গতে উদয়াবধি।   
৩২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪। নবমী রাত্রি ১/১২। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র দিবা ৭/৫২। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২০। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১১/২০ গতে ১/২৮ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৪ মধ্যে ও ৯/২৯ গতে ১২/৮ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৫৯ মধ্যে ও ৪/৪০ গতে ৬/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। 
৮ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
এখন কেমন আছেন সন্ধ্যা রায়
হাসপাতালে ভর্তি হলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। বুক ধড়পড় ও ...বিশদ

07:14:26 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারাল স্পেন

11:32:54 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: স্পেন ৩ : ক্রোয়েশিয়া ০ (হাফটাইম)

10:25:41 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: স্পেন ২ : ক্রোয়েশিয়া ০ (৩৩ মিনিট)

10:09:28 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: স্পেন ১ : ক্রোয়েশিয়া ০ (৩০ মিনিট)

10:07:05 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: মাঠ ভিজে থাকার কারণে ভারত বনাম কানাডার ম্যাচ বাতিল

09:13:01 PM