সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
আজ একটা নতুন ধরনের জিনিস তৈরি শিখব। ডিজাইনার বিদিশা বসু বলছিলেন, ‘বাচ্চাদের ছোট থেকেই ছোটখাট কাজের মাধ্যমে সাবলম্বী হতে শেখানো দরকার। আর সেই শিক্ষা যদি খেলাচ্ছলে দেওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই। বাচ্চারা খুবই আগ্রহের সঙ্গে কাজগুলো শিখে নিতে চাইবে।’ আজকের হ্যান্ডিক্রাফ্টও সেই খেলাচ্ছলে কাজ শেখারই অংশ বিশেষ। আজ আমরা আঠা লাগানো আর গিঁট বাঁধার কায়দা শিখব। আর তারপর যে বস্তুটি তৈরি হবে, তা হল প্লান্ট হ্যাঙ্গার। এখন বারান্দায় শৌখিন ঝোলানো টবে গাছ অনেকেই বাড়িতে রাখেন। সেই ধরনেই একটা টব তোমরা নিজের হাতে তৈরি করতে শিখবে আজ। তোমরা অনেকেই কোল্ড ড্রিংক খেতে ভালোবাসো। এবার সেই কোল্ড ড্রিংকের বোতল দিয়েই তৈরি করে ফেলতে পার সুদৃশ্য ঝুলন্ত টব।
উপকরণ: এবার বলি এটা তৈরি করার জন্য কী কী লাগবে? দুটো ছোট কোল্ড ড্রিংকের প্লাস্টিক বোতল (পেট বটল), ফেবিকল, নারকেল সরু ও মোটা দড়ি।
কীভাবে তৈরি হবে প্লান্ট হ্যাঙ্গার? কোল্ড ড্রিংকের বোতল মাঝখান থেকে চওড়া করে কেটে ফেল। নীচের অংশটা রেখে উপরের অংশটা ফেলে দাও। এবার এই বোতলের গায়ে ফেবিকল লাগিয়ে নাও। নারকেলের সরু দড়ি ফেবিকলের উপর রিংয়ের মতো করে পেঁচাতে থাক। একবার পুরোটা পেঁচানোর পর তা খানিকক্ষণ রেখে শুকিয়ে নাও। এবার এই দড়িগুলোর গায়ে আবারও একটু দূরে দূরে আড়াআড়িভাবে ফেবিকল লাগিয়ে নাও। তার উপর বাকি নারকেলের দড়ি পেঁচিয়ে দাও। এমনভাবে পেঁচাবে যাতে একটুও ফাঁকা জায়গা না থাকে। পুরো বোতলটা নারকেলের দড়িতে পেঁচানো হয়ে গেলে সেটা শুকিয়ে নাও। ইতিমধ্যে দুটো মোটা নারকেলের দড়ি নিয়ে তা একদিকে একটু বড় করে গিঁট বেঁধে জুড়ে নাও। তারপর তা বিনুনির মতো পেঁচিয়ে নাও। এবার বোতলের দু’ধার দিয়ে উল্টো ‘ভি’-এর আকারে এই মোটা বিনুনি মতো পেঁচানোর দড়ি ফেবিকল দিয়ে লাগিয়ে নাও। আবারও তা শুকিয়ে নাও। তারপর তাতে অল্প জল ভরে মানি প্লান্ট বা অন্য যে কোনও ফুলের গাছ লাগিয়ে বারান্দায় বা ঘরের জানলা থেকে ঝুলিয়ে দাও। তৈরি হয়ে গেল ঝুলন্ত টব। চাইলে নারকেলের দড়ি গায়ে কোনও ফেব্রিক পেইন্টও করতে পার।