সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
ফেডারেশন অন ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে যৌথভাবে ‘বিজনেস অ্যাকশন ফর বায়োডাইভারসিটি কনজারভেশন’ নামে একটি জাতীয় রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ইউএনডিপির ইন্ডিয়া চ্যাপ্টার। পরিবেশ নীতিকে কীভাবে শিল্প সংস্থাগুলি বাস্তবের মাটিতে সঠিক এবং সফলভাবে প্রয়োগ করছে সে বিষয়ে দেশজুড়ে তারা সমীক্ষা চালায়। সেই সমীক্ষার পরই ইউএনডিপি রাজ্যে একমাত্র হলদিয়া এনার্জিকে কেস স্টাডির জন্য বেছে নেয়। সেই কেস স্টাডি প্রকাশিত হয়েছে জাতিসঙ্ঘ উন্নয়ন কর্মসূচির প্রতিবেদনে। ৫ জুন দিল্লিতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে ইউএনডিপির ওই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। হলদিয়া এনার্জি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাত বছর আগে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে প্রথম ভেষজ উদ্যান ‹ঋষি কৃষি› গড়ে তোলে। স্থানীয় ওষধি গাছের পাশাপাশি লুপ্তপ্রায় এবং বিরল প্রজাতির ভেষজ গাছ সংরক্ষণে জোর দেওয়া হয়। হিমালয়, নীলগিরি সহ দেশের নানা প্রান্তের শতাধিক ওষধি গাছ ওই বাগানে চাষ হচ্ছে রীতিমতো। শ্রমিকদের পাশাপাশি হলদিয়ার বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়া, সামাজিক সংগঠনগুলিকে ওই বাগানে নিয়ে গিয়ে গাছ চেনানো হয়। অনেকেই গাছের চারাও নিয়ে যান।
১ লক্ষ ২৫ হাজার গাছ লাগিয়ে বিশাল গ্রিন বেল্ট তৈরি করেছে হলদিয়া এনার্জি। ‹তিতলি রানি› নামে প্রজাপতি উদ্যানে ৫০ ধরনের বিভিন্ন ফুলের মধু খেতে প্রজাপতি আসে। ৩০টি নানা ধরনের প্রজাপতির দেখা মেলে বাগানে। ‹সোয়াদ কা বাগিচা› নামে নানা জাতের মশলার বাগান দেখে রীতিমতো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ইউএনডিপির সমীক্ষক দল। সম্প্রতি ১০৬ একর জমিতে হলদিয়া এনার্জি তৈরি করেছে ‹বায়োডাইভারসিটি কনজারভেশন পার্ক›। এর নামকরণ করা হয়েছে পঞ্চবটিকা। প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ওই নির্জন পার্কে ৩৮ ধরনের পাখির দেখা মেলে। দেড় হাজারের বেশি হিমালয়ান ও সাইবেরিয়ান পরিযায়ী পাখি আসে ওই পার্কে। উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীববৈচিত্র সংরক্ষণের পাশাপাশি বর্জ্য থেকে কম্পোজড সার, মিয়াওয়াকি বন, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ বিষয়ে শ্রমিকদের শিক্ষা দেওয়া হয়। সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্ল্যান্ট হেড সোমনাথ দত্ত বলেন, আমাদের সংস্থার পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্যোগ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ায় খুশি সবাই। এগুলি আসলে শিল্প সংস্থার বায়ো ইন্ডিকেটর হিসেবে কাজ করে। নতুন প্রজন্মের কাছে জীববৈচিত্র এবং বাস্তুতন্ত্রকে সম্মান করার শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। এই ভাবনার প্রসারে ‹বসুন্ধরা› নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় সব বিদ্যালয়ে ফলের গাছ বিতরণ করা হচ্ছে নিয়মিত। -নিজস্ব চিত্র