সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
এর আগেও কলকাতা দেখেছে স্টিফেন কোর্ট, বাগরি মার্কেট কিংবা আমরি হাসপাতালের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। প্রতিটি ক্ষেত্রেই শর্ট সার্কিট কিংবা বাতানুকুল যন্ত্র থেকে আগুন লাগার কারণ সামনে এসেছে। সম্প্রতি রাজকোটে প্লে স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের জেরেও ২৫ জনের মৃত্যু দেখেছে দেশ।
এই প্রেক্ষিতে কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন টাউন প্ল্যানার দেবাশিস কর বলেন, বর্তমানে দেশের সর্বত্র নগরায়ণ বাড়ছে। দিল্লি, কলকাতা বা মুম্বইয়ের মতো শহর সেই অর্থে পরিকল্পিত শহর নয়। এগুলি হচ্ছে ‘বাইচান্স গ্রোথ সিটি’ অর্থাৎ যেখানে যেমন যেমন জনসংখ্যা বেড়েছে, সেই প্রয়োজন অনুসারে পুরনো বাড়িঘর বদলে নতুন যা চকচকে বহুতল তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেখানকার পরিকাঠামোয় নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাব দেখা যায়। বিভিন্ন বাণিজ্যিক বহুতলে কেন্দ্রীয় শীতাতপ ব্যবস্থা থাকে। সেগুলি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। তাঁর সংযোজন, আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। বাড়ি হোক বা বহুতল, ওয়্যারিং অর্থ্যাৎ বিদ্যুতের লাইন নিয়মিত ‘চেক’ করা দরকার। বিশেষ করে যেখানে আগুন লাগলে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি (যেমন মল, হাসপাতাল, অফিস, বড় হোটেল বা রেস্তোরাঁ) সেখানে বাড়তি নজরদারির প্রয়োজন। বেআইনি নির্মাণও বন্ধ হওয়া দরকার। পাশাপাশি, প্রচণ্ড গরমে এসির ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম মানার দরকার বলে জানাচ্ছেন দেবাশিসবাবু।
তিনি বলেন, গরমে এসি বেশি চলছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, বাড়ি বা আবাসনে নির্দিষ্ট বাতানুল যন্ত্রের বাইরে বাড়তি এসি চালানো হচ্ছে। অথচ সেখানে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। তখন ওভারলোডিংয়ে সমস্যা থেকে এসিতে আগুন ধরে যাচ্ছে কিংবা শর্ট সার্কিটে বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এসব ব্যাপারে সতর্ক থেকে নিয়ম মেনে চললেই দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। বাড়ি হোক বা বহুতল, বৈদ্যুতিক পরিকাঠামোর সঙ্গে আপস করা বাঞ্ছনীয় নয়।