সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
সংসদ ভবনের অ্যানেক্সি বিল্ডিংয়ে চলছে কার্ড তৈরির কাজ। নথিভুক্ত করা হচ্ছে এমপির পরিচয়ের বিস্তারিত। বারাণসীর এমপি নরেন্দ্র মোদির কার্ড তৈরি করতে লোকসভা সচিবালয়ের অফিসাররা প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাঁকে সংসদে আসতে হয়নি। রাহুল গান্ধী এখনও পর্যন্ত কার্ড করাননি। কারণ, তিনি এখনও ঠিকই করে উঠতে পারেননি কোথাকার এমপি হিসেবে সংসদে উপস্থিত হবেন? ওয়েনাড়, নাকি রায়বেরিলি। যদিও লোকসভার ওয়েবসাইট রাহুলকে ওয়েনাড়ের এমপি হিসেবেই পরিচয় দিচ্ছে। রায়বেরিলির নামগন্ধ নেই। আরও মজার বিষয় হল, নির্বাচন কমিশনের নথিতে কংগ্রেস এবার ৯৯ আসন জিতলেও লোকসভার তালিকায় তা ৯৬। স্রেফ কংগ্রেসই নয়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাত লক্ষেরও অধিক ভোটে ডায়মন্ডহারবারে জিতলেও তাঁর নাম নেই। নেই কোচবিহারের তৃণমূল এমপি জগদীশচন্দ্র বসুনিয়ার নামও।
আম আদমি পার্টির এবার তিনজন জিতলেও লোকসভা বলছে দুই। নির্বাচন কমিশনের প্রকৃত তথ্য নির্দল জিতেছেন সাতজন। কিন্তু লোকসভার সাইট বলছে পাঁচ। অথচ বিজেপির এমপির সংখ্যা ২৪০। কোনও ভুল নেই। সরকারের সহযোগি টিডিপি ১৬। জেডিইউ ১২। তাও নিখুঁত। ফলে দলভিত্তিক প্রতিনিধিত্বের তথ্য জানতে সাধারণ মানুষ লোকসভার ওয়েবসাইট দেখলে বিভ্রান্তই হবেন। কেন এই তথ্যের ভুল? দায় এড়াচ্ছে প্রত্যেকেই। লোকসভার টেবিল অফিস বলছে, আমরা করি না। স্পিকার অফিসের জবাব, এমন ভুল তো হতে পারে না। মিডিয়া বিভাগ বলছে, খোঁজ নিয়ে বলছি। খেয়াল করিনি তো!
এদিকে, এরই মধ্যে লোকসভায় বিরোধী দলনেতার পদ নিয়ে কংগ্রেসে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, সোনিয়া এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাহুলকে চাপ দিচ্ছেন ওই পদ নিতে। তাহলে সংসদে মোদির কথার সরাসরি জবাবে প্রতিনিয়ত খবরের শিরোনামে থাকবেন রাহুল। এছাড়া বড় বাংলো, বিরোধী দলনেতা হিসেবে অফিস কর্মী, গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেও ডাক পাবেন তিনি। কিন্তু রাহুল বিরোধী দলনেতা হতে চাইছেন না। ঘনিষ্ঠমহলে তিনি বলেছেন, অনেকদিন পর ভোটে ফল ভালো হয়েছে। তাই এই সময়ে সংগঠন চাঙ্গা করাটাই তাঁর অগ্রাধিকার। তাই এমপি থেকে সংসদ এবং সড়ক, উভয় জায়গাতেই সরকার বিরোধী আক্রমণেই থাকতে চান তিনি। ফলে রাহুল লোকসভার বিরোধী দলনেতা না হলে অসমের এমপি গৌরব গগৈকে ওই পদে বসানো হতে পারে বলেই খবর।