সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
এক আলোচনাসভায় একটি শিল্প উপদেষ্টা সংস্থার অন্যতম কর্ণধার সুধীর কাপাড়িয়া বলেন, চিরাচরিত ধারণা, উচ্চ হারের করে ভালো অঙ্কের রাজস্ব আদায় হয়। কিন্তু সেই ধাররণা যে ভুল, তা প্রমাণিত। ১৯৯১ সাল থেকে ভারত মধ্যমানের কর কাঠামো ধরে রাখার চেষ্টা করছে। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিয়ে কতটা কর কমানো যেতে পারে, সেই বিষয়ে চিন্তাভাবনা দরকার। এখন নতুন করে করকাঠামো সংস্কারের সময় এসেছে। ব্যবসার ক্ষেত্রে করের একটিমাত্র হার রাখা উচিত। সাধারণ মানুষের জন্য তিনরকমের করের হার কার্যকর করা উচিত, যেগুলি হবে কম ও মধ্য মাপের। করের উপর কোনও সারচার্জ বা সেস চাপানো উচিত নয়। মূলত আয়করের ক্ষেত্রেই এই পরামর্শ দিয়েছেন কাপাড়িয়া। তাঁরা কথায়, জিএসটির ক্ষেত্রেও এখনই করের একগুচ্ছ হারকে কমিয়ে আনা দরকার। ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট পেতে যাতে কোনওভাবেই সমস্যা না-হয়, তার জন্য সবরকমের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। গোটা প্রক্রিয়ার সরলীকরণ করতে ধারাবাহিকভাবে প্রশাসনের উচিত ব্যবসায়ীদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো।
একটি রিসার্চ সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ডিরেক্টর কৌশিক দত্ত বলেন, কর এবং জিডিপির অনুপাত বেড়ে যাবে, এটা কখনোই কাম্য হতে পারে না। দেশের সংগঠিত অর্থনৈতিক কাজকর্ম সংক্রান্ত হিসেবের বাইরে রয়েছে গিয়েছে বিরাট মাপের অসংগঠিত ক্ষেত্র। দেশের অর্থনীতির ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ তাদের দখলে থাকা উচিত। এরা দেশের কর ও জিডিপি অনুপাতকে কঠিন করে তুলছে। কম হারের জিএসটি চালু করে, এই বিরাট অসংগঠিত অংশকে করের আওতায় আনা উচিত। তাহলে করের বোঝা কমবে, রাজস্বও বেশি আদায় হবে।