সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। তিনি বিজেপির টিকিটে বিধানসভায় জিতলেও পরে দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দেন। নিয়ম মেনে বিধায়ক পদ থেকে তাঁকে ইস্তফা দিতে হয়। সেই কারণে বাগদায় এই অকাল নির্বাচন।
লোকসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে বিজেপির কাছে পিছিয়ে থাকা বাগদা বিধানসভায় তৃণমূলের প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছিল। শুক্রবার মধুপর্ণার নাম ঘোষণায় যাবতীয় জল্পনায় ইতি পড়ে। মেয়েকে প্রার্থী করায় দলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মমতাবালা। তিনি বলেন, ‘দিদিকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। বাগদার মানুষ চেয়েছিলেন, মতুয়াদের মধ্য থেকে কেউ প্রার্থী হোক। তাঁদের দাবি মেনে দল মধুপর্ণাকে প্রার্থী করেছে। আশা রাখছি, বাগদার মানুষের সমর্থন দিদির হাতকেই শক্ত করবে।’ মধুপর্ণা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। ভোটে জিতে বাগদার মানুষ ও মতুয়াদের জন্য কাজ করতে চাই।’ জেতার বিষয়ে আশাবাদী মধুপর্ণার বক্তব্য, ‘আমি রাজনীতির ময়দানে নতুন। তবে বাবা-মা’কে রাজনীতিতে কাছ থেকেই দেখেছি। ঠাকুরদাও সাংসদ ছিলেন। তাঁরা যখন পেরেছেন, আমিও পারব।’
নির্বাচনী লড়াইয়ে আনকোরা হলেও রাজনীতির ময়দান তাঁর খুব একটা অপরিচিত নয়। মায়ের সঙ্গে একাধিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাঁকে হাজির থাকতে দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি পৈতৃক ভিটে থেকে অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করার অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসেছিলেন মধুপর্ণা, যা গোটা মতুয়া সমাজকে নাড়িয়ে দেয়। মধুপর্ণা বলছেন, ‘আমাদের রক্তের মধ্যে রাজনীতি ঢুকে গিয়েছে। মতুয়া সমাজের উন্নয়ন করাই আমার প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য।’
বনগাঁ লোকসভার পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি বাগদায় ফের প্রার্থী হতে চান না। বরং মন দিয়ে সংগঠনের কাজ করে দলীয় প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জেতাতে চান। একথা তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়ে দেন। তারপরই মতুয়াদের মধ্যে থেকে মহিলা মুখকে সামনে এনে কার্যত চমক দিল তৃণমূল। তবে বাগদা বিধানসভা দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের হাতছাড়া। ২০১১ সালে শেষবার এই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন তৃণমূলের উপেন বিশ্বাস। আর এবার লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে বাগদায় বিজেপি ২০ হাজার ৬১৪ ভোটে তৃণমূলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। তাই লড়াই যে হাড্ডাহাড্ডি হতে চলেছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের কোনও সংশয় নেই। তৃণমূল পুরোদমে ময়দানে নেমে পড়লেও বিজেপি অবশ্য এখনও প্রার্থীর নাম ঠিক করে উঠতে পারেনি।