সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
পুলিস স্টেশন ট্যুরিজমের কথা এই প্রথম ভাবল মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিস। সম্প্রতি পুলিস সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব ট্যুরিস্টদের থাকার জন্য দু’টি ঘরের উদ্বোধন করেন। তাঁদের আশা, কোনও বিপদে পড়ে নয়, শুধুমাত্র ভ্রমণের জন্যও থানায় আসবেন মানুষ। মেহেগিনির জঙ্গলের ভেতর, পুকুরের ধারে পথ চলা শুরু করেছে ‘আনন্দ আশ্রম’। নানা পাখি, ঝাঁক বেঁধে ঘোরা মাছের দল দেখতে দেখতে কখন যে বেলা গড়িয়ে সন্ধে হয়ে যাবে পর্যটকরা টেরও পাবেন না। বাড়তি পাওনা হবে, আনন্দ আশ্রমের প্রভাতী সংগীত। সংগীতের আসরে মানুষের পাশাপাশি ছোট ছোট খরগোশ, কাঠবিড়ালি, এবং পাখিদের অংশগ্রহণ মানুষকে অবাক করবেই। মেডিটেশন করার একেবারে আদর্শ পরিবেশ এই আনন্দ আশ্রমে। মাস দুয়েক আগে শুরু হওয়া ক্যান্টিন ‘খোলা হাওয়া’ ইতিমধ্যেই এলাকায় সুনাম অর্জন করেছে। প্রায় সমস্ত ধরনের পছন্দের খাবার পাবেন থানার ক্যান্টিন থেকেই। শুধুমাত্র অভাব ছিল অতিথিদের থাকার উপযুক্ত জায়গার। এখন সে অভাবও দূর হল। অতিথিদের দু’টি কক্ষের একটির নাম ‘সুখনীড়’ ও অপরটি ‘শান্তিনীড়’। ‘সুখনীড়’ যে কোনও স্ট্যান্ডার্ড হোটেলের ডিলাক্স রুমের আদলে বানানো। ‘শান্তিনীড়’ সাধারণ এসি রুম। ফলে ভাড়ারও তারতম্য রয়েছে। অতিথিদের জন্য ডবল বেডরুমে চারজন থাকতে পারবেন। এক রাতের জন্য খরচ হবে ১৬০০ টাকা। অপর একটি এসি রুম রয়েছে, যেখানে সর্বাধিক দুই জন থাকতে পারবেন। সেখানের ভাড়া ১০০০ টাকা। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিস সুপার (সদর) মাজিদ ইকবাল খান বলেন, হরিহরপাড়া থানাটি যেহেতু হেরিটেজ বিল্ডিংয়ে অবস্থিত সেজন্য আমরা ভাবনা চিন্তা শুরু করি যে, এখানে অভিনব কী করা যেতে পারে। পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিসিংয়ের উপর আমাদের জেলা থেকে জোর দেওয়া হচ্ছে। যাতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিসের দূরত্ব কমে। মানুষ সাধারণত পুলিসকে ভয় পায়। কিন্তু থানার মধ্যে ক্যান্টিন চালু করা হয়েছে। সেখানে সাধারণ মানুষ খেতে আসছেন। অভিনব দু’টি গেস্টরুম করা হয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিসের দূরত্ব অনেক কমবে বলে আমরা আশাবাদী। • নিজস্ব চিত্র