সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
আজ, শনিবার থেকে ৭২ ঘণ্টার জন্য জলপাইগুড়িতে জারি হয়েছে বৃষ্টিপাতের লাল সতর্কতা। তিনদিনের জন্য একই সতর্কতা থাকছে পাশের জেলা আলিপুরদুয়ারেও। আবহাওয়া দপ্তরের স্পষ্ট পূর্বাভাস, এই দুই জেলার কিছু জায়গায় দিনে ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। ফলে সতর্ক প্রশাসন।
কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে পাহাড় ও সমতলে। স্বাভাবিকভাবেই তিস্তা, জলঢাকা নদীর জল বাড়ছে। শহর লাগোয়া পাহাড়পুর, পাতকাটা, রংধামালি, খড়িয়ার বেশ কিছু এলাকায় তৈরি হয়েছে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। তিস্তায় জল বাড়লে সবার আগে প্রভাব পড়ে এসব এলাকাতেই। পাশাপাশি জেলার ক্রান্তির চ্যাংমারি পঞ্চায়েতের সাহেববাড়ি, পূর্ব দলগাঁও, পশ্চিম দলগাঁও, চাপাডাঙা পঞ্চায়েতের মৌয়ামারি, বাসুসুব্বা এলাকার পরিস্থিতিরও উন্নতি হয়নি। নাগরাকাটা, মাল ব্লকের কয়েকটি পঞ্চায়েতের কিছু এলাকা এখনও জলমগ্ন। সেখানকার বহু মানুষ স্থানীয় স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রয়েছেন। প্রশাসনের উদ্যোগে সেখানে খাওয়াদাওয়া, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারই চ্যাংমারি পঞ্চায়েতের সাহেববাড়িতে তিস্তার গাইড বাঁধের একাংশ নদীর জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিন সেখানে বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করে সেচদপ্তর। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের ক্রান্তি ব্লকের সভাপতি মহাদেব রায়। ক্রান্তির পূর্ব দোলাই গ্রামের ৪০টি পরিবার, সাহেববাড়ির ৩০টি পরিবার জলমগ্ন। প্রশাসন তাঁদের ত্রাণ ও থাকার ব্যবস্থা করেছে।
সেচদপ্তরের উত্তর-পূর্ব বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক বলেন, তিস্তা, জলঢাকা নদীর জল বাড়ায় কোথাও কোনও বাঁধের সমস্যা হচ্ছে কি না সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। যেখানে যেখানে ছোটখাট রেনকাট বা বাঁধের সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেগুলি দ্রুত সংস্কার করা হচ্ছে। আমাদের টিম ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন বাঁধের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে। নদীর জল বৃদ্ধির নিয়ে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে। তবে বড় কোনও সমস্যা চোখে পড়েনি। ক্রান্তির পূর্ব দোলাই গ্রামে জলবন্দি বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র