সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইদিন সন্ধ্যার পর পুরাতন গ্রাম পঞ্চায়েতের সালুকা, কুবিলনগর, মকদমনগর গ্রামের আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢেকে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবল বেগে ঝড় শুরু হয়। তারপরই একের পর এক মাটির বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ে। ঝড়ের দাপটে বাড়ির খড়ের চাল, টিনের শেড উড়িয়ে নিয়ে চলে যায়। গবাদি পশু ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। ঝড় থামলে দেখা যায়, এই তিনটি গ্রামে কার্যত তাণ্ডবলীলা চলেছে। বিদ্যুতের খুঁটি প্রায় সব ভেঙে পড়েছে। বড় গাছ উপড়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ২৫০ থেকে ৩০০টি বাড়ির ব্যাপকভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফলন্ত আমগাছ, কাঁঠাল গাছ ভেঙে পড়েছে। ঝড়ে সালুকা এলাকার ছ’টি পোলট্রি ফার্ম ভেঙে পড়ে। মুরগির অনেক বাচ্চা দেওয়াল চাপা পড়ে মারা যায়। বাড়ি ভেঙে পড়ায় অনেকেই স্থানীয় স্কুলে এসে আশ্রয় নেন। রাত ৮টার পর আশেপাশের এলাকা থেকে মানুষজন সাহায্যের কাজে এগিয়ে আসেন। গাছের ডাল কেটে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন। ঘর ভেঙে যাওয়ার কারণে অনেকে আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যান।
মাত্র কয়েক মিনিটের ঝড়ে এতবড় মাপের ক্ষয়ক্ষতি হবে ভাবতেও পারছেন না এলাকার মানুষজন। সালুকা গ্রামের আব্দুল মান্নান বলেন, গ্রামে কমপক্ষে ২৫০টি বাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সব উড়িয়ে নিয়ে চলে গিয়েছে। খড়ের চালাগুলো একটাও নেই। সবাই এখন সরকারের মুখ চেয়ে বসে আছি। অনিল গড়াই বলেন, কেউ কেউ আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে চলে গিয়েছেন। যাঁদের বাড়ি নেই, তাঁরা স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। কারও কিছুই করার ছিল না।
ঝড়ের পর থেকেই গোটা এলাকা বিদুৎহীন হয়ে রয়েছে। কবে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, সেটাও এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। গ্রামে গ্রামে প্রশাসনের আধিকারিকরা যাচ্ছেন। কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্তকে ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ ঘোষ বলেন, ত্রিপল, কাপড়-জামা, চালের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেকেই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। জেলা প্রশাসনকে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব জানানো হয়েছে।
এদিকে ঝড়ে ময়ূরেশ্বর ব্লকের ২০টির মতো বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক অফিসার বলেন, আমরা ত্রিপল বিলি শুরু করে দিয়েছি। ত্রাণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার কাজও শুরু হয়েছে।