Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। একথা ঠিক, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তৃণমূল কংগ্রেসকে ব্যাপক ডিভিডেন্ট দিয়েছে। কিন্তু তাতে কি মোদি সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে গ্রাম বাংলার ক্ষোভ লঘু হয়ে যায়? মোটেই না। তাই এই রায় যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পরিষেবার স্বীকৃতি, তেমনই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বাংলার অনাস্থাও।
৪ জুনের পর বিজেপি, সিপিএম সহ সমস্ত বিরোধী দল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে লেটার মার্কস দিচ্ছে। কিন্তু তাতে কি বিন্দুমাত্র কমে ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের গুরুত্ব? মমতার এই প্রকল্প বাংলার চাষিদের জুগিয়েছে ভরসা। প্রান্তিক কৃষকদের বাঁচিয়েছে মহাজনী ঋণের খপ্পর থেকে। যাঁরা এই সুযোগ পান তাঁরা প্রত্যেকে না হোক, একটা বড় অংশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘কৃষকদরদি’ বলেই মনে করে। তাই চাষিদের মধ্যে মমতার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অবশ্যই একটা বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে। কিন্তু তারজন্য বাংলার প্রতি মোদি সরকারের বঞ্চনাকে খাটো করে দেখা ঠিক হবে না। ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে বিজেপি সরকার গরিবের পেটে লাথি মেরেছে। দফায় দফায় অনুরোধ সত্ত্বেও চিড়ে ভেজেনি। আবাস যোজনার টাকা আটকে কেড়ে নিয়েছে গরিবের মাথার উপর ছাদ। বাংলা যত বেশি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হয়েছে বঙ্গ বিজেপির উল্লাস চড়েছে ততই। এবারের নির্বাচনে সেই অবিচারের জবাব দিয়েছে বাংলা। একেবারে কড়ায়গন্ডায় হিসেব চুকিয়ে দিয়েছে। এরপরেও যদি মোদির সরকার বাংলার প্রাপ্য না মেটায়, তাহলে ছাব্বিশে বঙ্গ বিজেপির জন্য অপেক্ষা করছে আরও বড় থাপ্পড়।
নির্বাচনের আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সৌজন্যে তৃণমূল এবার প্রচুর মহিলা ভোট পেতে চলেছে। বহু বামপন্থী এবং বিজেপি সমর্থকও জানিয়ে ছিলেন, তাঁরা কট্টর মমতা বিরোধী। এতদিন গোটা পরিবার এক সুরে কথা বলেছে। কিন্তু এবার স্ত্রী ও মায়ের ভোট যাবে তৃণমূলে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় সংসারের জরুরি প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি পূরণ করতে পারছে ছোটখাটো শখ। 
ফলে এবার পরিবারের সব ভোট আর এক জায়গায় যাবে না। উত্তরবঙ্গের এক বিজেপি নেতা একান্ত আলাপচারিতায় বলেছিলেন, ‘এটা দেশের ভোট। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নরেন্দ্র মোদির ধারেকাছে কেউ নেই। বাংলার ৪২টি আসন জিতলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। ফলে পরিস্থিতি খুবই অনুকূল। তা সত্ত্বেও আমরা জিতবই, এমন জোর দিতে পারছি না। কারণ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।’ 
বাংলার বাস্তব পরিস্থিতি বুঝেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রচারকরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কিছুই নয়, এমন একটা প্রচারের কৌশল নিয়েছিলেন। তাঁরা বুঝিয়ে ছিলেন, হাজার টাকায় সংসার চলে না। চাই কাজ। তাঁদের সেই শেখানো বুলি শোনা গিয়েছিল বিজেপির ছোট, বড় সব নেতার মুখে। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব ভুলে গিয়েছিল, বিন্দু বিন্দুতেই হয় সিন্ধু। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাই হয়ে উঠেছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যাদের পুঁজি। তাতেই ফিরছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য।
একথা ঠিক, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তৃণমূল কংগ্রেসকে বিপুল সাফল্য এনে দিয়েছে। তবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে শুধুই ভোটব্যাঙ্ক ভাবাটা হবে মস্ত বড় ভুল। বরং লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হল দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর নারী সশক্তিকরণের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। যুগান্তকারীও বলা চলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের জন্য অনেক প্রকল্প এনেছেন। তবে, বাংলার মা, বোনেদের জন্য চালু করা প্রতিটি প্রকল্পই বিপুল সাড়া ফেলেছে। তাঁর কন্যাশ্রী পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এই প্রকল্পের জন্য স্কুলছুট তো কমেছেই, বাড়ছে মেয়েদের উচ্চশিক্ষার হার। এখন আর প্রাথমিকের পর থেমে যায় না মেয়েদের পড়াশোনা। 
রূপশ্রী প্রকল্পের জন্য কন্যাসন্তান আর দুঃস্থ পরিবারের ‘বোঝা’ নয়, বরং ‘সম্পদ’। মেয়ে জন্মালেই ৫০ হাজার টাকার সরকারি সাহায্য নিশ্চিত। কন্যাশ্রী দিয়ে শুরু হয়েছিল মমতার নারী সশক্তিকরণের পথ চলা। সেই বৃত্তকে সম্পূর্ণ করেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। সেটা বাংলার মা, বোনেরা উপলব্ধি করেছেন। তারজন্যই রাজনীতির চালিকা শক্তি হিসেবে উঠে আসছেন মহিলারাও। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের হাত ধরে বাংলার রাজনীতিতে সূচনা হয়েছে এক নতুন অধ্যায়ের। 
যুগ যুগ ধরে মহিলারা ছিলেন শুধুই ‘ভোটার’। তাঁরা স্বামীর ‘নির্দেশ’ মেনে অথবা পারিবারের রাজনৈতিক ঐতিহ্য মতো নির্দিষ্ট একটি দলের প্রার্থীকেই ভোট দিতেন। ফলে পরিবারের সব ভোট যেত একদিকে। একটা সময় ছিল যখন পরিবার গুনে বলে দেওয়া যেত, কোন বুথে কার কত লিড হতে পারে। কিন্তু এখন আর সেই অঙ্ক মেলে না। কারণ ভেঙেছে ‘পারিবারিক ভোট’ প্রথা। এখন মহিলারা দেখেন, কাকে ভোট দিলে তাঁদের লাভ। সেই অঙ্ক কষেই তাঁরা ভোট দিচ্ছেন। চেতনার জন্ম হয় এভাবেই। 
এতদিন সকালে ভোটের লাইনে ভিড় হতো মূলত পুরুষদেরই। মা, বোনেরা রান্না করে, সংসারের কাজ সেরে দুপুরের পর ভোট দিতেন। কিন্তু, এবার উল্টো ছবি। মা, বোনেরাই সাতসকালে দাঁড়িয়েছিলেন ভোটের লাইনে। তাই মহিলাদের লাইন ছিল পুরুষদের চেয়েও লম্বা। কোনও কোনও জেলায় পুরুষদের চেয়েও মহিলাদের ভোট পড়েছে বেশি। ঝাড়গ্রামে ৯২ শতাংশ মহিলা ভোট দিয়েছেন। এতদিন তাঁরা শুধুই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতেন। এবার তার পাশাপাশি পালন করেছেন ‘কর্তব্য’ও। ভোট দিতে আসা মহিলাদের অনেককেই বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘দিদি আমাদের জন্য অনেক করছেন। তাই দিদির পাশে দাঁড়ানোটা আমাদের কর্তব্য। সেই কর্তব্যটা পালন করে গেলাম।’
এবার আরও একটা বৈশিষ্ট্য অনেকের নজর কেড়েছে। এতদিন বুথের বাইরে রাজনৈতিক দলের ক্যাম্পে থাকতেন মূলত পুরুষরাই। এবার সেখানে ছিল বহু মহিলা পরিচালিত ক্যাম্প। তাঁরা ভোট দিয়ে বাড়ি না গিয়ে ভোটাদের বুথ স্লিপ দিয়েছেন। বয়স্কদের বুথে যেতে সাহায্য করেছেন। এটা গ্রাম বাংলার নতুন ছবি।
সব রাজনৈতিক দলেরই মহিলা সংগঠন আছে। সিপিএমের মহিলা সমিতি। বাম আমলে মহিলা সমিতির সদস্যরা নারী নির্যাতনের কোনও ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটলে তবেই রাস্তায় নামতেন। আর ভোটে মহিলা সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী দেওয়ার জন্য তাঁদের খোঁজ পড়ত। সংরক্ষণের জোরে মহিলারা প্রধান, উপ প্রধানের চেয়ারে বসতেন। কিন্তু অধিকাংশই ছিলেন ‘রাবার স্ট্যাম্প’।
রাজ্যে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর অনুব্রত মণ্ডল বীরভূম জেলায় প্রতিটি ব্লক ধরে মহিলা সম্মেলন করতেন। তাঁর প্রতিটি সভায় প্রচুর মহিলা ভিড় করতেন। কিন্তু রাজনীতিতে মহিলাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ হাতে গোনা দু’একটি জেলাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালুর পর ছবিটা দ্রুত বদলাতে থাকে। রাজ্যে তৃণমূলের মহিলা সংগঠনে জোয়ার এসেছে। লোকসভা ভোটের আগে মিটিংয়ে, মিছিলে মহিলাদের উপস্থিতি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। তৃণমূলের প্রমীলা বাহিনী এখন এতটাই শক্তিশালী যে তারা এককভাবে মিটিং, মিছিল করার ক্ষমতা রাখে। আরামবাগে মহিলা তৃণমূলের পদযাত্রায় জনস্রোত বয়ে গিয়েছিল। তৃণমূলের জন্য রাজ্যের কঠিনতম আসন ছিল আরামবাগ। সেখানে তৃণমূল জিতেছে। মিতালি বাগের এই জয়ের পিছনে মহিলাদের অবদান অনস্বীকার্য। 
মহিলারা এবারের ভোটে ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হতে চলেছে, সেটা টের পেয়ে ছিলেন নরেন্দ্র মোদিও। তাই সন্দেশখালির রেখা পাত্রকে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা বলে অভিহিত করে মহিলাদের পাশে টানার কৌশল নিয়েছিলেন।  নির্বাচনের মুখে পাশ করিয়েছিলেন মহিলা সংরক্ষণ বিল। বিজেপি ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের কথা বলছে। কিন্তু 
এবার তারা ৪২৯জনের মধ্যে মাত্র ৬৯ জন মহিলা প্রার্থী দিয়েছিল। শতাংশের হিসেবে মাত্র ১৬। এককথায় মোদিজির সংরক্ষণ আইন পাশ করা ছিল মহিলা ভোট টানার ‘গাজর’। তবে, শতাংশের নিরিখে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মহিলা প্রার্থী দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ৪২ প্রার্থীর মধ্যে ১২জনই মহিলা। প্রায় ৩০ শতাংশ। এতেই বাংলার মা, বোনেরা বুঝে গিয়েছেন, বিজেপির কাছে মহিলারা ‘কাব্যে উপেক্ষিতা’ হলেও মমতার রাজত্বে নায়িকা তাঁরাই।
মানুষকে অপমান করা হচ্ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ অথবা বাবুইসোল কিংবা প্রতাপপুরে থাকি। সকাল ৬টার মধ্যে বাড়ির সব কাজ সেরে জঙ্গলে চলে যাই। খেজুর পাতা আনতে। ব্যাপারটা কঠিন। সেই পাতা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। ঝাঁটা তৈরি হবে। বিশদ

14th  June, 2024
গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদন!
মৃণালকান্তি দাস

চার্চিল নাকি বলেছিলেন, ‘পাবলিক ওপিনিয়ন’ বলে কিছু হয় না, পুরোটাই ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’! বিশদ

13th  June, 2024
পরমাত্মা এখন পরজীবী, প্রণত শরিক পদে
সন্দীপন বিশ্বাস

হে পরমাত্মা, হে নন বায়োলজিক্যাল প্রাণ, ধ্যানের খেলা যখন ভাঙল, তখন আপনি উঠে দেখলেন আপনার একচ্ছত্র সাম্রাজ্য চুরমার, আপনার শৌর্যের ঢক্কানিনাদ মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। দীর্ঘ ভোটপর্বের সমাপ্তি হয়েছে। আপনিও শপথ নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিশদ

12th  June, 2024
 ভোট, শেয়ার বাজার এবং কিছু শিক্ষা
 শান্তনু দত্তগুপ্ত

অধৈর্যদের টাকা ধৈর্যশীলদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কী? উত্তরটা দিয়ে গিয়েছেন ওয়ারেন 
বাফে—স্টক মার্কেট। তাঁর কথাটা বাজার দুনিয়ায় প্রায় মিথ হয়ে গিয়েছে। তা সে মার্কিন মুলুক হোক, বা ভারত। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতো জীবনের নানা ওঠাপড়ার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বাফের বিশ্লেষণ।
বিশদ

11th  June, 2024
নয়া অবতারে চ্যালেঞ্জের মুখে মোদি
পি চিদম্বরম

‘সমগ্র পৃথিবীটাই একটা রঙ্গমঞ্চ .../ এবং সমস্ত নরনারীই নিছক অভিনয় শিল্পী।/ নিজ নিজ ভূমিকা অনুসারে মঞ্চে তাদের সকলেরই প্রবেশ এবং প্রস্থান ঘটে;/ এমনকী, একই মানুষকে প্রয়োজনমতো অনেক ভূমিকার চিত্রায়ণ করতে হয়।’ বিশদ

10th  June, 2024
শরিকি মেহফিলে এবার মুজরো কার?
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছেন, এটা এখন সারা বিশ্বের জানা। চোখ ধাঁধানো মন্দির গড়েও উত্তরপ্রদেশে বিপর্যস্ত হয়েছেন, তাও অজানা নয়। কিন্তু যেটা আজানা, তা হচ্ছে জোট সরকারে দ্রুত রং বদলে ফেলা শরিকদের মেহফিলে ‘বিশ্বগুরু’র ‘মুজরো’টা শুরু হতে কতটা সময় লাগবে? বিশদ

09th  June, 2024
মোদি মোকাবিলায় মমতা একাই কাফি
তন্ময় মল্লিক

‘ভাগ্যিস বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়নি। জোট হলে জয়ের সব কৃতিত্ব কংগ্রেসই দাবি করে বসত।’ কথাগুলো তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার। তখনও লোকসভা নির্বাচনের সব আসনের ফল ঘোষণা হয়নি। তবে, ছবিটা মোটামুটি পরিষ্কার। বিশদ

08th  June, 2024
আজ হাসছে গণতন্ত্র
সমৃদ্ধ দত্ত

আজ হাসছেন মণিপুরের কাংপোকপি গ্রামের নারীরা। চরম অরাজকতায় তিন নারী প্রাণ বাঁচাতে সন্তান নিয়ে পালিয়েছিলেন হাওকচংচিং জঙ্গলে। সেখান থেকে টেনে বের করে তাঁদের নগ্ন করে হাঁটানো এবং গণধর্ষণ করা হয়। জ্বলছে মণিপুর মাসের পর মাস। আপনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ভ্রমণ করে বেরিয়েছেন। বিশদ

07th  June, 2024
একনায়কতন্ত্রকে হারিয়ে জয় গণতন্ত্রের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ঔদ্ধত্য আর অহঙ্কারের কোমর ভেঙে দিয়েছে বাংলা। আর্থিক বঞ্চনা, হকের টাকা আটকানো আর কেন্দ্রীয় বৈষম্যের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে পাহাড় থেকে সাগর। সমুচিত জবাব পেয়েছে বিজেপি। যে দল দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিল, যারা চেয়েছিল সংবিধানকে বদল করতে, যারা চেয়েছিল বাংলাকে পদানত করতে। বিশদ

06th  June, 2024
নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা
হারাধন চৌধুরী

রাজকোষের বিপুল অর্থ খরচ করে সুন্দর সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সংসদ ভবনকে ‘গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ মন্দির’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। অথচ তাঁরই গত দশ বছরের জমানায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়েছে গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। বিশদ

05th  June, 2024
আজ অগ্নিপরীক্ষা এক্সিট পোলের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘৫ তারিখ থেকে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে?’ ‘ভোটের রেজাল্টের দিনই কি গ্যাসের দাম বাড়ছে?’ ‘পেট্রলের দাম কি সত্যিই ৪০০ টাকা হচ্ছে?’ বিশদ

04th  June, 2024
মোদিকে পরিবর্তনপন্থীদের চ্যালেঞ্জ
পি চিদম্বরম

গত সপ্তাহের নিবন্ধ শেষ করেছিলাম এই বলে যে, ‘স্থিতাবস্থা রক্ষা করতে মরিয়া এবং সেটা ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ—এই দুই পক্ষের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে নির্বাচনের সাত দফা।’ অবশেষে ভোটগণনা আগামী কাল, মঙ্গলবার। বিশদ

03rd  June, 2024
একনজরে
ঘোলা জল ঘিরে রাজনীতি বালুরঘাটে। অভিযোগ, গত সাতদিন ধরে পুরসভা বাড়ি বাড়ি যে পানীয় জল সরবরাহ করছে তা ঘোলা। ট্যাপ থেকে বেরচ্ছে লাল জল। ...

রাজ্যে মোট কতগুলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে তার তথ্য তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। ভোট মেটার পর আদর্শ আচরণ বিধি উঠে গেলেও রাজ্যে রয়ে গিয়েছে ...

ভুয়ো চালান ব্যবহার করে নদী থেকে যেন বালি না ওঠে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকদের ডেকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার এভাবেই সতর্ক করেছেন। বৃহস্পতিবার বন ও ভূমি দপ্তরের স্থায়ী সমিতির বৈঠক ছিল। ...

খেলতে গিয়ে ৫০ ফুট গভীর শুকিয়ে যাওয়া কুয়োয় পড়ে গেল দেড় বছরের এক শিশুকন্যা। শুক্রবার গুজরাতের আমরেলি জেলার সুরাগপাড়া গ্রামের ঘটনা। শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বায়ু দিবস
১৭৫২: আমেরিকান বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ঘুড়ির সাহায্যে বিদ্যুতের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন
১৭৫৯: ঔরঙ্গজেব আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রার সিংহাসনে আরোহণ করেন
১৮৪৮: বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক বার্লিন শহরকে জার্মানির রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করেন
১৮৫৪: কলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উদ্যোগে প্রেসিডেন্সি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৫৫: ব্রিটেনে সংবাদপত্রের উপর থেকে কর তুলে দেওয়া হয়
১৮৯৬: জাপানে সুনামিতে ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু
১৮৯৯: ভারতীয় ভাস্কর,চিত্রশিল্পী এবং ললিত কলা একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরীর জন্ম
১৯০৮: কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ চালু হয়
১৯৫০: শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তালের জন্ম
১৯৫৩: চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের জন্ম
১৯৬০: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়
১৯৬৯: জার্মানির গোলকিপার অলিভার কানের জন্ম
১৯৭৭: দীর্ঘ ৪০ বছর পর স্পেনে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৯৮৬: ভারতে বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দলের (R.S.P.) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য তারাপদ লাহিড়ীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭২ টাকা ৮৪.৪৬ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৮৬ টাকা ১০৮.৩৪ টাকা
ইউরো ৮৮.২০ টাকা ৯১.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪। নবমী ৫৪/৩ রাত্রি ২/৩৩। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র ৮/১৫ দিবা ৮/১৪। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৮ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১ গতে ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১১/১৫ গতে ১/২৪ মধ্যে পুনঃ ২/৪৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১২/৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৬ গতে উদয়াবধি।   
৩২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪। নবমী রাত্রি ১/১২। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র দিবা ৭/৫২। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২০। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১১/২০ গতে ১/২৮ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৪ মধ্যে ও ৯/২৯ গতে ১২/৮ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৫৯ মধ্যে ও ৪/৪০ গতে ৬/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। 
৮ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
এখন কেমন আছেন সন্ধ্যা রায়
হাসপাতালে ভর্তি হলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। বুক ধড়পড় ও ...বিশদ

07:14:26 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারাল স্পেন

11:32:54 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: স্পেন ৩ : ক্রোয়েশিয়া ০ (হাফটাইম)

10:25:41 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: স্পেন ২ : ক্রোয়েশিয়া ০ (৩৩ মিনিট)

10:09:28 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: স্পেন ১ : ক্রোয়েশিয়া ০ (৩০ মিনিট)

10:07:05 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: মাঠ ভিজে থাকার কারণে ভারত বনাম কানাডার ম্যাচ বাতিল

09:13:01 PM