Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদিকে পরিবর্তনপন্থীদের চ্যালেঞ্জ
পি চিদম্বরম

গত সপ্তাহের নিবন্ধ শেষ করেছিলাম এই বলে যে, ‘স্থিতাবস্থা রক্ষা করতে মরিয়া এবং সেটা ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ—এই দুই পক্ষের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে নির্বাচনের সাত দফা।’ অবশেষে ভোটগণনা আগামী কাল, মঙ্গলবার। এবার আমরা জেনে যাব, দেশের বেশিরভাগ মানুষ পরিবর্তন চাইলেন নাকি স্থিতাবস্থা বজায় রেখেই খুশি তাঁরা।   
স্থিতাবস্থায় স্বস্তি
অনেক মানুষই পরিবর্তন চান, আমার মনে হয়, আবার এমন অনেক মানুষও আছেন যাঁরা পরিবর্তন চান না।  তার কারণ পরিবর্তন-বিরোধীরা ভয় পাচ্ছেন যে পরিবর্তনের ফল তাঁদের জীবনে আরও খারাপ হতে পারে; অথবা অজানা পরিবর্তনটা হতে পারে চেনা বর্তমানের চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর; অথবা কারণটা এই যে, তাঁরা ভয় পাচ্ছেন—একটি দিকের পরিবর্তন জীবনের অন্যান্য দিকগুলির পক্ষে ক্ষতিকারক হবে। যেমন—প্রথা ভঙ্গের পরিণামে গোষ্ঠীগত ক্রোধ ধেয়ে আসতে পারে। স্থিতাবস্থায় বরং নির্দিষ্ট কিছু স্বস্তি আছে।  
ভারতের গত তিনটি দশকের একাধিক কালখণ্ডকে নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায়—যেখানে চালিকা শক্তি (মোটিভ ফোর্স) পাল্টে গিয়েছিল এবং কিছু নির্দিষ্ট দফায় বজায় ছিল স্থিতাবস্থা। আবার অন্য সময়ে, এটা ছিল পূর্বগানুকৃতি (অ্যাটাভিজম), অভিধান বিষয়টিকে ‘বিবর্তনের প্রবণতা’ হিসেবে দেখিয়েছে।  (অ্যাটাভিস্ট হলেন তাঁরাই, হারিয়ে যাওয়া সময়কে যাঁরা গৌরবময় অতীত হিসেবে দেখতে ভালোবাসেন।) 
আমি বিশ্বাস করি যে, ভারতের একটা পরিবর্তন প্রয়োজন এবং সেটা তার প্রাপ্যও। দশ বছর আগে, পরিবর্তনের পক্ষে মানুষ সরব হয়েছিল, এবং তার জন্যই এসেছিল পরিবর্তন—ইউপিএ সরে গিয়ে বসেছিল এনডিএ সরকার। আমি মনে করি, ভারত আবার এমনই একটি মুহূর্তে এসে পৌঁছেছে। গত ১০ বছরে এমন অনেক কিছু ঘটেছে যেগুলি অবশ্যই উল্টে দিতে হবে বা তার জন্য প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ করাই সমীচীন। এই প্রসঙ্গে কয়েকটি উদাহরণ দেব: 
ভুক্তভোগী মানুষজন 
২০১৬ সালের বিমুদ্রাকরণ ছিল একটি হিমালয়প্রমাণ ভুল। নগদ ব্যবস্থা ভয়ানকভাবে ধসে পড়ার (দ্য হিউজ লিকুউইডিটি হোল) কারণে সেবার মানুষের ব্যক্তিজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। ওইসঙ্গে কয়েক হাজার অতিক্ষুদ্র এবং ছোট মাপের শিল্প-বাণিজ্য সংস্থা পড়েছিল একটা টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে। এই আকস্মিক অস্থিরতার মোকাবিলা করতে না-পেরে অনেক ইউনিট শেষমেশ ঝাঁপ বন্ধ করে দিতেই বাধ্য হয়েছিল।
২০২০ এবং ২০২১, মহামারীর বছরগুলিতে চাপিয়ে দেওয়া অপরিকল্পিত লকডাউন, পরিস্থিতিকে করে তুলেছিল আরও দুর্বিষহ। কোনোরকম আর্থিক প্যাকেজ এবং ঋণসহায়তা দেওয়া হয়নি। ফলে অতিক্ষুদ্র (মাইক্রো) এবং ছোট (স্মল) ইউনিটগুলির পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছিল। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আরও বহু সংস্থা। এই জোড়া আঘাতেই হারিয়ে গিয়েছিল হাজার হাজার মানুষের চাকরি, রুটিরুজি। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য জরুরি ছিল সরকারের তরফে একটা সাহসী পরিকল্পনা গ্রহণ। তার মধ্যে অবশ্যই থাকার দরকার ছিল—ঋণ মকুব, ব্যাপক মাত্রায় ঋণ প্রদান, সরকারের তরফে কেনাকাট‍া বৃদ্ধি, রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য ইনসেনট‍িভ এবং করের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় 
ছাড় ঘোষণা। যাঁরা পরিবর্তনের বিপক্ষে তাঁদের তরফে এই বিষয়ে কোনও পরিকল্পনার কথা আমি অন্তত শুনিনি।
সংরক্ষণের উপর নীরব আঘাত এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতিগুলিকে নস্যাৎ করেছে। সরকারি দপ্তরগুলিতে এবং সরকারি ক্ষেত্রে ৩০ লক্ষ শূন্যপদ পূর্ণ না-করার ঘটনাটি অপরাধ হিসেবে গণ্য একটি অবহেলা এবং সংরক্ষণ বিরোধী মনোভাবেরই দৃষ্টান্ত। সংরক্ষণের জন্য ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা মেনে চলার অঙ্গীকার রয়েছে। কিন্তু স্থিতিশীলতায় আস্থাশীলরা চুপি চুপি ১০ শতাংশ সংরক্ষণের আরও একটি কোটা চালু করেছে। নয়া সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছে সমাজে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অংশের (ইডব্লুএস) জন্য। এটা দেওয়া হয়েছে সংরক্ষিত ৫০ শতাংশকে ছাপিয়ে। তবে এসসি, এসটি এবং ওবিসির মধ্যে ইডব্লুএস’কে সেখানে ব্রাত্য করা হয়েছে! কিন্তু কেন?  সরকারি ক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগের নিখাদ হ্রাস, চাকরিতে সংরক্ষণের শর্ত ছাড়াই বেসরকারিকরণ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবায় সরকারের চেয়ে বেসরকারি ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার প্রদান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে পাবলিক এগজাম বাতিলকরণ, পদোন্নতির সুযোগ হরণ এবং চাকরিতে চুক্তিভিত্তি ও অস্থায়িত্ব—সংরক্ষণের নীতিকে মারাত্মকভাবে ধ্বংস করেছে। যাঁরা স্থিতাবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করবেন পরিবর্তন আসবে কেবলমাত্র তাঁদেরই সৌজন্যে। 
ক্ষতিটা উল্টে দিন 
আইনকে হাতিয়ার করার কৌশল উল্টে দিতেই হবে।  কিন্তু সংসদে পরিবর্তন-বিরোধীদের দাপট চলতে থাকলে তা কীভাবে সম্ভব? অথচ গত ১০ বছরে সরকার পাস করেছে বেশকিছু কঠোর নতুন অথবা সংশোধনী বিল। সরকার পরিবর্তন ছাড়া সেসব খারিজ করা সম্ভব কীভাবে? কে তদন্তকারী সংস্থাগুলির লাগাম টেনে ধরবে এবং সংসদ/ বিধানসভা কমিটিগুলির নিয়ন্ত্রণে সেগুলিকে আনবে? কে সংবিধানের ১৯, ২১, এবং ২২ অনুচ্ছেদের অর্থ ও বিষয়বস্তু পুনরুদ্ধার করবে এবং ফেরাবে আইনের শাসন? কে ইতি টানবে ‘বুলডোজার বিচার’ এবং ‘প্রাক-বিচার কারাগার’ সংস্কৃতিতে?  জনগণের মধ্যে আইনের ভীতি দূর করে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জাগাবার ব্যবস্থা কে করবে?  আইনের ‘ডিউ প্রসেস’ বা ‘যথা প্রক্রিয়াকে’ ফৌজদারি আইনের একটি অপরিবর্তনীয় নীতিতে পরিণত করবে কে? ‘জামিনই নিয়ম, জেলই ব্যতিক্রম’ আইনে এই নীতির অন্তর্ভুক্তির জন্যই এটা জরুরি। এই পরিবর্তনগুলি শুধুমাত্র নির্ভীক আইন প্রণেতাদের একটি দলের পক্ষেই করা সম্ভব। তাঁরা অবশ্যই হবেন বাবাসাহেব আম্বেদকর প্রণীত সংবিধানের মৌলিক মূল্যবোধ এবং নীতিগুলির রূপায়ণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উদারীকরণ, একটি উন্মুক্ত অর্থনীতি, প্রতিযোগিতা এবং বিশ্ব বাণিজ্য ভারতীয় অর্থনীতিতে দুর্দান্ত উন্নতি এনে দিয়েছে। তবে অর্থনৈতিক নীতিগুলির পুনঃস্থাপন ছাড়া সেগুলির প্রাসঙ্গিকতা রক্ষা পেতে পারে না। বেড়ে চলা নিয়ন্ত্রণ, ছদ্ম লাইসেন্স ব্যবস্থা, ক্রমবর্ধমান মনোপলি ও প্রোটেকশনিজম এবং দ্বিপাক্ষিক ও বহু-পাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির ভয়ে বৃদ্ধির হার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই জিনিস ঘটতে বাধ্যও বটে। শ্রমের প্রাপ্য মূল্য অস্বীকার করে পুঁজির প্রতি পক্ষপাতিত্বের (আমাদের একটি পিএলআই আছে কিন্তু একটি ইএলআই নেই) নীতিতে কর্মসংস্থান এবং মজুরির দিকটি চাপা পড়ে গিয়েছে। ভারতে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের এটা একটা কারণ।  ওয়ার্ল্ড ইনইকুয়ালিটি ল্যাব অনুসারে, ভারতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈষম্য চলে আসছে সেই ১৯২২ সাল থেকে!
মাঝামাঝি স্তরের আয় (মিডিয়ান ইনকাম) বৃদ্ধির ফলে অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন। উল্লেখ্য, মিডিয়ান ইনকামের নীচে রয়েছেন ভারতীয় জনগণের অর্ধেক বা ৫০ শতাংশ, সংখ্যার বিচারে ৭১ কোটি মানুষ! এঁদের মধ্যে আছেন জনসংখ্যার নীচের দিকের ২০ শতাংশ বা ২৮ কোটি, যাঁরা আরও বেশি গরিব।  স্থিতাবস্থা রক্ষার পক্ষের লোকজন কি নীচের দিকের ২০ শতাংশের পক্ষে কথা বলবেন? ভাববার মতো আর-একটি তথ্য এই যে, ভারতের প্রাপ্তবয়স্ক (১৫-৬৪ বছর) জনসংখ্যা ৯২ কোটির মধ্যে মাত্র ৬০ কোটি মানুষ শ্রমশক্তি (লেবার ফোর্স) হিসেবে যুক্ত রয়েছেন।  শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার (এলএফপিআর) সর্বাধিক হল—পুরুষের ক্ষেত্রে ৭৪ শতাংশ এবং ৪৯ শতাংশ মহিলাদের ক্ষেত্রে। 
এবার অসন্তোষজনক এলএফপিআর, বেকারত্বের উচ্চ হার এবং বার্ধক্যপীড়িত জনসংখ্যা একত্র করুন। তাহলে অবশ্যই দেখা যাবে যে, ডেমোগ্রাফিক অ্যাডভান্টেজ বা জনবিন্যাসের  সুবিধাগুলি আমরা দ্রুত হারাচ্ছি। বর্তমান অর্থনৈতিক নীতিগুলিকে চ্যালেঞ্জসহ পুনঃস্থাপনের সাহস কে দেখাবেন? নিশ্চয় স্থিতাবস্থা রক্ষায় মরিয়া লোকজন নন। 
যে বাধাবিঘ্ন উপস্থিত হয়েছে, এবার সেটাই পরিবর্তন এনে দেবে। ব্যাঘাত ও পরিবর্তনের জন্য অনেক সুবিধা এবং কিছু ক্ষতি আমাদের হবে। তবে ওই ক্ষয়ক্ষতির সংশোধনও সম্ভব।  ১৯৯১ সাল আমাদের মূল যে শিক্ষা দিয়ে গিয়েছে তা হল—শুধু সাহসীরাই জয়ী হয়। স্থিতাবস্থা রক্ষা যাঁরা চান—তাঁরা কোনোভাবেই পরিবর্তনকামী নন। জয়ী হওয়ার মূল পাঠ তাঁরা শেখেননি এবং শিখবেনও না। 
লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত 
03rd  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

মানুষকে অপমান করা হচ্ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ অথবা বাবুইসোল কিংবা প্রতাপপুরে থাকি। সকাল ৬টার মধ্যে বাড়ির সব কাজ সেরে জঙ্গলে চলে যাই। খেজুর পাতা আনতে। ব্যাপারটা কঠিন। সেই পাতা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। ঝাঁটা তৈরি হবে। বিশদ

14th  June, 2024
গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদন!
মৃণালকান্তি দাস

চার্চিল নাকি বলেছিলেন, ‘পাবলিক ওপিনিয়ন’ বলে কিছু হয় না, পুরোটাই ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’! বিশদ

13th  June, 2024
পরমাত্মা এখন পরজীবী, প্রণত শরিক পদে
সন্দীপন বিশ্বাস

হে পরমাত্মা, হে নন বায়োলজিক্যাল প্রাণ, ধ্যানের খেলা যখন ভাঙল, তখন আপনি উঠে দেখলেন আপনার একচ্ছত্র সাম্রাজ্য চুরমার, আপনার শৌর্যের ঢক্কানিনাদ মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। দীর্ঘ ভোটপর্বের সমাপ্তি হয়েছে। আপনিও শপথ নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিশদ

12th  June, 2024
 ভোট, শেয়ার বাজার এবং কিছু শিক্ষা
 শান্তনু দত্তগুপ্ত

অধৈর্যদের টাকা ধৈর্যশীলদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কী? উত্তরটা দিয়ে গিয়েছেন ওয়ারেন 
বাফে—স্টক মার্কেট। তাঁর কথাটা বাজার দুনিয়ায় প্রায় মিথ হয়ে গিয়েছে। তা সে মার্কিন মুলুক হোক, বা ভারত। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতো জীবনের নানা ওঠাপড়ার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বাফের বিশ্লেষণ।
বিশদ

11th  June, 2024
নয়া অবতারে চ্যালেঞ্জের মুখে মোদি
পি চিদম্বরম

‘সমগ্র পৃথিবীটাই একটা রঙ্গমঞ্চ .../ এবং সমস্ত নরনারীই নিছক অভিনয় শিল্পী।/ নিজ নিজ ভূমিকা অনুসারে মঞ্চে তাদের সকলেরই প্রবেশ এবং প্রস্থান ঘটে;/ এমনকী, একই মানুষকে প্রয়োজনমতো অনেক ভূমিকার চিত্রায়ণ করতে হয়।’ বিশদ

10th  June, 2024
শরিকি মেহফিলে এবার মুজরো কার?
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছেন, এটা এখন সারা বিশ্বের জানা। চোখ ধাঁধানো মন্দির গড়েও উত্তরপ্রদেশে বিপর্যস্ত হয়েছেন, তাও অজানা নয়। কিন্তু যেটা আজানা, তা হচ্ছে জোট সরকারে দ্রুত রং বদলে ফেলা শরিকদের মেহফিলে ‘বিশ্বগুরু’র ‘মুজরো’টা শুরু হতে কতটা সময় লাগবে? বিশদ

09th  June, 2024
মোদি মোকাবিলায় মমতা একাই কাফি
তন্ময় মল্লিক

‘ভাগ্যিস বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়নি। জোট হলে জয়ের সব কৃতিত্ব কংগ্রেসই দাবি করে বসত।’ কথাগুলো তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার। তখনও লোকসভা নির্বাচনের সব আসনের ফল ঘোষণা হয়নি। তবে, ছবিটা মোটামুটি পরিষ্কার। বিশদ

08th  June, 2024
আজ হাসছে গণতন্ত্র
সমৃদ্ধ দত্ত

আজ হাসছেন মণিপুরের কাংপোকপি গ্রামের নারীরা। চরম অরাজকতায় তিন নারী প্রাণ বাঁচাতে সন্তান নিয়ে পালিয়েছিলেন হাওকচংচিং জঙ্গলে। সেখান থেকে টেনে বের করে তাঁদের নগ্ন করে হাঁটানো এবং গণধর্ষণ করা হয়। জ্বলছে মণিপুর মাসের পর মাস। আপনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ভ্রমণ করে বেরিয়েছেন। বিশদ

07th  June, 2024
একনায়কতন্ত্রকে হারিয়ে জয় গণতন্ত্রের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ঔদ্ধত্য আর অহঙ্কারের কোমর ভেঙে দিয়েছে বাংলা। আর্থিক বঞ্চনা, হকের টাকা আটকানো আর কেন্দ্রীয় বৈষম্যের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে পাহাড় থেকে সাগর। সমুচিত জবাব পেয়েছে বিজেপি। যে দল দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিল, যারা চেয়েছিল সংবিধানকে বদল করতে, যারা চেয়েছিল বাংলাকে পদানত করতে। বিশদ

06th  June, 2024
নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা
হারাধন চৌধুরী

রাজকোষের বিপুল অর্থ খরচ করে সুন্দর সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সংসদ ভবনকে ‘গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ মন্দির’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। অথচ তাঁরই গত দশ বছরের জমানায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়েছে গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। বিশদ

05th  June, 2024
আজ অগ্নিপরীক্ষা এক্সিট পোলের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘৫ তারিখ থেকে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে?’ ‘ভোটের রেজাল্টের দিনই কি গ্যাসের দাম বাড়ছে?’ ‘পেট্রলের দাম কি সত্যিই ৪০০ টাকা হচ্ছে?’ বিশদ

04th  June, 2024
একনজরে
বধূ নির্যাতনের অভিযোগ হামেশাই শোনা যায়। এবার স্বামীকে নির্যাতন করে খুনের ঘটনায় অভিযোগের কাঠগড়ায় স্ত্রী এবং তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত শহরের লঙ্কাবাগান ...

ভুয়ো চালান ব্যবহার করে নদী থেকে যেন বালি না ওঠে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকদের ডেকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার এভাবেই সতর্ক করেছেন। বৃহস্পতিবার বন ও ভূমি দপ্তরের স্থায়ী সমিতির বৈঠক ছিল। ...

আইএসএলের সর্বাধিক গোলদাতা দিমিত্রিয়াস ডায়ামান্টোকোসকে সই করিয়ে দলবদলের বাজার জমিয়ে দিল ইস্ট বেঙ্গল। ...

রাজ্যে মোট কতগুলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে তার তথ্য তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। ভোট মেটার পর আদর্শ আচরণ বিধি উঠে গেলেও রাজ্যে রয়ে গিয়েছে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বায়ু দিবস
১৭৫২: আমেরিকান বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ঘুড়ির সাহায্যে বিদ্যুতের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন
১৭৫৯: ঔরঙ্গজেব আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রার সিংহাসনে আরোহণ করেন
১৮৪৮: বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক বার্লিন শহরকে জার্মানির রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করেন
১৮৫৪: কলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উদ্যোগে প্রেসিডেন্সি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৫৫: ব্রিটেনে সংবাদপত্রের উপর থেকে কর তুলে দেওয়া হয়
১৮৯৬: জাপানে সুনামিতে ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু
১৮৯৯: ভারতীয় ভাস্কর,চিত্রশিল্পী এবং ললিত কলা একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরীর জন্ম
১৯০৮: কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ চালু হয়
১৯৫০: শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তালের জন্ম
১৯৫৩: চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের জন্ম
১৯৬০: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়
১৯৬৯: জার্মানির গোলকিপার অলিভার কানের জন্ম
১৯৭৭: দীর্ঘ ৪০ বছর পর স্পেনে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৯৮৬: ভারতে বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দলের (R.S.P.) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য তারাপদ লাহিড়ীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭২ টাকা ৮৪.৪৬ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৮৬ টাকা ১০৮.৩৪ টাকা
ইউরো ৮৮.২০ টাকা ৯১.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪। নবমী ৫৪/৩ রাত্রি ২/৩৩। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র ৮/১৫ দিবা ৮/১৪। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৮ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১ গতে ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১১/১৫ গতে ১/২৪ মধ্যে পুনঃ ২/৪৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১২/৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৬ গতে উদয়াবধি।   
৩২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪। নবমী রাত্রি ১/১২। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র দিবা ৭/৫২। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২০। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১১/২০ গতে ১/২৮ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৪ মধ্যে ও ৯/২৯ গতে ১২/৮ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৫৯ মধ্যে ও ৪/৪০ গতে ৬/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। 
৮ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
এখন কেমন আছেন সন্ধ্যা রায়
হাসপাতালে ভর্তি হলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। বুক ধড়পড় ও ...বিশদ

07:14:26 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারাল স্পেন

11:32:54 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: স্পেন ৩ : ক্রোয়েশিয়া ০ (হাফটাইম)

10:25:41 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: স্পেন ২ : ক্রোয়েশিয়া ০ (৩৩ মিনিট)

10:09:28 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: স্পেন ১ : ক্রোয়েশিয়া ০ (৩০ মিনিট)

10:07:05 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: মাঠ ভিজে থাকার কারণে ভারত বনাম কানাডার ম্যাচ বাতিল

09:13:01 PM