Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদি মোকাবিলায় মমতা একাই কাফি
তন্ময় মল্লিক

‘ভাগ্যিস বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়নি। জোট হলে জয়ের সব কৃতিত্ব কংগ্রেসই দাবি করে বসত।’ কথাগুলো তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার। তখনও লোকসভা নির্বাচনের সব আসনের ফল ঘোষণা হয়নি। তবে, ছবিটা মোটামুটি পরিষ্কার। তৃণমূল বাংলায় গতবারের চেয়ে কয়েকটি আসন বেশি পেতে চলেছে। এক্সিট পোলের গুমোটভাব কেটে গিয়ে ঘাসফুল শিবিরে বইছে দক্ষিণা বাতাস। টিভিতে এক্সিট পোলের রেজাল্ট দেখে তার একদিন আগে ওই নেতা বলেছিলেন, ‘কংগ্রেসের সঙ্গে জোটটা হলে বোধহয় ভালোই হতো।’ ৪জুন বিকেলে নেতার ওই ফোনটা ছিল আসলে ‘ভ্রম সংশোধনে’র। বাংলার লক্ষ লক্ষ মানুষের মতো তিনিও বিভ্রান্ত হয়েছিলেন। গণনা কিছুটা এগতেই তিনিও বুঝে যান, প্রচার থেকে এক্সিট পোল সবটাই ছিল প্যাকেজের অন্তর্গত। তাই সচেতনভাবেই বাস্তবকে অস্বীকার করা হয়েছিল।
চব্বিশের নির্বাচন আমাদের কিছু শিক্ষা দিয়ে গেল। সবচেয়ে বড় শিক্ষাটা বোধহয় পেলেন একদা বঙ্গ কংগ্রেসের জিওন কাঠি অধীর চৌধুরী। অধীরবাবু এবার জিতলে সাংসদ হিসেবে ডাবল হ্যাটট্রিকের কৃতিত্ব অর্জন করতেন। কিন্তু মমতা বিরোধিতা জারি রাখতে গিয়ে তিনি সেই সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। 
দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সূত্র ধরে বাংলাতেও শুরু হয়েছিল জোট চর্চা। জোটের নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমেই আসন ভাগাভাগি সেরে ফেলতে চেয়েছিলেন। কারণ আসন ঘিরেই পাকে জোটের জট। একুশের ভোটের নিরিখে কংগ্রেসের একটি আসনও পাওয়ার কথা ছিল না। তাও কংগ্রেসকে দু’টি আসন ছাড়তে চেয়েছিল তৃণমূল। উদ্দেশ্য বিজেপি বিরোধী ভোট এককাট্টা করা। কিন্তু অধীরবাবুরা রাজি হননি। 
বাংলায় অবশ্য আসন সংখ্যার চেয়েও জোটের অন্তরায় ছিল মানসিকতায়। কংগ্রেস হাইকমান্ডের অনেক আগেই অধীরবাবু সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন, তৃণমূলের সঙ্গে কোনও জোট নয়। তাই দিল্লিতে যখন চলছিল জোটের কথা তখন অধীরবাবু এবং তাঁর পার্ষদরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে গিয়েছেন।
অধীরবাবু পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ। তিনি জানেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করেই বঙ্গের রাজনীতিতে টিকে আছেন। সেখান থেকে সরলেই চিড় ধরবে তাঁর বহু কষ্টে তৈরি ‘বিপ্লবী’ ইমেজে। বিজেপিকে হটানোর জন্য জোট করলে নিন্দুকেরা বলত, হাইকমান্ডের নির্দেশে অধীর চৌধুরী মমতার সঙ্গে সমঝোতা করতে বাধ্য হয়েছেন। আবার একা লড়াই করে জেতার জায়গাতেও কংগ্রেস নেই। তাই একটা ‘ঠেকনা’র দরকার। তারজন্য তৃণমূলের চেয়ে সিপিএমকেই অধীরবাবু নির্ভরযোগ্য মনে করেছিলেন। অধীরবাবুর ভুলটা এখানেই।
একটা সময় মুর্শিদাবাদ জেলায় অধীরবাবুর মূল লড়াইটা ছিল বামেদের বিরুদ্ধে। সিপিএমের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াইয়ের জন্যই তাঁর রবিনহুড ইমেজ। তারই জোরে বাম আমলে কংগ্রেস দখল করেছিল মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদ, এমনকী জেলার সব লোকসভা আসনও। তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়, বাম আমলেও মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষ সিপিএমকে পছন্দ করত না। অধীরবাবু সিপিএমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোয় মুর্শিদাবাদ তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিল। সেই সিপিএমকে বুকে জড়িয়ে ধরতেই মুর্শিদাবাদের মানুষ অধীরবাবুর দিক থেকে মুখ সরিয়ে নিয়েছে।
ক্ষয় শুধু মানব জীবনে বা প্রাণীজগতেই হয় না, ইমেজেরও হয়। এবারের নির্বাচন সেই শিক্ষাও দিল। এর আগে অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও অধীরবাবু মাথা তুলে দাঁড়িয়েছেন। ডুবতে ডুবতে শেষমুহূর্তে ভেসে উঠেছেন। বহরমপুর পাশে থাকায় তিনি পেয়েছেন টানা সাফল্য। সাফল্য আত্মবিশ্বাসের জন্ম দেয়। আত্মবিশ্বাস ভালো। কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস মানুষকে করে তোলে অহঙ্কারী। সেই কারণেই কি তৃণমূল সুপ্রিমোর জোট মানসিকতাকে অধীরবাবু তাঁর ‘দুর্বলতা’ ভেবে ভুল করেছিলেন? 
টানা পাঁচবারের সাংসদ অধীরবাবু হয়তো ভেবেছিলেন, তিনি যে সিদ্ধান্তই নিন না কেন, পাশে থাকবে বহরমপুর। সেই আশাতেই বহরমপুর আর মুর্শিদাবাদে দাঁড়িয়ে ছিলেন বঙ্গ রাজনীতির দুই হেভিওয়েট। মহম্মদ সেলিমকে সামনে রেখে কিস্তিমাত করে ছাব্বিশের আগে সাগরদিঘির মতো ‘বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ’ মডেলের জন্ম দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু গেমপ্ল্যান ফেল করেছে। দুই হেভিওয়েটের পরাজয় শুধু তাঁদের রাজনৈতিক জীবনকেই নয়, দু’টি দলকেই প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। তবে তাঁরা সম্পূর্ণ ব্যর্থ, এমনটাও বলা যাবে না। সংখ্যালঘু ভোট কেটে বিজেপিকে জেতানোর যে পরিকল্পনা তাঁরা নিয়েছিলেন, সেটা রায়গঞ্জ ও মালদহ উত্তর কেন্দ্রে ভীষণভাবে সফল হয়েছে। পুরুলিয়াতেও ঘটেছে একই ঘটনা।
রায়গঞ্জে তৃণমূল হেরেছে প্রায় ৬৮ হাজার ভোটে। সেখানে কংগ্রেস পেয়েছে ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ভোট। পাশের কেন্দ্র মালদহ উত্তরে তৃণমূল হেরেছে প্রায় ৭৮ হাজার ভোটে। কংগ্রেস পেয়েছে ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ভোট। বঙ্গে জোট হলে বিজেপি এক অঙ্কের ঘরেই আটকে যেত। কিন্তু সেটা অধীরবাবু বা সেলিম সাহেব, কেউই  চাননি।
চব্বিশের নির্বাচন কি সিপিএমকে সত্যিই কিছু শিক্ষা দিতে পারল? সিপিএম নেতৃত্ব দাবি করে, ৩৪ বছরের রাজত্বে বাংলায় গণতন্ত্র ছিল, কোনও দুর্নীতি হয়নি, এমনকী অত্যাচারও হয়নি। মানুষই ভুল বুঝে তাদের সরিয়ে দিয়েছে। তারপর একের পর এক নির্বাচন হচ্ছে, কিন্তু মানুষ ভুল শুধরে নিচ্ছে না। একুশের ভোটে শূন্য, এবারেও সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে। ৩২ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩০ জনেরই জামানত জব্দ। অনেকেই বলছেন, সিপিএমের এমন পরিণতির জন্য দায়ী তাদের দ্বিচারিতা। ভুল স্বীকার না করে তাকে সঠিক বলে চালাতে চাইছে। তাতে মানুষ মনে করছে, এরা ক্ষমতায় ফিরলে ফের একই কাণ্ড ঘটাবে। 
তবে সিপিএমের এই হাল শুধু বাংলায় নয়, গোটা দেশেই তাদের অবস্থা খুব করুণ। কেরলে ক্ষমতায় আছে বামেরা। তা সত্ত্বেও সেখানে মাত্র একটি আসন পেয়েছে তারা। দিল্লিতে কংগ্রেসের সঙ্গে দোস্তি আর কেরলে কুস্তি, সিপিএমের এই নীতি মানুষ মেনে নেয়নি। তাই এক সময় যারা ভারতবর্ষে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখাত এখান গোটা দেশে তাদের আসন সংখ্যা মাত্র চার। 
প্রশ্ন হচ্ছে, অধীর চৌধুরী এখন কী করবেন? নির্বাচনে হেরে গেলে রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন, এমন ঘোষণা ভোটের আগে অধীরবাবু করেছিলেন। কিন্তু সেটা ছিল নিছকই কথার কথা। মাছ জল ছাড়া বেশিক্ষণ বাঁচতে পারে না। তাই তিনি রাজনীতিতেই থাকবেন। কিন্তু প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে গেলে তাঁর স্টাইলটা বদলাতে হবে। কারণ জাতীয় এবং রাজ্য রাজনীতির পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যাচ্ছে। ভোটে হেরে যাওয়ায় অধীরবাবু হাইকমান্ডের কাছে আরও গুরুত্বহীন হয়েছেন। তারউপর প্রায় তিরিশে পৌঁছে গিয়েছে তৃণমূল। তাই দিল্লি কংগ্রেস কিছুতেই মমতাকে চটাতে চাইবে না। এরপরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা চালিয়ে গেলে হাইকমান্ড যে অধীরবাবুকে রেয়াত করবে না, সেটা আগেই খাড়্গে সাহেব জানিয়ে দিয়েছেন।
যাঁরা অধীরবাবুকে জানেন তাঁরা বলছেন, সহজে হাল ছাড়ার পাত্র তিনি নন। কোনও চাপের কাছে তিনি মাথা নোয়াবেন না। প্রয়োজনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে ইস্তফা দিয়ে হাইকমান্ডের উপর পাল্টা চাপ সৃষ্টির কৌশল নিতে পারেন। তবে, সেটা করলে তাঁর রাজনৈতিক জীবন আরও অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে।
অধীরবাবুর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে মাঝেমধ্যেই গুজব ছড়ায়। বহরমপুরে হেরে যাওয়ার পর সেই গুজব আরও জোরদার হয়েছে। তিনি দল বদলাতে চাইলে বিজেপি যে তাঁকে লুফে নেবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তাঁর মতো কট্টর মমতা বিরোধীকে বিজেপি যোগ্য সম্মানই দেবে। কিন্তু অধীরবাবুর সেই রাস্তায় যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ বাংলায় বিজেপির যা ফলাফল তাতে আগামী দিনে গেরুয়া শিবিরে অশান্তি আরও বাড়বে। আদি-নব্যের লড়াই  উঠবে চরমে। ছাব্বিশে বিজেপির অবস্থা আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। তাই ‘ফুটো নৌকা’য় তিনি চাপতে চাইবেন না। ফলে অধীরবাবু এখন আক্ষরিক অর্থেই শাঁখের করাতের মুখে পড়েছেন। 
এই নির্বাচন আরও একটা বিষয় চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধারেকাছে কেউ নেই। চরম প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও রাজ্যে তাঁর জোট না করার সিদ্ধান্তই ছিল ঠিক। কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করলে হয়তো কয়েকটা আসন ‘ইন্ডিয়া’ জোট বেশি পেত। কিন্তু উঠতে বসতে শুনতে হতো, কংগ্রেসের দয়াতেই তৃণমূল এত আসন পেয়েছে। যেমনটা শুনতে হয়েছিল ২০১১ সালে। কিন্তু একলা লড়াই করে তৃণমূল দেখিয়ে দিল, মোদি মোকাবিলায় মমতা একাই কাফি।
08th  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

মানুষকে অপমান করা হচ্ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ অথবা বাবুইসোল কিংবা প্রতাপপুরে থাকি। সকাল ৬টার মধ্যে বাড়ির সব কাজ সেরে জঙ্গলে চলে যাই। খেজুর পাতা আনতে। ব্যাপারটা কঠিন। সেই পাতা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। ঝাঁটা তৈরি হবে। বিশদ

14th  June, 2024
গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদন!
মৃণালকান্তি দাস

চার্চিল নাকি বলেছিলেন, ‘পাবলিক ওপিনিয়ন’ বলে কিছু হয় না, পুরোটাই ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’! বিশদ

13th  June, 2024
পরমাত্মা এখন পরজীবী, প্রণত শরিক পদে
সন্দীপন বিশ্বাস

হে পরমাত্মা, হে নন বায়োলজিক্যাল প্রাণ, ধ্যানের খেলা যখন ভাঙল, তখন আপনি উঠে দেখলেন আপনার একচ্ছত্র সাম্রাজ্য চুরমার, আপনার শৌর্যের ঢক্কানিনাদ মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। দীর্ঘ ভোটপর্বের সমাপ্তি হয়েছে। আপনিও শপথ নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিশদ

12th  June, 2024
 ভোট, শেয়ার বাজার এবং কিছু শিক্ষা
 শান্তনু দত্তগুপ্ত

অধৈর্যদের টাকা ধৈর্যশীলদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কী? উত্তরটা দিয়ে গিয়েছেন ওয়ারেন 
বাফে—স্টক মার্কেট। তাঁর কথাটা বাজার দুনিয়ায় প্রায় মিথ হয়ে গিয়েছে। তা সে মার্কিন মুলুক হোক, বা ভারত। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতো জীবনের নানা ওঠাপড়ার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বাফের বিশ্লেষণ।
বিশদ

11th  June, 2024
নয়া অবতারে চ্যালেঞ্জের মুখে মোদি
পি চিদম্বরম

‘সমগ্র পৃথিবীটাই একটা রঙ্গমঞ্চ .../ এবং সমস্ত নরনারীই নিছক অভিনয় শিল্পী।/ নিজ নিজ ভূমিকা অনুসারে মঞ্চে তাদের সকলেরই প্রবেশ এবং প্রস্থান ঘটে;/ এমনকী, একই মানুষকে প্রয়োজনমতো অনেক ভূমিকার চিত্রায়ণ করতে হয়।’ বিশদ

10th  June, 2024
শরিকি মেহফিলে এবার মুজরো কার?
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছেন, এটা এখন সারা বিশ্বের জানা। চোখ ধাঁধানো মন্দির গড়েও উত্তরপ্রদেশে বিপর্যস্ত হয়েছেন, তাও অজানা নয়। কিন্তু যেটা আজানা, তা হচ্ছে জোট সরকারে দ্রুত রং বদলে ফেলা শরিকদের মেহফিলে ‘বিশ্বগুরু’র ‘মুজরো’টা শুরু হতে কতটা সময় লাগবে? বিশদ

09th  June, 2024
আজ হাসছে গণতন্ত্র
সমৃদ্ধ দত্ত

আজ হাসছেন মণিপুরের কাংপোকপি গ্রামের নারীরা। চরম অরাজকতায় তিন নারী প্রাণ বাঁচাতে সন্তান নিয়ে পালিয়েছিলেন হাওকচংচিং জঙ্গলে। সেখান থেকে টেনে বের করে তাঁদের নগ্ন করে হাঁটানো এবং গণধর্ষণ করা হয়। জ্বলছে মণিপুর মাসের পর মাস। আপনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ভ্রমণ করে বেরিয়েছেন। বিশদ

07th  June, 2024
একনায়কতন্ত্রকে হারিয়ে জয় গণতন্ত্রের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ঔদ্ধত্য আর অহঙ্কারের কোমর ভেঙে দিয়েছে বাংলা। আর্থিক বঞ্চনা, হকের টাকা আটকানো আর কেন্দ্রীয় বৈষম্যের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে পাহাড় থেকে সাগর। সমুচিত জবাব পেয়েছে বিজেপি। যে দল দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিল, যারা চেয়েছিল সংবিধানকে বদল করতে, যারা চেয়েছিল বাংলাকে পদানত করতে। বিশদ

06th  June, 2024
নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা
হারাধন চৌধুরী

রাজকোষের বিপুল অর্থ খরচ করে সুন্দর সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সংসদ ভবনকে ‘গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ মন্দির’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। অথচ তাঁরই গত দশ বছরের জমানায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়েছে গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। বিশদ

05th  June, 2024
আজ অগ্নিপরীক্ষা এক্সিট পোলের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘৫ তারিখ থেকে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে?’ ‘ভোটের রেজাল্টের দিনই কি গ্যাসের দাম বাড়ছে?’ ‘পেট্রলের দাম কি সত্যিই ৪০০ টাকা হচ্ছে?’ বিশদ

04th  June, 2024
মোদিকে পরিবর্তনপন্থীদের চ্যালেঞ্জ
পি চিদম্বরম

গত সপ্তাহের নিবন্ধ শেষ করেছিলাম এই বলে যে, ‘স্থিতাবস্থা রক্ষা করতে মরিয়া এবং সেটা ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ—এই দুই পক্ষের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে নির্বাচনের সাত দফা।’ অবশেষে ভোটগণনা আগামী কাল, মঙ্গলবার। বিশদ

03rd  June, 2024
একনজরে
খেলতে গিয়ে ৫০ ফুট গভীর শুকিয়ে যাওয়া কুয়োয় পড়ে গেল দেড় বছরের এক শিশুকন্যা। শুক্রবার গুজরাতের আমরেলি জেলার সুরাগপাড়া গ্রামের ঘটনা। শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। ...

ভুয়ো চালান ব্যবহার করে নদী থেকে যেন বালি না ওঠে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকদের ডেকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার এভাবেই সতর্ক করেছেন। বৃহস্পতিবার বন ও ভূমি দপ্তরের স্থায়ী সমিতির বৈঠক ছিল। ...

আইএসএলের সর্বাধিক গোলদাতা দিমিত্রিয়াস ডায়ামান্টোকোসকে সই করিয়ে দলবদলের বাজার জমিয়ে দিল ইস্ট বেঙ্গল। ...

ঘোলা জল ঘিরে রাজনীতি বালুরঘাটে। অভিযোগ, গত সাতদিন ধরে পুরসভা বাড়ি বাড়ি যে পানীয় জল সরবরাহ করছে তা ঘোলা। ট্যাপ থেকে বেরচ্ছে লাল জল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বায়ু দিবস
১৭৫২: আমেরিকান বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ঘুড়ির সাহায্যে বিদ্যুতের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন
১৭৫৯: ঔরঙ্গজেব আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রার সিংহাসনে আরোহণ করেন
১৮৪৮: বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক বার্লিন শহরকে জার্মানির রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করেন
১৮৫৪: কলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উদ্যোগে প্রেসিডেন্সি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৫৫: ব্রিটেনে সংবাদপত্রের উপর থেকে কর তুলে দেওয়া হয়
১৮৯৬: জাপানে সুনামিতে ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু
১৮৯৯: ভারতীয় ভাস্কর,চিত্রশিল্পী এবং ললিত কলা একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরীর জন্ম
১৯০৮: কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ চালু হয়
১৯৫০: শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তালের জন্ম
১৯৫৩: চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের জন্ম
১৯৬০: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়
১৯৬৯: জার্মানির গোলকিপার অলিভার কানের জন্ম
১৯৭৭: দীর্ঘ ৪০ বছর পর স্পেনে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৯৮৬: ভারতে বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দলের (R.S.P.) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য তারাপদ লাহিড়ীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭২ টাকা ৮৪.৪৬ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৮৬ টাকা ১০৮.৩৪ টাকা
ইউরো ৮৮.২০ টাকা ৯১.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪। নবমী ৫৪/৩ রাত্রি ২/৩৩। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র ৮/১৫ দিবা ৮/১৪। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৮ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১ গতে ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১১/১৫ গতে ১/২৪ মধ্যে পুনঃ ২/৪৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১২/৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৬ গতে উদয়াবধি।   
৩২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪। নবমী রাত্রি ১/১২। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র দিবা ৭/৫২। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২০। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১১/২০ গতে ১/২৮ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৪ মধ্যে ও ৯/২৯ গতে ১২/৮ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৫৯ মধ্যে ও ৪/৪০ গতে ৬/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। 
৮ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
এখন কেমন আছেন সন্ধ্যা রায়
হাসপাতালে ভর্তি হলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। বুক ধড়পড় ও ...বিশদ

07:14:26 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারাল স্পেন

11:32:54 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: স্পেন ৩ : ক্রোয়েশিয়া ০ (হাফটাইম)

10:25:41 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: স্পেন ২ : ক্রোয়েশিয়া ০ (৩৩ মিনিট)

10:09:28 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: স্পেন ১ : ক্রোয়েশিয়া ০ (৩০ মিনিট)

10:07:05 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: মাঠ ভিজে থাকার কারণে ভারত বনাম কানাডার ম্যাচ বাতিল

09:13:01 PM