Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা
হারাধন চৌধুরী

রাজকোষের বিপুল অর্থ খরচ করে সুন্দর সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সংসদ ভবনকে ‘গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ মন্দির’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। অথচ তাঁরই গত দশ বছরের জমানায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়েছে গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। গণতন্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ যে বিরোধী শক্তি, তারা উপেক্ষিত হয়েছে সবরকমে। রাজ্যে রাজ্যে বেনজির নিপীড়নের শিকার হয়েছে বিরোধী দলগুলি। বস্তুত ‘কংগ্রেস-শূন্য’ ভারত নির্মাণের সংকল্প নিয়ে ‘বিরোধী-শূন্য’ ভারত গড়ার দিকেই পদক্ষেপ করেছে গেরুয়া শিবির। এই ভাবনা একেবারেই স্বৈরতন্ত্রসুলভ। ভারতের গণতন্ত্র এ জিনিস কখনোই প্রত্যাশা করে না। 
খুব শীঘ্রই দায়িত্ব নেবে নতুন সরকার। এবার যে সরকারই ক্ষমতাসীন হোক, তাদের কাছে প্রত্যাশা থাকবে, তারা যেন গণতন্ত্রের মর্যাদা রক্ষায় যত্নবান হয়। প্রথম দুটি মোদি সরকার মূলত চমক প্রদর্শনের উপরই সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেছিল। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল—নোট বাতিল এবং রেল বাজেট ও পরিকল্পনা কমিশন তুলে দেওয়া। গুরুত্ব পেয়েছিল সেন্ট্রাল ভিস্তা এবং অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ। প্রথম তিনটি পদক্ষেপ থেকে দেশ কতটা উপকৃত হয়েছে তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। সেন্ট্রাল ভিস্তা রূপায়ণের ফলে রাজধানী নয়াদিল্লি নিশ্চয় একটু বেশি ঝাঁচকচকে হয়েছে, কিন্তু একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্রের উন্নয়ন কনসেপ্টের সঙ্গে তার সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এছাড়া রামমন্দির নির্মাণের সঙ্গে ভারতের মতো একটি সুবিশাল ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র এবং তার সরকারের কোনও সম্পর্ক থাকায় উচিত ছিল না। এতে যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি ইন্ধন পেয়েছে সেটা নিঃসন্দেহে ধর্মীয় মেরুকরণ। বিজেপিকে জব্দ করতে নেমে অন্য দলগুলিও যেন একটি পলিটিক্যাল কম্পালশনের জায়গা থেকে মেরুকরণেরই উল্টো ফাঁদে পা দিয়েছে। তার ফলে যে চূড়ান্ত মেরুকরণ ঘটে গিয়েছে তার ফায়দা, নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বেশি পেয়েছে সঙ্ঘ পরিবারের রাজনৈতিক শাখাটি এবং তার মিত্র দলগুলি। 
সব মিলিয়ে এক দশকে যে ভোট রাজনীতির চর্চা দেশজুড়ে পুষ্ট হয়েছে তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ‘উন্নয়ন’ প্রসঙ্গ। স্বাধীনতার আট দশক পূর্তি আসন্ন। এমন ‘অমৃতকালে’ পৌঁছেও দেশে নিরক্ষর, ক্ষুধার্ত, বেকারত্বের জ্বালায় জর্জরিত সামাজিক সুরক্ষাহীন শ্রমিক বাহিনী এবং প্রবীণ নাগরিক সমাজ অসহায়ের মতো বেঁচে আছে। কৃষিপণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) জন্য মাথা কুটছেন কৃষকরা। অথচ তারাই এদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় ভরসা। আমরা বরাবর লক্ষ্য করেছি, ভারতের অর্থনীতি যতবার বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে তাকে আগলে রেখেছে কৃষিক্ষেত্র। তাদের টাটকা অনস্বীকার্য অবদান আমরা দেখেছি কোভিড ১৯-এর তিনটি বছরে। বিশেষ করে ২০২০ ও ২০২১ সালে যখন বেশিরভাগ উৎপাদন ও পরিষেবা ক্ষেত্র অসহায়ের মতো মুখ থুবড়ে পড়েছিল, ভারতীয় অর্থনীতিকে বরাবরের মতোই সচল রেখেছিল সেই এক ও অদ্বিতীয় কৃষি। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন, ২০২২-এর ভিতরে কৃষকের আয় দ্বিগুণ হবে। কিন্তু অর্থনীতির উপর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব মিলিয়ে দেখা যায়, কৃষকের আয় তার পরিবর্তে কমেই গিয়েছে। একইভাবে বাস্তব আয় হ্রাস পেয়েছে সাধারণ শ্রমিকদেরও। 
অন্যদিকে এই মোদি জমানাতেই বেড়ে চলেছে গুটিকয়েক ধনাঢ্য (মিলিয়নেয়ার) ব্যক্তি ও পরিবারের সংখ্যা। সার্বিকভাবে বেড়ে গিয়েছে ধনবৈষম্য, ভারতের অর্থনীতির বিকাশের পথে যেটা বরাবরের অন্তরায়। আরও পরিতাপের বিষয় এই যে, একটি দেশের মানুষ কতটা উন্নত এবং সুখী তা বিশেষভাবে নির্ভর করে সেখানে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হয় তার উপর। কোনও সন্দেহ নেই, যেকোনও মাঝারি আয়ের দেশের তুলনায় ভারতে স্বাস্থ্য খাতে কেন্দ্রীয় বাজেট বরাদ্দ সর্বনিম্ন। ২০২০ সালে গালভরা ‘জাতীয় শিক্ষা নীতি’ চাপিয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এই নয়া নীতিতে শিক্ষা খাতে জিডিপির অন্তত ৬ শতাংশ বরাদ্দের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সর্বশেষ বাজেটেও পরিষ্কার, শিক্ষা খাতে ব্যয়ের পরিমাণ শিক্ষা নীতিতে গৃহীত লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছেও নয়। সোজা কথায়, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা দুটি দিকই আজও পর্যন্ত সরকার বাহাদুরের কাছে প্রাপ্য গুরুত্ব পায়নি। 
ভারতের জনসংখ্যা চীনকে ছাপিয়ে গিয়েছে এবং সেটা ১৫০ কোটির দিকেই দ্রুত ছুটছে। এই বিপুল জনসংখ্যার বেনিফিট পেতে গেলে মানুষকে অবিলম্বে ‘মানবসম্পদে’ (হিউম্যান রিসোর্স) উন্নীত করাটা জরুরি। সুস্বাস্থ্য ও সুশিক্ষা ছাড়া একজন মানুষ কখনও মানবসম্পদে উন্নীত হতে পারে না। এই প্রশ্নে ভারত প্রতিদিন পদে পদে নিজের ব্যর্থতার দিকটি প্রকট করে চলেছে। অথচ বিপুল জনসংখ্যারই ‘আশীর্বাদে’ শ্রমশক্তি ও মেধাসম্পদের সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে, নিজস্ব প্রাকৃতিক সম্পদ দিয়ে ঈর্ষণীয় উন্নতি করা যেত। নরেন্দ্র মোদি ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। অর্থাৎ মোদির ভারতের অর্থনীতি—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের পরেই জায়গা করে নেবে দাবি করেছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে, ভারতের অর্থনীতি বিশ্বে তিন নম্বর জায়গা পেলেও এখানকার সাধারণ মানুষের আর্থিক উন্নতি আহামরি দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তার কারণ তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির বিপরীতে হাত পেতে থাকবে দেড়শ কোটি মানুষও! ফলে এমন ‘চমকপ্রদ’ অর্থনীতিকেও ক্ষুদ্র প্রতিবেশী বাংলাদেশের চেয়ে খুব একটা উজ্জ্বল দেখাবে না।
তাই শুধু সংকীর্ণ রাজনীতি করতে গিয়ে তথাকথিত ‘সিঙ্গল ইঞ্জিন’ রাজ্যগুলিকে যেভাবে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই ভুল আর করা যাবে না, এমনকী ‘ডাবল ইঞ্জিন’ রাজ্যেও যে ধরনের ধর্ম, জাতি ও বর্ণগত বৈষম্য হয়েছে বন্ধ করতে হবে সেগুলিও অচিরে। কারণ কোনও একটি রাজ্য বা কোনও একটি অঞ্চলকে পিছিয়ে রেখে ভারতের জাতীয় আয় বা জাতীয় উৎপাদন কখনোই কাঙ্ক্ষিত চেহারা নিতে পারবে না। তাই নতুন শাসক শ্রেণির কাছে প্রত্যাশা থাকবে—তারা সংকীর্ণ রাজনীতি, ঘোড়া কেনাবেচা, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দলবদলে ইন্ধন-উৎসাহ প্রদানের মতো নিকৃষ্ট মানের রাজনীতি থেকে নিজেদের অবিলম্বে দূরে রাখার সংকল্প নেবে। নতুন সরকার প্রথম দিন থেকেই বিশেষ গুরুত্ব দেবে ‘উন্নয়ন এবং উন্নয়ন’-এর উপরে, সেখানে অবশ্যই অগ্রাধিকার পাবে দারিদ্র্যসীমার নীচের মানুষগুলি এবং জনসংখ্যার শেষ ৫০ শতাংশ নরনারী। কারণ সমাজের অর্ধেক মানুষকে পিছিয়ে রেখে এই দেশ কোনোদিনই ‘সকল দেশের রানি’ হতে পারবে না।‌
একই সঙ্গে দূর করতে হবে নারী-পুরুষে বৈষম্যও। মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেক নারী। একাধিক রাজ্যে পুরুষের চেয়ে মহিলা ভোটদাতা সংখ্যায় বেশি এবং দেশের শতাধিক লোকসভা আসনে মহিলারাই বস্তুত নির্ণায়ক শক্তি। প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে মহিলারা এখনও অঘোষিতভাবে ব্রাত্য। তার ফলে দেশজুড়ে মোট প্রার্থীর মধ্যে মহিলা এবারও ১০ শতাংশের নীচে। আইনসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের পরও এই করুণ হাল! নয়া আইন দ্রুত কার্যকর করার ব্যাপারে নতুন সরকারকে বিশেষভাবে যত্নবান হতে হবে, শুধু মুখে ‘নারীশক্তি’র জয়গান গাওয়াই যথেষ্ট নয়। বিশেষ মতলবের এনপিআর এবং এনআরসির প্ল্যান অবিলম্বে বাতিল করা দরকার। দেশের কিছু মানুষকে ‘অনাগরিক’ প্রমাণ করার পদক্ষেপ মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। দেশের সমস্ত মানুষ যদি নিশ্চিন্তে সুখে-শান্তিতে বসবাসেরই সুযোগ না পান, তাহলে তাঁরা উন্নয়নের ডাকে সাড়া দেবেন কী করে? তাই, এনপিআর, এনআরসির হিড়িক ছেড়ে, শীঘ্রই শেষ করে ফেলতে হবে সেন্সাস বা জনগণনা। কারণ জনগণনার বিস্তারিত তথ্য হাতে না নিয়ে তৈরি কোনও পরিকল্পনাই দেশকে তার লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারবে না। 
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়ে এই যে, টানা ১৩ বছর দেশের যাবতীয় পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে যথাযথ জনগণনার পরিসংখ্যান ও তথ্য ছাড়াই। দেশকে সংরক্ষণ বিবাদে নতুন করে জড়ানোও বাঞ্ছনীয় নয়। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি) নিয়েও সময় ও উদ্যম নষ্ট করা অনুচিত। তার পরিবর্তে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে যত দ্রুত সম্ভব রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পরিসর ফিরিয়ে দেওয়া দরকার। মণিপুরসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের উপদ্রুত এলাকার সুস্থিতি ফেরানোও জরুরি। 
একই সঙ্গে নজর দিতে হবে পরিবেশের সুরক্ষার উপর। নগরায়ণের নেশায় আমরা কৃষিজমি, জলাভূমি, অরণ্য, পাহাড় প্রভৃতির অপূরণীয় ক্ষতি ইতিমধ্যেই করে ফেলেছি। এই ‘আত্মঘাতী’ কাজ-কারবারে এখনই লাগাম না পড়লে আমাদের ভবিষ্যৎ যে অন্ধকার তাতে কোনও সংশয় নেই। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইস্তাহারে পরিবেশের সুরক্ষার দিকটি আজ পর্যন্ত বিশেষ গুরুত্ব পায়নি। কোনও কোনও দলের নির্বাচনী দলিলে হয়তো নিয়মরক্ষার মতোই তার উল্লেখটুকু রয়েছে। নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা, এই মারাত্মক ভুলটির সংশোধনে তারা প্রথম থেকে এবং আন্তরিকতার সঙ্গেই যত্নবান হবে।
05th  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

মানুষকে অপমান করা হচ্ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ অথবা বাবুইসোল কিংবা প্রতাপপুরে থাকি। সকাল ৬টার মধ্যে বাড়ির সব কাজ সেরে জঙ্গলে চলে যাই। খেজুর পাতা আনতে। ব্যাপারটা কঠিন। সেই পাতা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। ঝাঁটা তৈরি হবে। বিশদ

14th  June, 2024
গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদন!
মৃণালকান্তি দাস

চার্চিল নাকি বলেছিলেন, ‘পাবলিক ওপিনিয়ন’ বলে কিছু হয় না, পুরোটাই ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’! বিশদ

13th  June, 2024
পরমাত্মা এখন পরজীবী, প্রণত শরিক পদে
সন্দীপন বিশ্বাস

হে পরমাত্মা, হে নন বায়োলজিক্যাল প্রাণ, ধ্যানের খেলা যখন ভাঙল, তখন আপনি উঠে দেখলেন আপনার একচ্ছত্র সাম্রাজ্য চুরমার, আপনার শৌর্যের ঢক্কানিনাদ মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। দীর্ঘ ভোটপর্বের সমাপ্তি হয়েছে। আপনিও শপথ নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিশদ

12th  June, 2024
 ভোট, শেয়ার বাজার এবং কিছু শিক্ষা
 শান্তনু দত্তগুপ্ত

অধৈর্যদের টাকা ধৈর্যশীলদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কী? উত্তরটা দিয়ে গিয়েছেন ওয়ারেন 
বাফে—স্টক মার্কেট। তাঁর কথাটা বাজার দুনিয়ায় প্রায় মিথ হয়ে গিয়েছে। তা সে মার্কিন মুলুক হোক, বা ভারত। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতো জীবনের নানা ওঠাপড়ার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বাফের বিশ্লেষণ।
বিশদ

11th  June, 2024
নয়া অবতারে চ্যালেঞ্জের মুখে মোদি
পি চিদম্বরম

‘সমগ্র পৃথিবীটাই একটা রঙ্গমঞ্চ .../ এবং সমস্ত নরনারীই নিছক অভিনয় শিল্পী।/ নিজ নিজ ভূমিকা অনুসারে মঞ্চে তাদের সকলেরই প্রবেশ এবং প্রস্থান ঘটে;/ এমনকী, একই মানুষকে প্রয়োজনমতো অনেক ভূমিকার চিত্রায়ণ করতে হয়।’ বিশদ

10th  June, 2024
শরিকি মেহফিলে এবার মুজরো কার?
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছেন, এটা এখন সারা বিশ্বের জানা। চোখ ধাঁধানো মন্দির গড়েও উত্তরপ্রদেশে বিপর্যস্ত হয়েছেন, তাও অজানা নয়। কিন্তু যেটা আজানা, তা হচ্ছে জোট সরকারে দ্রুত রং বদলে ফেলা শরিকদের মেহফিলে ‘বিশ্বগুরু’র ‘মুজরো’টা শুরু হতে কতটা সময় লাগবে? বিশদ

09th  June, 2024
মোদি মোকাবিলায় মমতা একাই কাফি
তন্ময় মল্লিক

‘ভাগ্যিস বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়নি। জোট হলে জয়ের সব কৃতিত্ব কংগ্রেসই দাবি করে বসত।’ কথাগুলো তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার। তখনও লোকসভা নির্বাচনের সব আসনের ফল ঘোষণা হয়নি। তবে, ছবিটা মোটামুটি পরিষ্কার। বিশদ

08th  June, 2024
আজ হাসছে গণতন্ত্র
সমৃদ্ধ দত্ত

আজ হাসছেন মণিপুরের কাংপোকপি গ্রামের নারীরা। চরম অরাজকতায় তিন নারী প্রাণ বাঁচাতে সন্তান নিয়ে পালিয়েছিলেন হাওকচংচিং জঙ্গলে। সেখান থেকে টেনে বের করে তাঁদের নগ্ন করে হাঁটানো এবং গণধর্ষণ করা হয়। জ্বলছে মণিপুর মাসের পর মাস। আপনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ভ্রমণ করে বেরিয়েছেন। বিশদ

07th  June, 2024
একনায়কতন্ত্রকে হারিয়ে জয় গণতন্ত্রের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ঔদ্ধত্য আর অহঙ্কারের কোমর ভেঙে দিয়েছে বাংলা। আর্থিক বঞ্চনা, হকের টাকা আটকানো আর কেন্দ্রীয় বৈষম্যের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে পাহাড় থেকে সাগর। সমুচিত জবাব পেয়েছে বিজেপি। যে দল দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিল, যারা চেয়েছিল সংবিধানকে বদল করতে, যারা চেয়েছিল বাংলাকে পদানত করতে। বিশদ

06th  June, 2024
আজ অগ্নিপরীক্ষা এক্সিট পোলের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘৫ তারিখ থেকে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে?’ ‘ভোটের রেজাল্টের দিনই কি গ্যাসের দাম বাড়ছে?’ ‘পেট্রলের দাম কি সত্যিই ৪০০ টাকা হচ্ছে?’ বিশদ

04th  June, 2024
মোদিকে পরিবর্তনপন্থীদের চ্যালেঞ্জ
পি চিদম্বরম

গত সপ্তাহের নিবন্ধ শেষ করেছিলাম এই বলে যে, ‘স্থিতাবস্থা রক্ষা করতে মরিয়া এবং সেটা ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ—এই দুই পক্ষের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে নির্বাচনের সাত দফা।’ অবশেষে ভোটগণনা আগামী কাল, মঙ্গলবার। বিশদ

03rd  June, 2024
একনজরে
রাজ্যে মোট কতগুলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে তার তথ্য তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। ভোট মেটার পর আদর্শ আচরণ বিধি উঠে গেলেও রাজ্যে রয়ে গিয়েছে ...

জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে ইতালির আপুলিয়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তৃতীয়বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর এটাই মোদির প্রথম বিদেশ সফর। এবিষয়ে বিবৃতি দিয়ে বিদেশ ...

বধূ নির্যাতনের অভিযোগ হামেশাই শোনা যায়। এবার স্বামীকে নির্যাতন করে খুনের ঘটনায় অভিযোগের কাঠগড়ায় স্ত্রী এবং তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত শহরের লঙ্কাবাগান ...

ঘোলা জল ঘিরে রাজনীতি বালুরঘাটে। অভিযোগ, গত সাতদিন ধরে পুরসভা বাড়ি বাড়ি যে পানীয় জল সরবরাহ করছে তা ঘোলা। ট্যাপ থেকে বেরচ্ছে লাল জল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বায়ু দিবস
১৭৫২: আমেরিকান বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ঘুড়ির সাহায্যে বিদ্যুতের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন
১৭৫৯: ঔরঙ্গজেব আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রার সিংহাসনে আরোহণ করেন
১৮৪৮: বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক বার্লিন শহরকে জার্মানির রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করেন
১৮৫৪: কলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উদ্যোগে প্রেসিডেন্সি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৫৫: ব্রিটেনে সংবাদপত্রের উপর থেকে কর তুলে দেওয়া হয়
১৮৯৬: জাপানে সুনামিতে ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু
১৮৯৯: ভারতীয় ভাস্কর,চিত্রশিল্পী এবং ললিত কলা একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরীর জন্ম
১৯০৮: কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ চালু হয়
১৯৫০: শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তালের জন্ম
১৯৫৩: চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের জন্ম
১৯৬০: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়
১৯৬৯: জার্মানির গোলকিপার অলিভার কানের জন্ম
১৯৭৭: দীর্ঘ ৪০ বছর পর স্পেনে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৯৮৬: ভারতে বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দলের (R.S.P.) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য তারাপদ লাহিড়ীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭২ টাকা ৮৪.৪৬ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৮৬ টাকা ১০৮.৩৪ টাকা
ইউরো ৮৮.২০ টাকা ৯১.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪। নবমী ৫৪/৩ রাত্রি ২/৩৩। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র ৮/১৫ দিবা ৮/১৪। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৮ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১ গতে ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১১/১৫ গতে ১/২৪ মধ্যে পুনঃ ২/৪৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১২/৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৬ গতে উদয়াবধি।   
৩২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪। নবমী রাত্রি ১/১২। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র দিবা ৭/৫২। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২০। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১১/২০ গতে ১/২৮ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৪ মধ্যে ও ৯/২৯ গতে ১২/৮ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৫৯ মধ্যে ও ৪/৪০ গতে ৬/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। 
৮ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
এখন কেমন আছেন সন্ধ্যা রায়
হাসপাতালে ভর্তি হলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। বুক ধড়পড় ও ...বিশদ

07:14:26 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারাল স্পেন

11:32:54 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: স্পেন ৩ : ক্রোয়েশিয়া ০ (হাফটাইম)

10:25:41 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: স্পেন ২ : ক্রোয়েশিয়া ০ (৩৩ মিনিট)

10:09:28 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: স্পেন ১ : ক্রোয়েশিয়া ০ (৩০ মিনিট)

10:07:05 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: মাঠ ভিজে থাকার কারণে ভারত বনাম কানাডার ম্যাচ বাতিল

09:13:01 PM