Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

শরিকি মেহফিলে এবার মুজরো কার?
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছেন, এটা এখন সারা বিশ্বের জানা। চোখ ধাঁধানো মন্দির গড়েও উত্তরপ্রদেশে বিপর্যস্ত হয়েছেন, তাও অজানা নয়। কিন্তু যেটা আজানা, তা হচ্ছে জোট সরকারে দ্রুত রং বদলে ফেলা শরিকদের মেহফিলে ‘বিশ্বগুরু’র ‘মুজরো’টা শুরু হতে কতটা সময় লাগবে? মঞ্চ প্রস্তুত। আজ সন্ধ্যার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের গাম্ভীর্য, তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার গৌরবকে দুয়ো দিয়েই শুরু হয়ে যাবে দরকষাকষির নির্মম পুতুলনাচ! তাঁর ভাষায় ‘মুজরো’। একমাস, দু’মাস, ... ১৩ মাস। ভোটপ্রচারে ইন্ডিয়া জোটকে ওই শ্লেষ মেশানো ইতর শব্দবন্ধেই কটাক্ষ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যতই প্রচার এগিয়েছে তিনি টের পাচ্ছিলেন গনগনে আঁচেও ভাত সেদ্ধ হচ্ছে না কিছুতেই। ৪০০ আসন, গগনভেদী উন্নয়নের ডঙ্কা থামিয়ে ততই বেপরোয়া ঘৃণা আর বিদ্বেষের একতরফা মার্কেটিং চালিয়ে গিয়েছেন প্রাণপণে। ধর্ম, জিরাফ ও জাতপাত নিয়ে সর্বনাশা গেরুয়া খেলা খেলেও শেষরক্ষা হয়নি। ২১ এপ্রিল রাজস্থানে তাঁর ‘কংগ্রেস এলে মঙ্গলসূত্রটাও বাঁচবে না’, শুনে চমকে উঠেছিলেন ভক্তরাও। ফল বেরতে দেখা গেল, মঙ্গলসূত্র সুরক্ষিতই আছে, শুধু একক গরিষ্ঠতার রক্ষাকবচটা হারিয়ে তিনিই বিপন্ন! মোদিজির মতো অতল বিদ্বেষ বুকে নিয়ে সংখ্যার জোরে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হলেও কি আদর্শ রাষ্ট্রনেতা হওয়া যায় ভারতের মতো বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের দেশে? মেরুকরণের দমবন্ধ পরিবেশে ঈশ্বর, আল্লা, মানুষ কেউ নিশ্বাস নিতে পারে? ভাগ্যের এমনই পরিহাস, ৫০০ বছর পর তাঁর কৃপায় ঘর পাওয়া ভগবান রামলালা সেই গিরগিটি শরিকদের মধ্যিখানেই কঠিন ভারসাম্যের খেলায় নামালেন তাঁকে। যেন অস্ফুটে মুচকি হাসলেন নবতিপর অশক্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। স্বস্তি পেল বাজপেয়ি-আদবানির আমল থেকে সবাইকে নিয়ে চলার ব্রতে অনড় পুরনো বিজেপির গুমরে মরা অন্তরাত্মাও।
গত রবিবার লিখেছিলাম ৪ জুন সব উত্তর মিলিয়ে নেওয়ার পালা—৪০০ পার, না ২০০ পেরিয়েই ফুলস্টপ? শেষ পর্যন্ত গরিষ্ঠতার থেকে ৩২ আসন দূরে থেমে গেল গেরুয়া দৌড়। এক্সিট পোল নয়, কোনও ড্রইংরুমের বানানো ন্যারেটিভ নয়, নয় টিভি চ্যানেলের সান্ধ্য মজলিশের হেলে থাকা একপেশে নির্যাস। নিখাদ জনতার স্পষ্ট  জবাব। স্যাম্পেল সাইজ পুচকে দশ-বিশ লাখ নয়, শামিল এবারের ৬৪ কোটি ভোট দেবতার সবাই (তালিকাভুক্ত ৩২ কোটি মানুষ নির্বাচনে অংশ নেননি)। ফল ঘোষণা করেছে অ্যাক্সিস কিংবা সি-ভোটার নয়, নয় কোনও ভাঁওতাবাজ পোলস্টার, স্বয়ং দেশের নির্বাচন কমিশন। সেই ঐতিহাসিক জবাব একদিকে যেমন বাংলায় মমতার নিরঙ্কুশ আধিপত্যকে প্রতিষ্ঠা করেছে, যার ধাক্কায় খড়কুটোর মতোই উড়ে গিয়েছে বাংলার বিরোধীরা। একদম একুশের বিধানসভার রিপ্লে। তেমনই জাতীয় স্তরে একদলীয় শাসনকে ছেঁটে দিয়ে ফের জোট সরকারের পক্ষেই রায় দিয়েছে জনতা জনার্দন। ভারত মাতার বিপন্ন আত্মার অসহায়তা, সংবিধানের কাঠামোগত বদলের ষড়যন্ত্র কিংবা ভোট রাজনীতিকে চিরতরে বিদায় দিয়ে ব্যক্তিশাসন প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে সেই জরুরি অবস্থার সময় থেকেই মানুষ সোচ্চার। সেই অভিঘাতেই এক দশকের মোদি সরকার মেদ ঝরিয়ে বদলে যাচ্ছে একদা আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলা এনডিএতে। গত দশ বছর, যাঁর দাপটে জোটের নিয়মিত বৈঠক দূর, খোদ বিজেপির শীর্ষস্থানীয় দু’-চারজন বাদ দিলে কারও কথারই কোনও গুরুত্ব ছিল না, তাঁকেই এবার হিসেব ফিরিয়ে দেওয়ার পালা। গাদকারি, রাজনাথ, বসুন্ধরারা এতদিন ছিলেন দর্শকমাত্র! নোট বাতিলের কথা ক’জন জানতেন? বহু গুরুত্বপূর্ণ বিল এসেছে, যার কথা সংসদে ঢুকেই জানতে পেরেছেন দলেরই সাংসদরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তা পাশও হয়ে গিয়েছে। একনায়কতন্ত্র যখন আষ্টেপৃষ্ঠে চেপে বসে তখন সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার রেওয়াজ রাতারাতি উবে যায়, বরং সিদ্ধান্তে পৌঁছে তা এলেবেলে পাঁচজনকে জানিয়ে দেওয়াটাই হয়ে ওঠে অঘোষিত আইন। মোদির ঔদ্ধত্য ও দম্ভ বিজেপিকে কার্যত ওয়ান ম্যান পার্টিতে পরিণত করেছিল। সেই অন্ধকার কাটিয়ে ভোটের এই সাহসী পরিণাম দলেও একটা ভারসাম্য ফেরাতে সাহায্য করবে বলেই বুক বাঁধছেন বিক্ষুব্ধরা।  
নিজের নামে দেশ চালাতে চেয়েছিলেন মোদিজি। বিদেশের মাটিতে গুঞ্জরিত হবে একটাই ধ্রুবপদ, ‘ইটস মোদিজ কান্ট্রি’। দল, সরকার সব মিলেমিশে একাকার হয়ে দেশের দশের বিশ্বগুরু হয়েই থেকে যাবেন স্বাধীনতার শতবর্ষ ২০৪৭ সাল পর্যন্ত। এই ছিল তাঁর স্বপ্ন। বাকি সব অতীত, ইতিহাস মিছে, ঘোর লাগা কানাগলির মতো। তাই গত আড়াই মাসে 
বেকার যুবক-যুবতীদের রুটিরুজির দিশা না দিয়ে তিনি শুধু নিজের গুণকীর্তন করে গিয়েছেন দেশঘুরে ২০৬টি জনসভায়। গালভরা ‘গ্যারান্টি’ বিলিয়েছেন অকাতরে। সবার মুখ বন্ধ করতে দরকার ছিল ৪০০ আসন। এই সর্বনাশা খেলায় নেহরু থেকে গান্ধী, কাউকেই রেয়াত করেননি তিনি। নেহরুকে মোছার সব আয়োজন ছিল সারা। আর তিনি নিজমুখে বলেছেন, গান্ধীজিকে তো বিশ্ব চিনেছে সিনেমাটা বেরনোর পর! ভারতের মহান গণতন্ত্র বার বার প্রমাণ করেছে, ব্যক্তির চেয়ে দেশ বড়। একনায়কের চেয়ে গুরুত্ব 
বেশি সমষ্টির। তাই নেহরু যা পারেননি, ইন্দিরা যা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন, সেই একই পরিণাম দেশ ফিরিয়ে দিল নরেন্দ্র মোদিকে। গত দশ বছরের একদলীয় সরকার পর্যবসিত হল বারো উঠানের এনডিএ জমানায়। 
দুই ‘পাল্টুরাম’ নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর কাঁধে ভর দিয়ে সংখ্যালঘু বিজেপির পক্ষে এই সরকার চালানো মোটেই সহজ হবে না। কারণ সকাল-সন্ধ্যা উঠতে-বসতে নীতীশ ও চন্দ্রবাবুর দাবি সনদ এবং লুকনো এজেন্ডা মাথা খারাপ করে দেবে বিজেপির। তাঁরা হুমকি দিয়ে যাবেন—শাঁসালো মন্ত্রক এবং বিহার ও অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশেষ প্যাকেজ, বড় কেন্দ্রীয় প্রকল্প না দিতে পারলেই সমর্থন প্রত্যাহার। শপথ নেওয়ার আগেই দাবি উঠেছে—অগ্নিবীর প্রকল্প তুলে দিতে হবে এবং চালু করতে হবে জাতিগত সমীক্ষা। রাজনৈতিক মহলের সংগত আশঙ্কা, দাবি না মানলেই অনর্থ নিশ্চিত। অনাস্থা প্রস্তাব এবং শেষে আস্থাভোট। অর্থাৎ সরকারের প্রথম কাজ হবে নতুন বন্ধু খোঁজা। বলা বাহুল্য, অনেকদিন পর সেই পুরনো শব্দবন্ধগুলি ফিরছে সংসদীয় ব্যবস্থায়। ভুললে চলবে না, নীতীশ গত দশ বছরে কতবার শিবির বদল করেছেন, তা তাঁর নিজেরই সম্ভবত মনে নেই। যে ইন্ডিয়া জোট আজ বিরোধী আসনে তাঁরও অন্যতম স্থপতি তিনিই। বেশিদিনের পুরনো নয়, মাত্র এক বছর আগের কথা—একদম শুরুর আহ্বায়ক ছিলেন নীতীশ। আর চন্দ্রবাবু নাইডু তো আরও ভয়ঙ্কর—যে শ্বশুর এন টি রাম রাওয়ের হাত ধরে তাঁর উত্থান, পিছন থেকে তাঁকেও ছুরি মারতে হাত কাঁপেনি তাঁর! জেল থেকে ফিরেছেন কিছুদিন আগে, এখন গুলি-খাওয়া বাঘ। মাত্র চারটি আসন জেতা চিরাগ পাসোয়ানও গুরুত্বপূর্ণ ক্যাবিনেট পদমর্যাদাসহ একাধিক মন্ত্রক দাবি করেছেন। স্বভাবতই এই সরকারকে পাঁচ বছর টিকিয়ে রাখাই এখন মোদি-শাহের প্রথম চ্যালেঞ্জ। তারপর অন্য এজেন্ডা।  সেইসব বাধা কাটিয়ে এক দেশ এক নির্বাচন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এবং হিন্দুরাষ্ট্র গড়ার বাসনা সম্ভবত এযাত্রায় অধরাই থেকে যাবে। সেই ‘আমি আমি’ করা গুজরাতি সন্তানকে সরকার বাঁচাতে এবং দলের স্বার্থে এবার কট্টর হিন্দুত্ব ও সঙ্ঘের পথ ছেড়ে জোটধর্ম শিখতে হবে। পদে পদে সমঝোতা করেই এগতে হবে তাঁকে। এখন নীতীশ, চন্দ্রবাবুর বিরুদ্ধে ইডি লাগান দেখি! দিল্লিতে অমিত শাহ ও অনুগত গুজরাতি আমলাদের একতরফা মস্তানির দিন শেষ।
ভারত কোনওদিনই এত ঘৃণা চায় না। তারা শান্তি ও সহাবস্থান চায়। এটাই তাদের ডিএনএ। মন্দিরে তারা ভগবানের নাম করতে যায়, দমন-পীড়নের জন্য নয়। ‘জয় শ্রীরাম’ হুঙ্কার দিয়ে কাউকে ভয় দেখানো কিংবা নিজের ক্ষমতা জাহির ধর্মীয় অস্ত্র হতে পারে না। প্রমাণ হয়ে গেল, মন্দির দিয়ে ভোট জেতা যায় না। না-হলে ২২ জানুয়ারির রামমন্দিরের উদ্বোধনের ভক্তিস্রোত তো ভাসিয়ে নিয়ে যেত উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন। কিন্তু মানুষ জবাবে বলল, এটা রামকে শ্রদ্ধা জানানোর পথ নয়। ৫০০ বছর পর ভগবান ঘর পেলেন ঠিকই কিন্তু গোটা প্রক্রিয়ায় কোথাও ভয়ঙ্কর ভুল ছিল। মন্দিরকে ছাপিয়ে আড়াল থেকে যদি কোনও ব্যক্তি মাথা তুলতে চান তাহলে অলক্ষ্যে সর্বশক্তিমান হাসেন। তাই ফৈজাবাদে উচিত শিক্ষাই পেয়েছে বিজেপি। খোদ রামমন্দিরের লোকসভা কেন্দ্রেই গেরুয়া শক্তির পরাজয় সেই ঔদ্ধত্যেরই জবাব বইকি। মোদিজিও সম্ভবত ভাবছেন—কুড়িবার তামিলনাড়ু আর কেরলে না গিয়ে সেই এনার্জিটা যদি উত্তরপ্রদেশে ব্যয় করতেন, যদি অমিত শাহরে বাড়বাড়ন্তে যোগীজি হতোদ্যম হয়ে পিছন থেকে সুতোটা না টানতেন! ক্ষমতার দম্ভে পাগল হয়ে মহারাষ্ট্র রাজনীতিকে এতটা ঘেঁটে ফেলার খুব প্রয়োজন ছিল কি? আসলে ক্ষমতা এমনই এক বিষম বস্তু যে সহজেই মাথায় চড়ে বসে। তখন আর ভারসাম্য কাজ করে না। ৪০০ পারের স্বপ্ন অথচ উপেক্ষিত থেকে গিয়েছে যোগীরাজ্যই। সেই ছিদ্র দিয়ে ঢুকেই সাপ কেটেছে লখিন্দরকে! এখন ধাক্কা খাওয়ার পর দু’শো যদি আর কিন্তুর ভিড়ে যেন আসল কারণটা হারিয়ে না যায়। তাহলে আরও বিপদ অপেক্ষা করছে।
ভারতের ইতিহাসে বারে বারে শক হূন দল পাঠান মোগল আক্রমণ শানিয়েছে। কিন্তু ভারতাত্মা সব প্রতিকূলতাকে সহ্য করে জয়ী হয়েছে। এবারও দেশের এই ক্রান্তিকালে তার কোনও ইতরবিশেষ হল না। মোদিজি ভারতের সনাতন ভ্রাতৃত্ব, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সবাইকে আপন করে নিয়ে চলার পথ থেকে বাঁক নেওয়ার যে দুঃস্বপ্ন মনে ধরেছিলেন তা ধুলোয় গড়াগড়ি খেল। জয় হল ভারতীয়ত্বের, জয় হল মহান সংবিধান ও গণতন্ত্রের। ব্যক্তি এখানে তুচ্ছ। এটাই চব্বিশের নির্বাচনের শিক্ষা।
09th  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

মানুষকে অপমান করা হচ্ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ অথবা বাবুইসোল কিংবা প্রতাপপুরে থাকি। সকাল ৬টার মধ্যে বাড়ির সব কাজ সেরে জঙ্গলে চলে যাই। খেজুর পাতা আনতে। ব্যাপারটা কঠিন। সেই পাতা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। ঝাঁটা তৈরি হবে। বিশদ

14th  June, 2024
গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদন!
মৃণালকান্তি দাস

চার্চিল নাকি বলেছিলেন, ‘পাবলিক ওপিনিয়ন’ বলে কিছু হয় না, পুরোটাই ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’! বিশদ

13th  June, 2024
পরমাত্মা এখন পরজীবী, প্রণত শরিক পদে
সন্দীপন বিশ্বাস

হে পরমাত্মা, হে নন বায়োলজিক্যাল প্রাণ, ধ্যানের খেলা যখন ভাঙল, তখন আপনি উঠে দেখলেন আপনার একচ্ছত্র সাম্রাজ্য চুরমার, আপনার শৌর্যের ঢক্কানিনাদ মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। দীর্ঘ ভোটপর্বের সমাপ্তি হয়েছে। আপনিও শপথ নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিশদ

12th  June, 2024
 ভোট, শেয়ার বাজার এবং কিছু শিক্ষা
 শান্তনু দত্তগুপ্ত

অধৈর্যদের টাকা ধৈর্যশীলদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কী? উত্তরটা দিয়ে গিয়েছেন ওয়ারেন 
বাফে—স্টক মার্কেট। তাঁর কথাটা বাজার দুনিয়ায় প্রায় মিথ হয়ে গিয়েছে। তা সে মার্কিন মুলুক হোক, বা ভারত। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতো জীবনের নানা ওঠাপড়ার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বাফের বিশ্লেষণ।
বিশদ

11th  June, 2024
নয়া অবতারে চ্যালেঞ্জের মুখে মোদি
পি চিদম্বরম

‘সমগ্র পৃথিবীটাই একটা রঙ্গমঞ্চ .../ এবং সমস্ত নরনারীই নিছক অভিনয় শিল্পী।/ নিজ নিজ ভূমিকা অনুসারে মঞ্চে তাদের সকলেরই প্রবেশ এবং প্রস্থান ঘটে;/ এমনকী, একই মানুষকে প্রয়োজনমতো অনেক ভূমিকার চিত্রায়ণ করতে হয়।’ বিশদ

10th  June, 2024
মোদি মোকাবিলায় মমতা একাই কাফি
তন্ময় মল্লিক

‘ভাগ্যিস বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়নি। জোট হলে জয়ের সব কৃতিত্ব কংগ্রেসই দাবি করে বসত।’ কথাগুলো তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার। তখনও লোকসভা নির্বাচনের সব আসনের ফল ঘোষণা হয়নি। তবে, ছবিটা মোটামুটি পরিষ্কার। বিশদ

08th  June, 2024
আজ হাসছে গণতন্ত্র
সমৃদ্ধ দত্ত

আজ হাসছেন মণিপুরের কাংপোকপি গ্রামের নারীরা। চরম অরাজকতায় তিন নারী প্রাণ বাঁচাতে সন্তান নিয়ে পালিয়েছিলেন হাওকচংচিং জঙ্গলে। সেখান থেকে টেনে বের করে তাঁদের নগ্ন করে হাঁটানো এবং গণধর্ষণ করা হয়। জ্বলছে মণিপুর মাসের পর মাস। আপনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ভ্রমণ করে বেরিয়েছেন। বিশদ

07th  June, 2024
একনায়কতন্ত্রকে হারিয়ে জয় গণতন্ত্রের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ঔদ্ধত্য আর অহঙ্কারের কোমর ভেঙে দিয়েছে বাংলা। আর্থিক বঞ্চনা, হকের টাকা আটকানো আর কেন্দ্রীয় বৈষম্যের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে পাহাড় থেকে সাগর। সমুচিত জবাব পেয়েছে বিজেপি। যে দল দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিল, যারা চেয়েছিল সংবিধানকে বদল করতে, যারা চেয়েছিল বাংলাকে পদানত করতে। বিশদ

06th  June, 2024
নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা
হারাধন চৌধুরী

রাজকোষের বিপুল অর্থ খরচ করে সুন্দর সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সংসদ ভবনকে ‘গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ মন্দির’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। অথচ তাঁরই গত দশ বছরের জমানায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়েছে গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। বিশদ

05th  June, 2024
আজ অগ্নিপরীক্ষা এক্সিট পোলের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘৫ তারিখ থেকে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে?’ ‘ভোটের রেজাল্টের দিনই কি গ্যাসের দাম বাড়ছে?’ ‘পেট্রলের দাম কি সত্যিই ৪০০ টাকা হচ্ছে?’ বিশদ

04th  June, 2024
মোদিকে পরিবর্তনপন্থীদের চ্যালেঞ্জ
পি চিদম্বরম

গত সপ্তাহের নিবন্ধ শেষ করেছিলাম এই বলে যে, ‘স্থিতাবস্থা রক্ষা করতে মরিয়া এবং সেটা ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ—এই দুই পক্ষের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে নির্বাচনের সাত দফা।’ অবশেষে ভোটগণনা আগামী কাল, মঙ্গলবার। বিশদ

03rd  June, 2024
একনজরে
রাজ্যে মোট কতগুলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে তার তথ্য তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। ভোট মেটার পর আদর্শ আচরণ বিধি উঠে গেলেও রাজ্যে রয়ে গিয়েছে ...

ভুয়ো চালান ব্যবহার করে নদী থেকে যেন বালি না ওঠে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকদের ডেকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার এভাবেই সতর্ক করেছেন। বৃহস্পতিবার বন ও ভূমি দপ্তরের স্থায়ী সমিতির বৈঠক ছিল। ...

আইএসএলের সর্বাধিক গোলদাতা দিমিত্রিয়াস ডায়ামান্টোকোসকে সই করিয়ে দলবদলের বাজার জমিয়ে দিল ইস্ট বেঙ্গল। ...

ঘোলা জল ঘিরে রাজনীতি বালুরঘাটে। অভিযোগ, গত সাতদিন ধরে পুরসভা বাড়ি বাড়ি যে পানীয় জল সরবরাহ করছে তা ঘোলা। ট্যাপ থেকে বেরচ্ছে লাল জল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বায়ু দিবস
১৭৫২: আমেরিকান বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ঘুড়ির সাহায্যে বিদ্যুতের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন
১৭৫৯: ঔরঙ্গজেব আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রার সিংহাসনে আরোহণ করেন
১৮৪৮: বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক বার্লিন শহরকে জার্মানির রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করেন
১৮৫৪: কলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উদ্যোগে প্রেসিডেন্সি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৫৫: ব্রিটেনে সংবাদপত্রের উপর থেকে কর তুলে দেওয়া হয়
১৮৯৬: জাপানে সুনামিতে ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু
১৮৯৯: ভারতীয় ভাস্কর,চিত্রশিল্পী এবং ললিত কলা একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরীর জন্ম
১৯০৮: কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ চালু হয়
১৯৫০: শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তালের জন্ম
১৯৫৩: চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের জন্ম
১৯৬০: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়
১৯৬৯: জার্মানির গোলকিপার অলিভার কানের জন্ম
১৯৭৭: দীর্ঘ ৪০ বছর পর স্পেনে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৯৮৬: ভারতে বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দলের (R.S.P.) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য তারাপদ লাহিড়ীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭২ টাকা ৮৪.৪৬ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৮৬ টাকা ১০৮.৩৪ টাকা
ইউরো ৮৮.২০ টাকা ৯১.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪। নবমী ৫৪/৩ রাত্রি ২/৩৩। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র ৮/১৫ দিবা ৮/১৪। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৮ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১ গতে ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১১/১৫ গতে ১/২৪ মধ্যে পুনঃ ২/৪৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১২/৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৬ গতে উদয়াবধি।   
৩২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪। নবমী রাত্রি ১/১২। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র দিবা ৭/৫২। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২০। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১১/২০ গতে ১/২৮ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৪ মধ্যে ও ৯/২৯ গতে ১২/৮ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৫৯ মধ্যে ও ৪/৪০ গতে ৬/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। 
৮ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
এখন কেমন আছেন সন্ধ্যা রায়
হাসপাতালে ভর্তি হলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। বুক ধড়পড় ও ...বিশদ

07:14:26 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারাল স্পেন

11:32:54 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: স্পেন ৩ : ক্রোয়েশিয়া ০ (হাফটাইম)

10:25:41 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: স্পেন ২ : ক্রোয়েশিয়া ০ (৩৩ মিনিট)

10:09:28 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: স্পেন ১ : ক্রোয়েশিয়া ০ (৩০ মিনিট)

10:07:05 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: মাঠ ভিজে থাকার কারণে ভারত বনাম কানাডার ম্যাচ বাতিল

09:13:01 PM