Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আজ অগ্নিপরীক্ষা এক্সিট পোলের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘৫ তারিখ থেকে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে?’
‘ভোটের রেজাল্টের দিনই কি গ্যাসের দাম বাড়ছে?’
‘পেট্রলের দাম কি সত্যিই ৪০০ টাকা হচ্ছে?’
এই প্রশ্নগুলো বাংলার আম জনতার। আর সেটাও এক্সিট পোলের সংখ্যাতত্ত্ব সামনে আসার ঠিক পর! বুথফেরত সমীক্ষা যদি একরাশ কৌতূহল মেটানোর মাধ্যম হয়ে থাকে, তাহলে একঝাঁক প্রশ্নও শুরু হচ্ছে ওই মুহূর্ত থেকে। কেন? প্রথমে দেখা যাক, বিভিন্ন সমীক্ষক সংস্থা বাংলা নিয়ে কী ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। ৪২টি আসনের মধ্যে এনডিটিভি বিজেপিকে দিয়েছে ২৩টি, আর তৃণমূলকে ১৮টি। জন কী বাত বিজেপির জন্য বরাদ্দ করেছে ২১-২৬টি আসন। তৃণমূলের জন্য ১৬-১৮। ইন্ডিয়া টুডে অ্যাক্সিস সমীক্ষা বলছে, বাংলায় বিজেপি পাবে ২৬-৩১টি আসন, আর তৃণমূল ১১-১৪টি। অর্থাৎ, এই সমীক্ষাগুলির ফল যদি সত্যি হয়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির দলের ২৪টির কম আসন পাওয়ার কথা নয়। কংগ্রেসের জন্য একটি আসন ছাড়লেও তৃণমূল ১৭টির বেশি কিছুতেই আসন পাবে না। এখানেই কয়েকটি প্রশ্ন উঠছে। একবার দেখে নেওয়া যাক। ১) লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কোনও প্রভাব কি বাংলার ভোটারদের মধ্যে পড়ছে না? এবারের ভোটে দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ কেন্দ্রেই মহিলা ভোটারের সংখ্যা পুরুষ ভোটারের তুলনায় বেশি। এখানেই শেষ নয়, প্রায় প্রত্যেক দফাতেই বহু কেন্দ্রে মহিলারা পুরুষদের থেকে বেশি সংখ্যায় ভোট দিয়েছেন। জেলার গ্রামে-গঞ্জে এখনও যদি কোনও মহিলাকে প্রশ্ন করা হয়, কাকে ভোট দিলেন? উত্তর আসে, ‘দিদিকে’। তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার কথা কিন্তু তাঁরা বলেন না। ২০২১ সালেও এই মহিলা ভোটারকুলই নির্ণায়ক শক্তি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২০০ অঙ্কের গণ্ডি পার করিয়ে দিয়েছিলেন। এক্সিট পোল সঠিক হলে ধরে নিতে হবে, রাজ্যের মহিলা ভোটাররা জনমোহিনী মমতাকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছেন। ২) মূল্যবৃদ্ধি কি আম জনতা মেনে নিয়েছে? এই প্রশ্নটা অবশ্য শুধু রাজ্যের জন্য নয়, গোটা দেশেই প্রযোজ্য। গত কয়েক বছর ধরে মূল্যবৃদ্ধির জ্বালায় লাগানোর মতো মলম খুঁজে পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। আয় যত, ব্যয়ের অঙ্ক তার থেকে অনেক বেশি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় চলে গিয়েছে যে, মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ের পরিমাণ মোদি জমানায় সর্বনিম্ন। এক্সিট পোলের রায় মিলে গেলে বুঝতে হবে, আম জনতা মনে করছে, মূল্যবৃদ্ধি বলে কিছুই নেই। মোদি সরকার যেভাবে সব সামলেছে, সেটা যথাযথ। ৩) বেকারত্বের জ্বালা বলেও কি কিছুই নেই? এই ফল হলে বুঝতে হবে, না নেই। চাকরির প্রয়োজন‌ই নেই যুব সম্প্রদায়ের। বছরে দু’কোটি চাকরি? না হলেও চলবে। অন্তত ১০ লাখ? সেটা না হলেই বা কী? নরেন্দ্র মোদি বাস্তবিকই আচ্ছে দিন এনে দিয়েছেন দেশে। তাই ঢালাও ভোট তাঁরই প্রাপ্য। ৪) ধর্মের রাজনীতিতেই ভরসা রাখছে দেশ? কারণ, প্রথম দু’দফার ভোটের পর ঩বিকাশ, উন্নয়ন, অর্থনীতি, সরকার কী করেছে, আর কী দিতে চলেছে... এইসব গল্পকথা থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছে বিজেপি। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরাসরি হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের খোল-করতাল বাজাতে শুরু করে দিয়েছিলেন। বিরোধীরা জিতে এলে হিন্দুদের সম্পত্তি কেড়ে মুসলিমদের দিয়ে দেওয়া হবে, মঙ্গলসূত্র কেড়ে নেবে... এই ধরনের মন্তব্য বারবার করেছেন মোদি। এক্সিট পোল অনুযায়ী, ধর্মের বিভাজন একেবারে মোক্ষম জায়গায় আঘাত করেছে। তাই এনডিএ ড্যাংড্যাং করে জিতে যাবে। এখানে একটা প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, মেরুকরণ বিজেপিকে ডিভিডেন্ড দিয়ে থাকলে সংখ্যালঘু ভোটের কী হল? তাঁদের তো এরপর আর চোখ বন্ধ করে নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বাস করার কথা নয়! আর সংখ্যালঘু ভোট গেরুয়া শিবিরের পক্ষে না গেলে কিছুতেই এনডিএর পক্ষে ৩৭০ পার করা সম্ভব নয়। দুর্নীতির ভিত্তিতে ভোট হয়েছে এবং এক্সিট পোল সেই মতো রায় দিয়েছে—এমনটাও মনে করা যাচ্ছে না। কারণ, তাহলে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা, বা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ পাবলিক উড়িয়ে দিত না। উল্টে বেছে বেছে বিজেপি-বিরোধী নেতাদের ইডি ও সিবিআই দিয়ে গুঁতো দেওয়াটা দেশের শিক্ষিত সমাজ ভালোভাবে মেনে নেয়নি। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারি এই ক্ষোভে আর একটু ঘি মাখিয়ে দিয়েছিল। সেই শিক্ষিত সমাজও কি তাহলে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদি ছাড়া আর কাউকে দেখতে পায়নি? 
মোদির ভোট, মোদির অ্যাসিড টেস্ট আর নয়। সপ্তম দফার নির্বাচন শেষ হতে না হতে ওই শব্দবন্ধগুলো পিছনের সারিতে চলে গিয়েছে। আজ অগ্নিপরীক্ষা এক্সিট পোলের। রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির অন্ধ সমর্থকরাও যে ফল কষ্ট করে মেনে নিচ্ছে, তা কীভাবে একাধিক সমীক্ষক সংস্থার মন কী বাত হয়ে গেল? দেখে মনে হচ্ছে, একজন আর একজনকে ফটোকপি করে রিপোর্ট দিয়ে দিয়েছে। কত নমুনা নেওয়া হয়েছে, কতজনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে, সে সব না হয় সংস্থাগুলির নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু যে ঝড়ের এফেক্ট রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, তেমনটা কি আদৌ ছিল? হয়তো ছিল। তাই তেনারা চ্যানেলে চ্যানেলে তা ফুটিয়ে তুলেছেন। প্রত্যেক দফা ভোটের পর ফাইনাল ফিগার দিতে নির্বাচন কমিশন দেরি করেছে। আর তারপর দেখা গিয়েছে, আগের দিনের তুলনায় ভোটদানের চূড়ান্ত হার পাঁচ-ছয় শতাংশ বেশি। সমীক্ষক সংস্থাগুলি যদি সেই ‘অতিরিক্ত ভোটদান’কে বিজেপির পক্ষে বলে ধরে নিয়ে থাকে, তাহলে এই ফল হতেই পারে। না হলে গতবারের তুলনায় ভোটদানের হারে চার-পাঁচ শতাংশ ঘাটতি সত্ত্বেও অঙ্ক বদলাল না কেন? অতীত বলছে, ভোটদানের গড় হার দুই শতাংশ কমলেই সরকারের পক্ষে তা বিপজ্জনক। এবার তো হার প্রায় পাঁচ শতাংশ। তার উপর মহিলাদের ভোটদান বেড়েছে, নতুন ভোটারও যোগ হয়েছে প্রায় পাঁচ কোটি। সেই সমীকরণটা কীভাবে মিলল? নতুন ভোটাররা কি সবাই নরেন্দ্র মোদিকে ভোট দিয়েছেন? আর যাঁরা এবার বুথমুখো হননি, তাঁরা সবাই কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টির ভোটার? কোন অঙ্কে এনডিএ শরিক চিরাগ পাসোয়ানের দল বিহারে পাঁচটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরও ছ’টি আসনে জেতার সম্ভাবনা দেখায়? কীভাবে হিমাচল প্রদেশ বা হরিয়ানায় মোট আসনের থেকে বেশি বিজেপি পায়? এমন সমীক্ষক সংস্থাকে আজ তো পরীক্ষায় বসতেই হবে। আর মনে রাখতে হবে কয়েকটি বছর। প্রথমেই ২০০৪। অটলবিহারী বাজপেয়ির জনপ্রিয়তায় ভেসে আগেভাগেই লোকসভা ভোট করিয়েছিল বিজেপি। এক্সিট পোল বলেছিল, হেসেখেলে ২৭৫ আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবেন বাজপেয়ি। তা কিন্তু হয়নি। এনডিএ থেমে গিয়েছিল ১৮৭তে। কিংবা ২০২০ বিহার বিধানসভা নির্বাচন। সেবারও বিভিন্ন সংস্থার বুথফেরত সমীক্ষা বলেছিল, তেজস্বী যাদব হেলায় জিতে যাবেন। কিন্তু তা হয়নি। বিজেপি-জেডিইউ জোটই ক্ষমতায় এসেছিল। আর সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হিসেবে একুশে বাংলার বিধানসভা নির্বাচন তো রয়েছেই। এবারও কি তেমন কিছুই অপেক্ষা করে আছে? এই প্রশ্নের উত্তরের উপর সমীক্ষক সংস্থা এবং চ্যানেলগুলির বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে রয়েছে। আজকের ফলের সঙ্গে মানুষ শনিবার রাতের হিসেবও মেলাবে। যদি সম্পূর্ণ উল্টো ফল হয়, তাহলে ভবিষ্যতে এক্সিট পোলের টিআরপি এতটা থাকবে কি না, তা ঘোর সন্দেহজনক। 
তাই এক্সিট পোলকে আজ পরীক্ষায় বসতেই হবে। সাধারণ মানুষকেও আজ জানাতে হবে, তারা কি এক্সিট পোলেই সায় দিয়েছে? নাকি সম্পূর্ণ উল্টো ফলের অপেক্ষায় আছে ৪ জুন? দুপুরের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে ছবিটা। ছেলেবেলায় শুনতাম, রেজাল্টের দিন টেনশন করে লাভ নেই। পরীক্ষার আগে টেনশন করতে হয়। এখন আর ব্যাপারটা তেমন মনে হচ্ছে না। পরীক্ষা যেমনই হয়ে থাকুক না কেন, রেজাল্ট ভালো হওয়ার ব্যাপারটা ঠিক ওইদিনের উপরই নির্ভর করে। কাউন্টিং ঠিকমতো হল কি না, স্ট্রংরুম থেকে সুষ্ঠুভাবে ইভিএম গণনাকেন্দ্রে এসে পৌঁছল কি না, লোডশেডিং হল কি না... এমন হাজারো শর্ত অপেক্ষায় থাকে গণনা-দিবসের। তীর্থের কাকের মতো তাকিয়ে থাকেন দেশের ভোটাররাও। একটি মাত্র ভোট। তার জন্য তাঁরা কেউ হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে এসেছেন, কেউ দিনমজুরি ছেড়েছেন, কেউ হাজার হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে পৌঁছেছেন ভোটকেন্দ্রে। ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে কেউ ভেবেছেন, এবার চাকরি পাব। কেউ ভেবেছেন, এবার ডিজেলের দামটা ৬০ টাকার নীচে নামবে। কেউ আবার ভেবেছেন, ৪০০ টাকায় আগের মতো গ্যাসটা পেলে আর কয়লা বা কাঠ জ্বালাতে হবে না। এটাই যে আসল ভারত। ভোট দেওয়াটা তাদের কাছে বিলাসিতা নয়, সত্যিই আচ্ছে দিনের চাবিকাঠি। তাঁরা প্রতিবাদ করতে জানেন না। সইতে জানেন। আর পারেন মুখ বুজে ফুরিয়ে যেতে। ভোট দেওয়াটাই যে তাঁদের কাছে একমাত্র মাধ্যম... গণতন্ত্র নামক দেবতার কাছে পৌঁছনোর।
ভীষণ যজ্ঞে প্রায়শ্চিত্ত/পূর্ণ করিয়া শেষে/নূতন জীবন নূতন আলোকে/জাগিবে নূতন দেশে।
আজ যে অগ্নিপরীক্ষা ভারতেরও।
04th  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

মানুষকে অপমান করা হচ্ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ অথবা বাবুইসোল কিংবা প্রতাপপুরে থাকি। সকাল ৬টার মধ্যে বাড়ির সব কাজ সেরে জঙ্গলে চলে যাই। খেজুর পাতা আনতে। ব্যাপারটা কঠিন। সেই পাতা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। ঝাঁটা তৈরি হবে। বিশদ

14th  June, 2024
গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদন!
মৃণালকান্তি দাস

চার্চিল নাকি বলেছিলেন, ‘পাবলিক ওপিনিয়ন’ বলে কিছু হয় না, পুরোটাই ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’! বিশদ

13th  June, 2024
পরমাত্মা এখন পরজীবী, প্রণত শরিক পদে
সন্দীপন বিশ্বাস

হে পরমাত্মা, হে নন বায়োলজিক্যাল প্রাণ, ধ্যানের খেলা যখন ভাঙল, তখন আপনি উঠে দেখলেন আপনার একচ্ছত্র সাম্রাজ্য চুরমার, আপনার শৌর্যের ঢক্কানিনাদ মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। দীর্ঘ ভোটপর্বের সমাপ্তি হয়েছে। আপনিও শপথ নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিশদ

12th  June, 2024
 ভোট, শেয়ার বাজার এবং কিছু শিক্ষা
 শান্তনু দত্তগুপ্ত

অধৈর্যদের টাকা ধৈর্যশীলদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কী? উত্তরটা দিয়ে গিয়েছেন ওয়ারেন 
বাফে—স্টক মার্কেট। তাঁর কথাটা বাজার দুনিয়ায় প্রায় মিথ হয়ে গিয়েছে। তা সে মার্কিন মুলুক হোক, বা ভারত। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতো জীবনের নানা ওঠাপড়ার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বাফের বিশ্লেষণ।
বিশদ

11th  June, 2024
নয়া অবতারে চ্যালেঞ্জের মুখে মোদি
পি চিদম্বরম

‘সমগ্র পৃথিবীটাই একটা রঙ্গমঞ্চ .../ এবং সমস্ত নরনারীই নিছক অভিনয় শিল্পী।/ নিজ নিজ ভূমিকা অনুসারে মঞ্চে তাদের সকলেরই প্রবেশ এবং প্রস্থান ঘটে;/ এমনকী, একই মানুষকে প্রয়োজনমতো অনেক ভূমিকার চিত্রায়ণ করতে হয়।’ বিশদ

10th  June, 2024
শরিকি মেহফিলে এবার মুজরো কার?
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছেন, এটা এখন সারা বিশ্বের জানা। চোখ ধাঁধানো মন্দির গড়েও উত্তরপ্রদেশে বিপর্যস্ত হয়েছেন, তাও অজানা নয়। কিন্তু যেটা আজানা, তা হচ্ছে জোট সরকারে দ্রুত রং বদলে ফেলা শরিকদের মেহফিলে ‘বিশ্বগুরু’র ‘মুজরো’টা শুরু হতে কতটা সময় লাগবে? বিশদ

09th  June, 2024
মোদি মোকাবিলায় মমতা একাই কাফি
তন্ময় মল্লিক

‘ভাগ্যিস বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়নি। জোট হলে জয়ের সব কৃতিত্ব কংগ্রেসই দাবি করে বসত।’ কথাগুলো তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার। তখনও লোকসভা নির্বাচনের সব আসনের ফল ঘোষণা হয়নি। তবে, ছবিটা মোটামুটি পরিষ্কার। বিশদ

08th  June, 2024
আজ হাসছে গণতন্ত্র
সমৃদ্ধ দত্ত

আজ হাসছেন মণিপুরের কাংপোকপি গ্রামের নারীরা। চরম অরাজকতায় তিন নারী প্রাণ বাঁচাতে সন্তান নিয়ে পালিয়েছিলেন হাওকচংচিং জঙ্গলে। সেখান থেকে টেনে বের করে তাঁদের নগ্ন করে হাঁটানো এবং গণধর্ষণ করা হয়। জ্বলছে মণিপুর মাসের পর মাস। আপনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ভ্রমণ করে বেরিয়েছেন। বিশদ

07th  June, 2024
একনায়কতন্ত্রকে হারিয়ে জয় গণতন্ত্রের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ঔদ্ধত্য আর অহঙ্কারের কোমর ভেঙে দিয়েছে বাংলা। আর্থিক বঞ্চনা, হকের টাকা আটকানো আর কেন্দ্রীয় বৈষম্যের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে পাহাড় থেকে সাগর। সমুচিত জবাব পেয়েছে বিজেপি। যে দল দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিল, যারা চেয়েছিল সংবিধানকে বদল করতে, যারা চেয়েছিল বাংলাকে পদানত করতে। বিশদ

06th  June, 2024
নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা
হারাধন চৌধুরী

রাজকোষের বিপুল অর্থ খরচ করে সুন্দর সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সংসদ ভবনকে ‘গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ মন্দির’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। অথচ তাঁরই গত দশ বছরের জমানায় সবচেয়ে বেশি অবহেলিত হয়েছে গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা। বিশদ

05th  June, 2024
মোদিকে পরিবর্তনপন্থীদের চ্যালেঞ্জ
পি চিদম্বরম

গত সপ্তাহের নিবন্ধ শেষ করেছিলাম এই বলে যে, ‘স্থিতাবস্থা রক্ষা করতে মরিয়া এবং সেটা ভাঙতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ—এই দুই পক্ষের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে নির্বাচনের সাত দফা।’ অবশেষে ভোটগণনা আগামী কাল, মঙ্গলবার। বিশদ

03rd  June, 2024
একনজরে
ঘোলা জল ঘিরে রাজনীতি বালুরঘাটে। অভিযোগ, গত সাতদিন ধরে পুরসভা বাড়ি বাড়ি যে পানীয় জল সরবরাহ করছে তা ঘোলা। ট্যাপ থেকে বেরচ্ছে লাল জল। ...

খেলতে গিয়ে ৫০ ফুট গভীর শুকিয়ে যাওয়া কুয়োয় পড়ে গেল দেড় বছরের এক শিশুকন্যা। শুক্রবার গুজরাতের আমরেলি জেলার সুরাগপাড়া গ্রামের ঘটনা। শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। ...

জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে ইতালির আপুলিয়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তৃতীয়বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর এটাই মোদির প্রথম বিদেশ সফর। এবিষয়ে বিবৃতি দিয়ে বিদেশ ...

বধূ নির্যাতনের অভিযোগ হামেশাই শোনা যায়। এবার স্বামীকে নির্যাতন করে খুনের ঘটনায় অভিযোগের কাঠগড়ায় স্ত্রী এবং তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত শহরের লঙ্কাবাগান ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বায়ু দিবস
১৭৫২: আমেরিকান বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ঘুড়ির সাহায্যে বিদ্যুতের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন
১৭৫৯: ঔরঙ্গজেব আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রার সিংহাসনে আরোহণ করেন
১৮৪৮: বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক বার্লিন শহরকে জার্মানির রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করেন
১৮৫৪: কলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উদ্যোগে প্রেসিডেন্সি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৫৫: ব্রিটেনে সংবাদপত্রের উপর থেকে কর তুলে দেওয়া হয়
১৮৯৬: জাপানে সুনামিতে ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু
১৮৯৯: ভারতীয় ভাস্কর,চিত্রশিল্পী এবং ললিত কলা একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরীর জন্ম
১৯০৮: কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ চালু হয়
১৯৫০: শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তালের জন্ম
১৯৫৩: চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের জন্ম
১৯৬০: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়
১৯৬৯: জার্মানির গোলকিপার অলিভার কানের জন্ম
১৯৭৭: দীর্ঘ ৪০ বছর পর স্পেনে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
১৯৮৬: ভারতে বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দলের (R.S.P.) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য তারাপদ লাহিড়ীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭২ টাকা ৮৪.৪৬ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৮৬ টাকা ১০৮.৩৪ টাকা
ইউরো ৮৮.২০ টাকা ৯১.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪। নবমী ৫৪/৩ রাত্রি ২/৩৩। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র ৮/১৫ দিবা ৮/১৪। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৮ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১ গতে ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১১/১৫ গতে ১/২৪ মধ্যে পুনঃ ২/৪৮ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১২/৩ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৬ গতে উদয়াবধি।   
৩২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪। নবমী রাত্রি ১/১২। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র দিবা ৭/৫২। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২০। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১১/২০ গতে ১/২৮ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৪ মধ্যে ও ৯/২৯ গতে ১২/৮ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৫৯ মধ্যে ও ৪/৪০ গতে ৬/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে ও ৩/৩৬ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। 
৮ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
এখন কেমন আছেন সন্ধ্যা রায়
হাসপাতালে ভর্তি হলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। বুক ধড়পড় ও ...বিশদ

07:14:26 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারাল স্পেন

11:32:54 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: স্পেন ৩ : ক্রোয়েশিয়া ০ (হাফটাইম)

10:25:41 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: স্পেন ২ : ক্রোয়েশিয়া ০ (৩৩ মিনিট)

10:09:28 PM

ইউরো কাপ ২০২৪: স্পেন ১ : ক্রোয়েশিয়া ০ (৩০ মিনিট)

10:07:05 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: মাঠ ভিজে থাকার কারণে ভারত বনাম কানাডার ম্যাচ বাতিল

09:13:01 PM