সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
মামা টেবিলে রাখা একটা আঙুর নিয়ে বলল, এটা কয়েকদিন রেখে দিলে কী হবে বল তো। ক্রমশ শুকিয়ে যাবে। তেমনই হয়েছে চাঁদের দশা। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের অন্তঃস্থল মানে যাকে বলে কোর এরিয়া, তা কয়েক কোটি বছরে ক্রমশ ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। চাঁদের বিভিন্ন ছবি বিচার বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা তা জানতে পেরেছেন। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা চাঁদের মাটিতে ভূমিকম্পের প্রভাব ও ফাটল খতিয়ে দেখে উপগ্রহটির ছোট হওয়ার কথা জানিয়েছে।
তিতাস বলে, ওই ঠান্ডা হওয়ার পালা এখনও কি চলছে? মামা উত্তরে বলে, প্রায় সাড়ে চারশো কোটি বছর আগে পৃথিবীর সঙ্গে একটি মহাজাগতিক বস্তুর ধাক্কায় চাঁদ তৈরি হয়েছিল। ওই ধাক্কায় প্রচুর তাপ তৈরি হয়। তখন থেকেই চাঁদ ঠান্ডা হয়ে চলেছে। তবে বাইরের দিকটা একেবারেই ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু চাঁদের ভেতরটা এখনও ঠান্ডা হচ্ছে। এরফলেই সঙ্কোচন হচ্ছে। আর এর প্রভাব পড়েছে পুরো চাঁদ জুড়েই। এই কারণেই চাঁদের পৃষ্ঠভূমি কমেছে এবং কঠিন উপরিভাগে ভাঁজ বা ফাটল তৈরি হয়েছে।
মামা আরও জানায়, চাঁদের কোর এরিয়ার ব্যাস প্রায় ৫০০ কিলোমিটার। তা অনেকটাই গলিত উপাদানে তৈরি। ওই ভিতরের অংশ এখনও ঠান্ডা হচ্ছে এবং পুনর্গঠিত হচ্ছে। এই কারণেই চাঁদের আয়তন কমেছে। তিতাস বলে, চাঁদ ছোট হলে আমাদের কোনও ক্ষতি হবে না তো? মামা বলে, যে হারে চাঁদ ছোট হচ্ছে, তাতে চিন্তার কোনও কারণ নেই। তাছাড়া চাঁদের ভর তো কমছে না। তাই পৃথিবী ও চাঁদের মাধ্যকর্ষণ বল একই থাকবে। কাজেই কোনও চিন্তা নেই।