Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

মহাপ্রলয় আসছে 

পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, ষষ্ঠ মহাপ্রলয় ঘটতে আর দেরি নেই। জঙ্গল কেটে সাফ হয়ে যাচ্ছে। বাড়ছে গাড়ি, কলকারখানার সংখ্যা। দূষিত হয়ে উঠছে পরিবেশ। গলতে শুরু করেছে কুমেরু ও সুমেরুর বরফ। মহাপ্রলয় আটকাতে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। পৃথিবীর ধ্বংস আটকানোর উপায় কী? লিখেছেন সুপ্রিয় নায়েক।
তোমরা গ্রেটা থুনবার্গের নাম শুনেছ? মেয়েটির বয়স মাত্র ১৬। কিশোরী মেয়েটি তার স্কুলে যাবে না বলে পণ করেছে। এভাবেই সে গড়ে তুলেছে আন্দোলন। সে প্রতিবাদ জানাচ্ছে প্রকৃতি ধ্বংস হওয়ার বিরুদ্ধে। গ্রেটা বলছে, মানুষের জন্যই পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং। রুষ্ট হতে শুরু করেছে পরিবেশ। এখনই দরকার পেট্রোল, ডিজেলের মতো জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করা। দরকার বনসৃজনের। গ্রেটার পাশে দাঁড়িয়েছে গোটা বিশ্ব। কয়েকজন গ্রেটাকে নোবেল দেওয়ার কথাও বলছেন। কিন্তু কী এই গ্লোবাল ওয়ার্মিং? সেই বিষয়ে যাওয়ার আগে কয়েকটা কথা বলে নিই।
গরম বাড়ছে
আচ্ছা, তোমরা একটা বিষয় খেয়াল করেছ? দিনকে দিন পৃথিবীতে কেমন গরম বেড়ে যাচ্ছে? এমনকী বর্ষার মরশুমে বৃষ্টি পড়ছে না! শীত ছোট হচ্ছে ক্রমশ! কখনও প্রশ্ন করেছ কেন এমন হচ্ছে? ক্রমাগত এমন হয়ে চললে ফলাফল কী হতে পারে?
এককথায় এই প্রশ্নের উত্তর হল, মহাপ্রলয় ঘটবে খুব তাড়াতাড়ি! এর আগে পৃথিবীতে মোট পাঁচবার মহাপ্রলয় ঘটেছে। শেষবার ঘটেছিল ৬.৬ কোটি বছর আগে। দৈত্যাকার সব ডাইনোসররা সেই প্রলয়ে হারিয়ে যায়। সেবার কেন প্রলয় ঘটেছিল, তা নিয়ে নানা মতামত রয়েছে। তবে এবার পরিবেশ বিজ্ঞানীরা একটা বিষয়ে নিশ্চিন্ত যে ষষ্ঠ মহাপ্রলয় ঘটবে মানুষের জন্যই। গ্লোবাল ওয়ার্মিং সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং
আমাদের পৃথিবীর চারদিকে ঘিরে রয়েছে ওজন স্তর। ওজন স্তর পৃথিবীকে রক্ষা করে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে। এই স্তর ক্রমশ ক্ষয়ে যাচ্ছে ক্লোরোফ্লুরো কার্বন গ্যাসের কারণে। এয়ার কন্ডিশন মেশিন, রেফ্রিজারেটর বিকিরণ করে ক্লোরোফ্লুরো কার্বন। ফলে সরাসরি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি প্রবেশ করছে পৃথিবীতে। বাড়ছে পৃথিবীর তাপমাত্রা। এছাড়া কলকারখানার সংখ্যা বেড়েছে। বেড়েছে পৃথিবীতে পেট্রোল, ডিজেল চালিত গাড়ির সংখ্যা। এগুলি বাড়িয়ে তুলছে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা! সিও-টু পরোক্ষে বাড়িয়ে তুলছে পরিবেশের তাপমাত্রা। একইসঙ্গে একেবারে বোকার মতো মানুষ নির্বিচারে ধ্বংস করে ফেলছে বনাঞ্চল। সমস্ত অরণ্য ধ্বংস করে পৃথিবীকে মরুভূমি বানিয়ে ফেলছি আমরা। এদিকে সবাই জানে, গাছ বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড নিয়ে অক্সিজেন দেয়। আর সেই উদ্ভিদকুলকে আমরাই ধ্বংস করছি। বাতাসে শ্বাস নেওয়া আরও কঠিন করে তুলছি! ফলে বেড়েই চলেছে পৃথিবীর উষ্ণতা। বিশ্বজুড়ে উষ্ণতার এই বৃদ্ধিকেই বিজ্ঞানীরা  বিশ্ব উষ্ণায়ন  বা  গ্লোবাল ওয়ার্মিং বলছেন।
আগামীর দিন বড় ভয়ঙ্কর
উষ্ণতার বৃদ্ধিতে মেরু অঞ্চলের বরফ গলতে শুরু করেছে। আর কয়েক বছরের মধ্যে সুমেরু আর কুমেরুর সমস্ত বরফ গলে জলে পরিণত হবে। সমুদ্রের জলতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে।  ফলে পৃথিবীর সমুদ্রের উপকূলবর্তী এলাকাগুলি চলে যাবে জলের তলায়। মনে রাখতে হবে আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গও কিন্তু তলিয়ে যেতে পারে জলের তলায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এমন হলে ক্রমশ বাড়বে ম্যালেরিয়া, গোদ, কলেরা, ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ। শুরু হবে নতুন ধরনের অসুখ। সমুদ্রের জল দূষিত হতে শুরু করেছে। ক্রমশ আরও দূষণ বাড়বে। মারা পড়বে বহু সামুদ্রিক জীব। সম্পূর্ণ ধ্বংস হবে প্রবাল প্রাচীর। পেঙ্গুইনদেরও সম্ভবত আমরা দেখতে পাব না। বরফ গলতে শুরু করায় মেরু ভাল্লুকরা এমনিতেই মরতে বসেছে। তিমি, হাঙররাও শেষ হয়ে যাবে একদিন। সবচাইতে বড় পরিবর্তন দেখা দেবে আবহাওয়ায়। ঘনঘন ঘূর্ণিঝড় দেখা দেবে। ক্ষতি হবে ফসলের। খাদ্যের অভাব দেখা যাবে। বাড়বে খরা ও বন্যার প্রকোপ। ক্রমশ ধ্বংস হয়ে যাবে মানবজাতি।
উপায় কী?
উপায় মূলত দু’টি। ক) মানুষের কার্যকলাপের উপর নিয়ন্ত্রণ। খ) বনসৃজন।
মানুষের কার্যকলাপের উপর নিয়ন্ত্রণ
প্রথমত কলকারখানায় কয়লার মতো জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে। এছাড়া পরিবেশে কলকারখানা থেকে মেশা ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশা বন্ধ করতে হবে। এছাড়া প্লাস্টিক ব্যবহার এখনই বন্ধ করা দরকার। পেট্রোল, ডিজেল চালিত গাড়ি কমিয়ে ফেলা উচিত। এমনকী বিদ্যুৎ উৎপাদনেও কমাতে হবে কয়লার ব্যবহার। বরং বাড়াতে হবে সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জলবিদ্যুৎ, বায়ো গ্যাস, জোয়ার-ভাটা শক্তি, পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার।
বনসৃজন বা জঙ্গল উদ্ধার
আধুনিকতার নামে বন কেটে বাড়ছে মানুষের বসতি। তাই আগে শহরের বৃদ্ধি কমাতে হবে। বন কেটে আর বাড়িঘর করা যাবে না। বরং নতুন করে আরও গাছ লাগাতে হবে। অরণ্য থাকলে বিশ্ব উষ্ণায়ন আটকে দেওয়া যাবে। আর তা করা সম্ভব মাত্র ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে!
এই দ্বিতীয় কাজটি করা হল সবচাইতে সোজা। জানলে অবাক হবে, বেশ কয়েকজন আছেন, যাঁরা একটা গোটা জঙ্গলই বানিয়ে ফেলেছেন নিজের চেষ্টায়। তাঁরাই হলেন আমাদের অরণ্য মানব আর মানবী। তাঁরাই আমাদের আদর্শ, আমাদের নায়ক ও নায়িকা। এসো তাঁদের কয়েকজনকে চিনে রাখি।
 যাদব পায়েং: তাঁকে সবাই মুলাই বলে ডাকে। অসমিয়া ভাষায় মুলাই শব্দের অর্থ জঙ্গল। যাদব ওরফে মুলাই একটা অসম্ভব কাজ করে ফেলেছেন। ধু ধু করা ব্রহ্মপুত্রের ন্যাড়া বালুচরে, একা হাতে গাছ লাগাতে শুরু করেন ১৬ বছর বয়স থেকে। এখন সেই জঙ্গল ৫৫০ হেক্টর জুড়ে বড় হয়েছে! যাদবের সম্মানে এই গোটা জঙ্গলটির নাম হয়েছে মুলাই কাঠনি। সম্পূর্ণ মরুভূমি হয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্রের বুকে গড়ে ওঠা জঙ্গলে এখন বাস করে হাতি, গণ্ডার, চিতাবাঘ, হরিণ, অসংখ্য পরিযায়ী পাখি। এভাবেই যাদব বন্যপ্রাণীদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন তাঁদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া জঙ্গল! ২০১২ সালে যাদবের এই অবদানের জন্য জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটি তাঁকে  ফরেস্ট ম্যান অব ইন্ডিয়া  শিরোপা  দেয়। ওই বছরেই ভারতের সেই সময়ের প্রেসিডেন্ট এপিজে আব্দুল কালাম মুম্বইয়ে যাদব পায়েংকে আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করেন। ২০১৫ সালে তিনি পান পদ্মশ্রী পুরস্কার।
 কোল্লাক্কোয়িল দেবকী আম্মা: দেবকী আম্মার বয়স এখন ৮৫। দেবকী আম্মার বাড়ি কেরালার আলাপ্পুরা জেলায়। বাড়ির পিছনে পাঁচ একর জমি ছিল তাঁর। সেই ১৯৮০ সাল থেকে তিনি সেই জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগাতে শুরু করেন। আজ সেই জমিতে তৈরি হয়েছে গভীর শান্ত বন। সেখানে নিশ্চিন্তে বাসা বেঁধেছে ময়ূর, বাজ, নীলকণ্ঠ, ডাহুক সহ নানা প্রজাতির পাখি। বাঁদর, বনবেড়াল, ছোটখাট জন্তু জানোয়ারেরও ঠাঁই হয়েছে বইকি। দেবকী আম্মার নাতিনাতনিরাও স্কুলের ছুটিতে ঠাকুমার সঙ্গে হাত লাগিয়ে সেই বনে গাছ লাগান। এই অরণ্যে রয়েছে ছোট পুকুর! জলাভূমি! দেবকী আম্মা তাঁর নিজের হাতে তৈরি অরণ্য খুলে দিয়েছেন শিক্ষামূলক ভ্রমণের জন্য। স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা সেখানে প্রায় ৩ হাজার প্রজাতির গাছপালা দেখতে যান। আহরণ করেন প্রকৃতি নিয়ে জ্ঞান। দেবকী আম্মার এই কাজের জন্য তিনি ভারত সরকারের তরফে পেয়েছেন, ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী বৃক্ষামিত্র পুরস্কার এবং নারী শক্তি পুরস্কার। এছাড়া রাজ্য সরকারের তরফেও পেয়েছেন।
এই ৮৫ বছর বয়সেও তিনি এখনও রোজ ভোরবেলা হেঁটে যান তাঁর নিজের হাতে তৈরি বনের মধ্যে দিয়ে। এখনও গাছ লাগান মাটি খুঁড়ে!
 পামেলা মলহোত্রা এবং অনিল কে মলহোত্রা: এই দম্পতি কর্ণাটকের কোদাগু জেলায়, পশ্চিমঘাট পর্বতমালায় প্রায় ৩০০ একর জমিতে বানিয়ে ফেলেছেন বিশাল অরণ্য। এই অরণ্য তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় ২৫ বছর। নিজেদের সমস্ত জমানো টাকাপয়সা খরচ করে অল্প অল্প করে তাঁরা জমি কিনতে থাকেন। সঙ্গে শুরু করেন গাছ লাগানো। বর্তমানে ওই জঙ্গলের নাম সাই স্যাংচুয়ারি। সেখানে বাস করে হাতি, লেপার্ড, হরিণ, সাপ, কতশত পাখি।
 সেবাস্টিও রিবেইরো সালগাদো ও লিলিয়া: সেবাস্টিও একজন চিত্রসংবাদিক। তাঁর স্ত্রী’র নাম লিলিয়া। ব্রাজিলের মিনে জ়েরাইস অঞ্চলে এই মোরেস-এ সেবাস্টিওর বাপ-ঠাকুর্দার ছিল প্রায় ১৭৫৪ একর জমি। সেই জমিতে ছিল জঙ্গল। বড় বড় গাছ। কতশত পাখি আর বন্যপ্রাণীর বাস। সেবাস্টিওর বাবা ও দাদুরা নির্বিচারে সেই অরণ্যের গাছ কেটে বিক্রি করতে শুরু করলেন। ফলে একটা বড় জঙ্গল ধূসর জমিতে পরিণত হল। সেবাস্টিও বুঝলেন প্রকৃতির সঙ্গে বড় পাপ করা হয়ে গিয়েছে। তিনি আর তাঁর স্ত্রী পণ করলেন এই জঙ্গলকে ফেরাতে হবে। ধীরে ধীরে গাছ লাগাতে শুরু করলেন সেই জমিতে। ২০ বছরের চেষ্টায় ২০ লক্ষ গাছ লাগিয়ে ফেলেছিলেন তাঁরা। রুক্ষ জমি এখন বদলে গিয়েছে জঙ্গলে। ফিরে এসেছে কতশত পাখি,  জন্তু-জানোয়ার! সালগাদো বলছেন, আমাদের গ্রহকে বাঁচাতে হলে অরণ্য ফিরিয়ে আনা ছাড়া আর কোনও গতি নেই। তিনি বলছেন, জঙ্গল উদ্ধার করলে আমরা জলবায়ুর পরিবর্তন আটকাতে পারব। পারব পৃথিবীকে ধ্বংস হওয়ার হাত থেকেও বাঁচাতে।
 সবশেষে আমরা: চলো বন্ধুরা। আমরাও আজ থেকে গাছ লাগাতে শুরু করি। একটুকরো ফাঁকা জমি পেলেই তো চলবে! একইসঙ্গে কোথাও গাছ কাটা হলে তার প্রতিবাদ করি। কারণ অরণ্য থাকলেই সেখানে বাসা করবে সবুজ বসন্তবৌরি, টুনটুনি, দুর্গা টুনটুনি, কাঠঠোকরা, ধনেশ, নীলকণ্ঠ, পাপিয়া, ময়না, টিয়া, প্যাঁচা। একই সঙ্গে বন্ধ করতে হবে পুকুর বোজানো। কারণ জলেও তো বহু প্রাণী বাস করে। তারাও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। বন্ধ করি প্লাস্টিকের ব্যবহার। প্লাস্টিক জমিকে করে তোলে অনুর্বর। এসো এভাবেই আমরা আমাদের প্রকৃতি মা’কে রক্ষা করি একসঙ্গে, আজ থেকেই!
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে 
20th  October, 2019
ছোটদের রান্নাঘর 

তোমাদের জন্য চলছে একটি আকর্ষণীয় বিভাগ ছোটদের রান্নাঘর। এই বিভাগ পড়ে তোমরা নিজেরাই তৈরি করে ফেলতে পারবে লোভনীয় খাবারদাবার। বাবা-মাকেও চিন্তায় পড়তে হবে না। কারণ আগুনের সাহায্য ছাড়া তৈরি করা যায় এমন রেসিপিই থাকবে তোমাদের জন্য। এবার সেরকমই দুটি জিভে জল আনা রেসিপি দিয়েছেন দ্য পার্কিং লট রেস্তোরাঁর এক্সিকিউটিভ শেফ সুমিত রঘুবংশী। 
বিশদ

10th  November, 2019
জওহরলাল নেহরুর ছেলেবেলা 

আমাদের এই দেশকে গড়ে তোলার জন্য অনেকে অনেকভাবে স্বার্থত্যাগ করে এগিয়ে এসেছিলেন। এই কলমে জানতে পারবে সেরকমই মহান মানুষদের ছেলেবেলার কথা। এবার পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। লিখেছেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়। 
বিশদ

10th  November, 2019
ছোটদের ভালোবাসতেন চাচা নেহেরু 

স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। শিশুদের কাছে তিনি চাচা নেহরু হিসেবে বেশি জনপ্রিয়। নেহরু ছোটদের খুব ভালোবাসতেন বলে তাঁর জন্মদিনটি অর্থাৎ ১৪ নভেম্বর দেশজুড়ে শিশুদিবস পালিত হয়। প্রিয় চাচা নেহরুকে নিয়ে লিখেছে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা।  
বিশদ

10th  November, 2019
মার্কশিট 

তোমাদের জন্য চলছে নতুন বিভাগ। এই বিভাগে থাকছে পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর সুলুক সন্ধান। এবারের বিষয় বাংলা।
 
বিশদ

03rd  November, 2019
সে কি সত্যি হবে! 
আয়ূষী বন্দ্যোপাধ্যায়

পাইন আর দেওদার গাছের মধ্যে পাখির বাসা থাকে কি না তা ঠিক জানা নেই, তবে এক মিষ্টি পাখির কূজন কানে ভেসে আসে রোজই। গতকাল রাতে অমন ঝড়, বৃষ্টি, দম্ভোলি হয়েছে কে বলবে? ভোরের প্রভাকরের প্রকীর্ণ আভা যেন দুর্যোগকে নিশ্চিহ্ন করেছে। ঈশ্বরের দেশে সবই তো তাঁর লীলাখেলা, সেখানে যে নেই কোনও মোহ, মায়া, মাৎসর্য। শুধুই আছে মনকে দয়ার্দ্র করে তোলার পরিপূর্ণ রসদ। 
বিশদ

03rd  November, 2019
পুজোর ছুটি 

পুজোর ছুটিতে কে কী করবে তার পরিকল্পনা অনেক আগেই সেরে ফেলে ছোটরা। সেই তালিকায় ঠাকুর দেখা, খাওয়া-দাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে গল্পগুজব, মামার বাড়ি যাওয়া, বেড়ানো, গল্পের বই পড়া, খেলাধুলো সবই থাকে। এবারের পুজোর ছুটি কার কেমন কাটাল তোমাদের শোনাচ্ছে বৈঁচি বিহারীলাল মুখার্জি’স ফ্রি ইনস্টিটিউশনের ছাত্র-ছাত্রীরা। 
বিশদ

03rd  November, 2019
 আলোর উৎসব
কা লী পু জো

 রং-বেরঙের আলো দিয়ে বাড়ি সাজানো, তুবড়ি, হাউই আর রংমশালের আলোর ছটা, মিষ্টিমুখ, রাত জেগে পুজো দেখা... এমনভাবেই কেটে যায় কালীপুজোর দিনটা। জানাল বিভিন্ন স্কুলের ছেলেমেয়েরা। বিশদ

27th  October, 2019
 ভগিনী নিবেদিতা

 আমাদের এই দেশকে গড়ে তোলার জন্য অনেকে অনেকভাবে স্বার্থত্যাগ করে এগিয়ে এসেছিলেন। এই কলমে জানতে পারবে সেরকমই মহান মানুষদের ছেলেবেলার কথা। এবার ভগিনী নিবেদিতা। লিখেছেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়। বিশদ

27th  October, 2019
হ্যালোইন নাকি ভূত উৎসব

কার কতটা ভূতের ভয় তা আমার জানা নেই, আমার কিন্তু খুবই ভূতের ভয়, তাই রাতে আমি একা একা ঘরে শুতে পারি না, চোখ বুঝলেই ভূশুণ্ডির মাঠ থেকে হাজার হাজার ভূত উড়ে এসে আমাকে ঘিরে ধরে, কেউ আমার পা ধরে টানে কেউ বা আবার কাতুকুতু দিয়ে আমাকে নাজেহাল করে ছাড়ে, সে সব দুঃখের কথা আজ নয় ছেড়েই দিলাম। তাই ভূত নিয়ে কিছু লিখতে গেলে আমার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে, গায়ের লোম খাড়া হয়ে যায়। বিশদ

27th  October, 2019
হিলি গিলি হোকাস ফোকাস 

চলছে নতুন বিভাগ হিলি গিলি হোকাস ফোকাস। এই বিভাগে জনপ্রিয় জাদুকর শ্যামল কুমার তোমাদের কিছু চোখ ধাঁধানো আকর্ষণীয় ম্যাজিক সহজ সরলভাবে শেখাবেন। আজকের বিষয় থট-রিডিং।   বিশদ

20th  October, 2019
মামরাজ আগরওয়াল রাষ্ট্রীয় পুরস্কার 

প্রতিবারের মতো এবারও ‘মামরাজ আগরওয়াল রাষ্ট্রীয় পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল মামরাজ আগরওয়াল ফাউন্ডেশন। গত ২১ সেপ্টেম্বর রাজভবনে অনুষ্ঠানটি হয়েছিল। এবার মোট ৯৯ জন ছাত্রছাত্রীকে পুরস্কৃত করা হয়।   বিশদ

20th  October, 2019
হোয়াইট হাউসে ভূতের ভয়! 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ঘটনা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এসেছেন হোয়াইট হাউসে। সারা দিনের কর্মব্যস্ততায় ক্লান্ত শরীর। স্নান সেরে সোজা নিজের ঘরে। পরনে কোনও পোশাক নেই। নিজের মতো করে পাওয়া সময়টাকে আরও একটু উপভোগ করতে ধরালেন একটা চুরুট।  
বিশদ

13th  October, 2019
কাটিয়ে উঠে ভীতি, প্রথম দিনের স্মৃতি 

স্কুলের প্রথম দিনটি সবার কাছে একই অনুভূতি নিয়ে আসে না। কেউ ভয় পায়, কেউ বা উদ্বেগে ভোগে। কিছুদিন বাদে সব ভুলে স্কুলই হয়ে ওঠে ঘরবাড়ি। সেইরকমই কিছু অনুভূতি তোমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিল মিশ্র অ্যাকাডেমির বন্ধুরা। 
বিশদ

13th  October, 2019
একনজরে
গাজা সিটি, ১৪ নভেম্বর (এপি): টানা বহু মাস ধরে গাজার ইসলামিক জিহাদ জঙ্গি বাহিনী এবং ইজরায়েল সেনাবাহিনীর লাগাতার গোলাগুলির লড়াইয়ের পর অবশেষে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রশান্ত কিশোরের দাওয়াই মেনে এবার ইস্তাহার উপনির্বাচনেও। দলের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও উপনির্বাচনে ভোটারদের কাছে পৌঁছতে এলাকা ভিত্তিক ইস্তাহার প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিল ...

সংবাদদাতা, বালুরঘাট: ঘোষণাই সার, বেআইনি টোটো বন্ধ হয়নি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। এনিয়ে একদিনের জন্যও কোনও অভিযান চালাতে দেখা যায়নি আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরকে। ফলে টোটোযন্ত্রণা নিয়ে ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উত্তর পূর্ব ভারত থেকে আসছে নিষিদ্ধ মাদক ট্যাবলেট ইয়াবা। এই কারবারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে জাল নোটও। তদন্তে নেমে এই তথ্য হাতে পেল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২১: রুশ সাহিত্যিক ফিওদর দস্তয়েভস্কির জন্ম
১৮৮৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম
১৯১৮: শেষ হল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
১৯৩৬: অভিনেত্রী মালা সিনহার জন্ম

11th  November, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.২৯ টাকা ৭৩.০০ টাকা
পাউন্ড ৯১.০০ টাকা ৯৪.৩২ টাকা
ইউরো ৭৭.৯২ টাকা ৮০.৮৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৮৭৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৮৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৪৪০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ কার্তিক ১৪২৬, ১৫ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, তৃতীয়া ৩৪/৪৩ রাত্রি ৭/৪৬। মৃগশিরা ৪৩/১৮ রাত্রি ১১/১২। সূ উ ৫/৫২/৪৬, অ ৪/৪৯/৩০, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২২ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/৩৭ গতে ১১/২১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৫ গতে ৯/৪৩ মধ্যে।
২৮ কার্তিক ১৪২৬, ১৫ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, তৃতীয়া ৩৩/৪৬/২৯ রাত্রি ৭/২৪/৪৫। মৃগশিরা ৪৪/২৬/৪৪ রাত্রি ১১/৪০/৫১, সূ উ ৫/৫৪/৯, অ ৪/৫০/১, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে ও ৭/৩১ গতে ৯/৩৯ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৪/৫০ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১০ মধ্যে ও ১১/৫৩ গতে ৩/২৪ মধ্যে ও ৪/১৯ গতে ৫/৫৫ মধ্যে, বারবেলা ৮/৩৮/৭ গতে ১০/০/৬ মধ্যে, কালবেলা ১০/০/৬ গতে ১১/২২/৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৬/৩ গতে ৯/৪৪/৪ মধ্যে।
 ১৭ রবিয়ল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। বৃষ: বন্ধুবান্ধব ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৫৩৩: ইনকা সভ্যতার রাজধানী কুঝকোয় পদার্পণ করলেন ফ্রান্সিসকো পিজারিও১৬৩০: জার্মান ...বিশদ

07:03:20 PM

কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তা অমিতাভ বচ্চনের 

05:20:00 PM

প্রথম টেস্ট: দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারত ৪৯৩/৬ (৩৪৩ রানের লিড) 

05:05:49 PM

মালদহের সুজাপুরে ২০ লক্ষ টাকার জালনোট উদ্ধার 
২০ লক্ষ টাকার জালনোট উদ্ধার হল মালদহের কালিয়াচক এলাকার সুজাপুরে। ...বিশদ

03:53:52 PM

দ্বিশতরান মায়াঙ্ক আগরওয়ালের, ভারত ৩৬৫/৪

03:51:23 PM