Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

গুপ্ত রাজধানী: দেবী যোগমায়া মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

দ্বিতীয় আকবর শাহের দুর্ভাগ্য যে, পুত্র মির্জা জাহাঙ্গিরকে কিছুতেই বশে আনতে পারলেন না। মাথা ঠান্ডা রাখা যে, সাম্রাজ্য চালানোর সবথেকে বড় শর্ত, এটা সকলে বুঝতে পারে না। ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ হয়ে গিয়ে সর্বস্ব হারাতে হয়েছে, এই ইতিহাস মুঘল বংশে বহু দেখা যায়। এমনিতেই সম্রাট আকবর শাহ নিজের বড় পুত্র বাহাদুর শাহকে পছন্দ করেন না। তিনি তাই মনে মনে স্থির করেছেন যে পরবর্তী সন্তান মির্জা জাহাঙ্গিরকেই তখতে বসাবেন। তাঁর উত্তরাধিকারী হবে মির্জা। সমস্যা দুটো। প্রথমত মির্জা এই কৈশোর বয়স থেকেই যতরকম লাম্পট্য আর বিলাসিতা অর্জন করা সম্ভব, সবই করেছে। অতএব তাকে কতজন উজির অথবা সুবেদাররা মেনে নেবে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আর দ্বিতীয় সঙ্কট হল, ইংরেজরা। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির তরফে যে ব্রিটিশ রেসিডেন্ট দিল্লিতে এখন রয়েছেন, সেই আর্চিবল্ড সিটন এই সিদ্ধান্তের বিরোধী। কারণ কী? কারণ এই ব্রিটিশ রেসিডেন্ট জানেন যে, যাকে মুঘল সম্রাট আকবর শাহ নিজের উত্তরাধিকারী হিসেবে ঘোষণা করতে চান, সেই মির্জা জাহাঙ্গির ওই পদে বসার যোগ্যই নয়। যথেচ্ছাচারী এক দুবির্নীত তরুণ। আকবর শাহ শেষবার ব্রিটিশ রেসিডেন্টকে একবার বোঝাবেন। সেই কারণে তাঁকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে লালকেল্লায়। ১৮১২। আলোচনা হচ্ছে নানাবিধ বিষয়ে। সবশেষে আবার সেই সিংহাসনের দাবিদার প্রসঙ্গ। আকবর শাহ জানিয়ে দিলেন যে, তাঁর ঐকান্তিক ইচ্ছা মির্জা জাহাঙ্গিরকেই সিংহাসনে বসানোর। ব্রিটিশ রেসিডেন্ট বললেন, আপনাকে আমি তো আগেই বলেছি যে, এ ব্যাপারে কোম্পানি ঩ভিন্ন মত পোষণ করে। আপনারা এই সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। যা নিয়ম, সেটাই পালন করতে হবে। বড় ছেলেকে সিংহাসনে বসান। অথবা অন্য কাউকে। কিন্তু মির্জা অনুপযুক্ত।   দ্বিতীয় আকবর শাহ নি঩জেও জানেন যে, এই ব্রিটিশ কোম্পানির শক্তি তাঁর সেনাবাহিনীর থেকে বেশিই। যখন তখন হুমকি দেয় এরা। অতএব কী আর করার আছে! আকবর শাহ মেনে নিলেন। তবে শঙ্কিত তিনি। কারণ, এই যে অগ্রজ বাহাদুর শাহকে উত্তরাধিকারী না করে অনুজকে পরবর্তী সম্রাট করার পিছনেও অনেকটা রয়েছে বেগম মমতাজ মহলের প্ররোচনা। আকবর শাহের বেগমদের মধ্যে এই মমতাজ মহলের দাপট সবথেকে বেশি। তাই তিনি সাফ জানিয়েছেন যে, তাঁর পুত্র মির্জা জাহাঙ্গিরকেই সম্রাট করতে হবে। আকবর শাহ রাজি হয়েছিলেন। কারণ একদিকে যেমন এই ছোট ছেলে মির্জা বিলাসিতায় মত্ত, আবার অন্যদিকে বড় ছেলে বাহাদুর শাহ কবিতা লেখা, ছবি আঁকা এসব অদ্ভুত অদ্ভুত কাজে ব্যস্ত। তাঁর দাপট নেই। হাঁকডাক নেই। শের শায়েরি করে আর ওইসব শায়েরদের সঙ্গে সময় কাটায়। এরকম কাউকে সিংহাসনে বসানো বিপজ্জনক। কিন্তু আকবর শাহের আর উপায় নেই। স্বয়ং কোম্পানি বাহাদুর বলে যাচ্ছে যে, তাদের মির্জাকে অপছন্দ। 
কিন্তু  পিতা মেনে নিলেও মির্জা কেন মেনে নেবে? সে  লালকেল্লার ছাদে চলে গেল। ব্রিটিশ রেসিডেন্ট আর্চিবল্ড সিটন যখন ঘোড়া নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন, তখন তাঁকে লক্ষ্য করে মির্জা গুলি করল। প্রতিহিংসায় তার মাথা জ্বলছে। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হল সেই গুলি। আর্চিবল্ড দেখলেন তাঁর শরীরে না লাগলেও তাঁর দেহরক্ষী মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। তৎক্ষণাৎ ঘোড়া ঘুরিয়ে আর্চিবল্ড লালকেল্লায় ফিরলেন। আর সম্রাটকে আদেশ দিলেন, আপনার ছেলেকে বলুন করজোড়ে ক্ষমা চা‌঩ইতে। আমাকে গুলি করার সাহস পায় কীভাবে? আকবর শাহ ছেলেকে বললেও মির্জা অনড়। সে বলল, প্রাণ থাকতে ক্ষমা চাইব না। আর্চিবল্ড ফিরে গিয়ে আবার এলেন  বিরাট বাহিনী নিয়ে। আর আকবর শাহের লালকেল্লা অবরোধ করে বললেন, মির্জাকে দিল্লিতেই রাখা চলবে না। আমরা ওকে নির্বাসনের নির্দেশ দিলাম। এলাহাবাদে পাঠিয়ে দেওয়া হোক। এই বিরাট বাহিনীর সামনে আকবর শাহ কিংবা মির্জার পক্ষে সত্যিই আর কিছু বাড়াবাড়ি করতে যাওয়া মানেই আত্মহত্যা। অতএব মির্জাকে নির্বাসনে যেতেই হল। 
দিন যায়। মাস যায়। বছর যায়। ছেলে কি আর ফিরবে না? কেমন আছে সে? ব্রিটিশদের জেলে? মমতাজ মহল প্রাণপণে ঈশ্বরকে ডাকছেন। পরপর দু’দিন আশ্চর্য ঘটনা। রাতে স্বপ্নে এলেন এক দেবী। এবং খাজা বখতিয়ার কাকী। এই দেবী কে? যোগমায়া। দিল্লির দক্ষিণ প্রান্তে ঩দেবীর মন্দির। আবার কাছেই রয়েছে সেই খাজা বখতিয়ারের দরগা। তাঁদের স্বপ্নে পেয়ে বেগম মমতাজ মহল স্থির করলেন, তাঁর পুত্র আবার নিরাপদে ফিরে এলে তিনি এই দু’জনকেই পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। 
পাল্টে গেল নাকি মির্জা? সে নাকি ভালো ব্যবহার করেছে নির্বাসনকালে। তাই তাকে মুক্ত করে দিল্লিতে নিয়ে আসা হচ্ছে। অতএব মহাধুমধাম দিল্লিতে। মমতাজ মহলের নির্দেশে শহরকে সাজানো হল নতুন দুলহানের মতো। শুরু হল উৎসব।  কী হবে উৎসবে? সম্রাট, বেগম ও মির্জা তিনজন মিলে যাওয়া হল দিল্লির মেহরৌলি অঞ্চলে। সেখানে ফুলের পসরা সাজিয়ে বসেছে ফুলওয়ালিরা। তাদের থেকে নেওয়া হল একটি ফুলের চাদর। একটি ফুলের পাখা। প্রথমটি দেওয়া হল খাজা বখতিয়ারের দরগায়। আর ফুলের পাখা দিয়ে পুজো দিলেন তাঁরা দেবী যোগমায়া মন্দিরে। সেই উৎসব আজও সমানভাবে ভাস্বর। ফুলওয়ালা উৎসব। কখনও বন্ধ হয়েছে। আবার চালু হয়েছে। 
দিল্লিকে ধারণ এবং রক্ষা করে আছে কারা? ১২ জন সুফি এবং দুই দেবী। দেবী কালকা ও দেবী যোগমায়া। কে যোগামায়া? শ্রীকৃষ্ণের বোন। ১২০৬ থেকে ১২৯০ সাল পর্যন্ত সময়সীমায় দাস বংশের  সুলতানি আমলে অন্তত ২৭টি মন্দির ধ্বংস হয়েছিল। কিন্তু অলৌকিকভাবে কিছুতেই কেউ এই যোগমায়া দেবী মন্দির ধ্বংস করতে পারেনি। কবে তৈরি হল এই মন্দির? সেই ইতিহাসের থেকে মিথ বেশি। সঠিক তথ্য নেই। ১৪ বছর বয়সি সম্রাট আকবরের বাহিনীকে পরাস্ত করেছিলেন এক হিন্দু সম্রাট। বিক্রমাদিত্য হিমু। যদিও প্রথম যুদ্ধে আকবর নিজে ছিলেন না। পরে তিনি বিরাট বাহিনী নিয়ে আসেন আগ্রা থেকে। কিন্তু আকবরের নাকের ডগায় হিমু শাসনও করেছিলেন আজকের পুরনো কেল্লা দখল করে! একমাসের মধ্যেই সেই হিন্দু রাজা হিমু যোগমায়া মন্দিরকে সংস্কার করেছিলেন। আওরঙ্গজেব চেষ্টা করেছিলেন আবার এই মন্দির ধ্বংস করতে। পারেননি! দিল্লির মিথ, যোগমায়া দেবী মন্দিরকে ধ্বংস করা যায় না! 
21st  July, 2024
জিষ্ণুর বউ
নন্দিনী  নাগ

রামচন্দ্র চোদ্দো বছর বনবাসে কাটিয়ে নিজের রাজ্যে ফিরেছিলেন, আর সুজয়িতা বনের বদলে ভিনদেশে কাটিয়ে আজ ফিরছে স্বদেশে।  এই চোদ্দো বছরে যে মেয়ে একবারের জন্যেও আসতে পারেনি, আজ সে আসছে পাকাপাকিভাবে। ফরাসি দেশের পাট পুরোপুরি চুকিয়ে দিয়ে। বিশদ

21st  July, 2024
বর্ষা এল, মাছ ধরতে চল
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

 

শ্যামপুকুরের কৃষ্ণকুমার মিত্রের গাছগাছালি ঘেরা পুকুর সহ নিরিবিলি এক বাগানবাড়ি ছিল দমদমে। বাগানের মালিকের নিমন্ত্রণেই সেখানে একবার বেড়াতে গিয়েছিলেন হেমেন্দ্রকুমার রায়, পূর্ণচন্দ্র চক্রবর্তী সহ কয়েকজন শিল্পী সাহিত্যিক বন্ধু। পূর্ণচন্দ্র ছাড়া বাকিদের মাছ ধরার নেশা ছিল। বিশদ

21st  July, 2024
বেগ বেগমের সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

এটা কী করলেন বাদশা! এরকম এক ভরা বর্ষায় বাংলা-বিহারে যখন নদীগুলো ফুঁসে উঠে জমি, জনপদ ভাসিয়ে নিয়ে যাবে, তখন পর্যন্ত কেউ যুদ্ধের জন্য অপেক্ষা করে?
বিশদ

14th  July, 2024
মাছের হাঁড়ি
সৌরভ হোসেন

টালির চালার ফুটো দিয়ে রোদগুলি ঘুলঘুলি হয়ে পড়ছে যে ডাপখানায়, বাঁশের তৈরি সে ডাপখানাতেই রাখা আছে হাঁড়িটা। একদিকের কানা বসানো।
বিশদ

14th  July, 2024
হেস্টিংস হাউসের ভূত
সমুদ্র বসু

ইতিহাস হয়েও যা বর্তমান। নেই হয়েও তা আছে। এমন স্ববিরোধী বিশেষণ যায় রহস্যময় অথচ মরীচিকাময় ছায়াজগতের ক্ষেত্রে।  যখন  বেলায় চাঁদের আলোয় উদ্ভাসিত হয় এক অন্য জগৎ, যখন নিঝুম রাতের মধ্যে সজাগ হয়ে ওঠে অন্য বাসিন্দারা, তখন আসে সেই প্রহর।
বিশদ

14th  July, 2024
দর্শক
মানস সরকার

রাস্তার দিকে ভালো করে একবার তাকিয়ে নিয়ে মন্দিরা শেষ পর্যন্ত ঢুকে এল অনুষ্ঠান বাড়ির ভিতর। বুকটা ভারী লাগছে। বোঝা যাচ্ছে, সমীর আর আসবে না। নাকে-মুখে কোনও রকমে দুটো রেশনের মোটা চালের ভাত আর কাঁচালঙ্কা দেওয়া ডালসেদ্ধ গুঁজে দুপুর বারোটার সময় হোঁচট খেয়ে বেরতে বেরতে বলেছিল, ‘আকাশনীল বাড়ির সামনেই ন’টা পর্যন্ত অপেক্ষা কোরো। বিশদ

07th  July, 2024
ছোট্ট প্রতিশোধ
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়

মিনার গলা শুনে মোবাইল ফোন থেকে চোখ তুলে ‘কাজের বউ’-এর দিকে তাকালেন কৃষ্ণকলি। তিনি আর কিছু বলার আগেই দড়াম করে দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে মিনা বেরিয়ে পড়ল ফ্ল্যাট থেকে। এখনও দুটো বাড়িতে কাজে যেতে হবে, এখানে আর এক মিনিট দাঁড়ালেই শুরু হয়ে যাবে বুড়ির গজগজানি। বিশদ

30th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মুবারক বেগম সৌধ
সমৃদ্ধ দত্ত

হৌজ গাজি চক নামের এই চৌরাস্তা থেকে চারটি রাস্তা চলে গিয়েছে চাররকম ইতিহাসের পৃষ্ঠার দিকে। কোনওটি চৌরি বাজার। কোনওটি আবার আজমির গেট। একটি চাঁদনী চক। এর আশপাশের সবথেকে বিখ্যাত স্থান আজকের দিনে অবশ্য একটি বিশেষ গলি। বিশদ

30th  June, 2024
অতীতের আয়না: মহানগরে মহারানি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

মহারানি ভিক্টোরিয়ার সিংহাসনে বসার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে উৎসবে মেতে উঠেছে পুরো ব্রিটিশ সাম্রাজ্য। তবে সাম্রাজ্যের বাকি অংশের তুলনায় এদেশে উদযাপনের উৎসাহ যেন একটু বেশি। রানির এই জুবিলিতে ভারত থেকে পাঠানো আনুগত্যসূচক বার্তার সংখ্যা বাকি সাম্রাজ্যের মোট বার্তার দ্বিগুণ। বিশদ

30th  June, 2024
ছোট গল্প: একাকিনী
আইভি চট্টোপাধ্যায়

ওই আবার। দরজাটা খুলল মনে হচ্ছে না? খুব আস্তে আস্তে খুলেছে দরজা। যাতে সুকৃতির কানে না আসে আওয়াজটা। কালও এ সময় হয়েছিল আওয়াজটা। এই ভোরের দিকে,  যখন চারদিক ঘুমে অচেতন,  সেই সময়টাই বেছে নিয়েছে। বিশদ

23rd  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মির্জা গালিবের হাভেলি
সমৃদ্ধ দত্ত

আম তো কমবেশি একইরকম দেখতে! তা আবার এত মন দিয়ে দেখার কী আছে। অধিক ফলবতী গাছের কাছে গিয়ে নুইয়ে পড়া আম ধরে ধরে মির্জা কী দেখছে? বিস্মিত হলেন সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর। একটু আগে তিনি বেরিয়েছেন বৈকালিক ভ্রমণে। বেশিদূর নয়। বিশদ

23rd  June, 2024
আজও রহস্য: স্পেডলিনস ক্যাসেলের ভূত
সমুদ্র বসু

আন্নান নদীর দক্ষিণ তীরে আজও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে যে দুর্গ সেট হল স্পেডলিনস টাওয়ার। এটি একসময়ে ছিল  ডামফ্রিসশায়ার কাউন্টি, আজকের দিনে স্কটল্যান্ডের লকারবি-এর অংশ। ভূত মানে যেমন অশরীরী তেমনই ভূত মানে অতীত। বিশদ

23rd  June, 2024
একটি প্রেমের গল্প
শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ

—তুমি তো দেখছি বাসনটাও মাজতে পার না ভালো করে! হাসতে হাসতে ইংরেজিতে বলেছিল ক্যাথারিন। ইতালির মেয়ে। কলকাতায় এসেছিল গবেষণা করতে কালীপুজো নিয়ে। বিশদ

16th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ফিরোজ শাহ কোটলা দুর্গ
সমৃদ্ধ দত্ত

তিমুর ই বেগের মধ্যে সৃষ্টি ছিল না। তার পূর্ববর্তী আরও অনেক শাসকদের মতোই তার আনন্দ ছিল ধ্বংসে। ধ্বংস মানেই লুটপাট। লুট মানেই পাহাড়সমান সম্পদ। যত সম্পদ, তত বড় হবে সেনাবাহিনী। যত বড় হবে সেনাবাহিনী, ততই বেড়ে চলবে সাম্রাজ্য। বিশদ

16th  June, 2024
একনজরে
আলু নিয়ে ব্যবসায়ীদের ফাটকাবাজি বন্ধ করতে এবার পদক্ষেপ নিল রাজ্য। চাষিদের থেকে আলু কিনে তা ন্যায্যমূল্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দিয়ে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ...

সোমবার থেকে সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনের প্রথম দিনেই বাগনান থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত রেললাইন চালুর দাবি জানালেন উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ। ...

বাংলাদেশের অশান্তির প্রভাব পড়েছে এপারের বাণিজ্যে। ওপারে সৃষ্টি হওয়া অচলাবস্থার জেরে মালদহের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। গত এক সপ্তাহ ধরেই পণ্য পরিবহণে বিঘ্ন ঘটছিল। রবি ...

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্রকে সোমবার স্থায়ী জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। লখিমপুর খেরিতে গাড়ির চাকায় কৃষকদের পিষে মারার মামলায় অভিযুক্ত আশিসকে গত বছর ২৫ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছিল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৯- আমেরিকাতে টাইপরাইটারের পূর্বসুরী টাইপোগ্রাফার পেটেন্ট করেন উইলিয়াম অস্টিন বার্ড
১৮৪৩ - সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বাগ্মী রায়বাহাদুর কালীপ্রসন্ন ঘোষের জন্ম
১৮৫৬- স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের জন্ম
১৮৮১ - আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত 
১৮৯৩ - কলকাতায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পূর্বতন বেঙ্গল একাডেমি অব লিটারেচার স্থাপিত
১৮৯৫- চিত্রশিল্পী মুকুল দের জন্ম
১৮৯৮ - বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৬ - চন্দ্রশেখর আজাদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী
১৯২৭ - সালের এই দিনে ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি বোম্বাইয়ে ভারতের প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৩ - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবী ও আইনজীবী যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের মৃত্যু
১৯৩৪ – পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের জন্ম
১৯৪৭ – বলিউড অভিনেতা মোহন আগাসের জন্ম
১৯৪৭ – বিশিষ্ট বেহালা বাদক এল সুব্রহ্মণমের জন্ম
১৯৪৯ -  দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ক্লাইভ রাইসের জন্ম
১৯৫৩ - ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার গ্রাহাম গুচের জন্ম
১৯৭৩ – সঙ্গীত পরিচালক তথা সঙ্গীত শিল্পী হিমেশ রেশমিয়ার জন্ম
১৯৯৫- হেল-বপ ধূমকেতু আবিস্কার হয়, পরের বছরের গোড়ায় সেটি খালি চোখে দৃশ্যমান হয়
২০০৪- অভিনেতা মেহমুদের মৃত্যু
২০১২- আই এন এ’ যোদ্ধা লক্ষ্মী সায়গলের মৃত্যু
২০১৮ - মঞ্চ ও চলচ্চিত্রাভিনেত্রী বাসবী নন্দীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৫ টাকা ৮৪.৫৯ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৩ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৬৩ টাকা ৯২.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ১৩/১০ দিবা ১০/২৪। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ৩৭/৫৫ রাত্রি ৮/১৮। সূর্যোদয় ৫/৮/০, সূর্যাস্ত ৬/১৭/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/২ গতে ২/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৫/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে ২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৭ গতে ৮/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ ম঩ধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৯ গতে ৯/০ মধ্যে। 
৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ১২/৪৭। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১১/৪২। সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/৪১ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৫/১৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫১ মধ্যে ও ৯/৫ গতে ১১/১৯ মধ্যে ও ১/৩৩ গতে ৩/২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/৩ মধ্যে।
১৬ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নিট-ইউজি প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলা: পুনরায় পরীক্ষার নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

05:18:38 PM

কলকাতা লিগ: ক্যালকাটা পুলিস ক্লাব ও মোহন বাগানের ম্যাচ ড্র, স্কোর ১-১

05:10:49 PM

বক্তব্য শেষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:02:23 PM

১৫ অক্টোবর দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল: মমতা

04:58:39 PM

আগামী বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:58:18 PM

চলতি বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:56:43 PM