Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

হেস্টিংস হাউসের ভূত
সমুদ্র বসু

ইতিহাস হয়েও যা বর্তমান। নেই হয়েও তা আছে। এমন স্ববিরোধী বিশেষণ যায় রহস্যময় অথচ মরীচিকাময় ছায়াজগতের ক্ষেত্রে।  যখন  বেলায় চাঁদের আলোয় উদ্ভাসিত হয় এক অন্য জগৎ, যখন নিঝুম রাতের মধ্যে সজাগ হয়ে ওঠে অন্য বাসিন্দারা, তখন আসে সেই প্রহর। যখন দুইজগতের মধ্যের বিভেদ মুছে যায়, তখন অতীত হয়ে ওঠে বর্তমান।
এমন সময় হাওয়ার গতিতে যেন ঘড়ঘড় শব্দে চারটি ঘোড়ায় টানা জুড়ি গাড়িটি এসে থামে বাড়ির সামনে। আগন্তুকের আগমনে যেন নিশ্চল বাড়িটা আবার প্রাণ ফিরে পায়। আগন্তুক শশব্যস্ত হয়ে ঘর জুড়ে খুঁজতে থাকে কিছু। কেউ বলে কালো রঙের ডেস্কে থাকা কিছু নথিপত্র, কেউ বলে কিছু ছবি। যার জন্য তাঁকে দুই জগতের সীমানা পেরিয়ে আসতে হয় বারবার। অনুসন্ধান শেষে হতাশ আগন্তুক আবার মিলিয়ে যান রাতের অন্ধকারেই। তিনি আবার আসবেন, যেমনটা আসছেন ১৮১৮ থেকে। বাড়ির ঠিকানা হেস্টিংস হাউস, আলিপুর। আগন্তুকের নাম ওয়ারেন হেস্টিংস। বাংলার প্রথম ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল। ঔপনিবেশিক কলকাতার বহু সাক্ষী আজও শহরজুড়ে স্বমহিমায় বর্তমান। ইতিহাসের পাশাপাশি যাদের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে অতিপ্রাকৃতিক তকমাও। মহানগরের বুকে ‘হেস্টিংস হাউস’ যাদের মধ্যে অন্যতম। আলিপুর জাজেস রোডের কাছে এই অট্টালিকা বর্তমানে মেয়েদের মহাবিদ্যালয় ‘ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন ফর ওম্যান’। কিন্তু অতিলৌকিক ঘটনা নাকি প্রায়শই ঘটে থাকে এখানে। ওয়ারেন হেস্টিংসের আমল আজ অতীত। কিন্তু তিনি নেই হয়েও রয়ে গিয়েছেন এই বাড়ির ইতিহাসে কিংবদন্তিতে।
ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৭৪ সালে বাংলার গভর্নর জেনরল হন। দীর্ঘকাল প্রশাসক পদে ছিলেন তিনি। খোদ হেস্টিংসও নাকি কলকাতা শহরে ভূত দেখেছিলেন। সেই  ঘটনার বিবরণ মহাফেজখানায় লিপিবদ্ধ করে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। যেই সূত্র ধরেই এই কাহিনিকে ১৮৯৩ সালে নিজের বইয়ে ঠাঁই দেন জেমস ডগলাস। কলকাতায় পরিষদ কক্ষের মধ্যেই নাকি ঢুকে পড়েছিলেন অশরীরী আর সেই কক্ষে তখন উপস্থিত ছিলেন হেস্টিংস এবং তাঁর পারিষদবর্গ। আগন্তুকের মাথায় ছিল ‘স্টোভ-পাইপ হ্যাট’। অথচ ভারতে তখনও সেই টুপির আমদানি হয়নি। ক্ষণিকের মধ্যেই হাওয়ায় মিলিয়ে যান অশরীরী। সেই অশরীরীকে সেদিন নিজের বাবা বলে শনাক্ত করেছিলেন হেস্টিংসের কাউন্সিলের সদস্য মিস্টার শেক্সপিয়র। আর যে জাহাজের ডাকে তাঁর বাবার মৃত্যুসংবাদ কলকাতায় আসে, সেই একই জাহাজে করেই নাকি এসেছিল ওই বিশেষ টুপিও।
হেস্টিংস সাহেবের আত্মা নিয়ে আজও নানা কথা শোনা যায় এই বাড়ির চত্বরে। কিন্তু কীসের টানে এই নেটিভ শহরে বারবার ফিরে আসেন হেস্টিংস সাহেব? দীর্ঘকাল প্রশাসক থাকার পর নিজের পদে ইস্তাফা দিয়ে তিনি  ১৭৮৫ সালে ব্রিটেনে ফিরে যান।
দেশে ফেরার পর ঘুষ নেওয়া, ব্ল্যাকমেল করা সহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত হন। সাত বছর আইনি লড়াইয়ের পর তিনি মুক্ত হন। কলকাতার ‘হেস্টিংস হাউস’ নামে পরিচিত এই বাড়ি থেকেই দেশে ফেরেন তিনি।
কিন্তু দেশে ফিরে হেস্টিংস আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়েন। ১৭৮৭ সালে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করে তাঁর ইমপিচ করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অন্যতম অভিযোগ ছিল ১৭৭৫ সালে মহারাজা নন্দকুমারকে ষড়যন্ত্র করে বিচারবিভাগীয় হত্যা, ঘুষ নেওয়া। হেস্টিংসের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন মহারাজা নন্দকুমার। পরে নন্দকুমারের বিরুদ্ধেও পাল্টা জালিয়াতির অভিযোগ আনেন হেস্টিংস। বিচারে মহারাজকে মৃত্যুদণ্ড দেন তৎকালীন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এলিজা ইম্পে। যিনি ছিলেন হেস্টিংসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এই ষড়যন্ত্র ইতিহাসের কুখ্যাত অধ্যায়। যদিও সাত বছর দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর হেস্টিংস বেকসুর খালাস হন।
১৭৮৫ সালে হেস্টিংস যখন দেশে ফিরে যান, তখন ভুলবশত একটি কালোবাক্স ফেলে যান কলকাতায়। যার মধ্যে ছিল বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও দলিল দস্তাবেজ। সঙ্গে স্ত্রীকে লেখা কিছু চিঠিপত্র। যার হদিশ জানতেন একমাত্র তিনি। সেই নথিপত্র গুলি হাতে পেলে নাকি বিচারের সময় তাঁর নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে সুবিধা হতো। তিনি তড়িঘড়ি তাঁর প্রাক্তন সচিবকে চিঠিও পাঠান কিন্তু তাঁর ফেলে যাওয়া কিছু জিনিসের সঙ্গে ওই কালো বাক্সটিও নিলাম হয়ে যায়। বাক্সের খোঁজে ক্যালকাটা গেজেটে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হলেও সেটিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। আবার কেউ কেউ বলেন, ওই কালো বাক্সে ছিল হেস্টিংসের ঘনিষ্ঠ জনৈক রমণীর খান দুই মিনিয়েচার ছবি। সুদীর্ঘ সময় পেরিয়ে আজও নাকি ওই বাক্সের খোঁজেই বারবার ফিরে আসেন বড়লাট ওয়ারেন হেস্টিংস, নিজের সেই আলিপুর হেস্টিংস হাউসে। যে বাক্সে রয়ে গিয়েছে তাঁর নির্দোষ হওয়ার কিছু নথিপত্র!
অনেকের দাবি, আজও নাকি রাতে শোনা যায় জুড়ি গাড়ির আওয়াজ। এই  অট্টালিকার অতিলৌকিক কাণ্ডকারখানার গল্প চলে আসছে বহুদিন থেকেই। ১৮৮৪ সালে পল বার্ড নামে এক ব্যক্তিও নাকি হেস্টিংসর ঘোড়ার গাড়ি দেখেছিলেন। আর শুধুমাত্র ওয়ারেন হেস্টিংস নয় এই বাড়ির সঙ্গে জুড়ে একাধিক রহস্যময় উপস্থিতি। যার মধ্যে রয়েছেন এক ব্রিটিশ ছায়ামানবী। যিনি হেস্টিংস হাউসের চত্বরে ঘুরে বেড়ান, হাতে প্রদীপ নিয়ে যান চত্বরের  সমাধিক্ষেত্রে। তিনি মেরিয়ান। জার্মান ব্যারনেস। ১৭৮৫ সালে ইংল্যান্ডে ফেরার আগে হেস্টিংস এই বাড়ির মালিকানা হস্তান্তর করেন তাঁর স্ত্রী মেরিয়ান ইমহফের সন্তান জুলিয়াসের কাছে। জুলিয়াস এবং তাঁর পরবর্তী কয়েক প্রজন্ম এই বাড়িতেই বাস করেছে। তাঁদের সমাধি রয়েছে এই বাড়ির চত্বরেই। আর প্রদীপ হাতে নাকি ছায়ামানবী স্বয়ং মেরিয়াম। যিনি এই বাড়ির টান আজও কাটাতে পারেননি।
এই তালিকায় আছেন ঘোড়দৌড়ের এক জকিও। শোনা যায়, ১৮৩২ সাল নাগাদ এই বাড়ির বাসিন্দা ছিলেন জনৈক জকি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে একদিন কেউ তাঁর প্রিয় সাদা ঘোড়াকে গুলি করে হত্যা করে। ফলে ওই ব্যক্তি ঘোড়ার শোকে পাগল হয়ে যান। আজও নাকি সেই ঘোড়া মালিকের জন্য ছুটে আসেন বারেবারে, যাঁকে মাঝেমধ্যেই আলোআঁধারিতে দৌড়াতে দেখা যায় এই বাড়ির চত্বরে। 
না বললেই নয় দুর্ভাগ্যজনক সেই বাচ্চাটির কথা যে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে গিয়ে বুকে বল লেগে ঘটনাস্থলে মারা যায়। সে নাকি আজও তাঁর বন্ধুদের অপেক্ষায় রয়েছে এখানে। এরকমই অজস্র ঘটনা ভেসে বেড়ায় হেস্টিংস ভবনের হাওয়ায়। দিনের বেলায় যেখানে ছাত্রীদের গুঞ্জনে প্রাণবন্ত। কিন্তু রাত নামলেই অন্য দুনিয়া। রয়েছে বিশ্বাসী-অবশ্বাসী দুই পক্ষই। রয়েছে যুক্তি পালটা যুক্তি। সত্যিই কি শেষ বয়সে না পাওয়া শান্তির খোঁজে আসেন হেস্টিংস? সত্যিই কি এখানে রয়েছে মায়ার বাঁধনে বাঁধা অশরীরীরা। যেই প্রশ্নের উত্তর জানেন স্বয়ং ঈশ্বর। তবে চক্ষুকর্ণের বিবাদভঞ্জনের জন্য আপনি আসতেই পারেন, অশরীরী না হোক ইতিহাসের সাক্ষী অবশ্যই হতে পারবেন, যা নিঃসন্দেহে মূল্যবান। 
14th  July, 2024
জিষ্ণুর বউ
নন্দিনী  নাগ

রামচন্দ্র চোদ্দো বছর বনবাসে কাটিয়ে নিজের রাজ্যে ফিরেছিলেন, আর সুজয়িতা বনের বদলে ভিনদেশে কাটিয়ে আজ ফিরছে স্বদেশে।  এই চোদ্দো বছরে যে মেয়ে একবারের জন্যেও আসতে পারেনি, আজ সে আসছে পাকাপাকিভাবে। ফরাসি দেশের পাট পুরোপুরি চুকিয়ে দিয়ে। বিশদ

21st  July, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দেবী যোগমায়া মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

দ্বিতীয় আকবর শাহের দুর্ভাগ্য যে, পুত্র মির্জা জাহাঙ্গিরকে কিছুতেই বশে আনতে পারলেন না। মাথা ঠান্ডা রাখা যে, সাম্রাজ্য চালানোর সবথেকে বড় শর্ত, এটা সকলে বুঝতে পারে না। ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ হয়ে গিয়ে সর্বস্ব হারাতে হয়েছে, এই ইতিহাস মুঘল বংশে বহু দেখা যায়। বিশদ

21st  July, 2024
বর্ষা এল, মাছ ধরতে চল
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

 

শ্যামপুকুরের কৃষ্ণকুমার মিত্রের গাছগাছালি ঘেরা পুকুর সহ নিরিবিলি এক বাগানবাড়ি ছিল দমদমে। বাগানের মালিকের নিমন্ত্রণেই সেখানে একবার বেড়াতে গিয়েছিলেন হেমেন্দ্রকুমার রায়, পূর্ণচন্দ্র চক্রবর্তী সহ কয়েকজন শিল্পী সাহিত্যিক বন্ধু। পূর্ণচন্দ্র ছাড়া বাকিদের মাছ ধরার নেশা ছিল। বিশদ

21st  July, 2024
বেগ বেগমের সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

এটা কী করলেন বাদশা! এরকম এক ভরা বর্ষায় বাংলা-বিহারে যখন নদীগুলো ফুঁসে উঠে জমি, জনপদ ভাসিয়ে নিয়ে যাবে, তখন পর্যন্ত কেউ যুদ্ধের জন্য অপেক্ষা করে?
বিশদ

14th  July, 2024
মাছের হাঁড়ি
সৌরভ হোসেন

টালির চালার ফুটো দিয়ে রোদগুলি ঘুলঘুলি হয়ে পড়ছে যে ডাপখানায়, বাঁশের তৈরি সে ডাপখানাতেই রাখা আছে হাঁড়িটা। একদিকের কানা বসানো।
বিশদ

14th  July, 2024
দর্শক
মানস সরকার

রাস্তার দিকে ভালো করে একবার তাকিয়ে নিয়ে মন্দিরা শেষ পর্যন্ত ঢুকে এল অনুষ্ঠান বাড়ির ভিতর। বুকটা ভারী লাগছে। বোঝা যাচ্ছে, সমীর আর আসবে না। নাকে-মুখে কোনও রকমে দুটো রেশনের মোটা চালের ভাত আর কাঁচালঙ্কা দেওয়া ডালসেদ্ধ গুঁজে দুপুর বারোটার সময় হোঁচট খেয়ে বেরতে বেরতে বলেছিল, ‘আকাশনীল বাড়ির সামনেই ন’টা পর্যন্ত অপেক্ষা কোরো। বিশদ

07th  July, 2024
ছোট্ট প্রতিশোধ
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়

মিনার গলা শুনে মোবাইল ফোন থেকে চোখ তুলে ‘কাজের বউ’-এর দিকে তাকালেন কৃষ্ণকলি। তিনি আর কিছু বলার আগেই দড়াম করে দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে মিনা বেরিয়ে পড়ল ফ্ল্যাট থেকে। এখনও দুটো বাড়িতে কাজে যেতে হবে, এখানে আর এক মিনিট দাঁড়ালেই শুরু হয়ে যাবে বুড়ির গজগজানি। বিশদ

30th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মুবারক বেগম সৌধ
সমৃদ্ধ দত্ত

হৌজ গাজি চক নামের এই চৌরাস্তা থেকে চারটি রাস্তা চলে গিয়েছে চাররকম ইতিহাসের পৃষ্ঠার দিকে। কোনওটি চৌরি বাজার। কোনওটি আবার আজমির গেট। একটি চাঁদনী চক। এর আশপাশের সবথেকে বিখ্যাত স্থান আজকের দিনে অবশ্য একটি বিশেষ গলি। বিশদ

30th  June, 2024
অতীতের আয়না: মহানগরে মহারানি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

মহারানি ভিক্টোরিয়ার সিংহাসনে বসার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে উৎসবে মেতে উঠেছে পুরো ব্রিটিশ সাম্রাজ্য। তবে সাম্রাজ্যের বাকি অংশের তুলনায় এদেশে উদযাপনের উৎসাহ যেন একটু বেশি। রানির এই জুবিলিতে ভারত থেকে পাঠানো আনুগত্যসূচক বার্তার সংখ্যা বাকি সাম্রাজ্যের মোট বার্তার দ্বিগুণ। বিশদ

30th  June, 2024
ছোট গল্প: একাকিনী
আইভি চট্টোপাধ্যায়

ওই আবার। দরজাটা খুলল মনে হচ্ছে না? খুব আস্তে আস্তে খুলেছে দরজা। যাতে সুকৃতির কানে না আসে আওয়াজটা। কালও এ সময় হয়েছিল আওয়াজটা। এই ভোরের দিকে,  যখন চারদিক ঘুমে অচেতন,  সেই সময়টাই বেছে নিয়েছে। বিশদ

23rd  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মির্জা গালিবের হাভেলি
সমৃদ্ধ দত্ত

আম তো কমবেশি একইরকম দেখতে! তা আবার এত মন দিয়ে দেখার কী আছে। অধিক ফলবতী গাছের কাছে গিয়ে নুইয়ে পড়া আম ধরে ধরে মির্জা কী দেখছে? বিস্মিত হলেন সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর। একটু আগে তিনি বেরিয়েছেন বৈকালিক ভ্রমণে। বেশিদূর নয়। বিশদ

23rd  June, 2024
আজও রহস্য: স্পেডলিনস ক্যাসেলের ভূত
সমুদ্র বসু

আন্নান নদীর দক্ষিণ তীরে আজও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে যে দুর্গ সেট হল স্পেডলিনস টাওয়ার। এটি একসময়ে ছিল  ডামফ্রিসশায়ার কাউন্টি, আজকের দিনে স্কটল্যান্ডের লকারবি-এর অংশ। ভূত মানে যেমন অশরীরী তেমনই ভূত মানে অতীত। বিশদ

23rd  June, 2024
একটি প্রেমের গল্প
শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ

—তুমি তো দেখছি বাসনটাও মাজতে পার না ভালো করে! হাসতে হাসতে ইংরেজিতে বলেছিল ক্যাথারিন। ইতালির মেয়ে। কলকাতায় এসেছিল গবেষণা করতে কালীপুজো নিয়ে। বিশদ

16th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ফিরোজ শাহ কোটলা দুর্গ
সমৃদ্ধ দত্ত

তিমুর ই বেগের মধ্যে সৃষ্টি ছিল না। তার পূর্ববর্তী আরও অনেক শাসকদের মতোই তার আনন্দ ছিল ধ্বংসে। ধ্বংস মানেই লুটপাট। লুট মানেই পাহাড়সমান সম্পদ। যত সম্পদ, তত বড় হবে সেনাবাহিনী। যত বড় হবে সেনাবাহিনী, ততই বেড়ে চলবে সাম্রাজ্য। বিশদ

16th  June, 2024
একনজরে
আলু নিয়ে ব্যবসায়ীদের ফাটকাবাজি বন্ধ করতে এবার পদক্ষেপ নিল রাজ্য। চাষিদের থেকে আলু কিনে তা ন্যায্যমূল্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দিয়ে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ...

সোমবার থেকে সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনের প্রথম দিনেই বাগনান থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত রেললাইন চালুর দাবি জানালেন উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ। ...

পুলিসি ধরপাকড় কিছুটা কমতেই ফের শুরু হয়েছে চোরাই কয়লা কারবার। দুবরাজপুরের ঘাট গোপালপুর গ্রামই এখন চোরাই কয়লার প্রধান স্টক পয়েন্ট। সেখান থেকে বাইকে করে কয়লা ...

দুবাই পুলিস গ্রেপ্তার করেছে পাক সঙ্গীতশিল্পী রাহাত ফতে আলি খানকে। সোমবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে এমনই খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৯- আমেরিকাতে টাইপরাইটারের পূর্বসুরী টাইপোগ্রাফার পেটেন্ট করেন উইলিয়াম অস্টিন বার্ড
১৮৪৩ - সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বাগ্মী রায়বাহাদুর কালীপ্রসন্ন ঘোষের জন্ম
১৮৫৬- স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের জন্ম
১৮৮১ - আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত 
১৮৯৩ - কলকাতায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পূর্বতন বেঙ্গল একাডেমি অব লিটারেচার স্থাপিত
১৮৯৫- চিত্রশিল্পী মুকুল দের জন্ম
১৮৯৮ - বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৬ - চন্দ্রশেখর আজাদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী
১৯২৭ - সালের এই দিনে ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি বোম্বাইয়ে ভারতের প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৩ - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবী ও আইনজীবী যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের মৃত্যু
১৯৩৪ – পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের জন্ম
১৯৪৭ – বলিউড অভিনেতা মোহন আগাসের জন্ম
১৯৪৭ – বিশিষ্ট বেহালা বাদক এল সুব্রহ্মণমের জন্ম
১৯৪৯ -  দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ক্লাইভ রাইসের জন্ম
১৯৫৩ - ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার গ্রাহাম গুচের জন্ম
১৯৭৩ – সঙ্গীত পরিচালক তথা সঙ্গীত শিল্পী হিমেশ রেশমিয়ার জন্ম
১৯৯৫- হেল-বপ ধূমকেতু আবিস্কার হয়, পরের বছরের গোড়ায় সেটি খালি চোখে দৃশ্যমান হয়
২০০৪- অভিনেতা মেহমুদের মৃত্যু
২০১২- আই এন এ’ যোদ্ধা লক্ষ্মী সায়গলের মৃত্যু
২০১৮ - মঞ্চ ও চলচ্চিত্রাভিনেত্রী বাসবী নন্দীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৫ টাকা ৮৪.৫৯ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৩ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৬৩ টাকা ৯২.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ১৩/১০ দিবা ১০/২৪। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ৩৭/৫৫ রাত্রি ৮/১৮। সূর্যোদয় ৫/৮/০, সূর্যাস্ত ৬/১৭/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/২ গতে ২/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৫/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে ২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৭ গতে ৮/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ ম঩ধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৯ গতে ৯/০ মধ্যে। 
৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ১২/৪৭। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১১/৪২। সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/৪১ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৫/১৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫১ মধ্যে ও ৯/৫ গতে ১১/১৯ মধ্যে ও ১/৩৩ গতে ৩/২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/৩ মধ্যে।
১৬ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নিট-ইউজি প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলা: পুনরায় পরীক্ষার নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

05:18:38 PM

কলকাতা লিগ: ক্যালকাটা পুলিস ক্লাব ও মোহন বাগানের ম্যাচ ড্র, স্কোর ১-১

05:10:49 PM

বক্তব্য শেষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:02:23 PM

১৫ অক্টোবর দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল: মমতা

04:58:39 PM

আগামী বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:58:18 PM

চলতি বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:56:43 PM