Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

বর্ষা এল, মাছ ধরতে চল
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

 

শ্যামপুকুরের কৃষ্ণকুমার মিত্রের গাছগাছালি ঘেরা পুকুর সহ নিরিবিলি এক বাগানবাড়ি ছিল দমদমে। বাগানের মালিকের নিমন্ত্রণেই সেখানে একবার বেড়াতে গিয়েছিলেন হেমেন্দ্রকুমার রায়, পূর্ণচন্দ্র চক্রবর্তী সহ কয়েকজন শিল্পী সাহিত্যিক বন্ধু। পূর্ণচন্দ্র ছাড়া বাকিদের মাছ ধরার নেশা ছিল। তাঁরা চটপট জায়গা বেছে ছিপ ফেলে বসে গেলেন। হেমেন্দ্রকুমারের বঁড়শিতে প্রথম শিকার পড়ল। অনেক খেলিয়ে তিনি ইয়াব্বড় এক কাতলা পাড়ে তুললেন।  তার মধ্যে বাগানের ম্যানেজারবাবু আর গোমস্তা গিয়ে লোকজন ডেকে এনেছেন। তারা ফিতে, দাঁড়িপাল্লা, খাতা, পেন্সিল নিয়ে হাজির। হেমেন্দ্রকুমার ছিপ ছেড়ে দিতেই ম্যানেজারবাবুর লোকরা মাছের লম্বা আর বেড় মাপতে লেগে গেল। লম্বা চার ফুট, বেড় ছত্রিশ ইঞ্চি। ওজন সাড়ে বারো সের। সব কিছু খাতায় লেখা হল। মাছের নাকে একটা পেতলের নথ পরানো ছিল। তাতে খুদে একটা পেতলের টিকিট। গোমস্তা খাতায় নোট করালেন—  ৭৩ নং। তারপর কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাছটাকে ঠেলে ঝুপ করে আবার জলে ফেলে দেওয়া হল। মাছুড়েদের চক্ষুস্থির! 
অন্যদিকে ম্যানেজারবাবু মুখে মুখে হিসেব করলেন— সাড়ে বারোক্কে ছয় আনা হল গিয়ে ছয় বারোং বাহাত্তর আর তিন। মনিব্যাগ খুলে চার টাকা এগারো আনা এগিয়ে দিলেন। সঙ্গে অমায়িক পরামর্শ— ‘বাড়ি যাবার পথে ভালো দেখে একটা কিনে নিয়ে যাবেন, কেমন?’
বাড়িয়ে ধরা টাকার দিকে অতিথিদের ফ্যালফ্যালে দৃষ্টি থেকে পোড় খাওয়া ম্যানেজার আন্দাজ করলেন, কোথাও যেন ভুল হচ্ছে। তাই বোঝাতে দেরি করলেন না। ‘আরে ছি! ছি! কর্তাবাবু বোধহয় বলতে ভুলে গেছেন যে, আমাদের এখানকার নিয়ম, মাছ ধরা হবে, কিন্তু মারা হবে না। আনন্দটা তো ধরাতেই, মারাতে তো আর নয়। আমরা এই খাতায় মাছদের নম্বর দেখে, ওদের বাড়ের একটা হিসাব পাই।’ 
লীলা মজুমদারের ‘খেরোর খাতা’ বইতে এমন অহিংস মাছ ধরার গল্প শুনে ‘মৎস্য মারিব খাইব সুখে’ প্রবাদের সত্যতা নিয়ে কারও মনে সংশয়ের উদ্রেক হওয়া ঠিক নয়। কারণ ছিপে খেলিয়ে মাছ ধরে সেই শিকার বাড়ি নিয়ে এসে সৎকার, মানে ভাজা বা ঝোল রান্নার জন্য হস্তান্তর করার তৃপ্তির আর কোনও জুড়ি নেই বাঙালি মাছ শিকারির কাছে। 
গত শতকের প্রথম দিকের সময়কাল থেকে যতীন্দ্রমোহন দত্ত সেই রকমই এক গল্প শুনিয়েছেন তাঁর যম দত্তের ডায়েরিতে। তবে শেষে সামান্য টুইস্ট যোগ করেন। বিটি রোড ধরে বারাকপুর যাওয়ার পথেই সুখচর গির্জা মোড়ের লাগোয়া এলাকাটা একসময় আলো করে থাকত পাইকপাড়ার সিংহদের রাজবাড়ি। বাড়ি না বলে একটা ছোটখাট শহর বলাই ভালো। সাড়ে তিনশো ঘর নিয়ে তৈরি কমপ্লেক্সের মধ্যে এক বিশাল পুকুর ছিল। সেই পুকুরে প্রতি বছর গুনতি করে নদীর পোনা ছাড়া হতো। রাজারা পরম বৈষ্ণব হওয়ায় নিজেরা মাছ মারতেন না। তবে এলাকার লোকজনকে মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হতো। শুধু অনুমতি নয়, বিকেলে মেছোদের রীতিমতো জলখাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হতো। মাছের বাড়-বৃদ্ধির হিসেব করার উদ্দেশ্যে সেখানেও রাজবাড়ির কর্মচারীরা ধরা পড়া মাছ ওজন করে নোট রাখতেন। এখানে অবশ্য মাছ বাড়ি যাওয়ার অনুমতি ছিল। সন্ধের সময় মৎস্য শিকারিরা বাড়ি যাওয়ার সময় ঘটত আসল মজা। যে যত সের মাছ ধরেছে, তাকে তত পোয়া রাজবাড়ির ঘানির খাঁটি সর্ষের তেল দেওয়া হতো মাছ ভাজার জন্য। রাজারা মনে করতেন যে, রাজবাড়ির পুকুরের মাছ ভাজতে সাধারণ তেলের ব্যবহার একদমই উচিত নয়! 
শৌখিন মৎস্য শিকারিদের বঁড়শির বাক্স ছিল এক দেখার মতো জিনিস। ছোট ছোট টিনের খোপে থাকত নানা রকমের বঁড়শি। তিন-চারটি ডালায় ভাগ করা প্রতিটি খোপে টিকিট মারা থাকত—  ‘রুই মাছের বঁড়শি’, ‘পুঁটি মাছের বঁড়শি’ ইত্যাদি।  বঁড়শিরও ছিল নানা আকার ও প্রকারভেদ। যেমন হাতে কাটা বঁড়শি, করাত কাটা বঁড়শি, পান দেওয়া বঁড়শি,  ডাবল পান দেওয়া বঁড়শি ইত্যাদি। কালবোস মাছের বঁড়শি একটু আলাদা রকমের। সেটাতে সাধারণ বঁড়শির মতো কার্ভেচার থাকত না। টোপের আড়ালে বঁড়শি লুকিয়ে রাখা হয়। মাছ টোপ গিলে নিয়েই বঁড়শিতে আটকাবে। তাই টোপ তৈরিতে মাছের পছন্দের খাবার ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। সেই জন্য প্রজাতি ভেদে মাছের টোপও তৈরি হতো বিভিন্ন উপকরণ ও অনুপাতে। বলা বাহুল্য, ভালো টোপ তৈরিও ছিল একটি বিশেষ শিল্প।  
বঁড়শির আর টোপের পর মাছের ‘চার’ বা মশলা নিয়ে খানিক বলতেই হয়। ‘চার’ থেকে নির্গত গন্ধের আকর্ষণে মাছ টোপের কাছাকাছি আসে। মেথি, লতাকস্তুরী, জটামানসী, খলভাজার মতো উপাদান থেকে হাঁড়িয়ে মদ, পিঁপড়ের বাসি ডিম ইত্যাদি নানা জিনিস দিয়ে অভিজ্ঞ মেছোরা চার বানাতেন। অবশ্যই সেই ফর্মুলা থাকত টপ সিক্রেট।  উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর তিন ভাই— সারদারঞ্জন,  মুক্তিদারঞ্জন ও কুলদারঞ্জনের ছিল মাছ ধরার নেশা। লীলা মজুমদার শুনেছিলেন যে, জলের ওপর বড় জ্যাঠা, অর্থাৎ সারদারঞ্জনের তৈরি একটু ভালো চার ছড়িয়ে দিলেই পুকুরের চারকোনা থেকে মাছ ছুটে আসত। উনি একটি চার বানিয়ে নাম দিয়েছিলেন— ‘ইধার আও’! সেই চারের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বিখ্যাত শিশুসাহিত্যিক যোগীন্দ্রনাথ সরকার আরও একটি চার বানিয়ে নাম দেন— ‘উধর মৎ যাও’!  তবে সারদারঞ্জন ও তাঁর মতো দিগগজ মৎস্য শিকারিরা মনে করতেন যে  মশলা দিয়ে ভুলিয়ে, কি আলো দিয়ে চোখ ধাঁধিয়ে মাছ ধরা খুব স্পোর্টিং নয়।  
বিখ্যাত রায় পরিবার ছাড়াও মৎস্য শিকারের নেশায় ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য থেকে শচীন দেববর্মণের মতো বহু খ্যাতিমান বাঙালিও ডুবেছিলেন একসময়। এঁরা  দু’জন আবার ছিলেন মাছ ধরার পার্টনার। পরবর্তী সময়ে স্ত্রীর অসুস্থতার সময় মানসিক স্থৈর্য বজায় রাখতে শচীন কর্তা পেসেন্স খেলার পাশাপাশি মাছ ধরাও সমান তালে চালিয়ে গিয়েছেন। 
তবে মাছ ধরার নেশা যে, একমাত্র বাঙালি বাবুদের একচেটিয়া ছিল, এমন ভাবা ঠিক হবে না। সাহেবরাও রীতিমতো ডুবেছিলেন মাছ ধরার নেশায়। বিশেষ করে সেনাবাহিনীর শ্বেতাঙ্গ কর্মীদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় ছিল এই খেলা। মাছ ধরার ক্ষেত্রেও কলকাতা ছিল পুরো ভারতের রাজধানী। ভালো ছিপ, সুতো আর আনুষঙ্গিক সরঞ্জামের খোঁজে সারা ভারত থেকে এসে সাহেবরা ঢুঁ মারতেন কলকাতার  ডি এন বিশ্বাস অ্যান্ড কোং, রদা অ্যান্ড কোং অথবা ম্যান্টন অ্যান্ড কোং-এর মতো সংস্থায়। শিকারের গুলি বন্দুক যে দোকানে পাওয়া যেত, সেখানেই বিক্রি হতো মাছ ধরার সমস্ত সরঞ্জাম। আসলেই দুটোই যে স্পোর্টস!  
উনিশ শতকে ভারতে শৌখিন মাছ ধরার নানা খবর নিয়ে প্রথম প্রকাশিত বই লিখতে গিয়ে হেনরি সুলেভান টমাসকে বারবার ফিরে আসতে হয়েছে কলকাতার প্রসঙ্গে। টমাস সাহেব কলকাতার নিকটবর্তী এক মাছ ধরার পুকুরের দুর্দান্ত রক্ষণাবেক্ষণ দেখে তার মালিক জনৈক বাবুর খুব প্রশংসা করায় ভদ্রলোক সাহেবকে বুঝিয়েছিলেন যে, বাঙালির স্টেক বা কাটলেট— সব কিছুর উৎসই এই পুকুর। সুতরাং যত্ন তো করতেই হবে!   
গ্রীষ্মের জ্বালাপোড়া শেষে বঙ্গদেশে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে টিপ টিপ, টাপুর টুপুর শুরু হয়ে গেলেই শহর-গ্রাম-মফস্‌স঩লে মাছ শিকারিদের মধ্যে শুরু যায় হয়ে কর্মচাঞ্চল্য। শিয়ালদা বা হাতিবাগানের মতো পুরনো বাজারে মাছ ধরার সরঞ্জামের দোকানগুলি ঝিম ভাব কাটিয়ে গা ঝাড়া দিয়ে উঠে পড়ে নতুন ছিপ, বঁড়শি, সুতো আর নানা উপকরণের খোঁজ খবরের আদানপ্রদানে। আমাদের অজান্তেই আজও প্রকৃতির নিয়মেই এসে পড়ে মাছ শিকারের মরশুম।  
21st  July, 2024
জিষ্ণুর বউ
নন্দিনী  নাগ

রামচন্দ্র চোদ্দো বছর বনবাসে কাটিয়ে নিজের রাজ্যে ফিরেছিলেন, আর সুজয়িতা বনের বদলে ভিনদেশে কাটিয়ে আজ ফিরছে স্বদেশে।  এই চোদ্দো বছরে যে মেয়ে একবারের জন্যেও আসতে পারেনি, আজ সে আসছে পাকাপাকিভাবে। ফরাসি দেশের পাট পুরোপুরি চুকিয়ে দিয়ে। বিশদ

21st  July, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দেবী যোগমায়া মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

দ্বিতীয় আকবর শাহের দুর্ভাগ্য যে, পুত্র মির্জা জাহাঙ্গিরকে কিছুতেই বশে আনতে পারলেন না। মাথা ঠান্ডা রাখা যে, সাম্রাজ্য চালানোর সবথেকে বড় শর্ত, এটা সকলে বুঝতে পারে না। ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ হয়ে গিয়ে সর্বস্ব হারাতে হয়েছে, এই ইতিহাস মুঘল বংশে বহু দেখা যায়। বিশদ

21st  July, 2024
বেগ বেগমের সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

এটা কী করলেন বাদশা! এরকম এক ভরা বর্ষায় বাংলা-বিহারে যখন নদীগুলো ফুঁসে উঠে জমি, জনপদ ভাসিয়ে নিয়ে যাবে, তখন পর্যন্ত কেউ যুদ্ধের জন্য অপেক্ষা করে?
বিশদ

14th  July, 2024
মাছের হাঁড়ি
সৌরভ হোসেন

টালির চালার ফুটো দিয়ে রোদগুলি ঘুলঘুলি হয়ে পড়ছে যে ডাপখানায়, বাঁশের তৈরি সে ডাপখানাতেই রাখা আছে হাঁড়িটা। একদিকের কানা বসানো।
বিশদ

14th  July, 2024
হেস্টিংস হাউসের ভূত
সমুদ্র বসু

ইতিহাস হয়েও যা বর্তমান। নেই হয়েও তা আছে। এমন স্ববিরোধী বিশেষণ যায় রহস্যময় অথচ মরীচিকাময় ছায়াজগতের ক্ষেত্রে।  যখন  বেলায় চাঁদের আলোয় উদ্ভাসিত হয় এক অন্য জগৎ, যখন নিঝুম রাতের মধ্যে সজাগ হয়ে ওঠে অন্য বাসিন্দারা, তখন আসে সেই প্রহর।
বিশদ

14th  July, 2024
দর্শক
মানস সরকার

রাস্তার দিকে ভালো করে একবার তাকিয়ে নিয়ে মন্দিরা শেষ পর্যন্ত ঢুকে এল অনুষ্ঠান বাড়ির ভিতর। বুকটা ভারী লাগছে। বোঝা যাচ্ছে, সমীর আর আসবে না। নাকে-মুখে কোনও রকমে দুটো রেশনের মোটা চালের ভাত আর কাঁচালঙ্কা দেওয়া ডালসেদ্ধ গুঁজে দুপুর বারোটার সময় হোঁচট খেয়ে বেরতে বেরতে বলেছিল, ‘আকাশনীল বাড়ির সামনেই ন’টা পর্যন্ত অপেক্ষা কোরো। বিশদ

07th  July, 2024
ছোট্ট প্রতিশোধ
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়

মিনার গলা শুনে মোবাইল ফোন থেকে চোখ তুলে ‘কাজের বউ’-এর দিকে তাকালেন কৃষ্ণকলি। তিনি আর কিছু বলার আগেই দড়াম করে দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে মিনা বেরিয়ে পড়ল ফ্ল্যাট থেকে। এখনও দুটো বাড়িতে কাজে যেতে হবে, এখানে আর এক মিনিট দাঁড়ালেই শুরু হয়ে যাবে বুড়ির গজগজানি। বিশদ

30th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মুবারক বেগম সৌধ
সমৃদ্ধ দত্ত

হৌজ গাজি চক নামের এই চৌরাস্তা থেকে চারটি রাস্তা চলে গিয়েছে চাররকম ইতিহাসের পৃষ্ঠার দিকে। কোনওটি চৌরি বাজার। কোনওটি আবার আজমির গেট। একটি চাঁদনী চক। এর আশপাশের সবথেকে বিখ্যাত স্থান আজকের দিনে অবশ্য একটি বিশেষ গলি। বিশদ

30th  June, 2024
অতীতের আয়না: মহানগরে মহারানি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

মহারানি ভিক্টোরিয়ার সিংহাসনে বসার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে উৎসবে মেতে উঠেছে পুরো ব্রিটিশ সাম্রাজ্য। তবে সাম্রাজ্যের বাকি অংশের তুলনায় এদেশে উদযাপনের উৎসাহ যেন একটু বেশি। রানির এই জুবিলিতে ভারত থেকে পাঠানো আনুগত্যসূচক বার্তার সংখ্যা বাকি সাম্রাজ্যের মোট বার্তার দ্বিগুণ। বিশদ

30th  June, 2024
ছোট গল্প: একাকিনী
আইভি চট্টোপাধ্যায়

ওই আবার। দরজাটা খুলল মনে হচ্ছে না? খুব আস্তে আস্তে খুলেছে দরজা। যাতে সুকৃতির কানে না আসে আওয়াজটা। কালও এ সময় হয়েছিল আওয়াজটা। এই ভোরের দিকে,  যখন চারদিক ঘুমে অচেতন,  সেই সময়টাই বেছে নিয়েছে। বিশদ

23rd  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মির্জা গালিবের হাভেলি
সমৃদ্ধ দত্ত

আম তো কমবেশি একইরকম দেখতে! তা আবার এত মন দিয়ে দেখার কী আছে। অধিক ফলবতী গাছের কাছে গিয়ে নুইয়ে পড়া আম ধরে ধরে মির্জা কী দেখছে? বিস্মিত হলেন সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর। একটু আগে তিনি বেরিয়েছেন বৈকালিক ভ্রমণে। বেশিদূর নয়। বিশদ

23rd  June, 2024
আজও রহস্য: স্পেডলিনস ক্যাসেলের ভূত
সমুদ্র বসু

আন্নান নদীর দক্ষিণ তীরে আজও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে যে দুর্গ সেট হল স্পেডলিনস টাওয়ার। এটি একসময়ে ছিল  ডামফ্রিসশায়ার কাউন্টি, আজকের দিনে স্কটল্যান্ডের লকারবি-এর অংশ। ভূত মানে যেমন অশরীরী তেমনই ভূত মানে অতীত। বিশদ

23rd  June, 2024
একটি প্রেমের গল্প
শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ

—তুমি তো দেখছি বাসনটাও মাজতে পার না ভালো করে! হাসতে হাসতে ইংরেজিতে বলেছিল ক্যাথারিন। ইতালির মেয়ে। কলকাতায় এসেছিল গবেষণা করতে কালীপুজো নিয়ে। বিশদ

16th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ফিরোজ শাহ কোটলা দুর্গ
সমৃদ্ধ দত্ত

তিমুর ই বেগের মধ্যে সৃষ্টি ছিল না। তার পূর্ববর্তী আরও অনেক শাসকদের মতোই তার আনন্দ ছিল ধ্বংসে। ধ্বংস মানেই লুটপাট। লুট মানেই পাহাড়সমান সম্পদ। যত সম্পদ, তত বড় হবে সেনাবাহিনী। যত বড় হবে সেনাবাহিনী, ততই বেড়ে চলবে সাম্রাজ্য। বিশদ

16th  June, 2024
একনজরে
বাংলাদেশের অশান্তির প্রভাব পড়েছে এপারের বাণিজ্যে। ওপারে সৃষ্টি হওয়া অচলাবস্থার জেরে মালদহের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। গত এক সপ্তাহ ধরেই পণ্য পরিবহণে বিঘ্ন ঘটছিল। রবি ...

সোমবার থেকে সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনের প্রথম দিনেই বাগনান থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত রেললাইন চালুর দাবি জানালেন উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ। ...

পুলিসি ধরপাকড় কিছুটা কমতেই ফের শুরু হয়েছে চোরাই কয়লা কারবার। দুবরাজপুরের ঘাট গোপালপুর গ্রামই এখন চোরাই কয়লার প্রধান স্টক পয়েন্ট। সেখান থেকে বাইকে করে কয়লা ...

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্রকে সোমবার স্থায়ী জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। লখিমপুর খেরিতে গাড়ির চাকায় কৃষকদের পিষে মারার মামলায় অভিযুক্ত আশিসকে গত বছর ২৫ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছিল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৯- আমেরিকাতে টাইপরাইটারের পূর্বসুরী টাইপোগ্রাফার পেটেন্ট করেন উইলিয়াম অস্টিন বার্ড
১৮৪৩ - সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বাগ্মী রায়বাহাদুর কালীপ্রসন্ন ঘোষের জন্ম
১৮৫৬- স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের জন্ম
১৮৮১ - আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত 
১৮৯৩ - কলকাতায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পূর্বতন বেঙ্গল একাডেমি অব লিটারেচার স্থাপিত
১৮৯৫- চিত্রশিল্পী মুকুল দের জন্ম
১৮৯৮ - বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৬ - চন্দ্রশেখর আজাদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী
১৯২৭ - সালের এই দিনে ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি বোম্বাইয়ে ভারতের প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৩ - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবী ও আইনজীবী যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের মৃত্যু
১৯৩৪ – পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের জন্ম
১৯৪৭ – বলিউড অভিনেতা মোহন আগাসের জন্ম
১৯৪৭ – বিশিষ্ট বেহালা বাদক এল সুব্রহ্মণমের জন্ম
১৯৪৯ -  দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ক্লাইভ রাইসের জন্ম
১৯৫৩ - ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার গ্রাহাম গুচের জন্ম
১৯৭৩ – সঙ্গীত পরিচালক তথা সঙ্গীত শিল্পী হিমেশ রেশমিয়ার জন্ম
১৯৯৫- হেল-বপ ধূমকেতু আবিস্কার হয়, পরের বছরের গোড়ায় সেটি খালি চোখে দৃশ্যমান হয়
২০০৪- অভিনেতা মেহমুদের মৃত্যু
২০১২- আই এন এ’ যোদ্ধা লক্ষ্মী সায়গলের মৃত্যু
২০১৮ - মঞ্চ ও চলচ্চিত্রাভিনেত্রী বাসবী নন্দীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৫ টাকা ৮৪.৫৯ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৩ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৬৩ টাকা ৯২.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ১৩/১০ দিবা ১০/২৪। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ৩৭/৫৫ রাত্রি ৮/১৮। সূর্যোদয় ৫/৮/০, সূর্যাস্ত ৬/১৭/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/২ গতে ২/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৫/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে ২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৭ গতে ৮/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ ম঩ধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৯ গতে ৯/০ মধ্যে। 
৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ১২/৪৭। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১১/৪২। সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/৪১ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৫/১৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫১ মধ্যে ও ৯/৫ গতে ১১/১৯ মধ্যে ও ১/৩৩ গতে ৩/২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/৩ মধ্যে।
১৬ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নিট-ইউজি প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলা: পুনরায় পরীক্ষার নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

05:18:38 PM

কলকাতা লিগ: ক্যালকাটা পুলিস ক্লাব ও মোহন বাগানের ম্যাচ ড্র, স্কোর ১-১

05:10:49 PM

বক্তব্য শেষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:02:23 PM

১৫ অক্টোবর দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল: মমতা

04:58:39 PM

আগামী বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:58:18 PM

চলতি বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:56:43 PM