Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

বেগ বেগমের সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

এটা কী করলেন বাদশা! এরকম এক ভরা বর্ষায় বাংলা-বিহারে যখন নদীগুলো ফুঁসে উঠে জমি, জনপদ ভাসিয়ে নিয়ে যাবে, তখন পর্যন্ত কেউ যুদ্ধের জন্য অপেক্ষা করে? ভাবছিল হুমায়ুনের সেনাবাহিনীর একাংশ। কিন্তু এখন আর কিছু করার নেই। জুন, ১৫৩৯। সামনে গঙ্গা। পিছনে কর্মনাশা। মাঝখানের চৌসার বিস্তীর্ণ ভূমিখণ্ডে মুঘল বাদশা হুমায়ুনের বাহিনী। অপেক্ষা করছে। গঙ্গার অন্য প্রান্তে আছেন আফগান বীর শের খান। হুমায়ুন অবশ্য নামেই বাদশা। পিতার মৃত্যুর পর সারাক্ষণই শুধু ছুটে বেড়াতে হচ্ছে। ওদিকে সমরখন্দ থেকে কাবুলে, নিজের বৈমাত্রেয় ভাইয়েদের সঙ্গে সম্পত্তি, রাজত্ব আর উত্তরাধিকার নিয়ে অন্তহীন শত্রুতা আর গুপ্তহত্যার চক্রান্ত সামলানো। আর এদিকে এই শের খান। আগ্রা যাওয়ার রাস্তাকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন। যাতে হুমায়ুন হিন্দুস্তানের মূল ভূমিখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা শের খানের।  সম্রাট বাবর যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, হিন্দুস্তানে একটা সাম্রাজ্য স্থাপন করে রয়ে যাবে তাঁর বংশধরেরা, সেই স্বপ্ন চূর্ণ হবে। অতএব শের খানকে আটকাতে হবে। 
কিন্তু ভাবলেই তো হবে না। শের খানের যোদ্ধা হিসেবে পরিকল্পনা নিখুঁত। সৈন্য মোতায়েন অঙ্ক কষা। সময়জ্ঞান তুলনাহীন। এবং সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা অদ্বিতীয়। আর তাই হুমায়ুনের সেনাবাহিনী অগ্রসর হতে হতে দেখতে পাচ্ছে, তাদের তুলনায় অনেক সুবিধাজনক স্থানে রয়েছে শের খান। কারণ এই হুমায়ুন বাহিনী যেখানে, সেটি নিচু জমি। এখন জুন মাস। বর্ষা নেমেই গিয়েছে। চলছেও। আর সবথেকে খারাপ লক্ষণ হল, এবার বর্ষা এসেছে অনেক আগেই। ফাঁদে পড়েছেন হুমায়ুন। কারণ তিন মাস ধরে এভাবে বসে থাকার কারণই ছিল না। শের খান সন্ধির প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। সেই আলোচনার আসল কারণ হল, বর্ষা আসার অপেক্ষা। সেটা যখন হুমায়ুন বুঝলেন, তখন অনেক দেরি হয়ে গেল। 
সুতরাং যখন শের খানের আফগান বাহিনী আক্রমণ করল, তখন কয়েকদিনের মধ্যেই  হুমায়ুন আঁচ করলেন যে, সম্ভবত তাঁর বাহিনী সাফল্য পাবে না। ইতিমধ্যেই কর্মনাশার জল ঢুকে স্রোতের মতো ভাসাচ্ছে দিগ্বিদিক। সমস্যা হল হুমায়ুনের কাছে নেই কোনও স্থায়ী ঠিকানা। অন্তত সুরক্ষিত। তাই তাঁর সঙ্গে সঙ্গেই সর্বত্র চলেছে হারেম। অর্থাৎ বেগমের দল। এরকমই হয়। তাঁকে তো সবাই ধ্বংসই করতে চায়। কাকে বিশ্বাস করবেন? অতএব যুদ্ধের ময়দানে একপ্রান্তে সর্বদাই থাকে হারেমের নারীরা। তাঁদের দাসদাসীর দল। 
সর্বাগ্রে বড় বেগমের কথা মনে পড়ল হুমায়ুনের। সবথেকে বিশ্বস্ত চার সেনাপতিকে ডাকলেন। তারদি বেগ, বাবা বেগ, কোচ বেগ ও মীর বাচকা বাহাদুর। তাঁদের বললেন, বেগমের তাঁবুতে যাও। তাঁকে রক্ষা করতে হবে। সবাইকে নিয়ে যত দূর সম্ভব হয়, পালাও। বেঁচে থাকলে আবার দেখা হবে আমাদের। 
সেই চারজন দ্রুত উপস্থিত হলেন বেগ বেগমের কাছে। পারস্যের সুন্দরী এই বেগম নিছক আফগান, তুরস্ক, মুঘলদের বেগমের মতো সুলতান, বাদশাতে নিবেদিতপ্রাণ অনুগত নয়। তিনি রীতিমতো স্বাধীনচেতা। মুঘল বা আফগান দুনিয়ার প্রথম বেগম যিনি হজে গিয়েছিলেন একাই। তাই তাঁর আর এক নাম হাজি বেগম। নানাবিধ বেগম থাকলেও হুমায়ুন যখন অনেক দিন পর পর তাঁর কাছে আসতেন না, তখন তীব্র স্বরে হুমায়ুনকে বিদ্ধ করতেন এই বেগম। বলতেন, আপনার অনেক কাজ জানি। যুদ্ধ করছেন। পরিকল্পনা করছেন। শলাপরামর্শ করছেন। সবই ঠিক। তাই বলে আমরাও যে আছি, সেটা ভুলে যাবেন না। 
একজন নারী, মুঘল বাদশাকে এই সুরে কড়া কথা বলছেন এটা একপ্রকার অবিশ্বাস্য হলেও, হুমায়ুনের বোন গুলবদন বেগম তাঁর অসামান্য রচনায় বেগ বেগমের এই দৃপ্ত চরিত্রের কথা অনেকবার বলেছেন। 
আফগানরা আক্রমণ করে হাজির হল বেগ বেগমের তাঁবুতেও। একে একে তাঁর সুরক্ষায় আসা সকলেই অসীম সাহসিকতায় যুদ্ধ করল। কিন্তু একমাত্র তারদি বেগ ছাড়া কেউই আফগান যোদ্ধাদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। প্রাণ হারাল।  
মাথায় বাজ পড়ল হুমায়ুন বাহিনীর। কারণ হারেমের নারীদের বন্দি করে নিয়েছে শের খানের বাহিনী। চরম অসম্মান। কিন্তু শের খান কড়া নির্দেশ দিলেন। বললেন, একজনও জেনানার কোনওরকম অসম্মান যেন না হয়। শুধু তাই নয়, বিহারের এক হিন্দু জমিদারের কাছে সেই বন্দি জেনানাদের পাঠিয়ে বলা হল, এঁরা আমাদের সম্মানীয়া অতিথি। আপনার কোনও এক প্রাসাদে রাখুন। আমরা এই নারীদের মুঘলদের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দেব। 
এহেন যুদ্ধক্ষেত্রে সবথেকে ধীর স্থির আর সহিষ্ণুতার পরিচয় দিলেন বেগম। এবং সম্পূর্ণ পাল্টে গেলেন তিনি। কেন? কারণ তাঁর মাত্র ৬ বছরের কন্যা আকিকা নৌকা থেকে পড়ে গিয়ে প্রবল জলস্রোতে হারিয়ে গেল কর্মনাশায়। পরবর্তীকালে নিজেকে ক্ষমা করতে পারেননি হুমায়ুন। লিখেছেন, জীবনের সবথেকে বড়
পাপ হল, কেন আমি আকিকাকে যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়ে এলাম। আমি কেমন পুরুষ? যে পরিবারকে সুরক্ষিত করতে পারে না!
১৫৫৬ সালে কাবুলে ছিলেন হুমায়ুনের বেগমেরা। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দুই নারী বেগ বেগম ও হামিদা বানু। তাঁদের কাছে খবর এল হুমায়ুনের মৃত্যু হয়েছে। গ্রন্থাগারের সিঁড়ি থেকে দ্রুত নামতে গিয়ে তিনি পড়ে যান। এবং মৃত্যু হয়। দুই বেগম চলে এলেন আগ্রায়। ১৪ বছরের পুত্র আকবর সম্রাট হবেন! তাঁর মা হামিদা যতটা খুশি, তার থেকে কোনও অংশেই কম উচ্ছ্বসিত নয় বেগ বেগম। আকবরের সৎমা।  আকবর অবশ্য নিজে আবুল ফজলকে বলেছিলেন আমি তো ছোটবেলায় একটা সময় ভাবতাম, উনিই আমার আসল মা!  কারণ, আকবরকে কোলেপিঠে মানুষ করেছেন বেগ বেগম। 
আকবরের আজও মনে আছে যে, দাঁতে ব্যথা হওয়ায় একবার  বেগ বেগম হাকিমের থেকে ওষুধ নিয়ে আসেন। কিন্তু হামিদা বেগম ভাবলেন এটা চক্রান্ত। নিশ্চয়ই বিষ। কিছুতেই খেতে দেওয়া হবে না আকবরকে। বড় বেগম নির্ঘাত হামিদার পুত্রকে হত্যা করতে চায়। একথা শুনে বেগ বেগমের মাথায় বাজ পড়ল। তিনি আকবরকে হত্যা করবেন! ওই ওষুধের তরল পদার্থ নিজেই খেলেন সকলের সামনে।  হামিদা বানুর বিশ্বাস হল! 
 আগ্রা নয়, কাবুল নয়। হুমায়ুনের স্মৃতির দিল্লিতেই সম্রাটের স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করতে হবে। তাই চিরতরে দিল্লিতে একাকী জীবনে প্রবেশ করলেন বেগ বেগম।  শুরু করলেন এক বিস্ময়কর প্রকল্প। হুমায়ুনের স্মৃতিসৌধ। হজে গিয়ে তিনি সঙ্গে করে নিয়ে এলেন পারস্যের শিল্পীদের। নিজের চোখে সেই সৌধ নির্মাণ দেখবেন বলে অদূরেই একটি ক্ষুদ্র বাড়ি নির্মাণ করে থাকছেন। এই সৌধেই যেন তাঁ঩কে সমাহিত করা হয়! এই ছিল শেষ ইচ্ছা! হুমায়ুন টুম্বের নির্মাতা হাজি বেগম আজও চিরশয়ানে শান্তির নিদ্রায় সেই সৌধের অন্দরে! 
14th  July, 2024
জিষ্ণুর বউ
নন্দিনী  নাগ

রামচন্দ্র চোদ্দো বছর বনবাসে কাটিয়ে নিজের রাজ্যে ফিরেছিলেন, আর সুজয়িতা বনের বদলে ভিনদেশে কাটিয়ে আজ ফিরছে স্বদেশে।  এই চোদ্দো বছরে যে মেয়ে একবারের জন্যেও আসতে পারেনি, আজ সে আসছে পাকাপাকিভাবে। ফরাসি দেশের পাট পুরোপুরি চুকিয়ে দিয়ে। বিশদ

21st  July, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দেবী যোগমায়া মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

দ্বিতীয় আকবর শাহের দুর্ভাগ্য যে, পুত্র মির্জা জাহাঙ্গিরকে কিছুতেই বশে আনতে পারলেন না। মাথা ঠান্ডা রাখা যে, সাম্রাজ্য চালানোর সবথেকে বড় শর্ত, এটা সকলে বুঝতে পারে না। ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ হয়ে গিয়ে সর্বস্ব হারাতে হয়েছে, এই ইতিহাস মুঘল বংশে বহু দেখা যায়। বিশদ

21st  July, 2024
বর্ষা এল, মাছ ধরতে চল
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

 

শ্যামপুকুরের কৃষ্ণকুমার মিত্রের গাছগাছালি ঘেরা পুকুর সহ নিরিবিলি এক বাগানবাড়ি ছিল দমদমে। বাগানের মালিকের নিমন্ত্রণেই সেখানে একবার বেড়াতে গিয়েছিলেন হেমেন্দ্রকুমার রায়, পূর্ণচন্দ্র চক্রবর্তী সহ কয়েকজন শিল্পী সাহিত্যিক বন্ধু। পূর্ণচন্দ্র ছাড়া বাকিদের মাছ ধরার নেশা ছিল। বিশদ

21st  July, 2024
মাছের হাঁড়ি
সৌরভ হোসেন

টালির চালার ফুটো দিয়ে রোদগুলি ঘুলঘুলি হয়ে পড়ছে যে ডাপখানায়, বাঁশের তৈরি সে ডাপখানাতেই রাখা আছে হাঁড়িটা। একদিকের কানা বসানো।
বিশদ

14th  July, 2024
হেস্টিংস হাউসের ভূত
সমুদ্র বসু

ইতিহাস হয়েও যা বর্তমান। নেই হয়েও তা আছে। এমন স্ববিরোধী বিশেষণ যায় রহস্যময় অথচ মরীচিকাময় ছায়াজগতের ক্ষেত্রে।  যখন  বেলায় চাঁদের আলোয় উদ্ভাসিত হয় এক অন্য জগৎ, যখন নিঝুম রাতের মধ্যে সজাগ হয়ে ওঠে অন্য বাসিন্দারা, তখন আসে সেই প্রহর।
বিশদ

14th  July, 2024
দর্শক
মানস সরকার

রাস্তার দিকে ভালো করে একবার তাকিয়ে নিয়ে মন্দিরা শেষ পর্যন্ত ঢুকে এল অনুষ্ঠান বাড়ির ভিতর। বুকটা ভারী লাগছে। বোঝা যাচ্ছে, সমীর আর আসবে না। নাকে-মুখে কোনও রকমে দুটো রেশনের মোটা চালের ভাত আর কাঁচালঙ্কা দেওয়া ডালসেদ্ধ গুঁজে দুপুর বারোটার সময় হোঁচট খেয়ে বেরতে বেরতে বলেছিল, ‘আকাশনীল বাড়ির সামনেই ন’টা পর্যন্ত অপেক্ষা কোরো। বিশদ

07th  July, 2024
ছোট্ট প্রতিশোধ
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়

মিনার গলা শুনে মোবাইল ফোন থেকে চোখ তুলে ‘কাজের বউ’-এর দিকে তাকালেন কৃষ্ণকলি। তিনি আর কিছু বলার আগেই দড়াম করে দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে মিনা বেরিয়ে পড়ল ফ্ল্যাট থেকে। এখনও দুটো বাড়িতে কাজে যেতে হবে, এখানে আর এক মিনিট দাঁড়ালেই শুরু হয়ে যাবে বুড়ির গজগজানি। বিশদ

30th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মুবারক বেগম সৌধ
সমৃদ্ধ দত্ত

হৌজ গাজি চক নামের এই চৌরাস্তা থেকে চারটি রাস্তা চলে গিয়েছে চাররকম ইতিহাসের পৃষ্ঠার দিকে। কোনওটি চৌরি বাজার। কোনওটি আবার আজমির গেট। একটি চাঁদনী চক। এর আশপাশের সবথেকে বিখ্যাত স্থান আজকের দিনে অবশ্য একটি বিশেষ গলি। বিশদ

30th  June, 2024
অতীতের আয়না: মহানগরে মহারানি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

মহারানি ভিক্টোরিয়ার সিংহাসনে বসার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে উৎসবে মেতে উঠেছে পুরো ব্রিটিশ সাম্রাজ্য। তবে সাম্রাজ্যের বাকি অংশের তুলনায় এদেশে উদযাপনের উৎসাহ যেন একটু বেশি। রানির এই জুবিলিতে ভারত থেকে পাঠানো আনুগত্যসূচক বার্তার সংখ্যা বাকি সাম্রাজ্যের মোট বার্তার দ্বিগুণ। বিশদ

30th  June, 2024
ছোট গল্প: একাকিনী
আইভি চট্টোপাধ্যায়

ওই আবার। দরজাটা খুলল মনে হচ্ছে না? খুব আস্তে আস্তে খুলেছে দরজা। যাতে সুকৃতির কানে না আসে আওয়াজটা। কালও এ সময় হয়েছিল আওয়াজটা। এই ভোরের দিকে,  যখন চারদিক ঘুমে অচেতন,  সেই সময়টাই বেছে নিয়েছে। বিশদ

23rd  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মির্জা গালিবের হাভেলি
সমৃদ্ধ দত্ত

আম তো কমবেশি একইরকম দেখতে! তা আবার এত মন দিয়ে দেখার কী আছে। অধিক ফলবতী গাছের কাছে গিয়ে নুইয়ে পড়া আম ধরে ধরে মির্জা কী দেখছে? বিস্মিত হলেন সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর। একটু আগে তিনি বেরিয়েছেন বৈকালিক ভ্রমণে। বেশিদূর নয়। বিশদ

23rd  June, 2024
আজও রহস্য: স্পেডলিনস ক্যাসেলের ভূত
সমুদ্র বসু

আন্নান নদীর দক্ষিণ তীরে আজও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে যে দুর্গ সেট হল স্পেডলিনস টাওয়ার। এটি একসময়ে ছিল  ডামফ্রিসশায়ার কাউন্টি, আজকের দিনে স্কটল্যান্ডের লকারবি-এর অংশ। ভূত মানে যেমন অশরীরী তেমনই ভূত মানে অতীত। বিশদ

23rd  June, 2024
একটি প্রেমের গল্প
শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ

—তুমি তো দেখছি বাসনটাও মাজতে পার না ভালো করে! হাসতে হাসতে ইংরেজিতে বলেছিল ক্যাথারিন। ইতালির মেয়ে। কলকাতায় এসেছিল গবেষণা করতে কালীপুজো নিয়ে। বিশদ

16th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ফিরোজ শাহ কোটলা দুর্গ
সমৃদ্ধ দত্ত

তিমুর ই বেগের মধ্যে সৃষ্টি ছিল না। তার পূর্ববর্তী আরও অনেক শাসকদের মতোই তার আনন্দ ছিল ধ্বংসে। ধ্বংস মানেই লুটপাট। লুট মানেই পাহাড়সমান সম্পদ। যত সম্পদ, তত বড় হবে সেনাবাহিনী। যত বড় হবে সেনাবাহিনী, ততই বেড়ে চলবে সাম্রাজ্য। বিশদ

16th  June, 2024
একনজরে
সোমবার থেকে সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনের প্রথম দিনেই বাগনান থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত রেললাইন চালুর দাবি জানালেন উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ। ...

পুলিসি ধরপাকড় কিছুটা কমতেই ফের শুরু হয়েছে চোরাই কয়লা কারবার। দুবরাজপুরের ঘাট গোপালপুর গ্রামই এখন চোরাই কয়লার প্রধান স্টক পয়েন্ট। সেখান থেকে বাইকে করে কয়লা ...

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্রকে সোমবার স্থায়ী জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। লখিমপুর খেরিতে গাড়ির চাকায় কৃষকদের পিষে মারার মামলায় অভিযুক্ত আশিসকে গত বছর ২৫ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছিল। ...

বাংলাদেশের অশান্তির প্রভাব পড়েছে এপারের বাণিজ্যে। ওপারে সৃষ্টি হওয়া অচলাবস্থার জেরে মালদহের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। গত এক সপ্তাহ ধরেই পণ্য পরিবহণে বিঘ্ন ঘটছিল। রবি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৯- আমেরিকাতে টাইপরাইটারের পূর্বসুরী টাইপোগ্রাফার পেটেন্ট করেন উইলিয়াম অস্টিন বার্ড
১৮৪৩ - সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বাগ্মী রায়বাহাদুর কালীপ্রসন্ন ঘোষের জন্ম
১৮৫৬- স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের জন্ম
১৮৮১ - আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত 
১৮৯৩ - কলকাতায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পূর্বতন বেঙ্গল একাডেমি অব লিটারেচার স্থাপিত
১৮৯৫- চিত্রশিল্পী মুকুল দের জন্ম
১৮৯৮ - বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৬ - চন্দ্রশেখর আজাদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী
১৯২৭ - সালের এই দিনে ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি বোম্বাইয়ে ভারতের প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৩ - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবী ও আইনজীবী যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের মৃত্যু
১৯৩৪ – পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের জন্ম
১৯৪৭ – বলিউড অভিনেতা মোহন আগাসের জন্ম
১৯৪৭ – বিশিষ্ট বেহালা বাদক এল সুব্রহ্মণমের জন্ম
১৯৪৯ -  দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ক্লাইভ রাইসের জন্ম
১৯৫৩ - ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার গ্রাহাম গুচের জন্ম
১৯৭৩ – সঙ্গীত পরিচালক তথা সঙ্গীত শিল্পী হিমেশ রেশমিয়ার জন্ম
১৯৯৫- হেল-বপ ধূমকেতু আবিস্কার হয়, পরের বছরের গোড়ায় সেটি খালি চোখে দৃশ্যমান হয়
২০০৪- অভিনেতা মেহমুদের মৃত্যু
২০১২- আই এন এ’ যোদ্ধা লক্ষ্মী সায়গলের মৃত্যু
২০১৮ - মঞ্চ ও চলচ্চিত্রাভিনেত্রী বাসবী নন্দীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৫ টাকা ৮৪.৫৯ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৩ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৬৩ টাকা ৯২.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ১৩/১০ দিবা ১০/২৪। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ৩৭/৫৫ রাত্রি ৮/১৮। সূর্যোদয় ৫/৮/০, সূর্যাস্ত ৬/১৭/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/২ গতে ২/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৫/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে ২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৭ গতে ৮/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ ম঩ধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৯ গতে ৯/০ মধ্যে। 
৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ১২/৪৭। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১১/৪২। সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/৪১ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৫/১৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫১ মধ্যে ও ৯/৫ গতে ১১/১৯ মধ্যে ও ১/৩৩ গতে ৩/২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/৩ মধ্যে।
১৬ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নিট-ইউজি প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলা: পুনরায় পরীক্ষার নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

05:18:38 PM

কলকাতা লিগ: ক্যালকাটা পুলিস ক্লাব ও মোহন বাগানের ম্যাচ ড্র, স্কোর ১-১

05:10:49 PM

বক্তব্য শেষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:02:23 PM

১৫ অক্টোবর দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল: মমতা

04:58:39 PM

আগামী বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:58:18 PM

চলতি বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:56:43 PM