Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অতীতের আয়না: মহানগরে মহারানি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

মহারানি ভিক্টোরিয়ার সিংহাসনে বসার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে উৎসবে মেতে উঠেছে পুরো ব্রিটিশ সাম্রাজ্য। তবে সাম্রাজ্যের বাকি অংশের তুলনায় এদেশে উদযাপনের উৎসাহ যেন একটু বেশি। রানির এই জুবিলিতে ভারত থেকে পাঠানো আনুগত্যসূচক বার্তার সংখ্যা বাকি সাম্রাজ্যের মোট বার্তার দ্বিগুণ। উপ মহাদেশের তৎকালীন রাজধানী হিসেবে ১৮৮৭ সালের এই উৎসবে কলকাতার উৎসাহ স্বাভাবিক কারণেই একটু বেশি থাকার কথা। কিন্তু এই এত বছর পরে সেই উদ্দীপনার কোনও স্মৃতি কি আজও পাওয়া যায় শহর কলকাতার আনাচেকানাচে? আসুন খুঁজে দেখি।  
মহাবিদ্রোহের পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতের শাসনভার ভিক্টোরিয়ার হাতে আসার পরেই রানির ঘোষণায় সুশাসন, প্রজাপালন ও প্রজার ধর্মরক্ষার অঙ্গীকার করা হয়। সেই ভিতের উপর দাঁড়িয়ে খুব যত্নে ভিক্টোরিয়ার মমতাময়ী মাতৃসম মূর্তি গড়ে তোলা হয় সাধারণ ভারতীয়দের মনে। কোম্পানির আমলের সঙ্গে রানিমা-র আমলের পার্থক্য সকলকে বোঝানোয় ত্রুটি করাও হতো না। 
সেই আবহেই এসে পড়ে ১৮৮৭ সাল। মানে রানির সিংহাসনে বসার সুবর্ণ জয়ন্তী। মহারানির আমলে ভারতে রেলপথ বিস্তার ও আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলনের মতো সুফলের কথা মনে করিয়ে সাম্রাজ্য ও সম্রাজ্ঞীর মূর্তি পূজার আরও এক সুযোগ এনে দেয় জুবিলি উৎসব। সমকালীন রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, রানাঘাটে তো এক মন্দির স্থাপন করে সেখানে ভিক্টোরিয়ার মূর্তিকে পূজাও করা হতো। 
তবে জুবিলি উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে বাজি প্রদর্শনী, আলোকসজ্জার মতো সরকারি অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এদেশে রানির জনহিতকর শাসনের স্মৃতিকে অক্ষয় করার উদ্দেশ্যে লর্ড ডাফরিনের প্রশাসনের তরফে ভারতীয়দের উৎসাহ দেওয়া হল পুর ও জনহিতকর কাজে নিজেদের অর্থ ও শক্তি নিয়োগ করতে। লেডি ডাফরিন তার হাসপাতালের জন্য বেশি করে অনুদান জোগাড়ে নেমে পড়লেন। ‘জুবিলি ব্রিজ’ নামে নতুন সেতু উদ্বোধন করা হল গঙ্গার উপর।
সাধারণ প্রজারা রানির প্রতি স্থায়ী শ্রদ্ধা প্রদর্শনের পথ খুঁজে নিলেন বাড়ির দেওয়ালে পঙ্খের কাজে (পলস্তরা কেটে ডিজাইন) রানির মুখের পার্শ্বচিত্র (face profile) ফুটিয়ে তুলে। জুবিলি উৎসব উপলক্ষে জারি করা সরকারি স্মারক গ্রন্থের প্রচ্ছদ থেকে নেওয়া মাথায় রাজমুকুট শোভিত সেই ছবির পাশে খোদাই করা থাকত ‘কুইন’স জুবিলি-১৮৮৭’ কথাগুলি। 
এর পাশাপাশি এই ফলক বসানোর আরও একটি দৃষ্টিকোণের কথা পাওয়া যায় মাইলস টেলরের লেখা ‘এম্প্রেস: কুইন ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড ইন্ডিয়া’ বইটিতে। টেলর দেখিয়েছেন যে, ১৮৫৮ সালের সনদ ঘোষণার পর ভারতীয়দের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের কড়া সমালোচনা করা হলেও সরাসরি মহারানির সমালোচনা অত্যন্ত বিরল ঘটনা। কিন্তু দেখা গেল যে, জুবিলির সুযোগ নিয়ে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অগ্রগতিকে প্রশাসনিক স্তরে মহারানির ব্যক্তিগত জীবনের মাইলফলকের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। তাই অনেক সময় প্রজারা যেমন রাজভক্তি প্রকাশে সরকারের পরিবর্তে রানিকে বেছে নিলেন উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে।  এর সঙ্গে মনে রাখতে হবে যে, ১৮৮৫ সালে স্থাপিত জাতীয় কংগ্রেসও কিন্তু নিজের অস্তিত্বের প্রাথমিক বছরগুলিতে নিজেদের দাবিদাওয়াগুলি রাজানুগত্যের মোড়কেই পেশ করত। সুতরাং মনে করা হয়, মহারানির ফলক বসানোর পেছনে অনেকগুলি কারণ কাজ করেছিল সে সময়। 
তবে জুবিলি উৎসবের বেশ কড়া সমালোচনা কিন্তু প্রকাশিত হয়েছিল এই শহরে থেকেই। কৃষ্ণচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘বঙ্গবাসী’ পত্রিকার পাতায় জুবিলি উৎসবকে শিশুদের ভয় দেখানোর কাল্পনিক ‘জুজু’র উৎসব আখ্যা দিয়ে লেখা হয়— ‘জুজুবিলি’ উদ্‌যাপন। লেখা হল যে, ভারতীয়দের মতো এমন অদ্ভুত জাতি পৃথিবীতে সম্ভবত আর নাই। কারণ তারা নিজেদের ঘরের আগুন লাগিয়ে বহ্ন্যুৎসবের আনন্দ উপভোগ করে। উৎসবের মোহে মানুষকে নেশাগ্রস্ত করার জন্য শাসকের তীব্র সমালোচনা করে পত্রিকা সম্পাদক খেদ প্রকাশ করেন যে, দেশবাসীও কতও সহজে নিজেদের দুর্দশা ভুলে গা ভাসিয়ে দিলেন অনুগত্য দেখানোর গড্ডলিকায়।
১৮৮৭ সালের দশ বছর পর রানির হীরক জয়ন্তী উৎসবের ডঙ্কা আবার বেজে উঠল। দুর্ভিক্ষ, কলেরা, মহামারীর মতো সমস্যা সত্ত্বেও ভিক্টোরিয়ার নামের ম্যাজিক অটুট ছিল। কিন্তু উদযাপনের ঠিক আগে কলকাতায় আঘাত হানল এক বড় ভূমিকম্প। ওল্ড মিশন চার্চের চূড়া ভেঙে পড়ল তার অভিঘাতে।  ফলে উদযাপনের জৌসুলের উপর কিছু প্রভাব পড়লই।  
সাধারণ মানুষের মনে রানির প্রতি এই ভক্তি শ্রদ্ধার অবিচল ছিল ১৯০৩ সালে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত। তাঁর জীবনের শেষ কয়েক দশক রানি যেন ভারতীয়দের কাছে আরও আপন হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর হিন্দুস্তানি ভাষা শেখার চেষ্টা বা দু’জন ভারতীয় পার্শ্বচর নিয়োগের মধ্যে দিয়ে একটি নির্দিষ্ট বার্তা পৌঁছেছিল ভারতে। তাই তাঁর মৃত্যুর পরেও দেখা যায় যে, লর্ড কার্জনের নেতৃত্বে রানির স্মরণে সেন্ট পল’স গির্জায় অ্যাঙ্গলিকান প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও রাজা বা রানির মৃত্যুতে প্রজাদের শ্রাদ্ধ করার শাস্ত্রীয় অধিকারের উদ্ধৃতি দিয়ে  ঠিক সেই সময়েই ময়দানে রীতিমতো মহারানির শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আয়োজন করেছিলেন কলকাতার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন। এমনকী,  কর্নওয়ালিস স্ট্রিটে গরিব মানুষদের রীতিমত পাত পেড়ে খিচুরি, কপির তরকারি, বোঁদে সহ ভোজে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছিলেন যতীন্দ্রমোহন ঠাকুররা। শুধু হিন্দুরাই নন, শিয়ালদহ এলাকার মুসলমানরাও আলাদাভাবে শোক জানাতে মিছিল বের করেছিলেন শহরের পথে। 
হিন্দুস্তানি ভাষা শেখা, আবদুল করিমকে সচিব হিসেবে বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়া ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি ঘটনা থেকে বোঝা যায় যে, রানির যত বয়স বেড়েছে, তত যেন তিনি ভারতীয় ঘেরাটোপের মধ্যে ঢুকে পড়েছেন। বিষয়টা লোকের দৃষ্টিও এড়ায়নি। আর তাই হয়তো তার শাসনের শেষ কয় দশকে রাজভক্তি প্রদর্শনের উপায় হিসেবেও গড়ে উঠেছে বাড়ির দেওয়ালে রানির মুখ ফুটিয়ে তোলার সংস্কৃতি। ব্রিটিশ সরকারের তরফ থেকে খেতাব পাওয়া জমিদার ভূস্বামী শ্রেণির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের বাড়ির দেওয়ালেও জুবিলির বছরের প্রোফাইল বা পার্শ্বচিত্র ছাড়াও তার মৃত্যুর পর পুষ্প স্তবকের মাঝে রানির আবক্ষ মূর্তি বসিয়েও শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। আজও বউবাজার বা বড়বাজারের মতো অঞ্চলের দেখা যায় সে সব শিল্পকর্ম। দৈবাৎ এমন ফলকের উপর নজর পড়লে কথা বলে ওঠে ইতিহাস। কিন্তু আমরা সেই ফিসফিস শুনতে পাই কি? 
30th  June, 2024
জিষ্ণুর বউ
নন্দিনী  নাগ

রামচন্দ্র চোদ্দো বছর বনবাসে কাটিয়ে নিজের রাজ্যে ফিরেছিলেন, আর সুজয়িতা বনের বদলে ভিনদেশে কাটিয়ে আজ ফিরছে স্বদেশে।  এই চোদ্দো বছরে যে মেয়ে একবারের জন্যেও আসতে পারেনি, আজ সে আসছে পাকাপাকিভাবে। ফরাসি দেশের পাট পুরোপুরি চুকিয়ে দিয়ে। বিশদ

21st  July, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দেবী যোগমায়া মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

দ্বিতীয় আকবর শাহের দুর্ভাগ্য যে, পুত্র মির্জা জাহাঙ্গিরকে কিছুতেই বশে আনতে পারলেন না। মাথা ঠান্ডা রাখা যে, সাম্রাজ্য চালানোর সবথেকে বড় শর্ত, এটা সকলে বুঝতে পারে না। ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ হয়ে গিয়ে সর্বস্ব হারাতে হয়েছে, এই ইতিহাস মুঘল বংশে বহু দেখা যায়। বিশদ

21st  July, 2024
বর্ষা এল, মাছ ধরতে চল
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

 

শ্যামপুকুরের কৃষ্ণকুমার মিত্রের গাছগাছালি ঘেরা পুকুর সহ নিরিবিলি এক বাগানবাড়ি ছিল দমদমে। বাগানের মালিকের নিমন্ত্রণেই সেখানে একবার বেড়াতে গিয়েছিলেন হেমেন্দ্রকুমার রায়, পূর্ণচন্দ্র চক্রবর্তী সহ কয়েকজন শিল্পী সাহিত্যিক বন্ধু। পূর্ণচন্দ্র ছাড়া বাকিদের মাছ ধরার নেশা ছিল। বিশদ

21st  July, 2024
বেগ বেগমের সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

এটা কী করলেন বাদশা! এরকম এক ভরা বর্ষায় বাংলা-বিহারে যখন নদীগুলো ফুঁসে উঠে জমি, জনপদ ভাসিয়ে নিয়ে যাবে, তখন পর্যন্ত কেউ যুদ্ধের জন্য অপেক্ষা করে?
বিশদ

14th  July, 2024
মাছের হাঁড়ি
সৌরভ হোসেন

টালির চালার ফুটো দিয়ে রোদগুলি ঘুলঘুলি হয়ে পড়ছে যে ডাপখানায়, বাঁশের তৈরি সে ডাপখানাতেই রাখা আছে হাঁড়িটা। একদিকের কানা বসানো।
বিশদ

14th  July, 2024
হেস্টিংস হাউসের ভূত
সমুদ্র বসু

ইতিহাস হয়েও যা বর্তমান। নেই হয়েও তা আছে। এমন স্ববিরোধী বিশেষণ যায় রহস্যময় অথচ মরীচিকাময় ছায়াজগতের ক্ষেত্রে।  যখন  বেলায় চাঁদের আলোয় উদ্ভাসিত হয় এক অন্য জগৎ, যখন নিঝুম রাতের মধ্যে সজাগ হয়ে ওঠে অন্য বাসিন্দারা, তখন আসে সেই প্রহর।
বিশদ

14th  July, 2024
দর্শক
মানস সরকার

রাস্তার দিকে ভালো করে একবার তাকিয়ে নিয়ে মন্দিরা শেষ পর্যন্ত ঢুকে এল অনুষ্ঠান বাড়ির ভিতর। বুকটা ভারী লাগছে। বোঝা যাচ্ছে, সমীর আর আসবে না। নাকে-মুখে কোনও রকমে দুটো রেশনের মোটা চালের ভাত আর কাঁচালঙ্কা দেওয়া ডালসেদ্ধ গুঁজে দুপুর বারোটার সময় হোঁচট খেয়ে বেরতে বেরতে বলেছিল, ‘আকাশনীল বাড়ির সামনেই ন’টা পর্যন্ত অপেক্ষা কোরো। বিশদ

07th  July, 2024
ছোট্ট প্রতিশোধ
অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়

মিনার গলা শুনে মোবাইল ফোন থেকে চোখ তুলে ‘কাজের বউ’-এর দিকে তাকালেন কৃষ্ণকলি। তিনি আর কিছু বলার আগেই দড়াম করে দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে মিনা বেরিয়ে পড়ল ফ্ল্যাট থেকে। এখনও দুটো বাড়িতে কাজে যেতে হবে, এখানে আর এক মিনিট দাঁড়ালেই শুরু হয়ে যাবে বুড়ির গজগজানি। বিশদ

30th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মুবারক বেগম সৌধ
সমৃদ্ধ দত্ত

হৌজ গাজি চক নামের এই চৌরাস্তা থেকে চারটি রাস্তা চলে গিয়েছে চাররকম ইতিহাসের পৃষ্ঠার দিকে। কোনওটি চৌরি বাজার। কোনওটি আবার আজমির গেট। একটি চাঁদনী চক। এর আশপাশের সবথেকে বিখ্যাত স্থান আজকের দিনে অবশ্য একটি বিশেষ গলি। বিশদ

30th  June, 2024
ছোট গল্প: একাকিনী
আইভি চট্টোপাধ্যায়

ওই আবার। দরজাটা খুলল মনে হচ্ছে না? খুব আস্তে আস্তে খুলেছে দরজা। যাতে সুকৃতির কানে না আসে আওয়াজটা। কালও এ সময় হয়েছিল আওয়াজটা। এই ভোরের দিকে,  যখন চারদিক ঘুমে অচেতন,  সেই সময়টাই বেছে নিয়েছে। বিশদ

23rd  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মির্জা গালিবের হাভেলি
সমৃদ্ধ দত্ত

আম তো কমবেশি একইরকম দেখতে! তা আবার এত মন দিয়ে দেখার কী আছে। অধিক ফলবতী গাছের কাছে গিয়ে নুইয়ে পড়া আম ধরে ধরে মির্জা কী দেখছে? বিস্মিত হলেন সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর। একটু আগে তিনি বেরিয়েছেন বৈকালিক ভ্রমণে। বেশিদূর নয়। বিশদ

23rd  June, 2024
আজও রহস্য: স্পেডলিনস ক্যাসেলের ভূত
সমুদ্র বসু

আন্নান নদীর দক্ষিণ তীরে আজও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে যে দুর্গ সেট হল স্পেডলিনস টাওয়ার। এটি একসময়ে ছিল  ডামফ্রিসশায়ার কাউন্টি, আজকের দিনে স্কটল্যান্ডের লকারবি-এর অংশ। ভূত মানে যেমন অশরীরী তেমনই ভূত মানে অতীত। বিশদ

23rd  June, 2024
একটি প্রেমের গল্প
শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ

—তুমি তো দেখছি বাসনটাও মাজতে পার না ভালো করে! হাসতে হাসতে ইংরেজিতে বলেছিল ক্যাথারিন। ইতালির মেয়ে। কলকাতায় এসেছিল গবেষণা করতে কালীপুজো নিয়ে। বিশদ

16th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ফিরোজ শাহ কোটলা দুর্গ
সমৃদ্ধ দত্ত

তিমুর ই বেগের মধ্যে সৃষ্টি ছিল না। তার পূর্ববর্তী আরও অনেক শাসকদের মতোই তার আনন্দ ছিল ধ্বংসে। ধ্বংস মানেই লুটপাট। লুট মানেই পাহাড়সমান সম্পদ। যত সম্পদ, তত বড় হবে সেনাবাহিনী। যত বড় হবে সেনাবাহিনী, ততই বেড়ে চলবে সাম্রাজ্য। বিশদ

16th  June, 2024
একনজরে
সোমবার থেকে সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনের প্রথম দিনেই বাগনান থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত রেললাইন চালুর দাবি জানালেন উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ। ...

বাংলাদেশের অশান্তির প্রভাব পড়েছে এপারের বাণিজ্যে। ওপারে সৃষ্টি হওয়া অচলাবস্থার জেরে মালদহের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। গত এক সপ্তাহ ধরেই পণ্য পরিবহণে বিঘ্ন ঘটছিল। রবি ...

পুলিসি ধরপাকড় কিছুটা কমতেই ফের শুরু হয়েছে চোরাই কয়লা কারবার। দুবরাজপুরের ঘাট গোপালপুর গ্রামই এখন চোরাই কয়লার প্রধান স্টক পয়েন্ট। সেখান থেকে বাইকে করে কয়লা ...

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্রকে সোমবার স্থায়ী জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। লখিমপুর খেরিতে গাড়ির চাকায় কৃষকদের পিষে মারার মামলায় অভিযুক্ত আশিসকে গত বছর ২৫ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছিল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৯- আমেরিকাতে টাইপরাইটারের পূর্বসুরী টাইপোগ্রাফার পেটেন্ট করেন উইলিয়াম অস্টিন বার্ড
১৮৪৩ - সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বাগ্মী রায়বাহাদুর কালীপ্রসন্ন ঘোষের জন্ম
১৮৫৬- স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের জন্ম
১৮৮১ - আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত 
১৮৯৩ - কলকাতায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পূর্বতন বেঙ্গল একাডেমি অব লিটারেচার স্থাপিত
১৮৯৫- চিত্রশিল্পী মুকুল দের জন্ম
১৮৯৮ - বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৬ - চন্দ্রশেখর আজাদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী
১৯২৭ - সালের এই দিনে ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি বোম্বাইয়ে ভারতের প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৩ - ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবী ও আইনজীবী যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের মৃত্যু
১৯৩৪ – পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের জন্ম
১৯৪৭ – বলিউড অভিনেতা মোহন আগাসের জন্ম
১৯৪৭ – বিশিষ্ট বেহালা বাদক এল সুব্রহ্মণমের জন্ম
১৯৪৯ -  দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ক্লাইভ রাইসের জন্ম
১৯৫৩ - ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার গ্রাহাম গুচের জন্ম
১৯৭৩ – সঙ্গীত পরিচালক তথা সঙ্গীত শিল্পী হিমেশ রেশমিয়ার জন্ম
১৯৯৫- হেল-বপ ধূমকেতু আবিস্কার হয়, পরের বছরের গোড়ায় সেটি খালি চোখে দৃশ্যমান হয়
২০০৪- অভিনেতা মেহমুদের মৃত্যু
২০১২- আই এন এ’ যোদ্ধা লক্ষ্মী সায়গলের মৃত্যু
২০১৮ - মঞ্চ ও চলচ্চিত্রাভিনেত্রী বাসবী নন্দীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৫ টাকা ৮৪.৫৯ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৪৩ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৯.৬৩ টাকা ৯২.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া ১৩/১০ দিবা ১০/২৪। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ৩৭/৫৫ রাত্রি ৮/১৮। সূর্যোদয় ৫/৮/০, সূর্যাস্ত ৬/১৭/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ গতে ১০/২৪ মধ্যে পুনঃ ১/২ গতে ২/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৫/২৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে ২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৭ গতে ৮/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ ম঩ধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৯ গতে ৯/০ মধ্যে। 
৭ শ্রাবণ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ১২/৪৭। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১১/৪২। সূর্যোদয় ৫/৬, সূর্যাস্ত ৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/৪১ মধ্যে ও ৩/৩২ গতে ৫/১৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫১ মধ্যে ও ৯/৫ গতে ১১/১৯ মধ্যে ও ১/৩৩ গতে ৩/২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২৫ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪২ গতে ৯/৩ মধ্যে।
১৬ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
নিট-ইউজি প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলা: পুনরায় পরীক্ষার নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

05:18:38 PM

কলকাতা লিগ: ক্যালকাটা পুলিস ক্লাব ও মোহন বাগানের ম্যাচ ড্র, স্কোর ১-১

05:10:49 PM

বক্তব্য শেষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:02:23 PM

১৫ অক্টোবর দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যাল: মমতা

04:58:39 PM

আগামী বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:58:18 PM

চলতি বছরে পুজো কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

04:56:43 PM