Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে 

দারোগাবাড়ির ঠেকে সহজকে দেখে হঠাৎই ক্যাপ্টেন বেমক্কা বলে বসলেন— ‘তুই ভুল করেছিস পরি! এ ছেলে সহজ নয়, এ ছেলে কেন তোর এখানে? বড্ড ভুল করছিস!’ পরমেশ্বর অবাক হয়ে জানতে চাইল, ‘কেন, কী ভুল করলাম ক্যাপ্টেন?’ তারপর...

সব ‘কেন’-র উত্তর হয় না। ক্যাপ্টেন অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলেন। কিন্তু পরমেশ্বর উত্তর না পেলে থামবে না। সে বলল, ‘তুমি বলো ক্যাপ্টেন আমি কী ভুল করলাম?’
ওদের কথার মাঝে মেয়েটা টপ করে একটা চেয়ার টেনে বসে পড়ল। সহজ তার দিকে তাকাল, মেয়েটার চোখে মুখে একটা নির্লিপ্ত ভাব, যেন ব্যাপারটা এক্ষুনি মিটবার নয়, মজা দেখতে তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সে একটা সিট জোগাড় করে নিল।
ক্যাপ্টেনের কাছাকাছি আরও একটা চেয়ার খালি, সেই চেয়ারে লম্বা ফুঁ মেরে তিনি বসলেন। পরমেশ্বর বলল, ‘এই সুজির জন্য একটা চেয়ার দে—।’ সহজ উঠে দাঁড়াতে যাচ্ছিল। পরমেশ্বর বলল, ‘তুই বোস। নচে ব্যবস্থা করছে।’
ঘরের ভেতর নচে, গৌর আরও দু-একজন জুটে গিয়েছে, তারা সবাই দাঁড়িয়ে। নচে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল, ফিরলও দ্রুত। ওর হাতে একটা টুল। টুলটার এ-পায়া ও-পায়ায় কাঠ মেরে মেরে শক্ত করা হয়েছে। টুলটা নিয়ে সুজি বেমক্কা একটা ঝাঁকুনি দিল। বলল, ‘বসলে ভাঙবে না তো?’
‘টুল ভেঙে পড়ে তুই মরবি না, তুই জিভে মরবি। খেয়ে খেয়ে মরবি। বসে পড়,’ ক্যাপ্টেন বললেন।
ক্যাপ্টেনের কথা শুনে সঙ্গী মেয়েটি বাঁকা চোখে তাকাল। দু’চোখে বিরক্তি।
সুজি দাঁত বের করে হাসল, ‘তাই যেন হয় ক্যাপ্টেন, ভালোমন্দ খেয়েদেয়ে যেতে পারি, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না।’
‘না রে সুজি তোকে কেউ ছুরি চালাবে না, গুলিও করবে না। এখনও অনেকদিন বাঁচবি তুই, কৃপণরা সহজে মরে না।’
সুজি হাসল, বলল, ‘কী খাবে ক্যাপ্টেন? দেখো এই কৃপণ আজ ভরপেট খাওয়াবে।’
‘কী আছে তোর স্টকে?’
সুজি হাত বাড়িয়ে সামনের বেঞ্চে রাখা বোতলটা দেখাল। বলল, ‘এটা, আর পর্ক সসেজ আছে, পার্শে মাছ ভাজা আছে, চিকেন আছে। ভাত খাবে, ভাতও আছে?’
‘না, আমি ভাত খাব না। তা তুমি ভাত খাবে নাকি?’ ক্যাপ্টেন হাসি হাসি মুখে মেয়েটিকে বললেন।
‘না।’ মেয়েটি মুখঝামটা দিয়ে উত্তর দিল।
‘তবে কী খাবে?’
পরমেশ্বর বলল, ‘গৌর দুটো প্লেট সাজিয়ে নিয়ে আয়, ভাত ছাড়া সব দে।’
নচে বলল, ‘ক্যাপ্টেন, তোমার মেয়েকে বলো, অন্য ঘরে ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। লজ্জা কী!’
‘না, না, আমরা ভাত খেয়ে বেরিয়েছি।’ মেয়েটি বলল।
ক্যাপ্টেন ঘাড় নাড়লেন, ‘হ্যাঁ হ্যাঁ।’
নচে বিফল মনোরথে গৌরকে নিয়ে চলে গেল।
পরমেশ্বর বলল, ‘তোমার মেয়ে? আগে দেখিনি তো?’
‘মেয়ে কী রে— এ আমার মেয়েছেলে!’ ক্যাপ্টেন বেশ জোরে চিৎকার করে উঠলেন।
কথাটা শুনেই মেয়েটা এবার ঝটকা মেরে উঠল, ‘বড্ড মুখ খারাপ লোকটার!’
মেয়েটার ঝটকা মারার আগে ক্যাপ্টেনের কথা শুনে ঘরের সবাই চমকে উঠেছিল। শুধু পরমেশ্বর নির্লিপ্ত। ঠান্ডা গলায় বলল, ‘নতুন? সেদিন শঙ্কর বলছিল বটে।’
‘নতুন কোথায় দু’বছর হয়ে গেল।’ ক্যাপ্টেনের চোখেমুখে বেশ একটা মাখো মাখো ভাব।
মেয়েটা বলল, ‘দু’বছর হয়নি, উনিশ মাস।’
পরমেশ্বর বলল, ‘তা আছো কোথায়?’
‘যেখানে ছিলাম, সেখানেই আছি। ওই বাড়িতেই, ওটা আমার বাড়ি। তুই কী বলতে চাইছিস, সেটা আমি বুঝেছি। আগের দু’জন কোথায় গেল? তারা তাদের ছেলেদের সঙ্গে আছে। মেজটার ছেলে মিলিটারিতে আছে। ও ওর মাকে রেখেছে, রাজস্থানে পোস্টিং। তিন নম্বরটা খুব ঝামেলাবাজ। আজ মেয়ের বাড়িতে থাকে তো কাল ছেলের কাছে যায়। আবার মাঝে মাঝে এই বাড়িতেও হানা দেয়। টাকা পয়সা বাসনকোসন সব হাতিয়ে নিয়ে যায়।’
‘আর তুমি হানা দাও না। নাকি গুরু খোঁজা বন্ধ—’
‘আমার তো সূর্য-চন্দ্রের সঙ্গে কারবার, অমাবস্যা পূর্ণিমা দেখে হানা দিই—।’
‘কোথায়? তারাপীঠ, নলহাটি, কামাখ্যা...।’ সুজি পর পর কটা নাম বলে গেল।
‘চুপ কর শালা— ক’টা নাম শিখেছে, নামতা পড়ছে।’ ক্যাপ্টেন ধমক কষাল।
সুজি কিন্তু থামল না, বলল, ‘তাহলে ক্যাপ্টেন এটা তোমার তিন নম্বর বউ?’
‘তিন নয়, চার। প্রথমটা মারা গিয়েছে। আমার কপালে চারটে বিয়েই ছিল। কোটা কমপ্লিট। আর মাথা কুটলেও হবে না।’
‘এ বউ তোমার থেকে বড্ড ছোট ক্যাপ্টেন—।’ সুজি খুব নিচু স্বরে বলল।
‘ছোট তো তোর বাপের কী? ও মোটেই ছোট না। দেখতে এমন। তোমার কত বয়স বলে দাও?’ ক্যাপ্টেন খুব মোলায়েম গলায় জিজ্ঞেস করলেন।
‘ছাব্বিশ।’ মেয়েটা ঘাড় শক্ত করে উত্তর দিল।
‘তাহলে? এবার আমার কত বয়স হয়েছে তুই বল? কম দিন দেখছিস না। যখন তুই আর শঙ্কর সাইকেলে করে ঘুরতিস, তখন থেকে তোদের সঙ্গে আমার জান পহেচান। রঞ্জন মুখার্জি। তোদের পার্টির এমএলএ ছিলেন, উনি তোদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন, মনে আছে? এবার বল, আমার বয়স কত?’
সুজি মাথা চুলকাল, ‘কত? সত্তর হবে?’
‘সত্তর তোর বাপের। এখন আমি ছিয়াত্তর।’
সুজি বলল, ‘গুরু তুমি পায়ের ধুলো দাও, পঁচাত্তর বছর বয়সে বিয়ে করছ!’
‘হ্যাঁ, ক্ষমতা আছে তাই করেছি। আর শোন, আমি করিনি, এই মেয়েকে আমি অনেকবার ভাগানোর চেষ্টা করেছি, ভাগেনি। বলেছি, ভালো ছেলে দেখে তোর বিয়ে দেব। শুনল না। তখন বাধ্য হয়ে একে কাটানোর জন্য বলেছি— আমাকে বিয়ে করবি? ও বলল, করব। ব্যস। বুঝলি, এ মেয়ে সহজ মেয়ে নয়, এ মেয়ে বঁড়শি! গলায় বিঁধলে ঠিক টেনে তুলবে।’
বঁড়শি শুনে মেয়েটা অপাঙ্গে দেখল। ঠোঁটে অল্প মোচড়ও দিল।
গৌর দু প্লেটে সাজিয়ে খাবার নিয়ে এল। সুজি আরও একটা কাচের গ্লাস আনল। নচে একটা বেঞ্চ এনে দিয়েছে। সেটা আপাতত টেবিল। সেখানেই সব রেডি করে দিয়ে নচে বলল, ‘ক্যাপ্টেন খেয়ে নিয়ে আমার হাতটা একটু দেখে দিও তো।’
‘ব্যাটা আমি জ্যোতিষী নাকি যে তোর হাত দেখব? তোর মুখেই তো স্পষ্ট হয়ে আছে কী হবে?’
‘কী হবে?’ নচে কাতর স্বরে বলল।
‘সে আমি কী করে বলব, তুই কী হবি, তোর কী হবে?’
‘তুমি জানো না, তুমি যে সহজকে বললে?’
‘ওকে আমি কিছু বলিনি? শুধু জানতে চেয়েছি, ও এখানে কেন? এই সব প্রোমোটার, ঠিকাদার, সাপ্লায়ার, ভাঙোয়ার, লুচ্চা, লুম্পেনদের সঙ্গে ও কী করছে? ওর তো সাদা পাতার কালো অক্ষরের সঙ্গে বসবাস। এখানে এসে কেন আত্মহননে মগ্ন হচ্ছে?’
পরমেশ্বর বলল, ‘সাদা পাতার কালো অক্ষর— ক্যাপ্টেন একটু বুঝিয়ে বলো।’
‘এ ছেলে তোদের এই লোহা, লক্কর, ইট, বালি, সিমেন্টের পাবলিক নয়, ছুরি মেশিনেরও লোক নয়। ও হচ্ছে সাদা পাতার লোক, ওর হাতে কালো অক্ষর ফুটবে।’
‘ক্যাপ্টেন জানো তো আমার কাছে কোর্টের অনেক মুহুরি আসে, ব্যাঙ্কবাবুরা আসে, আড্ডা দেয়। ওরাও কিন্তু সাদা পাতার কালো অক্ষরের মানুষ।’
‘ওরা পেন্ডুলাম। এই যেমন আমি, নচে, সুজি এরা সব পেন্ডুলাম মার্কা লোক। পেন্ডুলামের কাজ দুলে যাওয়া। আর কোনও বিশেষত্ব নেই। কিন্তু পেন্ডুলাম পেরিয়ে ওপর দিকে তাকা, দেখবি একটা ছোট কাঁটা আছে, একটা বড় কাঁটা আছে, তাদের কাজ সবার নজরে পড়ে। এই যেমন তুই, এই যেমন ও। তোরা ঘড়ির কাঁটা। বাদ বাকি সব পেন্ডুলাম।’
নচে বলল, ‘তাহলে আমার? আমারটা বলো?’
‘তুই? তুই অপঘাতে মরবি। নে এবার শান্তিতে খেতে দে।’
ক্যাপ্টেনের কথায় নচে সোজা হয়ে কঠিন চোখে তাকিয়ে থাকল।
সুজি চাপা গলায় বলল, ‘ক্যাপ্টেন, তোমার এই চার নম্বর বউয়ের নাম কী?’
‘এক নম্বর হোক আর চার নম্বর, আমি কিন্তু তোমাদের ক্যাপ্টেনের বউ। আমাকে সবাই বউদি বলে ডাকবে।’
পরমেশ্বর বলল, ‘একদম ঠিক কথা— নতুন বউদি।’
ক্যাপ্টেন গ্লাস তুলে এক চুমুকেই অর্ধেক করে দিয়ে বললেন, ‘অনেকদিন পরে তোদের সঙ্গে দেখা হল, ভালোই হল। হ্যাঁ রে শঙ্করের খবর কী— ভালো আছে?’
পরমেশ্বর বলল, ‘ভালোই আছে। কয়েক মাস আগে তোমার কাছে গিয়েছিল, আমাকে এসে বলেছে—?’
‘কী বলছিল, হারামজাদাটা?’
‘ওই তুমি নতুন বিয়ে করেছ—?’
‘বিয়ে করেছি, না নতুন মেয়ে জুটিয়েছি? কী বলল?’
‘আমি ওর কথা বিশ্বাস করিনি, ভাগিয়ে দিয়েছি।’
হা হা করে হেসে উঠলেন ক্যাপ্টেন। বললেন, ‘আমার কথা তো বিশ্বাস করবি, তাহলে বলি— মাস দুয়েক আগে একটা চক্করে আমাদের ওদিকে গিয়েছিল। সঙ্গে একটা মারোয়াড়ি ছেলে। শঙ্কর আর ছেলেটা চালের খুদ থেকে মদ তৈরির প্রজেক্ট নিয়ে মেতেছে। আমি বেশ বুঝতে পারছিলাম, ছেলেটাকে নিয়ে শঙ্করের কনফিডেন্স কম। ও হয়তো ভাবছে— ছেলেটা ওকে টুপি দেবে। ওকে ঠকিয়ে বেরিয়ে যাবে। আমাকে বলল— ক্যাপ্টেন একটু বলো তো কী করব? আমি বললাম— সরে আয়। ও বলল, ক্যাপ্টেন কাল সকালে আসব। পরেরদিন একা এল— বলল, কাল ছেলেটাকে দেখে কী বুঝলে? আমি বললাম, এগস না, দু’দিকেই এগস না—।’
ক্যাপ্টেনের কথা শুনে খেতে খেতে নতুন বউ হাসছে।
ক্যাপ্টেন বললেন, ‘আমি শঙ্করকে বললাম— ওই ছেলে তোকে রক্ত বমি করাবে, আর আমি তোর রক্ত শুষে নেব!’
ক্যাপ্টেনের কথা শুনে নতুন বউ এবার বেশ জোরেই হেসে ফেলল।
ক্যাপ্টেনের কথার দ্বিতীয় অংশ সবাই ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারেনি, বোকার মতো তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। ক্যাপ্টেন অত বড় পার্শে মাছটাকে ভেঙে দুমড়ে মুখের ভেতর দিয়েছেন। তাঁর দু’চোখ বন্ধ। চিবচ্ছেন মন দিয়ে। মাছ কাঁটা মাথা সব একসঙ্গে চালান হয়ে গেল কয়েক মুহূর্তে। গ্লাসে একটা চুমুক দিয়ে বললেন, ‘বুঝতে পারলি না তো? শঙ্কর এগলে এই সঞ্জয় আগরওয়াল ওকে রক্ত বমি করাত। আর আমার দিকে এগলে আমি কেন ওর রক্ত শুষে নিতাম!’
সুজি বলল, ‘প্রথম কেসটা তো বুঝতে পারলাম, দ্বিতীয়টা ক্লিয়ার হল না ক্যাপ্টেন।’
ক্যাপ্টেন কিছু বলতে যাচ্ছিলেন, তাঁকে থামিয়ে নতুন বউ এবার মুখ খুলল, ‘ও আমাকে ওর ফোন নম্বর দিয়েছিল। বলছিল, ক্যাপ্টেন তারাপীঠ গেলেই আমাকে ফোন করো। তোমাকে হীরের নাকছাবি কিনে দেব।’
ক্যাপ্টেন বললেন, ‘ওই শঙ্কর আমার ঘরে সিঁধ কাটছিল! আমার বঁড়শির দিকে এগচ্ছিল।’
নতুন বউ মুখ ভার করে বলল, ‘আমি কিন্তু বুড়োকে বলিনি, বুড়ো কীভাবে জেনেছে আমি জানি না।’
পরমেশ্বর মাথা নাড়ল, ‘শঙ্করের স্বভাব আর গেল না। তুমি ধরতেই ভয় পেয়ে নির্ঘাত পালিয়েছে।’
‘পালিয়েছে মানে। তবে ওকে আমি এমনি ছাড়িনি, বলেছি, তুই পিশাচের রোষে পড়বি— বউয়ের হীরের নাকছাবি লোভ আমি গরিব মানুষ কী করে ঠেকাব? ও বলল, ক্যাপ্টেন চিন্তা করো না, লোভ দেখিয়েছি আমি, আমি তা পূরণ করব। দু’দিন পরে হীরের নাকছাবি কিনে পাঠাল। আর এমন হারামজাদা সঙ্গে একটা দামি মোবাইল পাঠিয়েছে।’
হাসতে হাসতে নতুন বউ তার হাতের মোবাইলটা তুলে দেখাল। বলল, ‘এই বুড়ো কী করেছে জানো— ওই নতুন মোবাইলে প্রথমেই শঙ্করের নম্বর সেভ করে দিয়েছে। বলে কি না ওই মাছ তোর বঁড়শিতে বিঁধে আছে, ও নিজে নি‌঩জেই খেলছে, দেখ তুই কী করবি!’
পরমেশ্বর বলল, ‘না, না, নতুন বউ তুমি আর শঙ্করকে ফোন টোন করো না। আমি শঙ্করকে ওদিকে যেতেই বারণ করে দেব।’
নচে বলল, ‘কিন্তু আমার কী হবে? আমাকে একটু সেটেল করে দাও।’
ক্যাপ্টেন ঝটকা মেরে বলল, ‘তোর কিছু হবে না, তুই টাকা নিয়ে মানুষ মেরে যা।’
ক্যাপ্টেনের কথায় নচে রক্তশূন্য মুখে সামনের দেওয়াল ধরল। নচের দিকে স্থির চোখে তাকিয়ে পরমেশ্বর।
সহজ বলল, ‘আর আমার কী হবে?’
‘তেত্রিশ দিন— প্রথম খেপ। তারপর সাতমাসের পর, উড়ান দিবি। তুই ঘড়ির ছোট কাঁটা! তোর হিসেবে ঘণ্টা মাপা হয় রে।’
সহজ বলল, ‘তেত্রিশ দিন আর সাত
মাস!’ (চলবে) 
07th  March, 2021
ভুল ফোন
কৌশানী মিত্র

ছেলেটি নরম। মেয়েটি কঠিন। ছেলেটির চোখে সারাক্ষণ জল টলটল করছে। আসলে জন্মানোর পর শুধু লড়াই করতে করতে দু-দণ্ড বসে কাঁদতে পারেনি কোনওদিন। এখন যেটুকু যা আছে তাইই ইমনের সামনে উপুড় করে দিতে পারলে যেন বেঁচে যায়। বিশদ

21st  March, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব   ৫
জয়ন্ত দে

নচে রেগে গিয়ে ক্যাপ্টেনকে রিকশসুদ্ধু খালে ফেলে দেওয়ার সুপারি দিল নেত্রকে। স্ত্রীকে নিয়ে নেত্রর রিকশয় উঠলেন ক্যাপ্টেন। রিকশ এগতে থাকে আর স্বামীকে একের পর এক অনুযোগ করতে থাকে বঁড়শি। তারপর... বিশদ

21st  March, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

পিশাচ সাধু ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন সহজের। নচেও তার ভবিষ্যৎ জানতে চায়। সাধু বলেন, ‘তুই অপঘাতে মরবি।’ শুনে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত নচে। তারপর... বিশদ

14th  March, 2021
তন্ত্রমন্ত্র
সৌমিত্র চৌধুরী

ঠক ঠক ঠক। অন্ধকার ঘর। মিনিট পাঁচেক হল কারেন্ট চলে গিয়েছে। নিজের বিছানায় চাদর মুড়ি দিয়ে বসে আছি। তবুও মশার কামড়। স্বস্তিতে বসতেও পারছি না। তার মধ্যে দরজায় টোকা।  বিশদ

14th  March, 2021
পিশাচ সাধু 
জয়ন্ত দে

পরমেশ্বরের সঙ্গে দারোগা বাড়ির ভূতুড়ে ঠেকে এসেছিল সহজ। হুল্লোড়ের মাঝে সেখানে হঠাৎই হাজির হলেন ক্যাপ্টেন। যিনি নিজেকে পিশাচ সাধু বলেন। তিনি সহজকে দেখে বললেন, তুই এখানে কেন? তারপর... 
বিশদ

28th  February, 2021
দেশি ছেলেপুলে 
চন্দন চক্রবর্তী

ব্যানার্জিবাবু প্রচণ্ড উত্তেজিত! ‘তা বলে আমার ফ্ল্যাটের সামনে?’ আবাসনের পার্কে তখন প্রাতঃভ্রমণকারীরা বসে। কেউ রামদেব, কেউ বা ফড়িং-এর মতো ফড়ফড় করে হাত-পা নাড়ানাড়ি করছেন। ব্যানার্জিবাবু রীতিমতো সুদর্শন। ফর্সা রং, চোখে বিদেশি চশমার ফ্রেমে আঁটা দেশি চশমার লেন্স।  
বিশদ

28th  February, 2021
ভাষা ও ভালোবাসা 
ছন্দা বিশ্বাস

অহর্নিশকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দুপুরে খাওয়ার পর দোতলার ঘরে শুয়েছিল অহর্নিশ। শুয়ে শুয়ে একটা কমিক্সের বইয়ের পাতা ওল্টাচ্ছিল। অবন্তিকা দেখে এসেছে। ভেবেছে গল্প পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়বে। ছেলের মাথার হাত বুলিয়ে বলে এসেছে, ‘তাড়াতাড়ি একটু ঘুমিয়ে নাও, চারটের সময়ে কিন্তু আমাদের বেরতে হবে।  
বিশদ

21st  February, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে 

পিশাচ আবার সাধু হয় নাকি! সহজ এই কথাটাই ভাবছিল। সহজ মিত্র— নামটা কি খারাপ? আনকমন নাম। কিন্তু এই আনকমন নামটাকে কিছু ফালতু পাবলিক ঘেঁটে দিয়েছে। তারা তার নাম রেখেছে সহজ পাঠ। সেই সহজ পাঠকে দেখেই যেন মানুষটা থমকে দাঁড়ালেন। 
বিশদ

21st  February, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ রাজলক্ষ্মী দেবী –শেষ কিস্তি। বিশদ

14th  February, 2021
এক অবহেলিতের যৎকিঞ্চিৎ

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন দীপ মুখোপাধ্যায়। বিশদ

14th  February, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ রাজলক্ষ্মী দেবী— দ্বিতীয় কিস্তি। বিশদ

07th  February, 2021
চলার পথে
তরুণ চক্রবর্তী

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে।  বিশদ

07th  February, 2021
নেটওয়ার্ক
ঈশা দেব পাল

দিদি মেয়ের সঙ্গে বন্ধুর মতোই মেশে। ওরা কথা বলছে দেখে আমি বাইরে উঠোনে এসে বসি। আড়চোখে দেখি মা ঘরে গিয়ে টিভি চালিয়ে সিরিয়াল দেখছে। কানে শোনে না, তবু দেখে। গল্প সব বোঝেও কিন্তু। বিশদ

31st  January, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ রাজলক্ষ্মী দেবী-প্রথম কিস্তি। বিশদ

31st  January, 2021
একনজরে
বছর ঘুরে ফের বিশ্বের দুয়ারে করোনা-কম্পন শুরু। যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ব্রাজিলে। চড়চড় করে বাড়ছে সংক্রমণ। একদিনে লক্ষ পেরিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। আর করোনার ঠেলায় ফের কাঠগড়ায় প্রেসিডেন্ট জে বলসোনারো। ...

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। শুক্রবার সকালেই ৭৫ বছরের কোবিন্দ বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তারপরই দিল্লির সেনা হাসপাতালে নিয়মমাফিক চেকআপে যান।  ...

একটা সময় জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের মধ্যে মহুয়া খাওয়ার প্রবণতা দেখা যেত। তবে কোনও সময়েই ওই নেশা এখানকার মানুষের উপর চেপে বসতে পারেনি। কিন্তু, এখন শুধু মহুয়া ...

মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় কর্মরত অবস্থায় একইসঙ্গে মৃত্যু হল তিন সিভিক ভলান্টিয়ারের। আহত হয়েছেন তাঁদেরই আরও ছয় সহকর্মী। শুক্রবার ভোররাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে কালিয়াচক থানার জালালপুরে ৩৪ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব থিয়েটার দিবস
১৮৪৫- এক্স-রশ্মির আবিষ্কারক ইউলিয়াম রন্টজেনের জন্ম
১৮৯৮- লেখক ও দার্শনিক সৈয়দ আহমেদ খানের মৃত্যু
১৯৬৬ - বিশিষ্ট শ্যামাসঙ্গীত শিল্পী পান্নালাল ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৬৮- বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু রুশ মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিনের  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.৭২ টাকা ৭৩.৪৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.১৫ টাকা ১০১.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৩.৯৫ টাকা ৮৭.০৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৫,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৩,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৩,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৫,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৫,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ চৈত্র ১৪২৭, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১। ত্রয়োদশী ১/২৫ প্রাতঃ ৬/১২ পরে চতুর্দ্দশী ৫৪/৩৩ রাত্রি ৩/২৭। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৩৫/৩৪ রাত্রি ৭/৫২। সূর্যোদয় ৫/৩৮/৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৬/২১। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪০ গতে ১২/৫৫ মধ্যে, রাত্রি ৮/৮ গতে ১০/৩১ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ১/৩৯ মধ্যে পুনঃ ২/২৬ গতে ৪/১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৯ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/১৪ মধ্যে পুনঃ ৪/৮ গতে উদয়াবধি।  
১৩ চৈত্র ১৪২৭, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১। চতুর্দ্দশী রাত্রি ২/৪৫। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৫৮। সূর্যোদয় ৫/৪০, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৩৫ গতে ১২/৫৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১০ গতে ১০/২৯ মধ্যে ও ১২/২ গতে ১/৩৫ মধ্যে ও ২/২১ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/১১ মধ্যে ও ১/১৪ গতে ২/৪৫ মধ্যে ও ৪/১৬ গতে ৫/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৬ মধ্যে ও ৪/১১ গতে ৫/৩৯ মধ্যে। 
১২ শাবান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাংলার কোথায় কত ভোট
আজ প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচনে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাঁকুড়ায় ৮০.০৩ ...বিশদ

05:48:16 PM

বিকাল ৫টা পর্যন্ত কত ভোট পড়ল
আজ প্রথম দফার নির্বাচনে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ৩০টি আসনে ...বিশদ

05:42:11 PM

প্রার্থীপদ থেকে সরে দাঁড়াতে বলায় আত্মহত্যার হুমকি বিজেপি নেতার 
বিজেপি প্রার্থী হওয়ার পর সরে দাঁড়াতে বলায় আত্মহত্যার হুমকি। ঘটনাটি ...বিশদ

04:40:00 PM

নির্বাচন কমিশনে ২০৬টি অভিযোগ জমা পড়ল 
নির্বাচন কমিশনে ২০৬টি অভিযোগ জমা পড়ল। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে বেশি ...বিশদ

04:28:23 PM

পুরুলিয়ায় বেলা ৩ টে পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৯.৩১ শতাংশ

03:57:13 PM

বেলা ৩টে পর্যন্ত ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট পড়ল ৭০.১৭ শতাংশ 

03:57:09 PM