Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

প্রাণেশদার শান্তিনিকেতন
আশিস ঘোষ 

স্টাফরুমে বসেছিলাম। ঘরের টিউব লাইট খারাপ থাকায় আবছা অন্ধকার। একটু আগেই এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। একটু যেন শীত শীত ভাব। অশোক কথা বলছিল। আমাদের কয়েকজনের অফ পিরিয়ড। কোনও তাড়া নেই। আড্ডা বেশ জমে উঠেছে। এমন সময় খবর এল, প্রাণেশবাবু আর নেই। আজ সকালেই মারা গিয়েছেন।
অশোক কথা থামিয়ে উঠে দাঁড়াল। লম্বা বেঞ্চিতে দেবু আড়াআড়িভাবে বসেছিল। সোজা হয়ে বসল। হঠাৎ এমন একটা খবরে সবাই হকচকিয়ে গেলাম। হেডমাস্টারমশাই ছুটে এলেন। যাঁরা ক্লাসে ছিলেন, স্টাফরুমে এসে জড়ো হল। বাইরের লনে ছেলেদের নিয়ে মিটিং করতে হবে। ছুটির ঘণ্টা পড়ল। সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।
সেই প্রাণেশবাবু। প্রাণেশদা। লম্বা ফর্সা চেহারা। সব সময় ধুতি-পাঞ্জাবি পরতেন। এক সময়ে শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা করেছেন। রামকিঙ্কর বেইজের নাকি ছাত্র ছিলেন। সুযোগ পেলেই শান্তিনিকেতনের গল্প শোনাতেন। মাঝে মাঝে বলতেন মানিকবাবু অর্থাৎ সত্যজিৎ রায় নাকি ওঁর সহপাঠী ছিলেন। সত্যি-মিথ্যে জানি না, শুনতে শুনতে সব আমাদের মুখস্থ। প্রায়ই বলতেন সুযোগ পেলেই শান্তিনিকেতনে চলে যাবেন। আমরা মজা করে বলতাম, আর কবে যাবে দাদা? চুল তো সব সাদা হয়ে গেল।
প্রাণেশদা গম্ভীর হয়ে যেতেন। কিন্তু রাগতেন না। বলতেন, শান্তিনিকেতনে যাওয়ার কোনও বয়স নেই। যে কোনও বয়সেই যাওয়া যায়।
প্রাণেশদার আর শান্তিনিকেতনে যাওয়া হল না। এখন শোকসভা হচ্ছে। ছেলেরা সব লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে। এক-একজন প্রাণেশবাবু সম্পর্কে বলে যাচ্ছেন। আমরা যারা পুরনো, প্রাণেশদাকে দীর্ঘদিন ধরে দেখেছি, মিশেছি, আমাদের চাইতে যারা নতুন, প্রাণেশদার সঙ্গে যাদের পরিচয় বা মেলামেশা ততটা ছিল না, তারাই যেন বেশি কথা বলতে চাইছে। দেবু আমার পাশেই ছিল। কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিসিয়ে বলল— এভাবে আর কতক্ষণ চলবে? কিন্তু কে বলবে সে কথা? সমীরের দিকে চাইলাম। চোখাচোখি হতেই হাতের ইশারা করলাম। গরমে প্রাইমারির একটা বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। উঁচু ক্লাসের ছেলেরা ওকে ধরাধরি করে অফিস ঘরের দিকে নিয়ে গেল। সমীর হেডমাস্টারমশাইকে কী যেন বলল। উনি আমাদের দিকে চাইলেন একবার। তারপর ছেলেদের দিকে। বাঁ হাত তুলে ঘড়ি দেখলেন। এবার এক মিনিট নীরবতা। সবাই বোধহয় এই অপেক্ষাতেই ছিল। সোজা হয়ে দাঁড়াল। প্রয়াত আত্মার শান্তি কামনায় গোটা স্কুল বাড়িটা নিঝুম। পেছন দিকে আমগাছের পাতা শিরশিরিয়ে কাঁপছে। একটা কাক টেলিফোনের তারে বসে অনেকক্ষণ ধরে ডেকে যাচ্ছে। গেটের দিকে দমকা হাওয়ায় খানিকটা ধুলো উড়ল। নীরবতা শেষ হতেই, ছেলেরা লাইন করে আস্তে আস্তে চলে গেল। আমরাও আবার স্টাফরুমের দিকে গেলাম।
আমাদের এই স্কুল বাড়িটা অনেক দিনের পুরনো। কোনও এক সাহেবের বাগানবাড়ি ছিল। পুরু দেওয়ালের অনেক জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়েছে। স্টাফরুমের কড়িবরগার একটা জায়গা বেশ ঝুলে আছে। এই পুরনো বাড়ির নীচেটা ফাঁকা। সেটা নাকি গুমঘর ছিল। আমরা কিন্তু এই ঘরেই বেশ আছি। রাজনীতি, সাহিত্য, হাসি-ঠাট্টা সব কিছুই চলে। অফ-পিরিয়ডে বেঞ্চিতে টান টান হয়ে শুয়ে থাকি।
কথা হচ্ছিল শ্মশানে যাওয়া নিয়ে। কিন্তু সেখানে যেতে হলে তো স্কুলের তরফে অন্তত একটা ফুলের মালা চাই। কে আনবে? বিশেষ কাউকে উদ্দেশ্য না করেই প্রশ্নটি করলাম। সবাই চুপ। আসলে বাইরে এখন দারুণ রোদ। কে বলবে কিছুক্ষণ আগেই বৃষ্টি হয়েছিল। গরমে এখন কেউ বেরতে চাইছে না। আমিও একটু গড়িমসি করছি। আজ সন্ধ্যায় বিন্দুকে নিয়ে নন্দনে একটা সিনেমা দেখার কথা। হলের সামনেই ও দাঁড়াবে। এখন এই রোদে বেরিয়ে শরীর খারাপ করতে চাই না। সবার মুখের দিকে চাইলাম। দরজায় দাঁড়িয়ে যতীন আমাদের দিকেই চেয়েছিল। ছেলেটার বয়স কম। কিন্তু অন্যদের মতো নয়। সব কিছুতেই বেশ উৎসাহ। ওকেই বললাম, যাবে তুমি? যতীন রাজি হল। ভুবন চা নিয়ে এল। চা-বিস্কুট খেতে খেতে আবার প্রাণেশবাবুর কথা শুরু হল। পাশের ঘরের লম্বা টেবিলে পুরনো হারমোনিয়ামটা রাখা আছে। পেছনের দেওয়াল ঘেঁষে রবি ঠাকুরের আবক্ষ মূর্তি। ওই প্লাস্টার মূর্তিটা প্রাণেশদারই তৈরি। পাশের দরজা দিয়ে চাইলেই চোখ পড়ছে। চায়ে চমুক দিতে দিতে অশোক বলল— ওই হারমোনিয়াম আর মূর্তিটা দেখলেই প্রাণেশদাকে মনে পড়ে। জর্দা পান চিবুতে চিবুতে দেবু কী যেন বলতে যাচ্ছিল। বাইরে থেকে হঠাৎ একঝলক গরম হাওয়া এল। সমীর কাছাকাছি বসেছিল। আমার দিকে চেয়ে চাপা গলায় বলে উঠল— দশ-বারো বছর এই স্কুলে আছি, এর মধ্যেই চারজনকে যেতে দেখলাম। ওর কথা শেষ হতে না হতেই দপ করে আলো জ্বলে উঠল। চারদিকের মুখগুলো এবার স্পষ্ট। ব্যাগ গোছাতে গোছাতে অশোক হঠাৎ উঠে দাঁড়াল। চলি, খুব জরুরি একটা কাজ আছে। ও দরজার দিকে পা বাড়াতে যাবে, দেবু বলে বসল— কাল ছুটি থাকবে কিনা জেনে যাবি না?
জানার কী আছে? একজন শিক্ষক মারা গিয়েছেন, ছুটি তো থাকবেই। এটুকু সম্মান তাঁর নিশ্চয়ই প্রাপ্য।
—কিন্তু নোটিস দেওয়া হবে না?
—আরে, রাখ তোর নোটিস।
সত্যিই তো, একটা নোটিস দেওয়া উচিত ছিল। স্টাফরুমে বসে আড্ডা দিচ্ছি। প্রাণেশবাবুর কথা বলছি। অথচ কারুর মনেও হল না, নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে একটা শোক প্রস্তাব লেখা উচিত।
ইতিমধ্যেই হেডমাস্টারমশাইয়ের কাছে খবরটা পৌঁছেছিল। ভদ্রলোক হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলেন।— কী ব্যাপার? প্রথমে দেবুর গলাই শোনা গেল। — অনেকেই তো বেরিয়ে যাচ্ছে। কালকের ছুটির নোটিসটা?
ভদ্রলোক একটু যেন থমকে গেলেন।— আজকেই হাফডে হল। কাল আবার ছুটি কেন?
মুহূর্তে সবাই চুপসে গেলাম। একজন আর একজনের দিকে তাকাচ্ছি। সংস্কৃতের রমাপতি টেবিল চাপড়ে গর্জে উঠল।
—এটা কী বলছেন? আমাদের একজন প্রয়াত শিক্ষকের সম্মানে পুরো ছুটি থাকবে না? চারদিকে একবার চোখ ঘুরিয়ে হেডমাস্টারমশাই আমাদের মুখগুলো দেখার চেষ্টা করলেন। —আপনারা যদি বলেন তো ছুটি দিতেই হবে। সামনেই ছেলেদের পরীক্ষা। এভাবে ছুটি দেওয়াটা— ভদ্রলোকের কথা শেষ হতে না হতেই চিৎকার, পাল্টা চিৎকার শুরু হয়ে গেল। সবাই বলছে। কারুর কথাই বোঝা যাচ্ছে না। হেডমাস্টারমশাই কী যেন বোঝাতে চাইছেন। কেউ শুনছে না। অশোক হঠাৎ পাশের ঘর থেকে হারমোনিয়ামটা এ ঘরের টেবিলে এনে এলোপাতাড়ি ‘রিড’ টিপতে শুরু করল। বিশ্রী যান্ত্রিক শব্দ। মানুষ আর যন্ত্রের মিলিত শব্দে কড়িবরগার কিছুটা অংশ বোধহয় এবার খসে পড়বে। দেবু হঠাৎ উঠে দাঁড়াতেই ধাক্কা লেগে হারমোনিয়ামটা আর একটু হলেই নীচে পড়ে যেত।
হেডমাস্টারমাশাই বিড় বিড় করতে করতে চলে গেলেন। কোনও কথা না বলে অশোকও বেরিয়ে গেল। কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টি হলেও বাইরে এখন আবার দারুণ রোদ। সবাই চুপচাপ বসে। একটু পরেই দেবু টিউশন করতে চলে গেল। সমীর বিড়বিড় করে কী যেন বলছিল। ফুলের মালা আর মোড়ক নিয়ে যতীন কখন যে দরজায় এসে দাঁড়িয়েছে, খেয়াল করিনি। এবার ভেতরে এসে হারমোনিয়ামের সামনে রেখে মুখ মুছতে শুরু করল। ঘরে আমরা এখন চারজন। আমি, সমীর, নীলকমলবাবু আর যতীন। দেওয়ালের ক্যালেন্ডার মাঝে মাঝে বাইরের হাওয়ায় দুলছে। সামনের টিনের শেডে পেছনের বস্তি থেকে হঠাৎ একটা রবারের বল এসে পড়ল। বলটা লাফাতে লাফাতে এ ঘরের চৌকাঠে এসে লাগল। গড়িয়ে বাথরুমের দিকে গেল। আমরা চুপচাপ বসে। ফুলের মৃদু গন্ধে কেমন যেন নেশায় ধরছে।
—চলুন এবার যাওয়া যাক— একটু নড়েচড়ে বসে সমীর। গালে হাত দিয়ে যতীন একপাশে দাঁড়িয়ে। নীলকমলবাবু হারমোনিয়ামে একটা হাত রেখে চুপচাপ বসে। এই তো গত বছর রবীন্দ্রজয়ন্তীতে ওই হারমোনিয়ামটা বাজিয়ে প্রাণেশদা গান গেয়েছিলেন। গানের শেষে হারমোনিয়ামের রিড টিপতে টিপতে বলেছিলেন— আমি চলে গেলে এই হারমোনিয়াম আর রবি ঠাকুরের মূর্তি আমাকে মনে করিয়ে দেবে। সেই প্রাণেশদা। সুযোগ পেলেই শান্তিনিকেতনের গল্প জুড়ে দিতেন। কাদের কাছে গান শিখেছেন। ছবি আঁকা বা মূর্তির কাজ কীভাবে করতেন। সেখানকার ছাতিমতলা। শুনতে শুনতে সব আমাদের মুখস্থ। প্রায়ই বলতেন— একটা চাকরি বা কোনও সুযোগ পেলেই শান্তিনিকেতনে চলে যাবেন। খুব নাকি ইচ্ছে হয় পুরনো দিনের স্মৃতি জড়ানো জায়গাগুলো দেখতে। কথা বলতে বলতে কেমন যেন অন্যমনস্ক হয়ে যেতেন। নাম না বললেও একজন মহিলার কথাও প্রায়ই বলতেন। এক ক্লাসে একসঙ্গেই পড়াশোনা করেছেন। তিনি নাকি এখনও শান্তিনিকেতনেই আছেন। মজা করে বলতাম— তিনি কি তোমার বান্ধবী? প্রাণেশদা উত্তর দিতেন না।
এই তো সেদিন। স্কুলের টিফিনের সময় স্টাফরুমে সবাই চা খেতে খেতে আড্ডা দিচ্ছি। কয়েকদিন পরেই বাইশে শ্রাবণ। স্বাভাবিকভাবেই শান্তিনিকেতনের কথা উঠেছিল। প্রাণেশবাবু পাশের ঘরে ছিলেন। এ ঘরে এসে বললেন— একবার বাইশে শ্রাবণে শান্তিনিকেতনে যাব। কত গান, উৎসব হতো— প্রাণেশদা আরও কী যেন বলতে যাচ্ছিলেন। দেবু হঠাৎ বলে বসল— সেখানে যাবে- যাবে বলতে বলতে তো তোমার মাথার চুল পেকে আয়ু শেষ হয়ে এল—
দেবুর কথায় প্রাণেশদা চমকে উঠেছিলেন— এসব কী বলছ?
—বলব না তো কী? শান্তিনিকেতনের কথা শুনতে শুনতে কানে তো পোকা ধরে গেছে।
দেবুর কথায় প্রাণেশদার মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছিল।
—দেখো আমার শিকড় রয়েছে সেখানে। এ যে কী টান বুঝবেন না।
—বোঝার দরকার নেই। যাবে তো যাও না। সবসময় ভ্যানর-ভ্যানর ভালো লাগে না—যত্ত সব!
প্রাণেশদা বিড়বিড় করে কী যেন বললেন। হাত-পা কাঁপছিল। কোনওদিন এরকম দেখিনি। স্টাফরুম থেকে আস্তে আস্তে বেরিয়ে গেলেন। এরপর তিন দিন আর স্কুলে আসেননি। সেই প্রাণেশদা। চোখ বুজলেই যেন স্পষ্ট দেখতে পাই, পাশের ঘরে পায়চারি করছেন।

সন্ধে প্রায় ছ’টা নাগাদ বিন্দু এল। কথা মতো নন্দনের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। বিন্দু এল উল্টো দিক দিয়ে। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে?
কই না তো— ওকে আর বললাম না যে, প্রায় চল্লিশ মিনিট দাঁড়িয়ে। স্কুল থেকে শ্মশানে গিয়েছিলাম। সেখান থেকেই সোজা এখানে। হাতের ব্যাগ দিয়ে খোঁচা দেয় বিন্দু। এখনও তো মিনিট কুড়ি বাকি। চলো চা খেয়ে আসি। যেতে যেতে বিন্দুকে বললাম— আমাদের এক সহকর্মী আজ মারা গেলেন। শ্মশানে গিয়েছিলাম।
—সে কী! চলতে চলতে আমার দিকে তাকায় বিন্দু। গম্ভীর হয়ে যায়।
এদিকে আলো কম। শুকনো পাতা ছড়িয়ে। পাশের বাঁধানো পুকুর রেলিং ঘেরা। গাছের পাতায় আলোর আভাস। সিমেন্ট বাঁধানো জায়গায় পাশাপাশি বসলাম। আমার হাত ধরে বিন্দু বলল— কী ব্যাপার, কথা বলছ না?
—কী বলব? মেজাজটাই তো ভালো নেই— হাত ছাড়িয়ে বললাম— আজ আর সিনেমা দেখতে ইচ্ছে করছে না—
ও-পাশের রাস্তা কাঁপিয়ে একটা ভারী গাড়ি চলে গেল। হাত তুলে ঘড়ি দেখে বিন্দু। কিছু না বলেই মুখ নিচু করে। ওকে এখন কী করে বলি, এখানে বসে থাকতেই ইচ্ছে করছে না। কীসের যেন গন্ধ পাচ্ছি। এটা কী শ্মশানের গন্ধ? শ্মশানের একটা গন্ধ থাকে। সেখানে গেলেই পাওয়া যায়। এইরকম একটা গন্ধ যেন নাকে লেগে আছে। এই গন্ধটাই প্রাণেশদাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। কাল বাদে পরশু তো আবার স্কুল। ছেলেরা আসবে। ক্লাস চলবে। স্টাফরুমে আমাদের আড্ডাও হবে। হারমোনিয়ামটা পাশের ঘরের টেবিলে পড়ে থাকবে। বিন্দুকে এসব বলব? কিছু মনে করবে না তো?—
অনেকক্ষণ বসে থাকারও ক্লান্তি আছে। এক সময় বিন্দুকে বললাম— চল, এবার ওঠা যাক—
বিন্দু মুখ নিচু করে বসেছিল। বলামাত্রই উঠে দাঁড়াল। আমাদের সিনেমা দেখার কথা ছিল। কিন্তু সেই গন্ধটা নাকে এসে সব কেমন গোলমাল করে দিল। সিনেমা দেখার মেজাজটাই আর নেই। বিন্দু উসখুস করছে। কী গো, যাবে না?
উত্তর দিলাম না। দ্বিতীয়বার বলতেই, পকেট থেকে টিকিট দুটো বের করে বললাম— একদম ভালো লাগছে না। তুমি দেখে এস। আমি এখানেই অপেক্ষা করছি।
বিন্দু মুখ তুলে তাকাল। মুঠোয় ধরা টিকিট দেখল। তারপর মুখ গোঁজ করে গেটের দিকে হাঁটা শুরু করল। একটু পরেই রাস্তা পেরিয়ে আমরা পিজি হাসপাতালের সামনের রাস্তা ধরলাম। হাসপাতালের গেটে একটা ট্যাক্সি ঘিরে কয়েক জনের জটলা। ফাঁকা আর একটা ট্যাক্সি ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে ময়দানের দিকে ছুটে গেল। বিন্দুকে বললাম— এবার তো যেতে হয়—
—কোথায় যাবে?
—কেন বাড়িতে।
—সাততাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরবে? সিনেমাও তো দেখা হল না— বিন্দু ঘড়ি দেখল। আমার দিকে তাকাল। সামনের স্টপে একটা মিনি দাঁড়িয়ে। কেউ নামছে না, উঠছেও না। কন্ডাক্টর— ‘হাওড়া-হাওড়া’ বলে সমানে চিৎকার করছে। মিনিটার সামনে গিয়ে বিন্দু হঠাৎ থমকে দাঁড়াল।— যাই এবার?
কী বলব ভাবছি, বিন্দু মিনিটায় উঠে পড়ল। গাড়িটাও চলতে শুরু করল। মুহূর্তে অনেকটা পথ এগিয়ে গেল। আমাদের মাঝখানের দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছে।
প্রাণেশদার সঙ্গেও আমাদের দূরত্ব এখন অনেকটাই। এই কালো পিচের রাস্তার মতোই তা ক্রমশ দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে। বিন্দুকে নিয়ে মিনিটা আর পাঁচটা গাড়ির ভিড়ে হারিয়ে গেছে। ওদিকে চেয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম। তারপর কোনওদিকে না তাকিয়ে, দু’দিক দিয়ে ছুটে আসা গাড়িগুলোকে অগ্রাহ্য করেই রাস্তা পেরলাম।  
16th  June, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

১৫
নিস্তব্ধ নির্জন ঘর, দেবতা বিশ্রাম করছেন খাটে। ঘরের এককোণে চুপ করে বসে আছেন মতিলাল। প্রদীপটা তখনও মিটমিট করে জ্বলছে। সময় যেন আর কাটতেই চাইছে না। মাঝে একটু তন্দ্রাচ্ছন্ন মতো হয়ে পড়েছিলেন মতিলাল। সেই রেশ কাটাতে তিনি ঘরের ভেতর পায়চারি করতে শুরু করলেন।  
বিশদ

16th  June, 2019
পুন্য ভূমির পুন্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

মৈহর পীঠ, পর্ব-১৫
মৈহর হল মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলা তহশিলের এক প্রসিদ্ধ দেবীস্থান। একান্ন পীঠের অন্তর্গত পীঠ না হলেও উপপীঠ। এখানে সতীর দেহাংশ নয় কণ্ঠহার পড়েছিল। এই পুণ্যভূমিতেই ত্রিকূট পর্বতের চূড়ায়। সতীমাঈ কি হার। তাই থেকেই মাঈহার, মৈহার ও বর্তমানে মৈহর।  
বিশদ

16th  June, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

১৪

কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পিতা মতিলাল চট্টোপাধ্যায়। ভাগ্যদেবী কোনওদিনই এই মানুষটির প্রতি বিন্দুমাত্র সদয় ছিলেন না। চিরকালই তিনি তাঁর কৃপা-করুণা লাভে বঞ্চিত থেকেছেন। ফলস্বরূপ তাঁর পরিবার পরিজনকে যথেষ্ট সঙ্কটের মধ্যেই দিন কাটাতে হতো।  
বিশদ

09th  June, 2019
পুন্য ভূমির পুন্য ধুলোয়
দেবী ত্রিপুরমালিনী
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

পর্ব-১৪

এবার বলি দেবী ত্রিপুরমালিনীর কথা। পীঠ নির্ণয় তন্ত্রে আছে ‘ভীষণা ভৈরবস্তত্র দেবী ত্রিপুরমালিনী’। পাঞ্জাব প্রদেশে এই সতীপীঠ জলন্ধর পীঠ নামে খ্যাত। কিন্তু এই পীঠ সম্বন্ধে নানারকম বিভ্রান্তিকর তথ্য পাওয়ার কারণে এর সঠিক অবস্থান কিছুতেই নির্ণয় করতে পারিনি।  বিশদ

09th  June, 2019
দাদা, কেমন আছ?
 অমর মিত্র

দাদা, কেমন আছ?
কে বলছ? বীরেন জিজ্ঞেস করে।
দাদা, আমি অনুপ।
কোন অনুপ?
গলার স্বরে বুঝতে পারছ না, বেলঘরিয়ার অনুপ।
ও, মিত্রা সিনেমার অনুপ? বীরেন চিনতে পারে।
 
বিশদ

09th  June, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই 
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

১৪

কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পিতা মতিলাল চট্টোপাধ্যায়। ভাগ্যদেবী কোনওদিনই এই মানুষটির প্রতি বিন্দুমাত্র সদয় ছিলেন না। চিরকালই তিনি তাঁর কৃপা-করুণা লাভে বঞ্চিত থেকেছেন। ফলস্বরূপ তাঁর পরিবার পরিজনকে যথেষ্ট সঙ্কটের মধ্যেই দিন কাটাতে হতো।
বিশদ

02nd  June, 2019
পুন্য ভূমির
পুন্য ধুলোয়
কালকার কালিকা দেবী
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

কালকার কালিকা দেবী দর্শনে কোনও দুর্গম পন্থার পথিক হতে হবে না। কলকাতা থেকে কালকায় যাওয়ার একমাত্র ট্রেন দিল্লি কালকা মেল। এছাড়াও আম্বালা ক্যান্ট থেকে কালকাগামী বাসে কালকায় আসা যায়। তবে নয়নাদেবীর যাত্রীদের উচিত ফেরার পথে চণ্ডীগড়ে এসে কালকায় যাওয়া। চণ্ডীগড় থেকে কালকার দূরত্ব মাত্র ২৫ কিলোমিটার।
বিশদ

26th  May, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 দীনবন্ধু মিত্র সেইসময় কর্মসূত্রে যশোরে বসবাস করেন। তাঁর বাড়ির খুব কাছেই এক কুলীন বৃদ্ধের বাড়ি। সদ্য সেই বৃদ্ধের তরুণী স্ত্রী কয়েকদিনের জ্বরে ভুগে গত হয়েছেন। তাঁদের একটি আট ন-বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। স্ত্রী রোগ শয্যায় শুয়ে বৃদ্ধ স্বামীর দুটি হাত ধরে অনুরোধ করে বলেছিলেন, তুমি খুকির মুখ চেয়ে আর বিয়ে করো না।
বিশদ

26th  May, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

নয়নাদেবী, পর্ব-১২

শিবালিক পর্বতমালার উত্তমশৃঙ্গে রমণীয় পরিবেশে নয়নাদেবীর অধিষ্ঠান। নয়নাদেবীতে সতীর দুটি নয়নই পতিত হয়েছিল। কিন্তু কোথায় সেই স্থান? সচরাচর কোনও যাত্রীরও যাতায়াত নেই সেখানে।  
বিশদ

19th  May, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

১২
অভাব অনটন তাঁর পরিবারের নিত্য সঙ্গী তবু পিতা কালাচাঁদ মিত্র আদর করে পুত্রের নাম রাখলেন গন্ধর্বনারায়ণ।১৮৩০ সালে নদীয়া জেলার চৌবেড়িয়া গ্রামে জন্ম হল বাংলার এই অন্যতম কৃতী সন্তানের।  
বিশদ

19th  May, 2019
ব্যাডমিন্টন
মণিদীপ রায় 

সাড়ে আটটার লোকালটা যদি টাইমে আসে তাহলে নির্ঘাত মিস। কোনদিনই অবশ্য আসে না, এটুকুই যা ভরসা। প্লেটে একখানা আস্ত পরোটা, হাতে মেরেকেটে আর পাঁচটা মিনিট। অপর্ণা চায়ের কাপটা আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, ‘এতো দামি গাড়িটা কিনলে বসিয়ে রাখার জন্যে?’ অপর্ণা বেছে বেছে ঠিক এই সময়টাই বের করে তার দাবি দাওয়া পেশ করার জন্য। 
বিশদ

19th  May, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

১১

‘নিশীথ রাক্ষসীর কাহিনী’— সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অসমাপ্ত এক কাহিনী। এই লেখাটি তিনি শেষ করে যেতে পারেননি। লেখাটি শুরু করে বেশ কিছুটা এগবার পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।  
বিশদ

12th  May, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

চিন্তাপূর্ণী দেবী, পর্ব-১১

গাড়োয়াল হিমালয় ও সংলগ্ন হিমাচল প্রদেশে চিন্তাপূর্ণী দেবীর মান্যতা খুব। কেননা ইনিও নয় দেবীর এক অন্যতমা মহাদেবী। জ্বালামুখী ও কাংড়ার খুব কাছেই চিন্তাপূর্ণী দেবীর স্থান। নগরকোট কাংড়া থেকে চিন্তাপূর্ণীর দূরত্ব ৫০ কিমির মতো।  
বিশদ

12th  May, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই 
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

১০
ফেরার পথে আর হেঁটে নয়, গাড়িতে করেই বাড়ি ফিরে এলেন দুই বন্ধু। তারপর নিস্তেজ নার্ভকে সতেজ করার জন্য দু কাপ গরম পানীয় নিয়ে তাঁরা মুখোমুখি বসলেন। তখনও তাঁদের ঘোর পুরোপুরি কাটেনি।  
বিশদ

05th  May, 2019
একনজরে
  চেন্নাই, ১৭ জুন: তামিলনাড়ু পুলিসের এক সাব-ইন্সপেক্টরের বিশেষ রিপোর্টের ভিত্তিতে তিন আইএস সমর্থনকারীকে গ্রেপ্তার করল বিশেষ তদন্তকারী শাখা (এনআইএ)। ওই তিনজন কোয়েম্বাটোরের বিভিন্ন ধর্মীয়স্থানে আত্মঘাতী হামলার ছক করেছিল বলে পুলিসের দাবি। ধৃতদের নাম মহম্মদ হুসেন, শাহজাহান এবং শেখ সইফুল্লা। ...

 দীপ্তিমান মুখোপাধ্যায়, হাওড়া: জেলার সেচবাঁধ ও শর্ট কাট চ্যানেলগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখে পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল জেলা প্রশাসন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই রাজ্যে বর্ষা ঢুকবে বলে জেলা প্রশাসনের কর্তারা মনে করছেন। ...

  মুম্বই, ১৭ জুন (পিটিআই): ৬৭ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় বিড়লা সূর্য সংস্থার ডিরেক্টর যশোবর্ধন বিড়লাকে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি ঘোষণা করল ইউকো ব্যাঙ্ক। রবিবার এ বিষয়ে জনস্বার্থে নোটিস জারি করেছে তারা। ...

সংবাদদাতা, কালনা: কালনা ফেরিঘাটের এবার নিলাম হতে অনলাইনে। ইতিমধ্যে কালনা পুরসভার তরফে অনলাইনে নিলামের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ১১ জুলাই নিলামের দিন ধার্য করা হয়েছে। পুরসভার পক্ষ থেকে নিলাম দর রাখা হয়েছে বাৎসরিক ৫০ লক্ষ টাকা।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৩৬- রুশ সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কির মৃত্যু
১৯৮৭- পরিচালক হীরেন বসুর মৃত্যু
২০০৫- ক্রিকেটার মুস্তাক আলির মৃত্যু
২০০৯- প্রখ্যাত সরোদ শিল্পী আলি আকবর খানের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৯৯ টাকা ৭০.৬৮ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৩৪ টাকা ৮৯.৫৫ টাকা
ইউরো ৭৬.৭৯ টাকা ৭৯.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৩২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,৬১৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,০৯০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ আষা‌ঢ় ১৪২৬, ১৮ জুন ২০১৯, মঙ্গলবার, প্রতিপদ ২৩/৫৮ দিবা ২/৩১। মূলা ১৭/১৬ দিবা ১১/৫০। সূ উ ৪/৫৬/০, অ ৬/১৮/৫৪, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১২/৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে ৪/৩১ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৮ গতে ২/৬ মধ্যে, বারবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৭ মধ্যে পুনঃ ১/১৮ গতে ২/৫৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৩৯ গতে ৮/৫৮ মধ্যে। 
২ আষাঢ় ১৪২৬, ১৮ জুন ২০১৯, মঙ্গলবার, প্রতিপদ ২২/২২/৩৮ দিবা ১/৫২/৩৩। মূলানক্ষত্র ১৭/২৭/২৯ দিবা ১১/৫৪/৩০, সূ উ ৪/৫৫/৩০, অ ৬/২১/২৮, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ মধ্যে ও ৯/২৭ গতে ১২/৮ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ মধ্যে ও ১২/২ গতে ২/৯ মধ্যে, বারবেলা ৬/৩৬/১৫ গতে ৮/১৬/৫৯ মধ্যে, কালবেলা ১/১৯/১৩ গতে ২/৫৯/৫৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৪০/৪৩ গতে ২/৫৯/৫৯ মধ্যে। 
মোসলেম: ১৪ শওয়াল 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। বৃষ: কর্মসূত্রে সন্তানের দূরে যাবার সম্ভাবনা। মিথুন: কাজের ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯৩৬- রুশ সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কির মৃত্যু১৯৮৭- পরিচালক হীরেন বসুর মৃত্যু২০০৫- ...বিশদ

07:03:20 PM

বিশ্বকাপ: আফগানিস্তানকে ১৫০ রানে হারাল ইংল্যান্ড

10:48:34 PM

স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নিরাপত্তা, চালু কলকাতা পুলিসের হেল্প লাইন 
গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নিরাপত্তা জনিত সমস্যার ...বিশদ

09:48:24 PM

বিশ্বকাপ: আফগানিস্তান ৮৬/২ (২০ ওভার) 

08:17:00 PM

দার্জিলিং পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ করল রাজ্য সরকার 

08:08:39 PM