Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

মিষ্টান্ন বিভ্রাট
সাবিনা ইয়াসমিন রিঙ্কু

বারুইপুরের কুলপি রোডের ওপরেই দেবেনবাবুর মিষ্টির দোকান লিপিকা মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। মিষ্টির দোকানের নাম লিপিকা হওয়াতে সবাই আশ্চর্য হলেও দেবেনবাবুর কিচ্ছু করার নেই। বাবার আমলে দোকানটার নাম ছিল মা কালী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। বাবা হরেন হালদার মারা গেছেন তাও আট বছর হল। ছ’বছর আগে কৃষ্ণনগরে নিজের জন্য পাত্রী দেখতে গিয়ে পাত্রীর বিদুষীপনা এবং ঢলো ঢলো সৌন্দর্যে এমন হালুয়া হয়ে গেলেন যে আবেগতাড়িত হয়ে মেয়ের বাবাকে কথা দিয়ে বসলেন বিয়ের পর দোকান আর দোকানের নাম—সবই শ্বশুরের মেয়ের নামে হবে। আশপাশে আর কোনও মিষ্টির দোকান না থাকার জন্য মা কালী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার রমর঩মিয়ে চলত। শীতের সময় গুড়ের রসগোল্লার খুব সুখ্যাতি ছিল। এখনও এখানে সেরকম কোনও স্থায়ী মিষ্টির দোকান হয়নি। একটু দূরে মিও আমোরে আর হলদিরাম থাকলেও সুস্বাদু কড়া পাকের সন্দেশ, জিলিপি, গুজিয়া, পান্তুয়া আর রসগোল্লার জন্য এলাকার মানুষজনকে লিপিকা মিষ্টান্ন ভাণ্ডারেই আসতে হয়। ছোট দোকান বলে ভেতরে বসে খাওয়ার জায়গা নেই। তাই সকালবেলায় কচুরি আর মটর দেওয়া যে অসাধারণ গন্ধওয়ালা আলুর তরকারিটা পাওয়া যায়—সেটা খদ্দেরকে মিষ্টির দোকানের সামনেটায় দাঁড়িয়ে শালপাতার ছোট বাটি হাতে নিয়ে বেশ কষ্ট করে খেতে হয়। দশ টাকায় তিনটে কচুরি আর এক হাতা আলুর তরকারি। দোকানের ভেতরের দেওয়ালে একটা সাদা কাগজে কচুরি কথাটা লেখা থাকলেও দোকানের কর্মচারী দুটো জানে ওটা কচুরি নয়—লুচি। সকালের মটর দেওয়া আলুর তরকারিটাকে জ্বাল দিয়ে শুকনো করে ওটাকেই বিকেলে শিঙাড়ার পুর হিসেবে ব্যবহার করা হয়।—তা ভালোই আছেন দেবেনবাবু, বউ লিপিকা আর লিপিকা মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে নিয়ে।
দেবেনবাবুর চার দিদি। দিদিদের বেশ বয়স হয়েছে। চারজন চারদিকে থাকেন। দেবেনবাবুর বউয়ের এখনও ছেলেপুলে হয়নি। বউয়ের নানারকম মেয়েলি রোগ তার ওপরে থাইরয়েডের সমস্যা! ডাক্তারবাবু বলেছেন চিকিৎসা চালিয়ে যেতে। ঠিক সময়ে যা হবার হবে। তবে কিছু না হলেও খুব রেগে যাবার মতো লোক দেবেনবাবু নন। মিষ্টির কারবার করতে করতে তাঁর চরিত্রটা ছানার মতো মোলায়েম আর গরম রসগোল্লার মতো তুলতুলে হয়ে গেছে। তিনি বেশ দেরি করে বিবাহ করলেও লিপিকার বয়সটা কম। আর বাচ্চাকাচ্চা না হওয়ার কারণে সে এখনও বেশ ফুরফুরে। সারাদিন সাজগোজ করে...বাজার যায়...স্বামীর জন্য নানারকম পদ রাঁধে...টিভিতে সিরিয়াল দেখে আর ফেসবুক করে।
রোজ রাতে দোকান বন্ধ করার সময় দেবেনবাবু একটা ছোট টিফিন বক্সে বউয়ের জন্য গরম রসগোল্লা নিয়ে বাড়ি ঢোকেন। সেই বিয়ের পর থেকেই রোজ রাতে দেবেনবাবু বউয়ের জন্য দুটো করে গরম রসগোল্লা নিয়ে আসতেন বাড়িতে। দিনরাত মিষ্টির দোকানে থাকেন বলে নিজে মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন না একদম! কিন্তু তিনি যে রোজ তাঁর বউকে দুটো করে রসগোল্লা নিবেদন করেন, এতে তাঁর চরম মানসিক তৃপ্তি ঘটে।
লিপিকা তেলতেলে এবং থলথলে ভুঁড়িওয়ালা দেবেনবাবুকে সত্যিই খুব ভালোবাসেন কিন্তু ইদানীং রাতে দেবেনবাবু টিফিনবাক্স নিয়ে ঘরে ঢুকলেই তার আতঙ্ক শুরু হয়ে যায়। বিয়ের পর প্রথমদিকে দেবেনবাবুর সামনে বসে লিপিকাকে রসগোল্লা খেতে হতো। মোটাসোটা দেবেনবাবু সে দৃশ্য দেখে ভারী খুশি হতেন। আনন্দে তাঁর ছোট ছোট চোখ দুটো কুচকে বন্ধ হয়ে যেত। তবে এখন লিপিকা আর রসগোল্লা খেতে পারে না। বড্ড গা গোলায়। দেবেনবাবু আদুরে গলায় রসগোল্লা খেতে বললে বলে—‘আমি ঠিক খেয়ে নেব।’ খায় না লিপিকা। এইভাবে তিন-চার দিন ধরে বেশ অনেকগুলো রসগোল্লা জমে যায় রান্নাঘরে। তন্বী কাজের মেয়েটি গরিব হলেও খুব স্বাস্থ্য সচেতন। বাসি খাবার যেমন খায় না, তেমন রসগোল্লাতেও ভক্তি নেই। আবার প্রাণে ধরে রসগোল্লাগুলো ফেলে দিতেও মন চায় না। এদিকে স্বামী রসগোল্লা আনা বন্ধ করেন না।
রসগোল্লার মতো আরেকটা অপছন্দের বিষয় আছে লিপিকার—সেটা হল রোজ বাজার যাওয়া। ছোটবেলায় মাতৃহারা একমাত্র ভাইকে তাঁর দিদিরা ভালোমন্দ খাইয়ে বড় করে তোলার সুবাদে দেবেনবাবুর জিহ্বার স্বাদকোরকগুলো খুবই সতেজ এবং উর্বর। কিন্তু সকাল-সকাল তাঁকে দোকানে গিয়ে বসতে হয় বলে বাজার যাওয়ার উপায় তাঁর থাকে না। এছাড়া সকালে কচুরি-আলুর তরকারির খদ্দেরের এত চাপ থাকে যে নিতাই আর পূর্ণ সব সামাল দিতে পারে না।
লিপিকা মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের ভেতর দিকে একটা খুপরি মতো জায়গায় পূর্ণ সন্দেশ, বোঁদে, জিলিপি তৈরি করে। রাতে তৈরি হয় রসগোল্লা আর পান্তুয়া। মিষ্টি, লুচি, শিঙাড়ার গন্ধে প্রতিদিন দেবেনবাবুর ওজন বেড়ে চলে।
বাড়িতে দুপুর ও রাতের খাওয়াটা জমিয়ে খান দেবেনবাবু। মাছ খেতে ভালোবাসেন খুব। সব্জিটব্জিগুলো বাড়ির কাছ থেকে কিনলেও দেবেনবাবুর মনের মতো মাছ কিনতে লিপিকা রেল বাজারে যেতেই হয়! সবরকম মাছ বিক্রি করে বলে মাছ বাজারের তারক মাছওয়ালার কাছ থেকেই লিপিকা মাছ কেনে। একদিন কী মনে হল—লিপিকা রান্নাঘরে জমে থাকা রসগোল্লাগুলো একটা সাদা পলিথিনে ভরে বাজারের দিকে রওনা দিল। ভাবল রাস্তায় কোনও ভিখিরির দেখা পেলে মিষ্টিকটা দিয়ে দেবে। সে নিজে না খেলেও কোনও ভিখারি যদি তার স্বামীর দোকানের মিষ্টি খায় তবে সব আশীর্বাদ তার স্বামীই পাবেন। কিন্তু বাজারে সেরকম কাউকে পেল না লিপিকা।
সে চিন্তিত মুখে তারকের কাছ থেকে একটি দেড় কেজি ওজনের শোল মাছ কিনে পরিষ্কার করিয়ে কাটিয়ে কুটিয়ে নিচ্ছিল। একদিন বড়ি বেগুন দিয়ে ঝোল করবে। আর একদিন কালিয়া করবে। মাছগুলো পিস করতে করতে হঠাৎ তারক বলে উঠল—
‘বউদি আপনার হাতে উটা কী? মিষ্টি মুনে হচ্চে!’
লিপিকা একটু হেসে বলল—‘হ্যাঁ! মিষ্টি।’
‘আপনাদের দুকানের নাকি?’
—‘হ্যাঁ গো....’
—‘জানেন আমি মিষ্টি খেতে খুব ভালোবাসি! সারাদিন আঁশটে গন্ধ আর মাচের সাথে থাকি তো, তাই মাচ-মানসো খেতে একেবারে মুন চায় না। মুড়ি দিয়ে মিষ্টি কিম্বা রুটি দিয়ে মিষ্টি—এগুলানই আমার খোরাক—হেঃ হেঃ’
—‘তাই বুঝি!’ হাতে যেন চাঁদ পেল লিপিকা। ‘এই নাও রসগোল্লাগুলো রাখো, খেয়ো।’
আনন্দে তারকের চোখ দুটো লাফিয়ে শোলমাছের মতো নেচে উঠল।—‘এ বাবা তাই কী হয়! ওইগুলান তো আপনি ঘরের জন্য নে যাচ্চিলেন!’
লিপিকা বলল—‘ঘরে অনেক আছে—এই নাও এগুলো এখন রাখো।’
এইভাবে দু-চার দিনের রসগোল্লা জমে গেলে লিপিকা মাছের বাজারে গিয়ে সেগুলো তারককে দিয়ে আসে আর তারকের থেকে ন্যায্যমূল্যে মাছ কিনে নিয়ে আসে। রোজ রাতে ঘুমোনোর আগে অতি কোমল কণ্ঠে দেবেনবাবু বউকে জিজ্ঞেস করেন—‘খেয়েছ?’
—‘হ্যাঁ গো হ্যাঁ! খেয়েছি!’ মি঩থ্যে বলতে কষ্ট হয় না লিপিকার। কারণ সে জানে একটা উপযুক্ত মিষ্টি খানেওয়ালাকে সে নিয়মিত মিষ্টি দান করে স্বামীর জন্য পুণ্য সঞ্চয় করছে।
সপ্তাহে দু’দিন তারকের হাতে মিষ্টি তুলে দিয়ে আসে লিপিকা। তাতে যে আর সব মাছওয়ালাদের চোখ টাটাত না—তা নয়। কিন্তু লিপিকা তারকের কাছে ভ্যারাইটিজ মাছ পেয়ে যেত বলে অন্য মাছওয়ালাদের ভ্রু কুচকানোতে তার কিছু যেত আসত না। পাশে রাখা মাছের রক্ত মেশানো বালতির জলে হাত দুটো ধুয়ে তারক মিষ্টির প্যাকেটটা হাতে নিয়ে গুটখা আর খৈনি খাওয়া ক্ষয়াটে দাঁতগুলো বের করে গদগদ ভঙ্গিতে হাসত। বলত—‘সামনের সপ্তাহে পুকুরের জ্যান্ত কালবোস মাচ-এনে দেব। খেয়ে দেকবেন কী সোয়াদ!’
লিপিকা একটু হাসত—তারপর পারশে মাছগুলো থলেতে ভরে বাড়ির দিকে পা বাড়াত। তবে ঘনঘন মিষ্টি পাওয়ার আনন্দে তারক আজকাল একটু বেশি কথা বলে।
—‘বউদি রান্নাবান্না আপনি করেন, না লোক রয়েচে?’
—‘না না, আমিই করি। তোমার দাদা আমার হাতের রান্না ছাড়া অন্য কাররও রান্না খেতে পছন্দ করেন না।’
—‘সে যা-ই বুলেন আপনার এমন সোন্দর চেহারা! রান্নাঘরে মানায় না একেবারে।’
লিপিকা গালে টোল ফেলে হাসে।
তারক ভেটকি মাছের আঁশ ছাড়াতে ছাড়াতে বলে——‘খুব শিগগির আমার বোনের বে’ দেব। আপনাদের যেতে হবে কিন্তু! মাচ তো অনেকেই নেয় তবে সবার সাথে কি আর ভাব হয়! টাকা-পয়সাটাই কি সব! এই যে হাসিমুখে দুটো কতা কওয়া—এইটাই তো জেবনে থেকে যায়। তাই না?’
লিপিকা থতমত খেয়ে বলে—‘নিশ্চয়।’
—‘এই যে আপনি যেদিন বাজারে আসেন আমার জন্য মিষ্টি লিয়ে আসেন—এই ভালোবাসার পোতিদান দেওয়া কি সম্ভব? বুলেন?’
—‘প্রতিদানের কোনও ব্যাপার নেই। তুমি চেনা মানুষ। মিষ্টি খেতে ভালোবাসো—তাই আনি। আমি তো কিনে দিই না। বাড়তি থাকে...সেগুলোই তোমাকে এনে দিই।’
‘হ্যাঁ সেটাই বলচি! আপনার মতো এত বড় মুন ক’জনের আচে বলুন তো!’ গলার আওয়াজ সপ্তমে চড়ায় তারক। তারকের গলার আওয়াজে অনেকেই সেদিকে তাকায়। এবার বেশ বিব্রত বোধ করে লিপিকা।
—‘তাড়াতাড়ি করো তারক। বেলা বয়ে যাচ্ছে। আর হ্যাঁ ভেটকি মাছের তেলটা মাছের সঙ্গেই দিয়ে দাও।’
ক’দিন ধরে লিপিকার শরীরটা খুব খারাপ। কাজে কর্মে এনার্জি পাচ্ছে না। সব সময় বমি বমি ভাব। মাছ ভাজতে গেলে গা গুলোচ্ছে খুব। চোখ দুটো বসে গেছে। শরীরে আরও অনেক কিছু প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। কৃষ্ণনগরে মাকে ফোন করে শরীর খারাপের কথা জানাতেই ফোনের ও প্রান্তে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠলেন লিপিকার মা।
—‘ঠাকুর মুখ তুলে চেয়েছেন রে লিপি! তুই কালকেই মন্দিরে পুজো দিয়ে আয়। এটা ব্যামো নয়। সব শুভ লক্ষণ। জামাইকে নিয়ে একবার ডাক্তারের কাছে যাস!’
সব বুঝে লিপিকা আনন্দিত হল খুব। দুপুরে খেতে এসে সব শুনে খুশিতে আটখানা হলেন দেবেনবাবু। নিজের মস্ত ভুঁড়িতে হাত বোলাতে বোলাতে বললেন—‘আজ সকালে দু’দুবার জোড়া শালিক দেখেই বুঝেছি কোনও একটা সুসংবাদ পাব।’ খুশির চোটে তিনি রাতে বাড়ি ফেরার সময় দু’খানা নয়, এক হাঁড়ি নলেন গুড়ের রসগোল্লা নিয়ে বাড়ি ঢুকলেন। অত রাসগোল্লা দেখে লিপিকার প্রচণ্ড শরীর খারাপ করতে শুরু করল। সে মাছের ঝোলও খেতে পারল না। বেশি করে কাঁচালঙ্কা দিয়ে আলু ভেজে একটা রুটি খেল।
পরদিন পাশের দো’তলা বাড়ির মাসিমাকে অনেককটা রসগোল্লা দিয়ে এল। বলল, ‘খাবেন। নলেন গুড়ের রসগোল্লা। আপনার ছেলে পাঠিয়েছে।’ বাকি রসগোল্লাগুলো একটা প্লাসটিকের ডিব্বায় ভরে বাজারের দিকে এগল। তারকের হাতে রসগোল্লার ডিব্বাটা ধরিয়ে দিতেই সে ছোপওয়ালা দাঁত বের করে হেসে বলল—‘আজ মুনে হচ্চে অনেকগুলান!’
—‘হ্যাঁ। আজ স্পেশাল। নলেন গুড়ের রসগোল্লা।’ তারক মাছ কাটা বন্ধ রেখে একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে লিপিকার মুখের দিকে তাকিয়েই থাকল।
—‘বউদি আপনার শরীল খারাপ নাকি?’
—‘ওই আর কী! আচমকা খুব ঠান্ডা পড়েছে তো! তা তোমার বোনের বিয়ের ব্যাপারটা কতদূর এগল?’
—‘এই ফাল্গুনেই হবে মুনে হয়! ভালো ছেলে পাওয়া কি মুখের কতা! টিবিতে দেখেন না খবরে কত কী দেখায়! নতুন বউরে পুড়িয়ে মেরেচে। বউয়ের ওপরে নিয্যাতন কচ্চে!’
লিপিকা আর কথা বাড়ায় না। তাড়াতাড়ি বাজার সেরে বাড়ি ফেরে।
ফাল্গুন মাস চলে এল। তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা লিপিকা। এখন আর ঘন ঘন বাজার যায় না। সপ্তাহে একদিন করে বাজার গিয়ে বেশি করে মাছ-মাংস এনে ফ্রিজে তুলে রেখে দেয়। সে এখন আর মাছ খেতে পারে না। বমি হয়ে যায়। টক বা ঝালজাতীয় রান্না এখন তার প্রিয়।
একদিন ঝলমলে রোদ উঠেছে দেখে বাজারের থলেটা নিয়ে লিপিকা আস্তে আস্তে বাজারের দিকে হাঁটতে শুরু করল। থলের ভেতর বেশ ক’দিনের জমে যাওয়া রসগোল্লা ছিল। তারকের কাছ থেকে কিছুটা পাবদা আর অল্প করে দেশি ট্যাংরা মাছ নিল। মাছগুলো থলেতে ভরতে গিয়ে থলের ভেতর থেকে মিষ্টির প্যাকেটটা বের করে হাসিমুখে তারককে দিল। তারক প্যাকেটটা নিয়ে বলল—‘বউদি একটু দাঁড়ান, আপনার জন্য অনেকদিন থেকে একটা জিনিস রাখা আচে।’ এরপর সে মাছের রক্তমাখা আঁশটে ঘোলা জলে হাত দুটো ধুয়ে পাশে রাখা ময়লা গামছাখানায় হাত মুছে নোংরা ব্যাগ থেকে একটা খাম বের করে লিপিকাকে দিল। খৈনিতে ক্ষয়ে যাওয়া হলদে দাঁতগুলো বের করে হেসে বলল—‘বাড়িতে গিয়ে দেকবেন।’
কাজকর্মের ব্যস্ততায় সারাদিন কেটে গেল লিপিকার। তারকের দেওয়া খামের কথা মনেই ছিল না। রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর টিভি দেখতে দেখতে খামটার কথা মনে পড়ল। খামটা বাজারের থলের ভেতরেই পড়ে আছে। লিপিকা থলে থেকে খামটা বের করে এনে খাটে বসল। দেবেনবাবু মুখ ভর্তি জর্দাপান নিয়ে শুধোলেন—‘কী গো ওটা?’
—‘আরে মাছওয়ালা তারক দিয়েছে। মনে হয় ওর বোনের বিয়ে! মিষ্টিফিষ্টি বায়না দেবে হয়তো। তাই...’
—‘কই! আমাকে দাও তো দেখি! আর আমার চশমাটা দাও।’ খামের মধ্যে দেবেনবাবু একটা সাদা কাগজ পেলেন। সেটা খুলে পড়তে শুরু করলেন—
‘বওদি গো,
তুমার চোক মুক খুব শুকিয়ে গেচে দেকে আমার মুন খুব খারাপ। জানি তুমি ভালো নাই। ওরম প্যাটমোটা বুড়ো বর লিয়ে সোমসার করলে ভালো থাকা যায় না। মিসটিওলার দোস আচে তাই তুমার বাচ্চা হয়নি কো। মাচের বাজারে মদনা ছেল। দেবু ছেল। কুদদুস ছেল। উয়াদেরকে মিসটি না দিয়ে তুমি আমাকে মিসটি দাও কেন সে কি আমি বুজি না! আট কেলাস পয্যন্ত পরেচি। মুখখু না। পেরেম না থাকলে কেউ কাউরে হরদিন মিসটি খাওয়ায়? আগে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে মাচের সপনো দেকতাম। ইআ বড় কাতলা মাচের সপনো। এখুন রসগোললার সপনো দেকি। সাদা রসগোললা। গুরের লাল রসগোললা। তুমার জন্নে আমার চোক ফেটে জল আসে। মাতার বালিস ভিজে চুবচুবে হয়ে যায়। কেনিং-এ বটতলায় গিয়ে যারে জিগোবে সেই বলবে তারক কত ভালো ছেলে। নেশা ভাং করে না। সবাই বুলে আমি যখুন আকাশের পানে তাকাই তখুন আমারে নাকি দেবের মতুন লাগে। দু বিগে জমি আচে আমার। তাতে ধান চাস হয়। খাওয়া-পরার কুনো অভাভ হবে না কো। তুমি আমার হিদয়ের রানি হয়ে থাকবা। চিটিতে যা লিকেচি তাতে যদি তুমার মত থাকে তাইলে সামনের দিনকে সেই সবুজ বুটিকের লাল সারিখান পরে এসো।
ইতি তুমার সেন্টু (আমার ডাকনাম)’
কী গো? কী লেখা আছে ওতে? এতক্ষণ ধরে পড়ছ!’ লিপিকা ঠ্যালা মারতেই দেবেনবাবু মূর্ছা গেলেন।
লিপিকার কাছে আমি এই গল্পটা একাধিকবার শুনেছি আর হাসতে হাসতে আমার চোয়াল ব্যথা হয়ে গেছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম এরপর কী হল?
দু’বছরের ছেলেকে সামলাতে সামলাতে লিপিকা বলল—‘আমার সুবিধে হল। দোকান থেকে আমার জন্য রসগোল্লা আনা বন্ধ হল। আর বাজার যাওয়ার দায়িত্বভার তোমার দাদা নিজের কাঁধে নিলেন।’ তারপর সে বিশাল জোরে হেসে উঠল।
31st  March, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

১১

‘নিশীথ রাক্ষসীর কাহিনী’— সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অসমাপ্ত এক কাহিনী। এই লেখাটি তিনি শেষ করে যেতে পারেননি। লেখাটি শুরু করে বেশ কিছুটা এগবার পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।  
বিশদ

12th  May, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

চিন্তাপূর্ণী দেবী, পর্ব-১১

গাড়োয়াল হিমালয় ও সংলগ্ন হিমাচল প্রদেশে চিন্তাপূর্ণী দেবীর মান্যতা খুব। কেননা ইনিও নয় দেবীর এক অন্যতমা মহাদেবী। জ্বালামুখী ও কাংড়ার খুব কাছেই চিন্তাপূর্ণী দেবীর স্থান। নগরকোট কাংড়া থেকে চিন্তাপূর্ণীর দূরত্ব ৫০ কিমির মতো।  
বিশদ

12th  May, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই 
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

১০
ফেরার পথে আর হেঁটে নয়, গাড়িতে করেই বাড়ি ফিরে এলেন দুই বন্ধু। তারপর নিস্তেজ নার্ভকে সতেজ করার জন্য দু কাপ গরম পানীয় নিয়ে তাঁরা মুখোমুখি বসলেন। তখনও তাঁদের ঘোর পুরোপুরি কাটেনি।  
বিশদ

05th  May, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

জ্বালামুখী, পর্ব-১০

হিঙ্গুলায়া মহাস্থানং জ্বালা মুখ্যাস্তথৈব চ। একান্ন সতীপীঠের অন্তর্গত এই জ্বালামুখীতে আমি প্রথম গিয়েছিলাম তেইশ বছর বয়সে। তারপর তো বিভিন্ন সময়ে কয়েকবার।
এ যাত্রায় কাংড়া দুর্গ দেখার পর এখানে রাত্রিবাস না করে বাসস্ট্যান্ডে এসে পঁচিশ কিমি দূরে জ্বালামুখীতে পৌঁছলাম।
বিশদ

05th  May, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই 
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়


পরবর্তী ডাকেই শিশিরকুমার তাঁর প্রাণাধিক প্রিয় পুত্র পয়সকান্তির ছবি বন্ধুকে পাঠিয়ে দিলেন। সেই ছবির সঙ্গে তিনি একটা চিঠিও পাঠালেন। তিনি তাঁর বন্ধুকে লিখেছিলেন, আপনার কথামতো আমি ছবিটা পাঠালাম। 
বিশদ

28th  April, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

নগরকোট কাংড়া, পর্ব-৯
চামুণ্ডা নন্দীকেশ্বর থেকে এবারের দর্শন নগরকোট কাংড়ায়। পথের দূরত্ব মাত্র পঁচিশ কিমি। এ পথে আমি বেশ কয়েকবার এসেছি। প্রথম এসেছি ১৯৬৪ সালে। আমার রাত্রিবাসের স্থল আরও পঁচিশ কিমি দূরে জ্বালামুখীতে। 
বিশদ

28th  April, 2019
 ডেডলাইন
সম্রাজ্ঞী বন্দ্যোপাধ্যায়

একটা অজানা-অচেনা স্টেশনে নেমে পড়ে এইভাবে একটা চায়ের দোকানে ঢুকে পড়া কতটা ঠিক হল কে জানে। ঐত্রেয়ী অন্তত সেই কথাই ভাবছে। এইখানে চিনি ছাড়া লাল চা পাওয়ার জাস্ট কোনও চান্স নেই। সুতরাং একটা দুধ চা-ই বলেছে। দোকানি দিদি আঁচল দিয়ে ঘাম মুছতে মুছতে জিজ্ঞেস করে গেছেন আর কিছু সে খাবে কিনা।
বিশদ

21st  April, 2019
পূণ্য ভূমির পূণ্য ধূলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

জম্মুতে দু’ একটা দিন বিশ্রাম নেওয়ার পর হাতে যদি সময় থাকে তাহলে কলকাতায় না ফিরে আরও এক দেবীতীর্থে অনায়াসেই যাওয়া যেতে পারে। সেই তীর্থভূমি হল চামুণ্ডা ক্ষেত্র। ইনিও হিমালয়ের নয় দেবীর এক অন্যতমা দেবী।
বিশদ

21st  April, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

মৃত ভাইয়ের আত্মার সঙ্গে কথা বলে শিশিরকুমারের বিক্ষুব্ধ মন কিছুটা হলেও শান্ত হয়েছিল এবং এইসময় থেকেই তিনি আরও প্রবল ভাবে মেতে উঠলেন প্রেতচর্চা ও ঈশ্বরের উপাসনায়। আর তখনকার পরিবেশ এবং পরিস্থিতি ছিল প্রেতচর্চার পক্ষে খুবই অনুকূল।
বিশদ

21st  April, 2019
ভাসানের পরে
মৃত্তিকা মাইতি

অশ্রু বসে আছে দুর্গা ঠাকুরের পায়ের কাছে। ফুল-মালাগুলো গুছিয়ে কাঁড়ি করা। পুজো শেষ। আজ ভাসান। একটু পরেই বরণ শুরু হবে। পাড়ার বউরা বরণডালা হাতে অপেক্ষা করছে রুম্পাদের উঠোনে। এটা তাদেরই বাড়ির পুজো। রুম্পার মা আর কাকির বরণ সারা হলে তবেই বাকিরা করতে পারবে।
বিশদ

14th  April, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

এবারে যাওয়া যাক মাতা বৈষ্ণোদেবীর দরবারে। ইনি হলেন হিমালয়ের প্রসিদ্ধ নয় দেবীর অন্যতমা। হাওড়া শিয়ালদহ বা কলকাতা স্টেশন থেকে জম্মু যাওয়ার ট্রেনের অভাব নেই। জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস বা হিমগিরি এক্সপ্রেস অনেকেরই খুব পছন্দের ট্রেন। বিশদ

14th  April, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 মহাত্মা শিশিরকুমার ঘোষ। ১৮৪০ সালে যশোর জেলার মাগুরা (অমৃতবাজার) গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা কলুটোলা ব্রাঞ্চ স্কুল (বর্তমান হেয়ার স্কুল) থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কিছুকাল প্রেসিডেন্সি কলেজেও পড়াশুনা করেন। এরপর তিনি আবার ফিরে যান নিজের গ্রাম পুলুয়ামাগুরায়।
বিশদ

14th  April, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাদশাহের মর্জিতেই তাকে নামানো হয়েছে লড়াইতে, কিন্তু তাকে কিছুতেই বাগ মানাতে পারছে না তার পিলবান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে প্রতিদ্বন্দ্বী হাতিকে ছেড়ে তাড়া করল এক জওয়ান লেড়কা দর্শককে, সেই লেড়কা দ্রুত পালিয়ে ঢুকে গেল আম-আদমির ভিড়ের মধ্যে। হাতিটা তখন দূর থেকে দেখছে বীরবরের লাল বেনিয়ান পরা চেহারাটা।
বিশদ

07th  April, 2019
বন্ধুত্ব
তপনকুমার দাস

—গীতা তো আমার চেয়েও তোমার বেশি বন্ধু। স্কুটারের পিছনে বসিয়ে ব্যাঙ্কে নিয়ে যাও—
—গীতা বলেছে বুঝি? গোপন কথাটি গোপন না থাকায় ফুঁসে উঠেছিল দীনবন্ধু— স্ট্যান্ডে একটাও রিকশ ছিল না। নিজেই যেচে এসে দু’কাঁধ ধরে পিছনে ঝুলে পড়ল।  বিশদ

07th  April, 2019
একনজরে
 সংবাদদাতা, মালবাজার: ফুল ঝাড়ুকেই এখন প্রধান অর্থনৈতিক ফসল হিসাবে বেছে নিয়েছেন কালিম্পং জেলার গোরুবাথান ব্লকের সামসিং ফরেস্ট কম্পাউন্ড বস্তির কয়েকশ চাষি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় সকলেই এখন ঝাড়ুকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। কারণ ঝাড়ু ফলিয়ে তাঁরা এখন বেশি লাভের মুখ দেখছেন। একবার ...

 দেওঘর (ঝাড়খণ্ড) ও পালিগঞ্জ (বিহার), ১৫ মে (পিটিআই): বুধবার বিহার ও ঝাড়খণ্ডের জোড়া জনসভা থেকে বিরোধীদের তুলোধোনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে তীব্র কটাক্ষ করলেন কংগ্রেসকে। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয় নিশ্চিত। ...

  বিএনএ, বর্ধমান: স্ট্রংরুম পরিদর্শনে গিয়ে লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের এজেন্টরা তার ধারেকাছে ঘেঁষতে পারবেন না। প্রার্থীদের এজেন্টরা পরিচয়পত্র নিয়ে নিয়মিত স্ট্রংরুম ভিজিটে যান। কিন্তু, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ, প্রেমিসেস থেকে বেশকিছুটা দূরে একটি ক্যাম্প তৈরি করতে হবে। ...

বীরেশ্বর বেরা, কলকাতা: বালিগঞ্জ ফার্ন রোডের অভিজাত এলাকায় সাদা রঙের দোতলা বাড়ির বাসিন্দা মিতা চক্রবর্তী। এবার তিনি কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী। প্রথমবার নির্বাচনে দাঁড়ালেও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩১: বঙ্গ নাট্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৯৭০: টেনিস খেলোয়াড় গ্যাব্রিয়েলা সাবাতিনির জন্ম
১৯৭৫: প্রথম মহিলা হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন জুঙ্কো তাবেই
১৯৭৮: অ্যাথলিট সোমা বিশ্বাসের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৪৯ টাকা ৭১.১৮ টাকা
পাউন্ড ৮৯.১৯ টাকা ৯২.৪৬ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৪ টাকা ৮০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৮১৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,১৩৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১৬ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৮/৮ দিবা ৮/১৬। চিত্রা ৫৮/১০ রাত্রি ৪/১৬। সূ উ ৫/০/৮, অ ৬/৫/৪৪, অমৃতযোগ দিবা ৩/২৮ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৪৯ গতে ৯/০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৪ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ২/৪৯ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/৩৩ গতে ১২/৫৫ মধ্যে।
১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১৬ মে ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৫/৩২/৪৭ দিবা ৭/১৩/২৬। চিত্রানক্ষত্র ৫৭/১১/১৩ রাত্রি ৩/৫২/৪৮, সূ উ ৫/০/১৯, অ ৬/৭/১৫, অমৃতযোগ দিবা ৩/৩৪ গতে ৬/৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫৮ গতে ৯/৪ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ২/৪ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৫/০ মধ্যে, বারবেলা ৪/২৮/৫৩ গতে ৬/৭/১৫ মধ্যে, কালবেলা ২/৫০/৩১ গতে ৪/২৮/৫৩ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/৩৩/৪৭ গতে ১২/৫৫/২৫ মধ্যে।
১০ রমজান
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: উচ্চশিক্ষায় সাফল্য। বৃষ: উচ্চপদস্থ ব্যক্তির আনুকূল্যে কর্মক্ষেত্রে প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৩১: বঙ্গ নাট্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম১৯৭০: টেনিস খেলোয়াড় গ্যাব্রিয়েলা ...বিশদ

07:03:20 PM

ঝড়-বৃষ্টিতে তার ছিঁড়ে অন্ধকারে ডুবল জলপাইগুড়ি
জলপাইগুড়ি শহরের বিস্তীর্ন অংশ ডুবে রয়েছে অন্ধকারে। সন্ধ্যা থেকে ঝড়-বৃষ্টির ...বিশদ

08:10:08 PM

ডায়মন্ডহারবারের এসডিপিও এবং আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

07:27:00 PM

বিমান সংস্থার উপর চটলেন শ্রেয়া
বিমানে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয় সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষালকে। ...বিশদ

06:21:47 PM

ভোটের দিন গরম বাড়বে
উত্তর বঙ্গের পাঁচ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ভোটের দিন কিন্তু ...বিশদ

06:10:39 PM