Bartaman Patrika
 

সভাগার থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল

সংস্কৃতি সাগর ও সেন্টার স্টেজ ক্রিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে ২২ থেকে ২৪ মার্চ বিড়লা সভাগৃহে হয়ে গেল সভাগার থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল। ছিল তিনটি ভিন্নস্বাদের নাটক। পৌরাণিক, সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক নাটকগুলির আলোচনায় কমলিনী চক্রবর্তী।

রাবণ কি রামায়ণ
নাটকের নামটা শুনে একটু ধন্দে পড়েছিলাম। রাবণ কি রামায়ণ! বাল্মীকির রামকে পালটে নাট্যকার কি রাবণকেই রামায়ণের নায়ক করে ফেললেন? নাটকটা দেখার আগ্রহ তখন থেকেই। নাটকের শুরুতেই রাবণরূপী পুনিত ইসার আর নাট্যকার অতুলসত্য কৌশিকের সঙ্গে আলাপ জমে উঠল। কথা প্রসঙ্গে প্রথম প্রশ্নটাই করে বসলাম, রাবণ কি রামায়ণে হিরো কে? একটু থমকে গেলেন নাট্যকার। কিন্তু পুনিত আমায় পালটা প্রশ্ন করলেন, আচ্ছা বলুন দেখি ইতিহাস কার দ্বারা রচিত হয়? এবার আমার থমকানোর পালা। পুনিত নিজেই উত্তর দিলেন, আবহমান কাল ধরেই ইতিহাস রচিত হয় বিজয়ীর কলম থেকে। এবার একটু পালটে দেখাই যাক না। যুদ্ধে যে হেরে গেল তারও তো একটা বক্তব্য থাকতে পারে। একবার না হয় সেই বক্তব্যটাকেই গুরুত্ব দেওয়া হোক। সেই গুরুত্ব দিতে গিয়েই দিল্লির নাট্যকার অতুল সত্য কৌশিক লিখলেন রাবণ কি রামায়ণ। তাই বলে রামায়ণের এই ভার্সানের হিরো রাবণ, এমনটা ভাবলে ভুল করবেন। রামই নায়ক। তবু রাবণ ভিলেন নন। না, রামায়ণের গল্পে কোনও বদল ঘটাননি নাট্যকার। শুধু দৃষ্টিভঙ্গিটা একটু পালটেছেন এই যা।
কৈলাশের একটি দৃশ্য দিয়ে নাটকটি শুরু হয়। শিবভক্ত রাবণ প্রভুর উপাসনা করতে হিমালয়ে উপস্থিত। নিজের রচিত মন্ত্র দিয়েই রাবণ উপাসনা করছেন শিবের। শিবের কাছে বর চাইছেন। বিজয়ী হওয়ার বর। অন্য অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হওয়ার বর। শিব কি দেবেন সেই বর তাঁর প্রিয় ভক্তকে? চাইলেই কি সব পাওয়া যায়? কিছু পেতে গেলে কিছু ত্যাগ করাও কি আবশ্যিক নয়? এমন বিভিন্ন প্রশ্নের মধ্যে দিয়েই নাটকটি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন অতুল। রাবণের মুখে কিছু সংলাপ এমন বসিয়েছেন যার ফলে রামায়ণের বিভিন্ন চরিত্র নিয়ে দর্শকের মন ভাবনায় মজে উঠেছে। একই সঙ্গে রাবণের পাণ্ডিত্যেও মুগ্ধ হয়েছে দর্শক। সংলাপেও নতুনত্ব রয়েছে। আর রাবণের ভূমিকায় পুনিত ইসার যে অনবদ্য তা তো বলাই বাহুল্য।
পৌরাণিক কাহিনী বলেই হয়তো সেটের আতিশয্য থাকবে ধরেই নিয়েছিলাম। সেই চিন্তায় একটু ঠোক্কোর লাগল প্রথমেই। বেশ ম্যাড়ম্যাড়ে সেট ডিজাইন। রাজসিক রাজমহলও চোখে পড়ল না, আবার পঞ্চবটির নিস্তরঙ্গ বনবাসও মুগ্ধ করল না। আর সোনার হরিণের দাপাদাপিযকে ঘিরে এতকাণ্ড তা স্টেজে দেখানোর ঝক্কিই নেননি নাট্য‌কার। পুরো ঘটনাটাই সূর্পনখার বয়ানে শোনানো হয়েছে। তবে সেট ডিজাইন ম্যাড়ম্যাড়ে হলেও লাইটিং বেশ উল্লেখযোগ্য। আলোআঁধারির জাঁকজমকে রীতিমতো একটা আবহাওয়া তৈরি হয়েছে স্টেজের ওপর।
পুনিত ইসার ছাড়া মন্দোদরীর চরিত্রে নিষ্ঠা পালিওয়াল উল্লেখযোগ্য। কিন্তু সীতাকে দেখে বেশ হতাশ লাগল। সেই কবে যে রামায়ণ সিরিয়ালে সীতাকে কাঁদিয়ে দিয়ে গিয়েছেন দীপিকা চিকলিয়া, সীতা এখনও কেঁদেই চলেছেন। তাই অতুল সত্য কৌশিকের নাটকেও সীতার ভূমিকায় লতিকা জৈন বড্ড কাঁদুনে। সীতার চারিত্রক দৃঢ়তা মোটেও ধরা পড়েনি তাঁর অভিনয়ে। যেখানে যুক্তির ওপর যুক্তি সাজিয়ে রাবণের সঙ্গে টক্কর নিচ্ছেন সীতা, সেখানেও তিনি নাকে কাঁদতে ভুলছেন না। আর রাম! তিনি যেন অতিরিক্ত নরম ও সরল চরিত্রের হয়ে উঠেছেন। কোথায় সেই হরধনু ভঙ্গ করা তেজ? কোথায়ই বা তাঁর বীরত্ব? রাবণকে হাইলাইট করার জন্য নাট্যকার কি ইচ্ছাকৃতভাবে রামকে একটু নরম করে রেখেছেন? রামের ভূমিকায় গৌরব জাখুর অভিনয় দেখে এমন প্রশ্নও যে দর্শকের মনে একবারও উঁকি মারে না তা নয়। তুলনায় সূপর্নখা, লক্ষ্মণ ও মেঘনাদ বেশ ভালো। মেঘনাদের চরিত্রে তরুণ দাং বেশ দাপুটে, কয়েকটি দৃশ্যে রীতিমতো চমক লাগিয়েছেন। শেষকালে রাবণ ও রামায়ণে তাঁর প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে সামান্য একটু দর্শন রয়েছে। অতটা না হলেও মন্দ হত না। একটু অতিরঞ্জিত দর্শন খানিকটা জ্ঞানের মতো শুনিয়েছে। সব শেষে সংলাপ বিষয়ে একটু না বললেই নয়। গোটা নাটকটাই কবিতার আকারে লেখা এবং অন্তমিল দেওয়া সংলাপ যথাযথভাবে পাঠ করেছেন সব অভিনেতাই।

বালিগঞ্জ ১৯৯০
ইংরেজ কবি রবার্ট ব্রাউনিং তাঁর আন্দ্রিয়া ডেল সার্তো কবিতায় লিখেছেন ‘A man’s reach should exeed its grasp or what is heaven for?’ লাইনটি আবারও মনে পড়ে গেল অতুল সত্য কৌশিকের নাটক বালিগঞ্জ ১৯৯০ দেখতে গিয়ে। সামাজিক অবক্ষয়, একাকীত্ব, প্রেমকাহিনী, নাকি নিছক থ্রিলার? গোটা নব্বুই মিনিট পার করে থিয়েটার হল থেকে বেরতে বেরতেও এই প্রশ্নটাই বারবার মনে কড়া নাড়ছিল। একেবারেই সামাজিক একটি গল্প। প্রেমের প্লট। তবু তারই মধ্যে রয়েছে রহস্য। তারই মধ্যে রয়েছে সম্পর্ক। আবার তারই মধ্যে রয়েছে অধরা প্রেম, অপূর্ণ সাধ। সূপ্ত একটা বাসনাও কি নেই? আছে বোধহয়। তবে এই সব কিছু ছাপিয়ে গিয়েছে অপূর্ণ প্রেমের প্লট। দশ বছর আগে ঘটে যাওয়া ঘটনার জের টেনে ধরে রাখা হয়েছে গোটা গল্পে। কার্তিক আর বাসুকীর প্রেমের ঘটনা। যে প্রেমে দশ বছর আগেই ইতি পড়েছে। তবু সম্পর্কে আগুন নিভে যায়নি পুরোপরি। দশ দশটা বছর ধরে ধিকি ধিকি আগুন জ্বলেছে। তাই বলে কি আর জীবন থেমে থাকে? থাকে না। বাসুকী বা কার্তিকেরও থামেনি। দশ বছর পর বাসুকী এখন বিবাহিত। আর কার্তিক? সেও জীবনে মোটামুটি দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দু’জনের আবার দেখা হয়। কার্তিককে বাড়িতে ডাকে বাসুকী। আর তারপর? রহস্যের জাল বোনার সেই শুরু। আর সেই রহস্যের জালে এমন জড়িয়ে যায় দর্শক যে আগু পিছু জ্ঞান থাকে না। সত্য মিথ্যার বিভেদ থাকে না। বাসুকীর কোন কথাটা সত্য বলে ধরবেন? কোনটাই বা মিথ্যা? সে কি আদৌ খুন করেছে কাউকে? নাকি পুরোটাই ভাওতা? এমন নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতেই ৯০ মিনিট কখন যে পেরিয়ে যাবে টেরই পাবেন না। অদ্ভুত একটা ধন্দ টেনে নিয়ে যাবে গোটা নাটকটাকে। আর সেই সঙ্গে দর্শকও স্টেজের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্থে হানা দেবে চরিত্রগুলোর সঙ্গে।
রহস্য অথচ চরিত্র মাত্র তিনটি। কার্তিক আর বাসুকীর সঙ্গে তো পরিচয় ঘটেই গেছে, বাকি আর একজন, বাড়ির বুড়ো চাকর। কার্তিকের চরিত্রে অনুপ সোনি যথাযথ। একটু হয়তো স্টিফ। কিন্তু বাসুকীর চরিত্রে নিষ্ঠা পালিওয়াল তোমার অনবদ্য। অসম্ভব প্রাণবন্ত আবার একই সঙ্গে গভীর চরিত্রটি দুর্দান্ত ফলটিয়ে তুলেছেন নিষ্ঠা। চাকরের চরিত্রে কুণাল কৌশিক ততটা বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠতে পারেননি। অবশ্য তিনি সময়ও ততটা পাননি চরিত্রটিকে প্রমাণ করার। সেটটি উল্লেখযোগ্য না হলেও মন্দ নয়। বড়লোক বাড়ির অন্দরমহল হিসেবে ভালোই মানিয়ে গিয়েছে আসবাবপত্র। কিন্তু লাইটিংয়ে ধোঁয়ার ব্যবহার অযথা ও অতিরিক্ত মনে হয়েছে। অন্ধকারের ব্যবহার অবশ্য বেশ উল্লেখযোগ্য। বাড়ির অন্ধকারটাই চরিত্রের মনের কোণে জমাটবাঁধা অন্ধকারের প্রতীক হয়ে দেখা দিয়েছে।

তিতলি কি মউত
নাটকটি মনস্তাত্ত্বিক। মানুষের অন্তরের বিবেক নিয়েই গল্প। বিবেক ছাড়াও দ্বন্দ্ব আর টানাপোড়েন নাটকটির ষোলোআনা জুড়ে। রহস্য, অথচ খুনটা ঘটল সর্বসমক্ষে, প্রথমেই। খুন নাকি আত্মহত্যা? প্রশ্নটা ঘুরছে গল্প জুড়ে। চরিত্রগুলো সবাই তার স্বপক্ষে বা বিপক্ষে নিজের মত জানাচ্ছেন। সেই মতামতই সংলাপ হয়ে ফিরছে চরিত্রের মুখে মুখে।
তিতলি কি মউত নাটকটি চৈতি ঘোষালের পরিচালনা মিলেনিয়াম ম্যাম গ্রুপের একটি নাটক। মিলেনিয়াম ম্যাম কোনও পেশাদার নাট্যদল নয়। একদল গৃহবধূকে নিয়ে একটা সংগঠন। একেবারেই অ্যামেচার প্রোডাকশন। আর সেই অ্যামেচারিশ হাবভাব বেশ স্পষ্টভাবেই ফুটে উঠেছে এঁদের অভিনয়ে। দিদিমা, মা, তিন দিদি, বাড়ির পরিচারিকা আর তিতলি। এই নিয়েই তিতলিদের পরিবার। বাবা মারা গিয়েছেন বহু আগে। আর এবার তিতলিও আর বাঁচবে না। বন্দুক নিয়ে নিজেই নিজের মাথায় ঠেকিয়ে মৃত্যুকে বরণ করল সে। ভাবছেন প্রথমেই আত্মহত্যার রহস্যটা ফাঁস করে দিলাম কেন? দর্শকের সামনেই এইভাবেই আত্মহত্যাটা ঘটে নাটকের প্রায় গোড়াতেই। আর তারপর শুরু হয় নাটকের বিচার। কিন্তু আশ্চর্য এই যে প্রথমেই আত্মহত্যার ঘটনাটা দর্শকের সামনে ঘটতে দেখা গেলেও বারবার আত্মহত্যা না খুন এই প্রশ্ন নিয়ে জেরবার হতে হয় নাটকের অন্যান্য চরিত্রদের। নাটকটি খানিক দূর এগলে দর্শকের একটু শঙ্কা হয়, সত্যিই আত্মহত্যা তো? নাকি খুনই বটে?
শ্যামা শ্রীবাস্তব গোয়েন্দা বিভাগের মহিলা সেলে কর্মরত। তিনিই খুন বা আত্মহত্যার তদন্ত করতে ব্যস্ত। আর সেই তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশ্ন থেকে উঠে আসে একেকটি চরিত্রের অন্তর্দ্বন্দ্ব। নাটকটা দেখতে দেখতে বারবার উত্তমকুমার অভিনীত থানা থেকে আসছি ছবির কথা মনে পড়ছিল। এত প্রকট ছাপ যে তা এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। পাঠক কি এতক্ষণে ধরে ফেলেছেন ছাপটি কিসের? যদি না ধরে থাকেন তাহলে একটা সামান্য ক্লু দিই আপনাদের। কে শ্যামা শ্রীবাস্তব? তিনি কি সত্যিই গোয়েন্দা? নাকি তিনি মনস্তাত্ত্বিক? না হলে হঠাৎ তাঁর প্রশ্নে চরিত্রের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ পাবে কেন?
তিতলির চরিত্রেআভা গোলছা সাহারিয়ার অভিনয় খুব একটা মনে ধরল না। বড্ড অতি অভিনয়। সব সংলাপেই মুখে একটা আতঙ্ক মিশ্রিত অভিব্যক্তি। যখন সে প্রাণোচ্ছ্বল তরুণী তখনও তার চোখে প্রাণবন্ত হাসি ফুটে উঠছে না। আর শ্যামা শ্রীবাস্তবের অভিনয় তো বীররসে ভরা। কেউ যেন তাঁর হাতে রাজদণ্ড ধরিয়ে হুকুম জারি করার অধিকার দিয়েছে তাঁকে। এমনই হুমকির বার্তার তাঁর সংলাপ বলার ধরনে যে দর্শক আসনে বসেও একটু ভয় লাগে। সামান্য নড়াচড়া করলেও হয়তো শ্যামা শ্রীবাস্তবের রোষের মুখে পড়তে হবে। এইসব খামতিই ঢাকা পড়ে যেত গল্পের টান প্রবল হলে। সেখানেও ফাঁকি এড়ানো গেল না। গোটা নাটকেই তাই অন্য একটা গল্পের মোড়ক স্পষ্ট হয়ে উঠল।
20th  April, 2019
আটেশ্বরতলার নাট্যোৎসব
যথার্থই মানুষের উৎসব 

নাট্যোৎসব তো কতই হয়। কিন্তু সেটা সত্যি সত্যি উৎসবের চেহারা নেয় ক’টা জায়গায়? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তো নিমন্ত্রিত বিশিষ্ট অতিথিদের সমাগমে প্রেক্ষাগৃহ ভরে ওঠে। সাধারণ মানুষের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখা যায় ক’টা ক্ষেত্রে? একসময় কয়েকটা ক্ষেত্রে হলেও এখন বোধহয় একটি ক্ষেত্রেও তা চোখে পড়ে না।  
বিশদ

27th  April, 2019
গানের আসরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলেন দাশু রায় 

অকাবাঈয়ের দলে যে গান দাশরথী বাঁধতেন, তা খুব উচ্চমানের ছিল না। কেননা তার শ্রোতারা ছিলেন যথেষ্ট নিম্নরুচি সম্পন্ন। তাই দাশরথী রায় তৃপ্তি পাচ্ছিলেন না। শুধু অকাবাঈকে ভালোবেসে তিনি পড়েছিলেন সেই দলে। অকাবাঈয়ের সংসর্গ কাটানোর জন্য তাঁর মামা অন্যত্র একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিলেন।  
বিশদ

27th  April, 2019
 কালিন্দী নাট্যসৃজনের নতুন নাটক

  মোহন রাকেশের ‘আষাঢ়কা একদিন’ নাটকের অবলম্বনে কালিন্দী নাট্যসৃজনের নতুন প্রযোজনা ‘আষাঢ়ের প্রথম দিনে’। বাংলা রূপান্তর করেছেন গৌতম চৌধুরী। নাটকটি আগামী ছাব্বিশে এপ্রিল সন্ধে ছ’টায় তপন থিয়েটারে অভিনীত হতে চলেছে। মোহন রাকেশ নাটকটি লিখেছিলেন উনিশো আটান্ন সালে।
বিশদ

20th  April, 2019
 চতুর্থ অন্তরঙ্গ চর্যাপদ

 আসানসোল চর্যাপদ বিশ্ব নাট্যবিদসে আয়োজন করেছিল চতুর্থ অন্তরঙ্গ চর্যাপদের। যা আসলে অন্তরঙ্গ নাটকের একটি উৎসব। উৎসব শুরু হয় একটি আলোচনা সভা দিয়ে, যার বিষয়বস্তু ছিল, ‘অন্তরঙ্গ থিয়েটার—প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা’। 
বিশদ

20th  April, 2019
দাশরথী রায়কে গানের জগতে
নিয়ে এলেন অকাবাঈ

কলকাতা যে সময়ে বিদ্যাসুন্দর নিয়ে মেতে উঠেছিল, সেই সময়ে গ্রাম বাংলার বুকে ঝড় তুলেছিল পাঁচালি গান। কত রকম পালাগান হত সেই সব পাঁচালি গানের আসরে। কৃষ্ণগান, মঙ্গলকাব্য থেকে বেহুলার ভাসান, লাউসেনের কাহিনী, রামায়ণের গান, মহাভারতের কথা আরও কত কী! গান, দোহার, কাব্য, কথা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে একটা কাহিনীকে তুলে ধরা হতো।
বিশদ

20th  April, 2019
সামান্য ভিক্ষুক থেকে যাত্রাভিনেতা
হিসাবে নাম করেছিলেন প্যারীমোহন

 প্যারীমোহনের বেহালার সুরে মজে গেলেন সেই রূপোপজীবিনী। বললেন, যাত্রা করবে ঠাকুর? লিখেছেন সন্দীপন বিশ্বাস। বিশদ

13th  April, 2019
মৃত্যু উপত্যকার উপাখ্যান

বিশাল এই দেশ ভারতবর্ষ। উপমহাদেশ। মহামানবের তীর্থভূমি। বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ। নানা ভাষা, বর্ণ ও ধর্মের এক অপরূপ মেলবন্ধন। জাতিতে অবশ্য সবাই ভারতীয়। এই দেশ ভালোবাসার দেশ। সবাইকে ভালোবেসে আপন করে নেয় এই দেশ। মহামানবেরা তাঁদের বাণীতেও বলে গেছেন ভালোবাসার কথা, মানবতার কথা। বিশদ

13th  April, 2019
সালকিয়ায় নাট্যোৎসব

 সালকিয়া নাট্যনবিস প্রযোজিত নাটক ‘দুটো দিন’ সম্প্রতি মঞ্চস্থ হল। নাট্যকার ব্রাত্য বসু, আলো, আবহ, মঞ্চসজ্জা ও নির্দেশনা সুব্রত সিংহ। আলো প্রক্ষেপণের দায়িত্বে ছিলেন অরুণ পাত্র।
বিশদ

13th  April, 2019
অন্তরদীপনের নাট্যোৎসব

 অন্তরদীপন সোসাইটি প্রতি বছরের ন্যায় ২০১৮ সালেও ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর, তিনদিন ব্যাপী পঞ্চমবর্ষ নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছিল পানিহাটি লোকসংস্কৃতি ভবনের বড় হলটিতে।
বিশদ

13th  April, 2019
প্রয়োজন আরও একাগ্রতার

 এ দেশের মানুষ দলতন্ত্র যেমন দেখেছে, তেমন স্বৈরতন্ত্রও দেখেছে। সাম্প্রতিক অতীতে একনায়কতন্ত্রের চরম নিদর্শন তারা প্রত্যক্ষ করেছে। ২০১৬-র ৮ নভেম্বর, এক ভয়ঙ্কর আর্থ-সামাজিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছিল দেশকে। নোটবন্দী বা ডিমানিটাইজেশনের কারণে।
বিশদ

13th  April, 2019
একাদশ থিয়েলাইট নাট্যোৎসব

 থিয়েলাইট নাট্যদলের একাদশ নাট্যোৎসব এবার অনুষ্ঠিত হল মধ্যমগ্রামের নজরু শতবার্ষিকী সদনে। বরাবরই থিয়েলাইটের নাট্যোৎসব ঘুরেফিরে বাংলার নানা জেলায় হয়। সেই রীতিমাফিক এবার হল উত্তর ২৪ পরগনায়। গত ২২ মার্চ উতসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নাট্যব্যক্তিত্ব পঙ্কজ মুন্সী।
বিশদ

13th  April, 2019
কলকাতা চরৈবেতির নাটক

 কলকাতা চরৈবেতি একটি অপেশাদার নাট্যগোষ্ঠী। এখানকার সবাই নানা পেশায় নিযুক্ত থেকে নেশার টানে নাটক করেন। বিশদ

13th  April, 2019
কলকাতার দর্শক অভিভূত করেছে

সম্প্রতি রাবণ কি রামায়ণ নাটক নিয়ে কলকাতায় এসেছিলেন পুনিত ইসার। নাম ভূমিকায় ছিলেন তিনিই। নাটকের মহড়ার মাঝেই সময় বের করে কমলিনী চক্রবর্তীর সঙ্গে আড্ডা জমালেন। আড্ডায় উঠে এল তাঁর জীবনের নানা ঘটনা।
বিশদ

06th  April, 2019
কোটাল মালিনীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে দেখে
বাবু পানপাত্র ছুঁড়ে মারলেন

 গোপাল উড়ে যেন জাদুকরের মতো। মানুষের মনের ভিতরকার খবর টের পেয়েছিলেন। তাই তিনি তাঁর পালাগানে রসের ভাণ্ড উজাড় করে দিয়েছিলেন। শিক্ষিত শ্রেণী এবং বাবু কলকাতার পাশাপাশি তখন বহিরাগত সাধারণ মানুষেরও বাসস্থান হয়ে উঠেছে এই শহর। তাদের সকলকে চুটকি বিনোদনে মাতিয়ে দিলেন গোপাল।
বিশদ

06th  April, 2019

Pages: 12345

একনজরে
 রিও ডি জেনেইরো, ১৭ জুন: কোপা আমেরিকার প্রথম ম্যাচে বলিভিয়ার চ্যালেঞ্জ সহজেই অতিক্রম করেছে ব্রাজিল। বুধবার সকালে (ভারতীয় সময়) গ্রুপ-এ’র দ্বিতীয় ম্যাচে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি ...

  চেন্নাই, ১৭ জুন: তামিলনাড়ু পুলিসের এক সাব-ইন্সপেক্টরের বিশেষ রিপোর্টের ভিত্তিতে তিন আইএস সমর্থনকারীকে গ্রেপ্তার করল বিশেষ তদন্তকারী শাখা (এনআইএ)। ওই তিনজন কোয়েম্বাটোরের বিভিন্ন ধর্মীয়স্থানে আত্মঘাতী হামলার ছক করেছিল বলে পুলিসের দাবি। ধৃতদের নাম মহম্মদ হুসেন, শাহজাহান এবং শেখ সইফুল্লা। ...

  ফিলাডেলফিয়া ও লোয়া, ১৭ জুন (এপি): মার্কিন মুলুকে ফের বন্দুকবাজের হামলা। পার্টি চলাকালীন ফিলাডেলফিয়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক পড়ুয়ার। জখম হয়েছে আরও ৮ জন। রবিবার রাত সাড়ে ১০টার কিছুটা আগে সাউথ সেভেনটি স্ট্রিট এবং রিড বার্ড স্ট্রিটের কাছে ...

 সৌম্যজিৎ সাহা  কলকাতা: রাজ্যে ক্রমশ কমছে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আসন। গতবার যেখানে ৩১ হাজারের বেশি আসন ছিল, এবার তা আরও কমে হয়েছে ২৯ হাজার ৬৫৯টি আসন। প্রাথমিক হিসেবে এই তথ্য মিলেছে। যদিও এখনও দু’টি কলেজ এবং কয়েকটি বিষয়ের আসন যুক্ত হওয়ার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৩৬- রুশ সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কির মৃত্যু
১৯৮৭- পরিচালক হীরেন বসুর মৃত্যু
২০০৫- ক্রিকেটার মুস্তাক আলির মৃত্যু
২০০৯- প্রখ্যাত সরোদ শিল্পী আলি আকবর খানের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৯৯ টাকা ৭০.৬৮ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৩৪ টাকা ৮৯.৫৫ টাকা
ইউরো ৭৬.৭৯ টাকা ৭৯.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৩২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,৬১৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,০৯০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ আষা‌ঢ় ১৪২৬, ১৮ জুন ২০১৯, মঙ্গলবার, প্রতিপদ ২৩/৫৮ দিবা ২/৩১। মূলা ১৭/১৬ দিবা ১১/৫০। সূ উ ৪/৫৬/০, অ ৬/১৮/৫৪, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১২/৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে ৪/৩১ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৮ গতে ২/৬ মধ্যে, বারবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৭ মধ্যে পুনঃ ১/১৮ গতে ২/৫৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৩৯ গতে ৮/৫৮ মধ্যে। 
২ আষাঢ় ১৪২৬, ১৮ জুন ২০১৯, মঙ্গলবার, প্রতিপদ ২২/২২/৩৮ দিবা ১/৫২/৩৩। মূলানক্ষত্র ১৭/২৭/২৯ দিবা ১১/৫৪/৩০, সূ উ ৪/৫৫/৩০, অ ৬/২১/২৮, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ মধ্যে ও ৯/২৭ গতে ১২/৮ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ মধ্যে ও ১২/২ গতে ২/৯ মধ্যে, বারবেলা ৬/৩৬/১৫ গতে ৮/১৬/৫৯ মধ্যে, কালবেলা ১/১৯/১৩ গতে ২/৫৯/৫৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৪০/৪৩ গতে ২/৫৯/৫৯ মধ্যে। 
মোসলেম: ১৪ শওয়াল 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। বৃষ: কর্মসূত্রে সন্তানের দূরে যাবার সম্ভাবনা। মিথুন: কাজের ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯৩৬- রুশ সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কির মৃত্যু১৯৮৭- পরিচালক হীরেন বসুর মৃত্যু২০০৫- ...বিশদ

07:03:20 PM

বিশ্বকাপ: আফগানিস্তানকে ১৫০ রানে হারাল ইংল্যান্ড

10:48:34 PM

স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নিরাপত্তা, চালু কলকাতা পুলিসের হেল্প লাইন 
গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নিরাপত্তা জনিত সমস্যার ...বিশদ

09:48:24 PM

বিশ্বকাপ: আফগানিস্তান ৮৬/২ (২০ ওভার) 

08:17:00 PM

দার্জিলিং পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ করল রাজ্য সরকার 

08:08:39 PM