হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ
সাড়ে চার হাজার বর্গফুট জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ১০০ জনের বসার ব্যবস্থা আর খাবারে নানা নতুনত্ব এই নিয়েই রেস্তো বার ওয়ান এইট কমিউন। কলকাতায় এই রেস্তরাঁ চালু হওয়া ইস্তক তা খবরের শিরোনামে। কারণ রেস্তরাঁর অন্যতম কর্ণধার বিরাট কোহলি। খেলা ছেড়ে খাবারের দোকান খোলার ইচ্ছে হল কেন তাঁর? এক সাক্ষাৎকারে বিরাট বলেন তিনি বরাবরের ফুডি। আর কলকাতার কালিনারি কালচার তাঁর ভীষণ পছন্দ। কলকাতাবাসী খেতে জানে। খাবারের কদরও করতে পারে তারা। রসিয়ে মজিয়ে রান্না, খাবার টেবিলে আড্ডা আর চায়ের কাপে তুফান তোলা — এই সবই তো এই শহরের ইউএসপি, বললেন বিরাট। তাই রেস্তরাঁ খোলার কথা মনে হলে প্রথমেই কলকাতার কথা মনে হয়েছিল তাঁর। এখানে মেনুতে কন্টিনেন্টাল ছোঁয়া। তবে সেই কন্টি মেনুতেও নতুনত্ব এনেছেন রেস্তরাঁর এগজিকিউটিভ শেফ। তিনি জানালেন প্রতিটি খাবারে একটা কলকাত্তাই টাচ দেওয়া হয়েছে। বেগুনের সর্ষে দেওয়া ঝালে কন্টিনেন্টাল স্যস মিশিয়েছেন। পিৎজার টপিংয়ে ইন্ডিয়ান মশলা ব্যবহার করেছেন। আবার বাঙালির প্রিয় মাছের সঙ্গে অলিভ অয়েল আর ইটালিয়ান হার্ব ব্যবহার করেছেন। রেস্তরাঁর প্রতি পদেই তাই নতুনত্ব। এই রেস্তরাঁর খাবার যদি বাড়িতে বানাতে চান তাহলে দু’টি রেসিপি রইল। ট্রাই করে দেখুন না।
হার্ব ক্রাস্ট ফিশ স্টেক
উপকরণ: ভেটকি মাছের বোনলেস ফিলে ১৮০ গ্রাম, অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, থাইম ১ চা চামচ, পার্সলে পাতা কুচি ১ চা চামচ, বেসিল পাতা কুচি ১ চা চামচ, ব্রেড ক্রাম্ব ১ টেবিল চামচ, চেরি টম্যাটো ৩-৪টে, কালো অলিভ ৩-৪টে, অ্যাভোকাডো স্লাইস ছোট টুকরো করে কাটা ১টা, স্টারঅ্যানিস ১টা, মাখন ১ টেবিল চামচ, নুন স্বাদ মতো, গোলমরিচ গুঁড়ো স্বাদ মতো।
পদ্ধতি: একটা মিক্সিং বোলে অলিভ অয়েল, থাইম, রসুন কুচি, নুন ও মরিচ নিয়ে ভালো করে মেশান। এই মিশ্রণে মাছের ফিলে ম্যারিনেট করে রেখে দিন অন্তত ১৫ মিনিট থেকে আধ ঘণ্টা। এবার একটা প্যান আঁচে বসিয়ে তা বেশ ভালো করে গরম করে নিন। গরম হলে আঁচ মাঝারি করে অলিভ অয়েল দিন। তারপর তাতে ম্যারিনেট করা মাছের ফিলে দিয়ে এপিঠ ওপিঠ করে ভেজে নিন। ইতিমধ্যে অন্য একটা প্যানে মাখন গলিয়ে নিন। তাতে রসুন কুচি দিয়ে ভাজুন। তারপর থাইম, পার্সলে, বেসিল দিয়ে ভাজতে থাকুন। এবার তাতে স্টারঅ্যানিস, চেরি টম্যাটো, অলিভ দিয়ে নেড়ে নিন। তারপর অল্প জল দিয়ে ফোটান। সব একসঙ্গে মিশে গেলে আর একটু মাখন দিয়ে একটা গ্লেজযুক্ত গ্রেভি বানান। তারপর অ্যাভোকাডো স্লাইস দিন। নুন ও মরিচ দিয়ে নেড়ে নিন। ঢিমে আঁচে খানিকক্ষণ বসিয়ে রাখুন। ইতিমধ্যে একটা বেকিং ট্রে অল্প গ্রিজ করে নিন। তাতে এপিঠ ওপিঠ করে ভাজা মাছের ফিলে সাজান। তারপর ওপর থেকে ব্রেড ক্রাম্ব ছড়িয়ে দিন। বাকি হার্বগুলো ছড়িয়ে দিন। একটা প্রিহিট করা আভেনে ১৮০° সেন্টিগ্রেডে ২০ মিনিট বেক করুন। মাছ আভেন থেকে বার করে তার ওপর গ্রেভিটা ঢেলে দিন। গার্লিক ব্রেড, ম্যাশড পট্যাটো সহ পরিবেশন করুন।
মাশরুম গুগলি
উপকরণ: ডিমসাম বানানোর জন্য: পট্যাটো স্টার্চ ১০০ গ্রাম, ময়দা ৭০ গ্রাম, সাদা তেল ২ টেবিল চামচ, জল ৪০০ মিলি। পুর বানানোর জন্য: ছোট টুকরো করে কাটা বাটন মাশরুম ১০০ গ্রাম, মিহি করে কুচানো অয়েস্টার মাশরুম ৫০ গ্রাম, চাইভ ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ শাক ১ টেবিল চামচ, ক্রিম চিজ ২ টেবিল চামচ, ট্রুফল অয়েল স্বাদ মতো, নুন ও মরিচ আন্দাজ মতো।
পদ্ধতি: একটা মিক্সিং বোলে পট্যাটো স্টার্চ, ময়দা ও নুন একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। তাতে অল্প গরম জল দিয়ে মেখে নিন। এই মাখা মিশ্রণ প্লাস্টিক র্যাপে মুড়ে রেখে দিন অন্তত ৫ মিনিট। এবার তাতে এক চামচ সাদা তেল মেশান। তারপর তা আবারও মেখে নিন। এবার একটা প্যানে তেল গরম করে মাশরুমগুলো ভেজে নিন। সব জল যেন ভাজতে ভাজতে বেরিয়ে যায় ও টেনে যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। মাশরুম সম্পূর্ণ শুকনো হলে আঁচ থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। তারপর তার সঙ্গে পুরের অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে নিন। এবার ময়দা মাখা থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে তা গোল করে বেলে নিন। তাতে এই পুর ভরুন ও চার ধার থেকে লেচি মুড়িয়ে একটা পুঁটুলির মতো আকারে গড়ে নিন। এবার স্টিমারে এই ডিমসামগুলো সাজিয়ে নিয়ে ভাপিয়ে নিন। পছন্দসই ডিপ সহ গরম পরিবেশন করুন।
হোয়াটসঅ্যাপ ক্যাফে
রাখি সেলিব্রেট করতে হোয়াটসঅ্যাপ ক্যাফে লোভনীয় স্বাদের মেনু নিয়ে এসেছে। পরিবারের সবার নিরাপত্তার কথা ভেবে, কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে রেস্তরাঁটি খোলা থাকবে দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। এদের এবারের রাখি স্পেশাল মেনু হল বেকড ক্রিমি স্পিনাচ উইথ কর্ন, পালক লসুনি, খাকরা, জয়পুরি কচোরি পেঁয়াজওয়ালা, মাটন দই বড়া, মার্গারিটা পিৎজা, পালক কিমা, ফিশ ও চিকেন গ্রিলড প্লেটার, সিজলিং ব্রাউনি প্রভৃতি। মকটেলের মধ্যে পাবেন স্পাইসি আলফান্সো এবং গুয়াভা হরি মির্চ। ডাব পাঞ্চ ও ড্রাংকেন প্যারট ককটেলের স্বাদও নিতে পারেন। খরচ ১২০০ টাকা+কর (২জন)।
জে ডব্লু ম্যারিয়ট
এরাও রাখি স্পেশাল ব্রাঞ্চের আয়োজন করেছে। এদের ব্রাঞ্চের তালিকায় পাবেন ভিক্টোরিয়া দই বড়া, পাপড়ি চাট, লাল মির্চ মুর্গ টিক্কা, মাটন চাপাটি কাবাব, কাচ্চি গোস্ত হায়দরাবাদি দম বিরিয়ানি, কলকাতা স্পেশাল চিকেন বিরিয়ানি, গন্ধরাজ মালাই পনির কাবাব, তিখা চটপটা তন্দুরি আলু প্রভৃতি লোভনীয় পদ। হোম ডেলিভারিরও বন্দোবস্ত রয়েছে। খরচ ১৯৪৯ টাকা+কর (১জন)। এছাড়াও জে ডব্লু বেকারি থেকে পাবেন স্পেশাল মিষ্টির বাক্স, জে ডব্লু কনটেম্পোরারি ইন্ডিয়ান হ্যাম্পার, জে ডব্লু সিগনেচার হ্যাম্পার, জে ডব্লু প্রিমিয়াম হ্যাম্পার, ওয়াইল্ড বেরি বেকড চিজকেক, জে ডব্লু সিগনেচার অরেঞ্জ চকোলেট কেক প্রভৃতি আইটেম। দাম ১২৯৯ টাকা থেকে ৪৯৯৯ টাকার মধ্যে। যোগাযোগ : ০৩৩-৬৬৩৩০০০০
ফেয়ারফিল্ড বাই ম্যারিয়ট
রাখি মানেই উৎসবের মেজাজ। বর্ষামুখর দিনেও সামান্য একটু উৎসবের ছোঁয়া রাখিকে অন্য দিনগুলির তুলনায় ভিন্ন করে দেয়। উৎসব মানেই নানাবিধ খাওয়াদাওয়া। তাই ফেয়ারফিল্ড বাই ম্যারিয়ট রেস্তরাঁয় রাখিবন্ধনের দিনে বিশেষ ব্রাঞ্চের বন্দোবস্ত করেছে। এই দিন ভাই বোনেদের জন্য নানা স্বাদের লোভনীয় পদ মিলবে এখানে। মেন কোর্সে পাবেন বাঙালি ফ্রায়েড ফিশ, চিকেন চাঁপ, সর্ষে মাছ, কলকাতা মাটন বিরিয়ানি, লাল মির্চ কা পনির টিক্কা, পাঞ্জাবি শাহি পনির, মকমলি কোপ্তা কারি, রসমালাই, ছানার ডালনা, হরিয়ালি মুর্গ টিক্কা ইত্যাদি।
মিিষ্টর মধ্যে পাবেন মালপোয়া, রসগোল্লা ইত্যাদি। ‘কাভা’-তে ব্রাঞ্চের সময়: দুপুর সাড়ে ১২টা-বিকেল সাড়ে ৩টা। ভার্টেক্স-এর সময় : দুপুর সাড়ে ১২টা-বিকেল সাড়ে ৪টা। ‘কাভা’য় খরচ পড়বে ১৩৯৯ টাকা+কর (১জন)। আর ভার্টেক্স-এর দাম শুরু ১১৯৯ টাকা থেকে +কর (১জন)। এদের হোম ডেলিভারির ব্যবস্থাও আছে।
যোগাযোগ : ৭৬০৫০৮৬৮১৮