সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
রান্না করতে ভালো লাগে?
ওম: ভীষণ। অবাঙালি হলেও আমি ছোট থেকেই কলকাতায় বড় হয়েছি। ফলে বাঙালি রান্নার প্রতি আমার প্রচণ্ড টান। ক্রমশ সেই টান থেকেই রান্না করার ঝোঁক তৈরি হয়েছিল। সেটাই থেকে গিয়েছে।
মিমি: আমার ব্যাপারটা অন্য। ছোট থেকেই বাড়িতে সবাইকে দেখেছি রান্না করতে। তাই বলা যায় রান্না আমার রক্তে। ছোটবেলায় ভালো খাবার খেতে ভালো লাগত। তারপর যত বড় হলাম সেই খাবার কীভাবে বানানো হল, সে বিষয়ে আগ্রহ জন্মাল। মাকে জিজ্ঞেস করতাম কোন রান্নায় কী কী মশলা ব্যবহার করেছেন, এইভাবেই ক্রমশ রান্নার প্রতি একটা আগ্রহ জন্মে গেল। আর এখন তো সংসার করছি, একেবারে এ টু জেড সব রান্নাই আমার নখদর্পণে।
কী ধরনের খাবার বেশি ভালো লাগে?
ওম: আমার শারীরিক গঠনটা এমন যে সব খাবারই খেতে পারি। খুব তাড়াতাড়ি আমার ক্যালোরি বার্ন করে। ফলে আমি সব খাই। বিশেষত কষিয়ে রাঁধা বাঙালি রান্না। আর ভাজাভুজি পেলে তো কথাই নেই। বকফুল, কুমড়োফুল, কলমি শাক— যে কোনও ভাজাই আমার দারুণ প্রিয়। ও হ্যাঁ, আর মিমির হাতের রান্না আমার হট ফেভারিট।
মিমি: অভিনয় করি বলে আমি তো সবরকম খেতে পারি না। বেশিরভাগ সময় ডায়েট মেনে চলতে হয়। ক্যালোরি মেপে, কার্ব কম, প্রোটিন বেশি— নানা হ্যাপা রয়েছে আমার খাওয়াদাওয়া নিয়ে।
রান্না নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করতে ভালো লাগে?
ওম ও মিমি: উফ, দারুণ লাগে। আমরা মূলত কেক নিয়ে নানা রকম এক্সপেরিমেন্ট করি। কেকের ফ্রস্টিং, ফনডেন্ট ইত্যাদিতে বিভিন্ন স্বাদ আনার চেষ্টা করি।
ওম: মিমির যেহেতু চকোলেট কেক আর পেস্ট্রি ভীষণ প্রিয়, সেহেতু কম ক্যালোরিতে ওই ধরনের খাবার কীভাবে বানানো যায়, তাই নিয়ে সুযোগ পেলেই এক্সপেরিমেন্ট করি।
মিমি: ওমকে তো খাওয়ানোর মজাই আলাদা। ও ভীষণ ফুডি। যা-ই রান্না করি তারই প্রেমে পড়ে যায়।
রান্না করে একে অপরকে চমকে দিয়েছেন কখনও?
ওম: মিমি সারপ্রাইজ বা চমক অপছন্দ করে। তাই ওকে কখনওই চমকে দেওয়ার চেষ্টা করি না। বরং কী রান্না করছি সেটা আগে থেকেই বলে দিই। তারপর হয়তো কখনও সেই রান্নায় টুকটাক এক্সপেরিমেন্ট করে একটু স্বাদ বদলের চেষ্টা করি, তখন সেটাই হয় চমক।
মিমি: না। আমি চমক ভালোবাসি না, অন্যকেও চমকে দিতে চাই না।
তোমাদের প্রিয় খাবার কী?
ওম: আমি তো বাঙালি খাবার ভালোবাসি। তাও আবার বাড়ির রান্না। গরম ভাতের সঙ্গে যদি পাতলা করে মাংসের ঝোল দেওয়া হয় আমাকে, আমি তাতেই খুশি। আর কিচ্ছু চাই না।
মিমি: আমি কেক, পেস্ট্রি ভীষণ ভালোবাসি। আর মাছ। ইলিশ হলে তো কথাই নেই। এছাড়াও অন্য সব মাছই আমার প্রিয়। তবে এখন তো ফিগার বজায় রাখতে অন্যরকম খাবার খেতে হয়। বয়েলড ফুড, চিকেন ইত্যাদি।
মাসের মধ্যে ক’দিন রান্না করেন?
মিমি: রোজ। লকডাউন থেকে এই রোজ রান্নার পর্ব চালু হয়েছে। এখনও কাজে ততটা ব্যস্ত হয়ে পড়িনি। তাই রোজই রান্না করছি। তবে আগে যেমন অনেক পদ একদিনে রাঁধতাম এখন আর ততটা সময় পাই না। জিম সেশন শুরু হয়েছে, টুকটাক শো, অভিনয়েরও প্রেপ টাইম থাকছে ফলে রোজই ওই ওয়ান পট মিল করি। তাতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন সবই থাকে।
ওম: আমাদের সংসারে মূলত মিমিই রাঁধে, আমি হেল্পিং হ্যান্ড। আর কোনও দিন শখ করে হয়তো কিছু বানালাম, এরকম। রান্নার খুব একটা রেগুলার রুটিন নেই।
একসঙ্গে রান্নাঘর শেয়ার করেছেন কখনও?
ওম ও মিমি: একসঙ্গে একই রান্না হয়তো করিনি। তবে পাশাপাশি রান্না করা, একে অপরের রান্নার সময় থাকা এসব তো হয়ই। হয়তো ওম রান্না করবে, আমি তার আগে কাটাকুটি, বাটাবাটিগুলো করে দিলাম। আবার আমি রান্না করছি, ওম হয়তো ইউটিউবে কোনও গানের ভিডিও চালিয়ে দিল। তারপর একসঙ্গে তা দেখতে দেখতে আমরা রান্না করলাম।
রান্নার শো করার অভিজ্ঞতা কেমন?
ওম ও মিমি: বেশ ভালো। নিজেদের পছন্দটা দর্শকদের সঙ্গে শেয়ার করতে পেরেছি এটা বেশ অন্যরকম আনন্দ দিয়েছে। একটু ভিন্ন স্বাদের রান্না করেছি। সবার ভালো লাগলে আমরাও অনুপ্রেরণা পাব।