হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ
কোভিডের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে চোখরাঙানি আছে ঠিকই। তার মধ্যে গুটিগুটি পায়ে এসে পড়ল আর একটা দুর্গাপুজো। আর দু’মাসও যে বাকি নেই। ফাঁকায় ফাঁকায় এই বেলা শপিং সেরে রাখতে চাইছেন অনেকেই। না-ই বা হল বাইরে যাওয়া, না-ই বা হল দল বেঁধে হইহুল্লোড়, পুজোর সাজে তো বাধা নেই। সেজেগুজে না হয় বাড়িতেই উঠবে সেলফি।
প্রিয়াঙ্কা সরকারও বললেন, ‘এ বছরটাও কিছু নিশ্চিত নয়। আমাদের কমপ্লেক্সের পুজোতেই বেশিটা সময় কেটে যায়। গতবারও তাই করেছিলাম। তার আগে একটা ক্লাবের পুজোর সঙ্গেও যুক্ত ছিলাম। তখন অনেক বেশি সক্রিয়ভাবে যোগ দেওয়ার অবস্থা ছিল। গত বছর থেকে তো অনেক কিছুই পাল্টে গিয়েছে। তাই খুব বেশি বেরনো হচ্ছে না। পরিবারের সবাই মিলে হয়তো একদিন খেতে গেলাম। আড্ডাটা বাড়িতেই হল! আর সহজকে (ছেলে) নিয়ে গাড়ি করে একটু ঘুরে বেড়ানো। ঠাকুর দেখা সম্ভব না হলে রাস্তা থেকেই আলো, প্যান্ডেল দেখে মন ভালো করা। এভাবেই কাটবে আর কি। তবু আশা করি এবার একটু ভালো পরিস্থিতি হবে।’
বন্ধুবান্ধব মিলে আড্ডায় বসার আগে জমিয়ে সাজগোজ তো মাস্ট! কীভাবে সাজবেন এবার প্রিয়াঙ্কা? তাঁর কথায়, ‘পুজোয় শাড়িটা বেশিই পরা হয়। অনেকরকম ইভেন্ট থাকে। আর অনুষ্ঠান শেষে সন্ধের পর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় ক্যাজুয়াল কিছু পরি।’ আমাদের সংগ্রহে ছিল অনেক ধরনের শাড়ি। তার মধ্যে থেকে প্রিয়াঙ্কা বেছে নিলেন বেনারসি টেক্সটোরিয়ামের কালো পশমিনা কাজের হ্যান্ডলুমে তৈরি লিনেন সিল্কের ব্যতিক্রমী শাড়িটি। কাশ্মীরি নকশার শাড়িটি চোখ টেনেছে তাঁর। প্রিয়াঙ্কা বললেন, ‘এমনিতেই ব্ল্যাক ভীষণ প্রিয় আমার। আর এতে কাজটা এত ইউনিক, তাই এটা দারুণ লেগেছে। বলতে পারেন পার্সোনাল ফেভারিট!’ এমনিতে ৭-৮ হাজারের মধ্যে দাম থাকে এই শাড়ির। পুজো উপলক্ষে শাড়িটা পেতে পারেন মাত্র সাড়ে ৫ হাজার টাকায়। শাড়ির সঙ্গে দারুণ মানিয়েছে পশুপাখি মোটিফে সাজানো সিল্কের হ্যান্ড এমব্রয়ডারি ব্লাউজটি, সায়ন্তী ঘোষের তৈরি। গোটা সাজ সম্পূর্ণ করেছে অঞ্জলি জুয়েলার্সের রুবির সেট।
ওই দোকানেরই অরেঞ্জ জমি আর রানির বর্ডার কম্বিনেশনে কটন চান্দেরি বেনারসিটিও মনে ধরেছে নায়িকার। প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘ভীষণ উজ্জ্বল রং। উৎসবে বা শুভ কাজে পরার জন্য আদর্শ। কম্বিনেশনটাও দারুণ। কনট্রাস্ট ব্লাউজে আরও যেন খুলেছে শাড়ির রং।’ শাড়িটি খুবই হাল্কা এবং পরেও আরাম। এর দাম মাত্র ১৩৫০ টাকা।
পুজোর জন্য বিশেষভাবে বেনারস থেকে এটা তৈরি করানো হয়েছে বলে জানালেন বেনারসি টেক্সটোরিয়ামের কর্ণধার তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। শাড়ির সঙ্গে কনট্রাস্ট করে সায়ন্তী ঘোষ বানিয়েছেন মানানসই হলুদ ব্লাউজ, সিল্কের মধ্যে ফ্লোরাল মোটিফের হ্যান্ড এমব্রয়ডারি। নায়িকার সাজে আভিজাত্য এনেছে অঞ্জলি জুয়েলার্সের নকশা করা সোনা ও পার্লের চোকার এবং সীতাহার। সঙ্গে ম্যাচিং দুল ও চুড়ি।
বেনারসি টেক্সটোরিয়াম সেজে উঠেছে এমন আরও নানা নজরকাড়া শাড়ির সম্ভারে। এখানে প্রাক পূজা সেলও আগামিকাল থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে। দোকানে পাবেন সাউথ কটন, শুরু ৫৫০ টাকা থেকে, কোষা ৬৫০- ১২৫০ টাকা। বেনারসি কটন ৯৫০-১৩৫০ টাকা, কাঞ্জিভরম ৪৮০০, পিওর মাইসোর সিল্ক ২২৫০ টাকা, সিল্ক গাদোয়াল ২৫০০-৯৫০০ টাকা। পশমিনা সিল্ক ৫৫০০ টাকা, লিনেন বেনারসি ২৫০০-৩৫০০ টাকা। শিফন বেনারসি ৩৮০০-৫২০০ টাকা। কাঁথাস্টিচ ৩৮০০-৮৫০০ টাকা। পৈঠানি সিল্ক ৪৮০০-৮৮০০ টাকা। পিওর কাতান শাড়ি ৬৫০০-৮৫০০ টাকা। লিনেন ডিজিটাল প্রিন্ট ১৯৫০-২৫০০ টাকা। বাংলাদেশি সফট ঢাকাই ৯৫০-৪৫০০ টাকা। মসলিন ২৫০০-৩৫০০ টাকা। তসর শাড়ি ৩৫০০-৮৫০০ টাকা। বালুচরি শাড়ি পাবেন ৯৫০০ টাকায়। বেনারসি মিলবে ৪৫০০ থেকে ২৫০০০ টাকার মধ্যে। বেনারসি ফ্যান্সি শাড়ি আছে ৭৫০ টাকার। খাড্ডি বেনারসি পেয়ে যাবেন ৩৯০০ টাকায়। হ্যান্ডলুম কটন শুরু ৪৮০ থেকে, ২৩০০ টাকা পর্যন্ত। ভাগলপুরি সিল্ক ৯৫০-১৩৫০ টাকা। সাউথ সিল্ক ১৬৫০-৩৮০০ টাকা। ১৫ আগস্ট থেকে প্রতি রবিবারই দোকান খোলা।
ছবি: বিজয়া দত্ত শ্যুটিংস্থল: জে ডব্লু ম্যারিয়ট, কলকাতা
শাড়ি: বেনারসি টেক্সটোরিয়াম (শ্যামবাজার, যোগাযোগ: ২৫৫৫৬৪২৭)
ব্লাউজ: সায়ন্তী ঘোষ ডিজাইনার স্টুডিও
(ডানলপ, যোগাযোগ: ৯৮০৪০১০৩৪৯)
গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
গয়না: অঞ্জলি জুয়েলার্স
শাড়ি: বেনারসি টেক্সটোরিয়াম (শ্যামবাজার, যোগাযোগ: ২৫৫৫৬৪২৭)
ব্লাউজ: সায়ন্তী ঘোষ ডিজাইনার স্টুডিও (ডানলপ, যোগাযোগ: ৯৮০৪০১০৩৪৯)