কাদা প্যাচপ্যাচে বর্ষায় স্টাইল বজায় রাখবেন কীভাবে? নব্য তরুণীরা কিন্তু হামেশাই এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। পোশাকের সৌন্দর্য বজায় রাখতে না হয় ছাতা বা রেনকোট ব্যবহার করাও গেল। কিন্তু জুতো? এখন আর বর্ষাকালেও চিন্তা নেই। বৃষ্টিভেজা বাদল দিনের জুতোয় এখন ট্রেন্ডি লুক। আর বর্ষার জুতোর এই স্টাইল নানা বয়সে মানানসই। 

স্লিপ-অন স্টাইল
বৃষ্টি হয়তো পড়ছে না, কিন্তু গরম রয়েছে ষোলোআনা। সেক্ষেত্রে জুতোর ধরনটা একটু বদলান। এমন আবহাওয়ায় চাই পায়ের আরাম। সেক্ষেত্রে রবার ও ক্যানভাসের মিলমিশে তৈরি হয়েছে অভিনব স্লিপ-অন স্নিকার। কেডস লুকের এই স্নিকারে ফিতে লাগানোর বালাই নেই। পা গলিয়ে নিলেই হল। এই জুতোর সোলটা রবারের। কুশন টেক্সচারের কারণে পায়ের আরামও মিলবে। আর ওপরের দিকে ক্যানভাস কাপড়ের মোলায়েম পরশ। সব মিলিয়ে গরম আবহাওয়ায় এই জুতো উপযুক্ত। এই ধরনের জুতো লেগিংস কুর্তা, স্কার্ট, ড্রেস যে কোনও পোশাকের সঙ্গেই মানিয়ে যায়। এমনকী শাড়ির সঙ্গেও এমন জুতো মানিয়ে যায়।  

রেনবো লুক
যেকোনও মরশুমে পরার জন্য আরামদায়ক জুতোর কথা ভাবলেই প্রথম ক্রক্সের নাম মনে পড়ে। এই জুতো এখন আর শুধু একরঙা নয়। প্রিন্টেড নকশাতেও পাবেন। প্রিন্টের আবার নানা রকম। বৃষ্টি দিনের সঙ্গে মানানসই প্রিন্টে পাবেন রেনবো লুক। রামধনু রঙা নকশায় কখনও বা পাবেন গ্লিটারের ছটা। সন্ধেবেলার ভ্রমণের জন্য এই জুতো আদর্শ। শর্ট ড্রেস, জিন্স বা পার্টির সাজ সবকিছুর সঙ্গেই পরতে পারেন রেনবো প্রিন্টেড গ্লিটার ক্রক্স। আবার পছন্দ যদি একটু সোবার হয়, তাহলে সাদা কালো বৃষ্টির ফোঁটার প্রিন্ট বাছতে পারেন। সারাদিন পরার জন্যই এই জুতো ভালো। আরামদায়কও বটে। 

গামবুটে গ্লাস লুক
বর্ষাকালে গামবুটও খুবই চলনসই। এখন আবার সেই জুতোতেও নানা লুক। গ্লাস বুট টিনএজারদের জন্য ভীষণ ট্রেন্ডি। কোনওটায় পাবেন স্বচ্ছ গ্লাস লুক আবার কোনওটার স্বচ্ছ এবং একরঙা চেহারা। কোথাও বা স্বচ্ছর সঙ্গে পাবেন মাল্টিকালারড শেডস।  গ্লাস লুক ছাড়াও সলিড কালারসেও পাবেন এই জুতো। সাধারণত একটু উজ্জ্বল রংই এক্ষেত্রে বেশি চোখে পড়ে। নিয়ন পিংক, ফ্লুরোসেন্ট গ্রিন বা টুকটুকে লাল সব রঙেই পাবেন। আবার একটু বয়স্কদের জন্য বেজ, ব্ল্যাক, সাদা ইত্যাদি রংও রয়েছে। এই জুতো অবশ্য মূলত ওয়েস্টার্ন ওয়্যারের সঙ্গেই ভালো মানায়। 

স্লিপারের নানা রূপ 
শাড়ি হোক বা ড্রেস সবের সঙ্গেই মানিয়ে যায় স্লিপার। এই স্লিপারেও এখন নানা ধরন। কোনওটায় ফ্লোরাল টপ, কোনওটায় বা বো দেওয়া। বিভিন্ন রঙের মিশমিশও পাবেন। সাধারণত একটু উজ্জ্বল রংই বেশি চোখে পড়বে। লাল, গোলাপি, সবুজ, নীল ইত্যাদি নানা ধরনের রঙের ফুল লাগানো টপ পাবেন চাইলে পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়ে পরতে পারেন। এই রকম স্লিপারে অনেক সময় আবার ব্যাকস্ট্র্যাপও থাকে। লম্বা ফিতের মতো টো-পার্টিং লাইনের সঙ্গে ব্যাকস্ট্র্যাপ লাগানো থাকলে তা শাড়ির সঙ্গে ভালো মানাবে। পার্টিং লাইনে পাবেন নানা রং।

জুতোয় জেলি টাচ
জেলি তাও জুতো! অবাক হওয়ারই কথা। তবে এবার বর্ষায় জেলি প্যাটার্ন খুব ইন। যাঁরা জুতোয় একটু হিল ভালোবাসেন তাঁদের জন্য রয়েছে জেলি স্যান্ডেল। এই ধরনের জুতোয় ব্যাকস্ট্র্যাপ দেওয়া। হিল তোলা এই জুতোগুলোর হিলের কাছে নকশাটা এমন যেন একতাল জেলি। লাল, কমলা, হলদে, গোলাপি বিভিন্ন রঙের হিলে এই জুতো পাবেন। হিলে এবং সোলে গ্লিটার দেওয়াও হতে পারে। এখন আবার বেগুনির বিভিন্ন শেড খুব চলছে। ফলে সেই ধরনের শেডেও হালকা ও গাঢ় বেগুনি হিল ও সোল পাবেন। এই জুতোগুলোয় পায়ের পাতা ঢাকা থাকে। ফলে বর্ষাকালে পায়ে কাদা জল লাগার ভয় কম। শাড়ি  এবং ভারতীয় পোশাকের জন্য এই ধরনের জুতো উপযোগী। এছাড়া অনেকটা প্ল্যাটফর্ম হিল পছন্দ করেন। তাঁদের জন্য এই ডিজাইনের জুতো রয়েছে।

স্পোর্টি স্নিকার
স্নিকারের ডিজাইনে এখন বিপুল বদল চোখে পড়ছে। কাপড় ছাড়াও রবারেও তৈরি হচ্ছে এই ধরনের জুতো। বর্ষার পক্ষে তা তাই খুবই ভালো। বিভিন্ন রঙের এই রবার স্নিকার একটু অল্প বয়সের পক্ষে খুবই মানানসই। একটু রংচঙে চেহারায় পাবেন স্নিকারগুলো। তবে এগুলোতেও ফিতে দেওয়া থাকে না। পা গলিয়ে পরা যায়। পা ঢাকা থাকে বলে অনেকেই বর্ষাকালে এই জুতো পছন্দ করেন। একরঙা তো বটেই এমনকী ফুলের নকশাকাটা প্রিন্টও পাবেন এতে। থ্রি-কোয়ার্টার প্যালাজো, স্কার্ট, এলাইন ড্রেস অথবা জিন্স, কেপ্রি ইত্যাদি পোশাকের সঙ্গে দারুণ মানাবে।