করোনার দাপটে এবারের পুজোয় কিছুটা হলেও জৌলুস হয়তো কম হবে। তাই বলে কি পিছিয়ে থাকতে হবে ফ্যাশনে? একেবারেই না। পুজোর ভিড়ে হারিয়ে গিয়ে আনন্দ করার সুযোগ না হলেও ভিডিও কল বা বাড়ির ছোট্ট আড্ডায় সাজগোজ তো লাগবেই। সবাইকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার আগে জেনে নিন এবার ফ্যাশনে কোনটা ইন, আর কোনটা চলবে না। চারূপমার পাতায় শুরু হল তারই খোঁজ।
মনের বয়স বাড়তে না দিলে ত্বকের বয়স অনেকটা বেঁধে রাখা যায়, বললেন ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা: সুব্রত মালাকার। তাঁর পরামর্শ শোনাচ্ছেন সোমা লাহিড়ী।
খাদি মানেই সাবেকি নকশা আর গতানুগতিক ডিজাইন নয়। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খাদির নকশায় এসেছে বিবর্তনের ছোঁয়া। তেমনই বক্তব্য খাদির ডিজাইনার ঐশী গুপ্তর। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী।
আমাদের ত্বক ও চুলের যত্নে প্রাকৃতিক সামগ্রীর ব্যবহার বহু আগে থেকেই চলে আসছে। সত্যি বলতে কী, সেই সময় মানুষ কেমিক্যাল কসমেটিক্স কী, তা জানতেন না। আবিষ্কারও হয়নি এসব কিছু। তাই নিজেকে পরিষ্কার রাখতে, নিজেকে সাজিয়ে তুলতে তাঁরা ভেষজ উপাদানেই ভরসা রাখতেন।
ব্লাউজে পোস্টার বা পলাশ ফুল? দেখেছেন নাকি আগে কোথাও? আজকাল অবশ্য বাজারচলতি অনেক জায়গায় খুঁজে পাবেন ব্লাউজের পিছনে নকশাদার আঁকিবুকি। কিন্তু তার সঙ্গে বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি বা কলকাতা শহরের গল্প? সৃষ্টির পিছনে সুতোয় বাঁধা কৃষ্টিকথা। কীরকম? তার জন্য আপনাকে জানতে হবে পরমা ঘোষের কথা। লিখেছেন অন্বেষা দত্ত।
প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
মাস্কে ঢাকা পড়ছে বলে যত্ন নেবেন না ঠোঁটের? তাই কি হয়? কীভাবে যত্ন নেবেন ঠোঁট, আপার লিপ ও চিনের? জানাচ্ছেন বিউটি এক্সপার্ট ঐশ্বর্য বিশ্বাস।
মাস্ক ব্যবহার করার জন্য ত্বকের অনেকখানি জায়গা ঢাকা থাকায় বাকি অনাবৃত ত্বকে একটা কালচে ভাব এসে পড়ে। তাকেই আমরা ট্যান বলে থাকি। ওই কালচে দাগ দূর করার জন্য আমাদের বিশেষভাবে ত্বকের যত্ন নিতে হবে। ডবল ক্লিনজিংয়ের মাধ্যমে অনায়াসে কালচে ভাব দূর করতে পারি। ডাবল ক্লিনজিং করতে হলে মাস্ক খোলার পর কোকোনাট অয়েল বা যে কোনও ফেসিয়াল অয়েল দিয়ে ভালো করে সারা মুখ পরিষ্কার করতে হবে। তারপর ফেনাযুক্ত ফেসওয়াশে সারা মুখ ধুয়ে পরিষ্কার ফেসিয়াল টাওয়েল দিয়ে ভালো করে মুছে ফেলতে হবে।
দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরে থাকার ফলে মুখের ঢাকা জায়গায় ঘাম জমতে শুরু করে। এর প্রভাব পড়ে ত্বকের ওপর। ব্রণ, ফুসকুড়ি জাতীয় নানারকম র্যাশ বেরিয়ে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। এক্ষেত্রে মাস্ক খোলার পর মুখের ওই অংশে অবশ্যই ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিতে হবে। আর রাস্তায় বেরনোর সময় ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। তাহলে ত্বক তার স্বাভাবিক মসৃণতা, সজীবতা আর উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সক্ষম হবে।
ঠোঁটের পরিচর্যার জন্য কোকোনাট অয়েল, সুগার গ্র্যানুয়েলস ও পিওর হানি ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ঠোঁটের ওপর ও চারপাশে লাগিয়ে নিতে হবে। দশ মিনিট রেখে হালকা মাসাজ করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণ সারা মুখেও লাগানো যায়। সারাদিনে একবার লাগালেই ফল পাওয়া যাবে।
ঠোঁটের ওপরের অংশে ও থুতনির অবাঞ্ছিত রোম তোলার জন্যে ব্যবহার করা যায় বেসন, চিনি গুঁড়ো আর পাতিলেবুর রস। প্রথমে এগুলি একসঙ্গে মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপর ওই পেস্ট থুতনি ও ঠোঁটের ওপরের অংশে ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। শুকিয়ে গেলে ধীরে ধীরে তুলে ফেলতে হবে। জল লাগানো যাবে না। এই ভাবে অবাঞ্ছিত রোম সহজে তুলে ফেলা সম্ভব।
মাস্ক পরতেই হবে। তাই লিপস্টিক এমন বাছতে হবে, যা লং স্টে এবং ট্রান্সফার প্রুফ অর্থাৎ যা সহজে উঠে যায় না। এই ধরনের লিপস্টিক সাধারণত ম্যাট ফিনিশড হয়। গ্লসি লিপ কালার বা ক্রিম বেসড লিপ কালার এখন ব্যবহার না করাই ভালো। লিকুইড লিপ কালার লং স্টে হয়। লাগাতে পারেন। খুব উগ্র রং ব্যবহার করবেন না। ন্যুড কালার বা হালকা পিচ, হালকা রাস্ট, হালকা মভ কালার পরুন। এখন কালারড লিপ বামও পাওয়া যায়। লিপস্টিক না লাগিয়ে কালারড লিপ বাম লাগাতে পারেন। এতে ঠোঁট ভালো থাকবে। আবার মাস্ক খুললে ঠোঁটের রঙের ছোঁয়া স্টাইলিশ লুক দেবে। বেশির ভাগ লিপস্টিকে ওয়াক্স ব্যবহার হয়। তার জন্য ঠোঁটকে শুকনো করে দেয়। তাই লিপ কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। বেশি পুরনো লিপস্টিক ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ এতে ব্যাক্টিরিয়া জন্মাতে পারে। ইনফেকশন হতে পারে।
ঘরোয়া উপকরণে রূপটান:
• মাস্ক পরার জন্য মুখের যে অংশ খোলা থাকছে সেই অংশ সূর্যের আলট্রা ভায়োলেট রশ্মির প্রভাবে বেশি কালো হয়ে যাচ্ছে। এই ট্যান রিমুভ করার জন্য সপ্তাহে দু’দিন একটি প্যাক ব্যবহার করুন। এক চামচ মুসুর ডাল বাটা, এক চামচ মধু, দু’ চামচ দই মিশিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে রাখুন। শুধু চোখের চারপাশে আর ঠোঁটে লাগাবেন না। ২০ মিনিট রেখে ক্লক ওয়াইজ হালকা হাতে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এরপর ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন।
• মাস্ক দিয়ে যে অংশ ঢাকা থাকছে সেখানে ঘাম জমে র্যাশ হতে পারে। এই অংশে সপ্তাহে দু’দিন একটা প্যাক লাগান। এক চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, এক চামচ মধু, এক চামচ বেসন মিশিয়ে নিন। মুখের নীচের অংশে ঠোঁট বাদ দিয়ে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলবেন। ঘষবেন না। এরপর ময়েশ্চারাইজার লাগান।
• ঝলমলে ত্বকের জন্য পাকা কলা ও দুধ খুব ভালো। পরিমাণ মতো দুধে কলা চটকে মেশান। মুখে মেখে ২০ মিনিট থাকুন। ধুয়ে ফেলুন। এটা রোজ করতে পারেন।
• রাতে শোয়ার আগে ঠোঁট ক্লিনজার দিয়ে পরিষ্কার করুন। ক্রিম দিয়ে হালকা হাতে মাসাজ করুন। এতে রক্ত চলাচল ভালো হবে।
অনুলিখন : চৈতালি দত্ত
