প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
ফ্যাশনের জন্য যে ট্যাটু, সেটা কোথায় করা হচ্ছে, কী কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে, এগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এই ট্যাটু করতে গেলে ইনফেকশনের একটা আশঙ্কা থাকে। স্টেরাইল পদ্ধতিতে না করলে সমূহ বিপদ। একজনের সামগ্রী অন্যজনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না। যে নিডল, যে কেমিক্যাল ব্যবহার হবে, সেই প্রত্যেকটি জিনিস স্টেরিলাইজেশন প্রয়োজন। দুর্ভাগ্যবশত সেটা অনেক ক্ষেত্রেই করা হয় না। ফলে সুরক্ষা না মেনে ট্যাটু করালে ইনফেকশন হতে পারে। সেটা জীবাণুঘটিত হতে পারে। ভেতরে পেকে গেল বা সেপটিক হয়েও যেতে পারে। আর একটা সম্ভাবনা রয়েছে, কোনও ভাইরাসও প্রবেশ করতে পারে। অনেক সময় স্টেরিলাইজেশন ঠিকঠাক না হলে হারপিস ভাইরাস একজনের শরীর থেকে অন্যের শরীরে চলে যেতে পারে। হারপিস দু’রকম। টাইপ ওয়ান এবং টাইপ টু। টাইপ টু বারবার হতে পারে। সুতরাং সেটা একটা আশঙ্কা বটেই। আরও সিরিয়াস ইনফেকশন হতে পারে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস থেকে। স্টেরিলাইজেশন ঠিকমতো না হলে এটিও ঢুকে যেতে পারে। যা থেকে জীবনহানির আশঙ্কা রয়েছে এমন রোগও হতে পারে। এছাড়া সবচেয়ে চিন্তার ভাইরাস, এইচআইভি তো রয়েইছে।
ট্যাটু করার পরেও কিছু সমস্যা হয়। সঙ্গে সঙ্গে সেটা হয়তো বোঝা যায় না। যেসব রং ব্যবহার হয়, তা থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। অনেকের কিলোয়েড হওয়ার প্রবণতা থাকে। কিলোয়েড মানে কারও দেহে সূচ ফোটালে বা কাটাছেঁড়া হলে সেখানে উঁচু শক্ত ড্যালা মতো হয়ে যায়। এটা সবার হয় না। কারও কারও ক্ষেত্রে দেখা যায়। তাদের কোনওভাবেই ট্যাটু করা উচিত নয়। ডাইয়ের কোয়ালাটির কারণে ইরাপশন হতে পারে। তাছাড়া, কারও কারও আবার ট্যাটু করার পরে চামড়ার সেই বিশেষ জায়গাটা শ্বেতির মতো সাদা হয়ে যায়। এটাকে কেমিক্যাল লিউকোডার্মা বলে। এমন প্রবণতা যাদের রয়েছে, তাদের ট্যাটু না করানোই উচিত।
ফ্যাশনের ট্যাটু ছাড়াও আছে মেডিক্যাল ট্যাটু। সেটা করা হয় চিকিৎসার প্রয়োজনে। সব নিয়মকানুন মেনে। কারও চামড়ায় কোনও পুড়ে যাওয়া দাগ, সাদা দাগ, শ্বেতি, বা জরুল এই জাতীয় কিছু চিহ্ন, যেটা কোনওভাবেই সারছে না, সেক্ষেত্রে মেডিক্যাল ট্যাটুর কথা ভাবা হয়। সেটা সাধারণ ট্যাটুর চেয়ে একেবারে আলাদা। স্টেরাইল পদ্ধতি মেনে চিকিৎসকেরা সেটা করেন। সেটা সারা জীবন থাকবে, এমন নয়। বরং কিছু দিন পরে হাল্কা হয়ে যায়। তবে সেটা করে একটা কসমেটিক চেঞ্জ করা হয়। স্কিনের কোনও অংশ যাতে দৃষ্টিকটু না লাগে, মূলত তার জন্য এটা করা হয়।
কিন্তু করোনার সংক্রমণের মধ্যে ট্যাটু পার্লার যাওয়া খুবই বিপজ্জনক। যেখানে অনেক মানুষ যাচ্ছেন, সেখান থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক বেশি। তাই ওইসব জায়গা এখন এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। ট্যাটু এই মুহূর্তেই খুব দরকারি, এমন তো নয়। না করালে জীবন চলবে না, তা-ও নয়। যতই স্যানিটাইজ করা হোক, আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই সঙ্কট মিটলে ট্যাটুর কথা ভাবলে ভালো হয়।