Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা চেয়েছিলেন হিকি সাহেবও
মৃণালকান্তি দাস

ছুরিকাহত হওয়ার পর সলমন রুশদি তাঁর সাম্প্রতিক বই ‘নাইফ’-এ লিখেছিলেন, ‘ভাষাও একটি ছুরি। তা দিয়ে জগৎকে উন্মোচন করা যায়, বার করে আনা যায় তার অর্থ, তার গভীরতম ক্রিয়া, তার সত্য, তার গোপন কথা। ভাষা আমার ছুরি... এটাই সেই ছুরি যা নিয়ে আমি পাল্টা লড়াই শুরু করলাম।’
রুশদির মতোই এই দুনিয়ার প্রতিটি সংবাদপত্র কিংবা সাংবাদিকের কাছে ‘ভাষা’ হল অস্ত্র। এই ভাষার স্বাধীনতাকে ঘিরেই রাজনীতিকদের হাতে সাংবাদিকদের ‘আক্রান্ত’ হওয়ার ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে। মন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে উত্তরে প্রচ্ছন্ন বা প্রকাশ্য হুমকির ট্র্যাডিশন, নেতাকে নিয়ে অপ্রিয় খবর করার ‘অপরাধ’-এ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার ট্র্যাডিশন। ভারতীয় সাংবাদিকরা এ-হেন পরিস্থিতিতে এখন আর অনভ্যস্ত নন।
যথার্থ সংবাদপত্রের পথ সুগম নয়, কস্মিন্‌কালেও সুগম ছিল না। হিকি সাহেবের বেঙ্গল গেজেট-এর উপর ব্রিটিশের অত্যাচারের কথা আমরা জানি। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি মাথা নোয়াননি। শুধুমাত্র ভারত-দর্শনের জন্য সাগর পাড়ি দিয়ে কলকাতায় পৌঁছেছিলেন সেই আইরিশ ভদ্রলোক। ১৭৭২ সালে ডিসেম্বরে জাহাজ নোঙর করেছিল চাঁদপাল ঘাটে। উনিশ শতকের গোড়ায় ভগ্নমনোরথে সর্বস্ব হারিয়ে যখন ফের বিলেতের উদ্দেশে পাড়ি দিলেন, তত দিনে কেটে গিয়েছে প্রায় ত্রিশ বছর। জেমস অগাস্টাস হিকি— ‘দ্য ফাদার অব ইন্ডিয়ান প্রেস’।
মৌলিক প্রশ্ন তুলেছিলেন হিকি সাহেব। ব্রিটিশ রাজত্বে সব নাগরিক কেন সমান বিচার পাবে না? চিঠি জাল করেছিলেন দু’জনেই, রবার্ট ক্লাইভ আর মহারাজা নন্দকুমার। একজনের কিছুই হল না, আর একজন ঝুললেন ফাঁসিতে। আইনের শাসন এই? প্রশ্ন তুলেছিল ‘বেঙ্গল গেজেট’। গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস সিদ্ধান্ত নিলেন ঠিক তা-ই, যা আজকের শাসকরা করেন। প্রথমে তাঁর বশংবদ দুই সাহেবের কাগজ ‘ইন্ডিয়া গেজেট’-এর পোস্টেজ দিলেন ফ্রি করে। তারপর পোস্ট অফিস থেকে হিকির কাগজ বিলি বন্ধ করার নির্দেশ। ডাকঘরে বেঙ্গল গেজেট নিষিদ্ধ হওয়ার পর দু্র্নীতি নিয়ে বাইশটা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে একুশটা, আর কোম্পানির স্বৈরতন্ত্র নিয়ে চুয়াল্লিশটা নিবন্ধ বার করেন হিকি। আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য হেস্টিংস। বিদ্রুপ, শ্লেষ, কৌতুক, এই ছিল হিকির অস্ত্র।
এর জন্য জেলবন্দি হতে হয়েছিল হিকি সাহেবকে। মানহানির মোকদ্দমা করেছিলেন খোদ গর্ভনর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস। সেই সঙ্গে প্রভাবশালী মিশনারি জোহান কিয়েরনান্ডর, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় কোটিপতি। তাঁর দুর্নীতি নিয়েও খবর ছেপেছিলেন হিকি। বিচারের দায়িত্বে হেস্টিংসের পেটোয়া ইম্পি। দোষী সাব্যস্ত হলেন হিকি। হেস্টিংসকে ‘ক্ষতিপূরণ’ দিতে ছাপাখানা নিলাম হয় ১০ এপ্রিল, ১৭৮৩। বন্ধ হয়ে গেল হিকিজ বেঙ্গল গেজেট। যে মানুষটি মাত্র কয়েকশো পাউন্ড সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় এসে নিজের যোগ্যতায় আলাদা পরিচয় গড়ে তুলেছিলেন, ফিরতি জাহাজে খরচ চালানোর জন্যে সার্জনমেট হতে হয়েছিল সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধকে। পরিবারের সবাই আগে দেশে ফিরে গেলেও তিনি পারেননি। সমুদ্রপথেই তাঁর মৃত্যু হয়। হিকি সাহেব বুঝেছিলেন, এ দেশ বড় নিষ্ঠুর!
পরাধীন ভারতে এমন বহু সংবাদপত্র ইংরেজ শাসকের রোষে পড়েছে। প্রতিবাদের কণ্ঠরোধ করার জন্য তাঁরা এক গুচ্ছ দানবীয় আইন প্রণয়ন করেছিলেন। যুগান্তর, সাধনা, সন্ধ্যা, বলশেভিক, সংগ্রাম, শনিবারের চিঠি, ধূমকেতু— অজস্র পত্রপত্রিকা বাজেয়াপ্ত করা হয়, নয়তো লেখক, সম্পাদক বা প্রকাশকদের জেল-জরিমানা হয়। রাজতন্ত্রের কালে রাজা ছিলেন ঈশ্বরের প্রতিভূ। তাঁর পারিষদেরা প্রজাদের মনে শাসকের সম্পর্কে এই ধারণা গেঁথে দিতে চেষ্টার কসুর করত না। শাসক যতই অত্যাচারী, নৃশংস ও ক্ষমতান্ধ হন, তাঁকে মহান ও তাঁর আচরণকে ন্যায়সঙ্গত হিসেবে দেখাতে লেখানো হতো ফরমায়েশি জীবনচরিত। যে কোনও শাসনব্যবস্থায় শাসক ও ক্ষমতাতন্ত্রকে যারাই প্রশ্ন করেছে, তাদের পরিণতি হয়েছে দুর্বিষহ।
১৯১৭ সালে ‘কর্তার ইচ্ছায় কর্ম’ প্রবন্ধে ব্রিটিশ শাসনকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা আজ বড় প্রাসঙ্গিক: ‘আমাদের রাজপুরুষদের মধ্যেও দেখি, রাজ্য শাসনের কোনও একটা ছিদ্র দিয়া ভয় ঢুকিলেই তারা পাশ্চাত্ত্য স্বধর্মকেই ভুলিয়া যায়, যে ধ্রুব আইন তাঁদের শক্তির ধ্রুব নির্ভর তারই উপর চোখ বুজিয়া কুড়াল চালাইতে থাকে। তখন ন্যায় রক্ষার উপর ভরসা চলিয়া যায়, প্রেস্টিজ রক্ষাকে তার চেয়ে বড় মনে করে, এবং বিধাতার উপর টেক্কা দিয়া ভাবে প্রজার চোখের জলটাকে গায়ের জোরে আন্দামানে পাঠাইতে পারিলেই তাদের পক্ষে লঙ্কার ধোঁয়াটাকে মনোরম করা যায়।’ এখন পাশ্চাত্য স্বধর্ম নয়, ভারতীয় সংবিধান যেন ভুলে যাচ্ছে শাসকদল। আইনের শাসন নয়, রাষ্ট্রযন্ত্র নিজের স্বার্থে আইনের অপব্যবহার করছে, তা নিয়েই প্রশ্ন জাগছে সাধারণ মানুষের।
‘দলদাস না হলেই রাষ্ট্রদ্রোহী’— এই অসামাজিক রোগের শুরু ‘রাষ্ট্র’-এর উদ্ভব থেকে। সমাজবিজ্ঞানের মতে, পৃথিবীর রাজা, সামন্ত, গোষ্ঠী ইত্যাদি শক্তি ‘রাষ্ট্র’কাঠামোয় ক্রমে নিজেদের অভিযোজিত করে নিয়েছে। ‘রাষ্ট্র’-শক্তি ব্যক্তি নাগরিককে নানাবিধ সুরক্ষা, সুবিধা, শান্তি দিয়েছে। আবার ‘রাষ্ট্র’কাঠামোর সুযোগ নিয়ে শাসক রাজনৈতিক দলের প্রভু হয়ে গিয়েছে। তখন রাষ্ট্রের নিয়ন্তা প্রভুকে হয় ভক্তি বা ভয় করতে হয়। জরুরি অবস্থাকালীন ইন্দিরা গান্ধী সরকারের হাতে সংবাদ-স্বাধীনতার কণ্ঠরোধ যেমন ভারতীয় গণতন্ত্রের মুখে কালিমা লেপন করেছিল, তেমনই আজকের ভারতেও সংবাদমাধ্যম স্বাধীন, সেই দাবি করার উপায় নেই। বিজেপি জমানায় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে ভারতের স্থান ক্রমে নিম্নমুখী, আন্তর্জাতিক স্তরেও তা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, অথচ রাজনীতিকদের তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই। মনে করিয়ে দেওয়া দরকার, আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’-এর তরফে প্রকাশিত ২০২৩ সালের রিপোর্ট ও সূচক অনুযায়ী, ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৬১তম স্থানে রয়েছে ভারত। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে যা সর্বনিম্ন। ২০২২ সালে এই তালিকায় ১৫০তম স্থানে ছিল ভারত। ২০২১ সালের সূচকে স্থান হয়েছিল ১৪২তম স্থানে।
সাংবাদিককুলের প্রতি গেরুয়া শিবিরের অপ্রীতি কোনও নতুন কথা নয়, বিশেষত যাঁরা ‘কানু বিনা গীত নাই’ গাইতে অভ্যস্ত নয় তাঁদের প্রতি। এ দেশের সাংবাদিকরা জেনে গিয়েছে, সরকারের সমালোচনা করলেই ধেয়ে আসবে দেশদ্রোহী, ভারতবিদ্বেষী তকমা, তারই পথ ধরে আসবে সাংবাদিক-হেনস্তা, নিপীড়ন, দমন— হুমকি দিয়ে, প্রাণের ভয় দেখিয়ে, কাজে বাধা দিয়ে বা উত্ত্যক্ত করে, সর্বোপরি জাতীয় নিরাপত্তা আইন ও কুখ্যাত ইউএপিএ আইনে জেলে ভরে। 
আজ সাংবাদিক এবং সংবাদপত্রকে হেনস্তা শাসকের ভাবমূর্তিকে বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছে। এ কথা ঠিক, আইনের ঊর্ধ্বে কোনও দেশবাসী নয়। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যমের কর্মীদেরও আইন মেনেই কাজ করতে হয়। কারও বিরুদ্ধে কোনও আইন লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ থাকলে তা অবশ্যই আইন অনুযায়ী তদন্তসাপেক্ষ। যাঁরা সাংবাদিকতা করেন, শুধুমাত্র সংবিধানের ১৯(ক) ধারার উপর ভরসা রেখেই পেশাদারিত্বের তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে তুলে ধরেন মানুষের কথা। পেশাগত ও ব্যক্তিগত আক্রমণের মুখে সংবাদ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাই প্রথম ও শেষ রক্ষাকবচ। সত্যের সন্ধানই সংবাদপত্রের স্বধর্ম, সত্যের প্রকাশই তার ব্রত। সেই সন্ধান কখনও সমাপ্ত হতে পারে না, ‘সম্পূর্ণ সত্য’ অনিবার্যভাবে অধরা থেকে যায়। প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, নির্ভীক ও তথ্যসমৃদ্ধ সংবাদ পরিবেশন ছাড়া নাগরিকদের পক্ষে কীভাবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত সম্ভব? কী আশ্চর্য, রাষ্ট্রশক্তি গণতন্ত্রের এই স্তম্ভকেই ক্রমশ কোণঠাসা করে ফেলছে।
তবে কি সাংবাদিকরা নির্ভয়ে আর জনগণের কথা লিখবেন না? শাসকের মুখের সামনে তুলে ধরবেন না আয়না? আলাদা কোনও রক্ষাকবচ নেই বলে কি শাসকের রক্তচক্ষুর সামনে মাথা নত করে থাকতে হবে? ২০২৩-এর ৫ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, সরকারের সমালোচনা করা দেশবিরোধিতা নয়। জাতীয় নিরাপত্তার পরিপন্থী, এই অভিযোগ তুলে মালয়ালম ভাষার একটি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রের তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রক। এই নির্দেশ বহাল রেখেছিল কেরল হাইকোর্টও। ওই মামলার রায় দিতে গিয়ে শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়েছিল, ‘সরকারের নীতির সমালোচনা করলেই কাউকে প্রতিষ্ঠান বিরোধী কিংবা সরকার বিরোধী বলা যায় না।’ শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য যে স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের প্রয়োজন, তা-ও স্পষ্ট করে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের তরফে। মামলার শুনানিতে দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছিলেন, ‘জনগণের অধিকারকে অস্বীকার করে জাতীয় নিরাপত্তার প্রসঙ্গ তোলা ঠিক নয়।’
হিকি সাহেব লিখেছিলেন, ‘যদি সংবিধান খারিজ হয়, মানুষ দাসত্বে পতিত হয়, একজন সাহসী মানুষ আর একটা স্বাধীন সংবাদপত্র একমাত্র তাদের উদ্ধার করতে পারে। কিন্তু সংবাদের স্বাধীনতা না থাকলে মস্ত বীরপুরুষও স্বাধিকার, স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারবে না।’ দুশো তেইশ বছর আগে বেঙ্গল গেজেট-এ ছাপা হয়েছিল কথাগুলি। এই কলকাতাতেই।
যত বাধাই আসুক, সংবাদপত্র আর তার সাংবাদিকরা জানেন, আজ, কাল, পরশু, মাস, বছর, শতাব্দী অতিক্রম করে তার বিরামহীন, অন্তহীন, ক্লান্তিহীন সত্যান্বেষণ জারি থাকবে। মহাকাল যে তার ললাটে লিখে দিয়েছেন সেই অমোঘ মন্ত্র: চরৈবেতি।
শোলের ৫০ বছর, তবু অটুট যৌবনের জেল্লা
সন্দীপন বিশ্বাস

বৈঠকে সকলেরই চিন্তান্বিত মুখ। তাহলে কি সব আশার বিনাশ হল অঙ্কুরেই? ওদিকে বেশ কয়েকটি বিরোধী প্রোডাকশন হাউস পার্টি দিতে শুরু করেছে। তারা আড়ালে দুয়ো দিয়ে বলছে, ‘ফুঃ! 
  বিশদ

05th  March, 2025
চালের দাম বাড়ছে, কিন্তু ফিক্সড ডিপোজিটের সুদ?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আয়করে ছাড়ের সীমা ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা হওয়ার পর সবকটা এলআইসি সারেন্ডার করে দিয়েছে সমরেশ। পুরনো কাঠামোয় আয়কর দেওয়ার তো আর প্রশ্নই ওঠে না।
বিশদ

04th  March, 2025
হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অবাঞ্ছিত চেষ্টা
পি চিদম্বরম

বিনা উসকানিতে যুদ্ধ—কোনও উচ্চ লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য নয়, তা করার পিছনে বরং একটি দলীয় মতাদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য থাকে। বিজেপির মধ্যে অবশ্য বিনা উসকানিতেই যুদ্ধ নামার প্রবণতা বিদ্যমান। নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি) এর উদাহরণ।
বিশদ

03rd  March, 2025
ট্যাংরা কাণ্ড নীরবে যে শিক্ষা দিয়ে গেল
হিমাংশু সিংহ

কী শেখাল ট্যাংরার সম্পন্ন ব্যবসায়ী পরিবারের মাত্র এক রাতে শেষ হয়ে যাওয়ার মর্মন্তুদ কাহিনি। নিঃসন্দেহে এই বাংলায় হালের অন্যতম বড় পারিবারিক বিপর্যয়ের ঘটনা। এ নিয়ে দু’সপ্তাহ পরও শহর থেকে প্রত্যন্ত জেলা, মানুষের প্রশ্নের অভাব নেই। খণ্ড খণ্ড উত্তর মিললেও এখনও পুরো বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
বিশদ

02nd  March, 2025
মমতার প্রতিপক্ষ বলেই ফ্যাসিস্ট নয় বিজেপি!
তন্ময় মল্লিক

শেষ পর্যন্ত কি ঝুলি থেকে বেড়ালটা বেরিয়েই পড়ল? বিজেপি সম্পর্কে দেশের বৃহত্তম বামপন্থী দলটির সর্বশেষ মূল্যায়ন সামনে এসেছে। তাতে সিপিএম এখন আর বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদির সরকারকে ‘ফ্যাসিবাদী শক্তি’ মনে করে না।
বিশদ

01st  March, 2025
যুগদিশারি শ্রীরামকৃষ্ণ
স্বামী আত্মবোধানন্দ

মহামানবেরা নির্জীব সত্যগুলিকে ধরে সাধনা দ্বারা জীবন্ত করে দেন। তখন সত্য আমাদের জিজ্ঞাসামাত্র থাকে না। তা আমাদের প্রাণের আশ্রয় হয়ে ওঠে। সাধক-ভক্ত মহামানব বা অবতারকে বাইরের ইন্দ্রিয়লোকে না রেখে, তাঁকে একেবারে অন্তরলোকে নিয়ে ‘মনের মানুষ’ করেন, তখন আর সীমার বা পরিমাণের বোধ থাকে না।
  বিশদ

01st  March, 2025
বিশ্বে নতুন ইতিহাসের সূচনা: ভারত কী করবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

কঙ্গো অথবা লিবিয়া। লেবানন কিংবা নাইজেরিয়া।  সারাক্ষণ কেন যুদ্ধ অথবা গৃহযুদ্ধ লেগে থাকে? অভ্যন্তরীণ সংঘাত? দুই গোষ্ঠী, সরকার বনাম বিদ্রোহীর ক্ষমতার লড়াই? গণতন্ত্র বনাম স্বৈরাচার? এসব কারণেই তাবৎ সংঘাত ঘটছে। কিন্তু আসলে সেই কারণ গৌণ। মুখ্য কারণ মিনারেলসের লড়াই।
বিশদ

28th  February, 2025
দুনিয়া কাঁপানো সাত দিন!
মৃণালকান্তি দাস

আমরা জানি না শান্তি আগে আসে, নাকি বসন্ত। কিন্তু আমরা জানি বসন্ত অবশ্যই আসবে। যেখানে সবকিছু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে, সেখানেও বসন্ত আসবে। ঘাস গজাবে পরিখায়, মৃত সেনাদের হাড়ের ভিতর দিয়ে। পুড়ে যাওয়া সাঁজোয়া যানগুলির উপরেও।
বিশদ

27th  February, 2025
যোগী রাজ্যে ধর্মের বেসাতি
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

 

লাশ, সর্বত্র লাশ। প্রয়াগের সঙ্গম থেকে নয়াদিল্লির স্টেশন—স্তূপাকার লাশ। সরকারি হিসেবে সংখ্যাটা এখনও পর্যন্ত ৫৫। কিন্তু কে না জানে, বাস্তবের সঙ্গে সরকারি হিসেব কখনওই মেলে না। বাস্তবে সংখ্যাটা হাজার ছাড়িয়ে যাওয়াও আশ্চর্যের নয়। সেই লাশের স্তূপের উপর দাঁড়িয়েই চলছে মোদি-যোগীর ২ লক্ষ কোটি টাকার বেসাতি— ধর্মের নামে।
বিশদ

26th  February, 2025
প্রয়াগে ঠাকুর, সারদা মা পুণ্যস্নান করেছিলেন
হারাধন চৌধুরী

আজ, মহাশিবরাত্রি এবং ৪৫ দিনের মহাকুম্ভ মেলার শেষদিন। কোটি কোটি ভক্তজনের পুণ্যস্নানকে কেন্দ্র করে অনেকগুলি মর্মান্তিক ঘটনা ইতিমধ্যেই ঘটে গিয়েছে।
বিশদ

26th  February, 2025
পুণ্যের আশা, রাজনীতির ফল
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভিড়ের স্রোতের মধ্যে বয়ে যেতে যেতেই ডান পা’টা আটকে গেল রামশরণের। কাঁধে একটা ঝোলা, আর ডান হাতে ব্যাগটা থাকায় প্রথমে ঠাহর করতে পারলেন না। ঘাড়টা একটু বেঁকিয়ে দেখতে পেলেন, এক বৃদ্ধা তাঁর পা’টা চেপে ধরেছে।
বিশদ

25th  February, 2025
বেকারত্ব, উৎপাদন, মুদ্রাস্ফীতি, গরিব উপেক্ষিত
পি চিদম্বরম

সরকারের দেওয়া শুকনো প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে আমি সাধারণত সন্দেহ পোষণ করে থাকি। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য একটি সময়সূচি মেনটেন করতে পছন্দ করি। আর চাই কাজের শেষে একটি পারফর্ম্যান্স রিপোর্ট থাকবে।
বিশদ

24th  February, 2025
একনজরে
স্থানীয়দের আপত্তি। সঙ্গে প্রকল্পের নাম নিয়ে বিভ্রান্তির আশঙ্কা। তাই বুধবার শিলিগুড়িতে শিলান্যাসের পরই ‘সিকিম সুস্বাস্থ্য ভবন’ নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন প্রত্যাহার করল পুরসভা। ...

বাবার ব্যবসা ভালো চলছিল না। তাই সংসারের হাল ধরতে চেয়েছিলেন বছর বাইশের শৌভিক দাস। বুধবার শিলিগুড়িতে নতুন কাজে যোগ দিতে যাওয়ার সময় ময়নাগুড়ির সরস্বতী ব্রিজ ...

আচমকা আলুর মূল্যবৃদ্ধির মোকাবিলায় বীরভূম জেলা প্রশাসন প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। মূল্যবৃদ্ধির সময় ন্যায্য দামে আলু বিক্রির লক্ষ্যে জেলায় জ্যোতি আলু মজুতের প্রক্রিয়া শুরু হল। ...

‘হাতি চলে বাজার, কুত্তা ভোকে হাজার’—এই প্রবাদে বিশ্বাসী ভারতীয় দলের কোচ গৌতম গম্ভীর। প্রথম একাদশ নির্বাচন নিয়ে তাঁকে বার বার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিনি যে ঋষভ পন্থের জায়গায় লোকেশ রাহুলকে খেলাবেন, সেটা আগেই জানিয়েছিলেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৭৫: ইতালীয় শিল্পী মাইকেল এঞ্জেলোর জন্ম
১৫০৮: দ্বিতীয় মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের জন্ম
১৮১২: কবি ঈশ্বর গুপ্তের জন্ম
১৯০০: ইংরেজ রসায়নবিদ জন ডালটনের মৃত্যু
১৯১৫: শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ও মহাত্মা গান্ধীর প্রথম সাক্ষাৎ
১৯২৭: লেখক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কোয়েজের জন্ম
১৯৩০: লন্ডনে প্রথম হিমায়িত খাদ্য বিপণন শুরু হয়
১৯৭১: টেস্টে অভিষেক হল ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকারের
২০২১: অডিও ক্যাসেট টেপ উদ্ভাবক খ্যাত ডাচ প্রকৌশলী লু ওটেনসের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৩৮ টাকা ৮৮.১২ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৬০ টাকা ১১৩.৪০ টাকা
ইউরো ৯০.৮৬ টাকা ৯৪.২৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৭,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৬,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৬,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ ফাল্গুন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫। সপ্তমী ১২/৫ দিবা ১০/৫১। রোহিনী নক্ষত্র ৪৫/২০ রাত্রি ১২/৬। সূর্যোদয় ৫/৫৭/৪১, সূর্যাস্ত ৫/৩৮/৪১। অমৃতযোগ রাত্রি ১/০ গতে ৩/২৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩১ মধ্যে ১০/৩৭ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪৭ গতে ১/২০ মধ্যে। 
২১ ফাল্গুন, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫। সপ্তমী দিবা ৩/২৭। রোহিনী নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৪৯। সূর্যোদয় ৬/০, সূর্যাস্ত ৫/৩৮। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫১ গতে ৩/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/১২ মধ্যে ও ১০/২৭ গতে ১২/৫৩ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৩ গতে ৫/৩৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪৯ গতে ১/২২ মধ্যে। 
৫ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

12:09:29 PM

সনাতন ধর্ম নিয়ে মন্তব্য: তামিলনাড়ুর উপ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আরও কোনও মামলা দায়ের করা যাবে না, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

11:51:00 AM

শিশুকন্যার মৃত্যুকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা জলপাইগুড়ির লাটাগুড়িতে
দেড় মাসের শিশুকন্যার মৃত্যুকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা জলপাইগুড়ির লাটাগুড়ির ক্রান্তি ...বিশদ

11:46:00 AM

কসবা কাণ্ড: আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার লোন এজেন্ট

11:42:00 AM

লন্ডনে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের নিরাপত্তা বিঘ্ন, তীব্র প্রতিবাদ জানাল নয়াদিল্লি

11:38:00 AM

উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

11:32:00 AM