Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মমতার প্রতিপক্ষ বলেই ফ্যাসিস্ট নয় বিজেপি!
তন্ময় মল্লিক

শেষ পর্যন্ত কি ঝুলি থেকে বেড়ালটা বেরিয়েই পড়ল? বিজেপি সম্পর্কে দেশের বৃহত্তম বামপন্থী দলটির সর্বশেষ মূল্যায়ন সামনে এসেছে। তাতে সিপিএম এখন আর বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদির সরকারকে ‘ফ্যাসিবাদী শক্তি’ মনে করে না। এমনকী, নব্য ফ্যাসিবাদী বলতেও ঘোর আপত্তি। সিপিএমের ২৪তম পার্টি কংগ্রেসের আগে তাদের এই মনোভাব প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছে কেরলের কংগ্রেস নেতৃত্ব, এমনকী বাম শরিক সিপিআইও। কংগ্রেসের সরাসরি অভিযোগ, ‘সিপিএমের একটা অংশ সঙ্ঘ পরিবার ও বিজেপির অধীনে কাজ করতে চাইছে।’ তাই প্রশ্ন উঠছে, ভবিষ্যতে সমঝোতার রাস্তা তৈরি করতেই কি বিজেপির প্রতি সুর নরম করছে সিপিএম?
জ্যোতি বসুর ভাষায় বিজেপি ‘বর্বরের দল’। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য উঠতে বসতে মহাত্মা গান্ধীর রক্ত লেগে থাকা দলের মাথা গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন। তাই ২০২২ সালেও সিপিএমের চোখে বিজেপি ছিল ‘ফ্যাসিবাদী শক্তি’। কিন্তু এখন? সিপিএম মনে করছে, ‘মোদি সরকারের কাজকর্মের মধ্যে নব্য ফ্যাসিবাদী বৈশিষ্ট্যের কিছু কিছু প্রকাশ ঘটেছে। তবে, সামগ্রিকভাবে সরকারকে ফ্যাসিস্ট বলা যায় না।’ এটা কোনও সিপিএম নেতার ভাষণের অংশ হলে ‘ব্যক্তিগত অভিমত’ বলে চালিয়ে দেওয়া যেত। এক্ষেত্রে সেটা বলা যাবে না। কারণ এটা লিখিত নোট, তা অনেক ভেবেচিন্তেই সিপিএম তৈরি করেছে। 
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সিপিএম হঠাৎ কেন ভোলবদল করতে চাইছে? অনেকে বলছেন, রাজনীতি হল সম্ভাবনার শিল্প। এখানে অসম্ভব বলে কিছুই নেই। বরং আজ যা অসম্ভব, অবাস্তব আগামীতে সেটাই কঠিন বাস্তব রূপে প্রতিভাত হয়। এই মুহূর্তে কেরল ছাড়া কোনও রাজ্যে সিপিএম ক্ষমতায় নেই। একদা যে বাংলাকে দেখিয়ে ভারতবর্ষে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখাত, সেখানেই তারা শূন্য। ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা কম হয়নি। কিন্তু পারেনি। উল্টে দিন দিন তলিয়ে যাচ্ছে। দেশের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে শরিক বদলাচ্ছে, পাল্টাচ্ছে কৌশলও। রাজ্যভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন পলিসি। তাতে নীতির কোনও বালাই নেই। তবুও হাল ফিরছে না ‘লাল’-এর।
সিপিএমের চোখে তৃণমূল কংগ্রেস খারাপ। কারণ তৃণমূলের একাধিক নেতা জেল খেটেছেন এবং খাটছেন। তাই ‘দুনীর্তিগ্রস্ত দলে’র সঙ্গে চলার কোনও অর্থই সিপিএম খুঁজে পায় না। কিন্তু লালুপ্রসাদ যাদব পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে সাজা পেলেও তাঁর দলের সঙ্গে হাত মেলাতে আপত্তি নেই। কারণ তিনি তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সিপিএমের পাকা ধানে মই দেননি। 
আবার দেখুন, অটলবিহারী বাজপেয়ির সরকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী থাকায় তিনি বিজেপি ঘনিষ্ঠ। খুব ভালো কথা। কিন্তু ‘পাল্টুরাম’ নীতীশকুমার বিজেপি সরকারের ‘প্রাণভোমরা’ হলেও এনডিএ ছাড়লেই সেলিম সাহেবরা জাপটে ধরছেন। এমনকী, তাঁকে ইন্ডিয়া জোটের মাথা ভাবতেও আপত্তি থাকে না। তামিলনাড়ুতে একদা বিজেপির জোটসঙ্গী ডিএমকের হাত ধরতেও সঙ্কোচ নেই। কারণ তাঁরা তো কেউই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সিপিএমের রাজ্যপাট শিকেয় তুলে দেননি।
দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী জোটে সিপিএম আছে। কিন্তু ‘ইন্ডিয়া’ জোটের অন্যতম প্রধান শক্তি কংগ্রেসই কেরলে তাদের এক নম্বর প্রতিপক্ষ। একইভাবে বাংলাতেও ‘ইন্ডিয়া’র আর এক শরিক তৃণমূলকেই তারা প্রধান রাজনৈতিক ‘শত্রু’ মনে করে। বাংলায় বিজেপির উত্থানের জন্য মমতাকেই দায়ী করে। কিন্তু, ত্রিপুরায় হারল কেন? সেখানে তো মমতা ছিলেন না। তাহলে সিপিএম ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি। আসলে বিজেপির চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ের সুযোগটা সিপিএম কোথাও কাজে লাগাতে পারেনি। তাই ত্রিপুরা হাতছাড়া হয়েছে, আর বাংলায় তারা শূন্য। তারপরেও সিপিএম নিজেদের সাচ্চা বিজেপি বিরোধী বলে দাবি করে। তারজন্য কেরলে কংগ্রেসকে এবং বাংলায় তৃণমূলকে ‘বিজেপির বন্ধু’ সাজায়। জন্ম দেয় ‘বিজেমূল থিওরি’র। 
কোথাও একটু মাটি পাওয়ার লোভে, কোথাও ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় সিপিএম গোটা দেশের প্রায় সব দলের সঙ্গেই সমঝোতা করে ফেলেছে। বাকি আছে কেবল বিজেপি। সেটাও যে হবে না, তা হলফ করে বলা কঠিন। কারণ সিপিএম এমন সময় বিজেপির গা থেকে ‘ফ্যাসিবাদী’ তকমা খুলতে চাইছে যখন গেরুয়া শিবির উগ্র হিন্দুত্বের লাইনকে মজবুত করতে মরিয়া। তাতে সংখ্যালঘুরা বিপন্ন বোধ করছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ তীব্রতর করার এটাই সেরা সময়। সেটা না করে তারা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যাচ্ছে। 
কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের নির্বাচনী সমঝোতার কথা তিন দশক আগে কেউ কল্পনাও করতে পারত না। তখন কেউ সমঝোতার কথা বললে ‘পাগল’ বলে দাগিয়ে দিত। কিন্তু বাংলায় একের পর এক নির্বাচনে উভয়দলের আসন বোঝাপড়া হয়েছে। উদ্দেশ্য? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করা। 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএমের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। তাঁর জন্যই বামেরা এ রাজ্যে ক্ষমতার মধুভাণ্ড থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তবে সিপিএম বুঝে গিয়েছে, কংগ্রেসকে নিয়ে মমতাকে হটানো যাবে না। আইএসএফ, সিপিআই(এমএল) এর সম্মিলিত জোটও আঁচড় কাটতে পারেনি। তাই কি নতুন কোনও ‘বন্ধু’র সন্ধান? তারজন্যই কি বিজেপিকে ‘ফ্যাসিবাদী’ নয় বলতে চাইছে সিপিএম?
বিজেপি-সিপিএম সমঝোতা কি সম্ভব? এই প্রশ্নটা শুনলে অনেকে হয়তো ‘পাগলের প্রলাপ’ বলে উপহাস করবেন। কিন্তু পাল্টা জানতে ইচ্ছা করে, যেদিন বর্ধমানের মঙ্গলকোটে সিপিএমের তাড়া খেয়ে তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইয়া ধুতি তুলে দৌড়েছিলেন, সেদিন কি কেউ দুই দলের সমঝোতার কথা কল্পনা করতে পেরেছিলেন? পারেননি। পারার কথাও নয়। কারণ বামেদের উত্থান কংগ্রেসের বিরোধিতা করেই। তাই কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের নির্বাচনী সমঝোতা ছিল কল্পনার অতীত। তবুও সেটাই হয়েছে। সেই তুলনায় বিজেপির সঙ্গে বামেদের সম্পর্ক কোনও দিনই অতটা খারাপ ছিল না। বরং বহু আগেই বিজেপি ও সিপিএমের দুই প্রবাদপ্রতিম নেতা অটলবিহারী বাজপেয়ি ও জ্যোতি বসুর বোঝাপড়া প্রকাশ্যে এসেছে। একই মঞ্চে উভয় নেতা ভাষণ দিয়েছেন। তাঁদের সেই হাসিমুখের ছবি অ্যালবামের পাতায় আজও জ্বলজ্বল করে। আর এ রাজ্যে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বামেরাই বিজেপির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হয়ে উঠেছে। ভোটের ফলই তার প্রমাণ। যদিও সিপিএমের বুদ্ধিজীবীরা তাকে ‘বাইনারি’ থিওরি দিয়ে আড়াল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। 
উনিশের লোকসভা নির্বাচন থেকেই বাম ভোট বিজেপিতে যাচ্ছে। তারপর থেকে প্রতিটি সাধারণ নির্বাচনে একই ঘটনা ঘটছে। মাঝে দু’-একটি উপ নির্বাচনে এবং পুরসভায় বামেরা বিজেপির থেকে কিছু বেশি ভোট পেয়েছে। কিন্তু সার্বিকভাবে রামে যাওয়া ভোট বামে ফেরেনি। একদিকে, সিপিএমের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হটানোর একের পর এক চেষ্টা বানচাল হয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপির প্রতি বাংলার ক্রেজ ও ভোট, দু’-ই কমছে। ফলে ক্ষমতা দখল দূরের কথা, লড়াইয়ের জায়গাতেই বিরোধীরা নেই। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে ‘ফ্যাসিবাদী’ শক্তি না বলাটা বাংলায় মমতা বিরোধী ভোট এককাট্টা করার একটা কৌশল। 
একথা ঠিক, এই মুহূর্তে বিজেপির সঙ্গে বামেদের সমঝোতার কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু বাংলায় শাসক বিরোধী ভোট ভাগাভাগি ঠেকাতে সিপিএমের এই কৌশল কাজে লাগতে পারে। এর আগে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব এবং অমিত শাহ একাধিকবার ‘তৃণমূলের চেয়ে বামেরা ভালো ছিল’ বলে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন। তৃণমূলকে হারাতে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য বামেদের কাছে আবেদনও করেছেন। কারণ তাঁরা জানেন, বামেদের ভোট শিফ্টিংয়ের জোরেই বিজেপি বাংলায় প্রধান বিরোধী দল। বামেরা নিঃস্ব হলেই পূর্ণ হবে রামের ঘর। 
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সিপিএম লোকসভা ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরে তারই একপ্রস্ত মহড়া সেরে ফেলেছে। জেলার দু’টি আসনেই জিতেছে বিজেপি। সিপিএম গোহারা হেরেছে। তাও নেতৃত্বের বদল হয়নি। উল্টে অসুস্থ নিরঞ্জন সিহিকেই জেলা সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছে। চতুর্থবারের জন্য। একেবারে নজিরবিহীন। কেউ কেউ বলছেন, এটা গোপন গেমপ্ল্যান বাস্তবায়নের ‘পুরস্কার’। 
সিপিএম নেতৃত্ব হয়তো মনে করছে, ছাব্বিশে তৃণমূলকে ধাক্কা দিতে গেলে রাজ্যজুড়ে কার্যকর করতে হবে ‘পূর্ব মেদিনীপুর মডেল’। তারজন্য করা যাবে না বিজেপিকে আক্রমণ, দেখাতে হবে আরও নরম মনোভাব। তাতেই শক্তি বাড়বে বিজেপির। আর বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি মানেই মমতার বিপদ! তবে তারজন্য হয়তো সিপিএমের ‘মহাশূন্যে’ পাড়ির পথ প্রশস্ত হবে। কিন্তু মিটবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পরাজয়ের জ্বালা। অনেকে মনে করছেন, বিজেপিকে ‘ফ্যাসিবাদী শক্তি’র তকমা থেকে মুক্ত করার চেষ্টার এটাই আসল কারণ।
01st  March, 2025
শোলের ৫০ বছর, তবু অটুট যৌবনের জেল্লা
সন্দীপন বিশ্বাস

বৈঠকে সকলেরই চিন্তান্বিত মুখ। তাহলে কি সব আশার বিনাশ হল অঙ্কুরেই? ওদিকে বেশ কয়েকটি বিরোধী প্রোডাকশন হাউস পার্টি দিতে শুরু করেছে। তারা আড়ালে দুয়ো দিয়ে বলছে, ‘ফুঃ! 
  বিশদ

চালের দাম বাড়ছে, কিন্তু ফিক্সড ডিপোজিটের সুদ?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আয়করে ছাড়ের সীমা ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা হওয়ার পর সবকটা এলআইসি সারেন্ডার করে দিয়েছে সমরেশ। পুরনো কাঠামোয় আয়কর দেওয়ার তো আর প্রশ্নই ওঠে না।
বিশদ

04th  March, 2025
হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অবাঞ্ছিত চেষ্টা
পি চিদম্বরম

বিনা উসকানিতে যুদ্ধ—কোনও উচ্চ লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য নয়, তা করার পিছনে বরং একটি দলীয় মতাদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য থাকে। বিজেপির মধ্যে অবশ্য বিনা উসকানিতেই যুদ্ধ নামার প্রবণতা বিদ্যমান। নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি) এর উদাহরণ।
বিশদ

03rd  March, 2025
ট্যাংরা কাণ্ড নীরবে যে শিক্ষা দিয়ে গেল
হিমাংশু সিংহ

কী শেখাল ট্যাংরার সম্পন্ন ব্যবসায়ী পরিবারের মাত্র এক রাতে শেষ হয়ে যাওয়ার মর্মন্তুদ কাহিনি। নিঃসন্দেহে এই বাংলায় হালের অন্যতম বড় পারিবারিক বিপর্যয়ের ঘটনা। এ নিয়ে দু’সপ্তাহ পরও শহর থেকে প্রত্যন্ত জেলা, মানুষের প্রশ্নের অভাব নেই। খণ্ড খণ্ড উত্তর মিললেও এখনও পুরো বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
বিশদ

02nd  March, 2025
যুগদিশারি শ্রীরামকৃষ্ণ
স্বামী আত্মবোধানন্দ

মহামানবেরা নির্জীব সত্যগুলিকে ধরে সাধনা দ্বারা জীবন্ত করে দেন। তখন সত্য আমাদের জিজ্ঞাসামাত্র থাকে না। তা আমাদের প্রাণের আশ্রয় হয়ে ওঠে। সাধক-ভক্ত মহামানব বা অবতারকে বাইরের ইন্দ্রিয়লোকে না রেখে, তাঁকে একেবারে অন্তরলোকে নিয়ে ‘মনের মানুষ’ করেন, তখন আর সীমার বা পরিমাণের বোধ থাকে না।
  বিশদ

01st  March, 2025
বিশ্বে নতুন ইতিহাসের সূচনা: ভারত কী করবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

কঙ্গো অথবা লিবিয়া। লেবানন কিংবা নাইজেরিয়া।  সারাক্ষণ কেন যুদ্ধ অথবা গৃহযুদ্ধ লেগে থাকে? অভ্যন্তরীণ সংঘাত? দুই গোষ্ঠী, সরকার বনাম বিদ্রোহীর ক্ষমতার লড়াই? গণতন্ত্র বনাম স্বৈরাচার? এসব কারণেই তাবৎ সংঘাত ঘটছে। কিন্তু আসলে সেই কারণ গৌণ। মুখ্য কারণ মিনারেলসের লড়াই।
বিশদ

28th  February, 2025
দুনিয়া কাঁপানো সাত দিন!
মৃণালকান্তি দাস

আমরা জানি না শান্তি আগে আসে, নাকি বসন্ত। কিন্তু আমরা জানি বসন্ত অবশ্যই আসবে। যেখানে সবকিছু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে, সেখানেও বসন্ত আসবে। ঘাস গজাবে পরিখায়, মৃত সেনাদের হাড়ের ভিতর দিয়ে। পুড়ে যাওয়া সাঁজোয়া যানগুলির উপরেও।
বিশদ

27th  February, 2025
যোগী রাজ্যে ধর্মের বেসাতি
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

 

লাশ, সর্বত্র লাশ। প্রয়াগের সঙ্গম থেকে নয়াদিল্লির স্টেশন—স্তূপাকার লাশ। সরকারি হিসেবে সংখ্যাটা এখনও পর্যন্ত ৫৫। কিন্তু কে না জানে, বাস্তবের সঙ্গে সরকারি হিসেব কখনওই মেলে না। বাস্তবে সংখ্যাটা হাজার ছাড়িয়ে যাওয়াও আশ্চর্যের নয়। সেই লাশের স্তূপের উপর দাঁড়িয়েই চলছে মোদি-যোগীর ২ লক্ষ কোটি টাকার বেসাতি— ধর্মের নামে।
বিশদ

26th  February, 2025
প্রয়াগে ঠাকুর, সারদা মা পুণ্যস্নান করেছিলেন
হারাধন চৌধুরী

আজ, মহাশিবরাত্রি এবং ৪৫ দিনের মহাকুম্ভ মেলার শেষদিন। কোটি কোটি ভক্তজনের পুণ্যস্নানকে কেন্দ্র করে অনেকগুলি মর্মান্তিক ঘটনা ইতিমধ্যেই ঘটে গিয়েছে।
বিশদ

26th  February, 2025
পুণ্যের আশা, রাজনীতির ফল
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভিড়ের স্রোতের মধ্যে বয়ে যেতে যেতেই ডান পা’টা আটকে গেল রামশরণের। কাঁধে একটা ঝোলা, আর ডান হাতে ব্যাগটা থাকায় প্রথমে ঠাহর করতে পারলেন না। ঘাড়টা একটু বেঁকিয়ে দেখতে পেলেন, এক বৃদ্ধা তাঁর পা’টা চেপে ধরেছে।
বিশদ

25th  February, 2025
বেকারত্ব, উৎপাদন, মুদ্রাস্ফীতি, গরিব উপেক্ষিত
পি চিদম্বরম

সরকারের দেওয়া শুকনো প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে আমি সাধারণত সন্দেহ পোষণ করে থাকি। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য একটি সময়সূচি মেনটেন করতে পছন্দ করি। আর চাই কাজের শেষে একটি পারফর্ম্যান্স রিপোর্ট থাকবে।
বিশদ

24th  February, 2025
রাজনীতির ওঠাপড়া

এই রাজ্যের দুই প্রধান বিরোধী দলের গ্রহণযোগ্যতা শূন্যে উড়ে বেড়ানো দিশাহীন বেলুনের মতো! আসলে আসন্ন নির্বাচনে সিপিএম, বিজেপি কেউ ক্ষমতা দখলের জন্য লড়াই করছে না। সিপিএম লড়ছে শূন্যের গ্লানি মোচনের লক্ষ্যে। যদিও তাও খুব সহজ হবে না। আর বিজেপি লড়ছে, গতবারের ৭৭টি আসনের অন্তত অর্ধেক আসনে মানরক্ষার টার্গেট হাতে নিয়ে।
বিশদ

23rd  February, 2025
একনজরে
মতের অমিল মিটিয়ে দিল এপিকে গরমিলের ঘটনা।  বিবাদ ভুলে এককাট্টা মৃণাল সরকার, গৌতম দাস, সুভাষ ভাওয়াল। দীর্ঘদিন পর জেলার সাংগঠনিক মিটিংয়ে গঙ্গারামপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে দেখা গেল তৃণমূলের সব গোষ্ঠীর নেতৃত্বকে। ...

আইসিএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েকে নিয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার পথে অটো উল্টে মৃত্যু হল মায়ের। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে শ্যামনগর পাওয়ার হাউস মোড়ে ঘোষপাড়া রোডে। ...

২০১৫-র ২৬ মার্চ আর ২০২৫-এর ৪ মার্চ। এক দশকের ব্যবধান। দশ বছর আগে ওডিআই বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নেমেছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্রিগেড। অভিশপ্ত সেই ...

বিএনপি সহ একাধিক রাজনৈতিক দল দাবি করেছে, চলতি বছরের শেষেই বাংলাদেশে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। চাপের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসও জানিয়েছিলেন, আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন হতে পারে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিপার্শ্বিক কোনও ঘটনা চিন্তা বাড়াতে পারে। সাংস্কৃতিক কর্মে যোগদান ও মানসিক তৃপ্তিলাভ। শরীরের খেয়াল রাখুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৩৯৭- অক্সফোর্ডের নতুন কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।
১৫৫৮- ইউরোপে প্রথম ধূমপানে তামাক ব্যবহার শুরু হয়
১৮১৫- ‘প্রাণী চুম্বকত্বের’ (ম্যাসমেরিজম) প্রবক্তা ফ্রানৎস ম্যাসমের মৃত্যু
১৮২২- ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘সমাচার চন্দ্রিকা’ প্রকাশিত হয়
১৮৩৩- অবিভক্ত ভারতের প্রথম দুই মহিলা কাদিম্বিনী ও চন্দ্রমুখী বসু স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন
১৯৯০- অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৩৯- সাহিত্যিক দিব্যেন্দু পালিতের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৫৩ টাকা ৮৮.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৩২ টাকা ১১৩.১১ টাকা
ইউরো ৯০.২৬ টাকা ৯৩.৬৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৭,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৫,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৫,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২০ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫। পঞ্চমী ২৩/১৫ দিবা ৩/১৭। ভরণী নক্ষত্র ৫১/৩৮ রাত্রি ২/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৫৯/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৩৭/১৯। অমৃতযোগ দিবা ৮/১৯ গতে ১০/৩৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/৩১ মধ্যে পুনঃ ৩/১৭ গতে ৪/৫০ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৭ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৫ গতে ১১/২৩ মধ্যে পুনঃ ১/৫১ গতে ৩/৩১ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৯ গতে ৮/৪৩ মধ্যে।
১৯ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫। পঞ্চমী  রাত্রি ৭/৫৫। অশ্বিনী নক্ষত্র দিবা ৮/৫২। সূর্যোদয় ৬/২, সূর্যাস্ত ৫/৩৭। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩ গতে ১০/২৮ মধ্যে ও ১২/৫৪ গতে ২/৩১ মধ্যে ও ৩/১৯ গতে ৪/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩২ মধ্যে ও ৮/৫৫ গতে ১১/১৭ মধ্যে ও ১/৪০ গতে ৩/১৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১০ গতে ৮/৪৩ মধ্যে। 
৩ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হলেন রাচীন রবীন্দ্র

10:43:00 PM

ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়ে বীরভূমের লাভপুরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হলেন বৃদ্ধ দম্পতি

10:36:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫০ রানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছল নিউজিল্যান্ড

10:22:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): সেঞ্চুরি করলেন ডেভিড মিলার, দক্ষিণ আফ্রিকা ৩১২/৯ (৫০ ওভার), টার্গেট ৩৬৩

10:21:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): হাফসেঞ্চুরি করলেন ডেভিড মিলার, দক্ষিণ আফ্রিকা ২৬৩/৯ (৪৬.৪ ওভার), টার্গেট ৩৬৩

10:05:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): ১৬ রানে আউট কাগিসো রাবাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা ২৫৬/৯ (৪৫.৩ ওভার), টার্গেট ৩৬৩

09:58:00 PM