Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পুণ্যের আশা, রাজনীতির ফল
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভিড়ের স্রোতের মধ্যে বয়ে যেতে যেতেই ডান পা’টা আটকে গেল রামশরণের। কাঁধে একটা ঝোলা, আর ডান হাতে ব্যাগটা থাকায় প্রথমে ঠাহর করতে পারলেন না। ঘাড়টা একটু বেঁকিয়ে দেখতে পেলেন, এক বৃদ্ধা তাঁর পা’টা চেপে ধরেছে। দু’চোখ বেয়ে ঝরে পড়ছে জল। থমকে গেলেন রামশরণ। কী চায়? টাকা? খাবার? এই দুটোর একটাও তো তাঁর কাছে নেই! ঝোলায় কেজিখানেক ছাতু এনেছিলেন। তার কিছুটা পড়ে আছে। পকেটে ৫০ টাকার মতো। ধানবাদ ফিরবেন কীভাবে, জানেন না। এই বৃদ্ধাকে কী দেবেন? ‘বাবু আমার ছেলেটাকে খুঁজে পাচ্ছি না। একটু খুঁজে দেবে?’ ইতস্তত করলেন রামশরণ। কোথায় খুঁজবেন? নিরুদ্দেশ সম্পর্কে ঘোষণা করে যেখানে, সেই জায়গাটা তিনি জানেন। ওই দক্ষিণদিকে বেশ কিছুটা দূরে। এতটুকুই সাহায্য তিনি করতে পারেন। কিংবা বাকিদের মতো পারেন না। হাজারে হাজারে মানুষ মাটিতে পড়ে থাকা বৃদ্ধার পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে... দেখেও দেখছে না। তিনিও কি তাই করবেন? বেশিক্ষণ ভাবতে হল না। ভিড়ের স্রোতে জোর একটা ঢেউ উঠল। তিনিও চলে গেলেন ঘাটের অভিমুখে। আরও একটু। পিছনে পড়ে থাকল ছেলেহারা অশীতিপর মা। 
এটাই প্রয়াগ। এটাই কুম্ভ। এটাই প্রচার।
১৪৪ বছরে একবার। আর তাই মানুষ ছুটেছে। সহায়-সম্বলের ভরসা না করেই। যেদিকে নজর যায়, শুধুই মানুষ। জাতীয় সড়ক, মাঠঘাট, নদীর চর। ধুলো উড়িয়ে সবাই চলেছে সঙ্গমের উদ্দেশে। তাঁবুর ভাড়া চড়েছে ৩২ হাজার টাকা পর্যন্ত। সোর্স না খাটালে আখড়ায় জায়গা হবে না। বস্তির মধ্যে খুপচি ঘরও ডেইলি ৬ হাজার টাকা ভাড়া। যাদের সম্বল করে পুণ্যার্থীর সংখ্যা বাড়ানোর প্রচারে নেমেছে যোগী সরকার, তাদের কিন্তু না আছে টাকা, না সোর্স। তারা পারে শুধু হাঁটতে। অবিরাম। একের আঁচলের সঙ্গে অন্যের খুঁট বেঁধে। শক্ত করে হাত ধরে। ভয় তাদের যে একটাই—হারিয়ে যাওয়ার। ভিড়ের স্রোতের সামনে থাকা লোকটি যদি ডানদিকে যায়, তার পিছনের শতশত মানুষ সেদিকেই ছোটে। তারপর যদি তাকে পুলিস বাঁদিকে যেতে বলে, পিছনের স্রোতও সেই মুখী। ভিআইপি ট্রিটমেন্ট তাদের জন্য নয়। এই ভারতের হাঁটাপথের পাশ দিয়ে চলে যায় এসি গাড়ির কনভয়। তাদের দিকে ভ্রুক্ষেপও করে না। কালো কাচের এপারে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ভারতের জন্য ঘাট বা জল আলাদা করা থাকে না। ঘণ্টায় দেড়-দু’হাজার টাকা দিয়ে নৌকা ভাড়া করে সঙ্গমে যাওয়ার ক্ষমতাও তাদের নেই। ওখানে স্নানের জন্য ১০-১৫ হাজার টাকা দেওয়ার সামর্থ্যও তাদের অধরা। এরা চায় শুধু তিনটি ডুবকি দিতে। অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ। সব পাপ তাতেই ধুয়ে যাবে। আর কখনওই যে সুযোগ আসবে না! ১৪৪ বছর কে বাঁচবে? যা করার এবারই করতে হবে। যোগীজি তো তাই বলেছেন! টিভি দেখাচ্ছে। রেডিও বলছে। পাপ ধুতে হলে যেতে হবে এবারই। বাংলা থেকে গুজরাত, উত্তরাখণ্ড থেকে তামিলনাড়ু... দলে দলে আসছে ভারত। ট্রেনে জায়গা না পেয়ে তারা এসি কোচের কাচ ভাঙছে, উঠে পড়ছে ইঞ্জিনে, চড়ছে লরিতে, কিংবা হাঁটছে। একটু পুণ্য কামিয়ে নেওয়ার আশায়। কিন্তু তাদের কেন্দ্র করেই যে অনেকটা রাজনীতি কামিয়ে নিচ্ছে আর এক দল! জন্ম দিচ্ছে কুম্ভ ইকনমির। হিসেব হচ্ছে ৩ লক্ষ কোটির ব্যবসার। অঙ্কটা বাড়ছে। প্রতিদিন। পুণ্যার্থীর সংখ্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে। 
এই রাজনীতির প্রাপ্তি কী? শুধুই ধর্ম? তা তো নয়। পূর্ণকুম্ভ চিরকালই সনাতন ধর্মের জোয়ার আছড়ে পড়ার ভরকেন্দ্র। ১৪৪ বছরের অঙ্কটা সেই স্রোতকে সুনামির আকার দিয়েছে। সেটাই স্বাভাবিক। সেটাই হওয়ার ছিল। মহাকুম্ভের প্রচার তাতে আরও একটু ঠেলা দিয়েছে মাত্র। আসলে এই একটি মহামিলন ক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে কয়েকজন নিজেদের আখেরটুকু গুছিয়ে নিতে নেমেছেন। যেমন? ১) যোগী আদিত্যনাথ। এই মেলার ‘সাফল্য’ সামনে রেখে জাতীয় রাজনীতিতে প্রতিযোগীর সংখ্যা কমিয়ে ফেলছেন তিনি। অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, নীতিন গাদকারি... এই নামগুলো এখন তাঁর কাঁধের নীচে চলে গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদির পর কে? এই প্রশ্নে তাঁর নামটা আগে আসবে। সনাতনী সংগঠন এবং আখড়াগুলিও যদি এখন তাঁকে সমর্থন জোগান, অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। দু’বছর পর উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। যোগীর বিরুদ্ধ-লবি কলকাঠি নাড়লেও যাতে তারা হালে খুব একটা পানি না পায়, সেই ব্যবস্থাই নিশ্চিত করতে চাইছেন যোগী। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মাঠে নামলে ’২৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ম্যাচ প্র্যাকটিসটা সারা হয়ে যাবে তাঁর। ২) নরেন্দ্র মোদি। আঞ্চলিক দলগুলির রমরমা যে হারে বাড়ছে, তাতে জনপ্রিয়তার মিথ ধরে রাখাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে তাঁর পক্ষে। কুম্ভমেলা যদি তাঁর চেনা ফর্মুলায় (অর্থাৎ হিন্দুত্বে) ঠিকঠাক শান দিতে পারে, সেটা জনপ্রিয়তা, পদ এবং প্রাপ্তি—সবকিছুই ধরে রাখার সহায়ক হবে। ৩) আরএসএস। সরসঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত গত কয়েক মাস ধরেই দলের থেকে সংগঠনকে আগে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাজপেয়ি জমানার পর সঙ্ঘের প্রভাব-প্রতিপত্তির জ্বালানি কমতে শুরু করেছিল। নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে পুনরুজ্জীবন ঘটেছিল তাদের। তারপর সঙ্ঘ বহরে বেড়েছে, বাড়ির আকারেও। ২০২৫ আরএসএসের শতবর্ষ। পোস্টার বয় যদি পোস্টারের ভার বহন করতে না পারে, তাকে সরিয়ে দিতে এখন দু’মিনিটও লাগবে না সঙ্ঘের। কুম্ভমেলা, ধর্ম সম্মেলন এবং হিন্দুত্ব—সঙ্ঘ এখন আর পিছনে তাকাতে চায় না। 
এটাই এখন ঘোর বাস্তব। কারবারিরা জানেন, এই ভারতের চাল কেনার টাকা নাই থাকতে পারে। তারা ধর্মে যাবে। পুণ্য করতে যাবে। পাপ ধুয়ে ফেলতে যাবে। এটাই তাদের আবেগ। বিশ্বাস। আশাও বটে। ঈশ্বরকে পাওয়ার। এই জিগির যত কাজে লাগানো যাবে, ততই বাড়বে বেওসা। 
এবারের কুম্ভ কেন অন্যবারের থেকে আলাদা? শুধুই কি ১৪৪ বছরের অঙ্কে? না। এবারের কুম্ভ দেখিয়েছে, সাধারণের সঙ্গে অসাধারণের মিল এই মেলায় আর হচ্ছে না। দলিতের পাশে বসে ধনী শিল্পপতিকে আর ভাণ্ডারা খেতে দেখা যাচ্ছে না। সদগোপের পাশে দাঁড়িয়ে হাতজোড় করে কোনও কোটিপতি প্রবচন শুনছেন না। তাঁদের কাছে এই কুম্ভমেলা সত্যিই ‘হ্যাপেনিং’। দারুণ ব্যবস্থাপনা, পুলিসি সাহায্য, আলাদা জায়গায় স্নান... কে বলে ‘মিসম্যানেজমেন্ট’? বাংলার এমপিও ডুবকি লাগিয়ে উঠে বলছেন, এমন সুন্দর অভিজ্ঞতা হয়নি আগে। ঠিক জায়গা মতো প্লাগ গোঁজার সংস্থান যাঁদের আছে, তাঁদের কাছে সবটাই মিথ্যা প্রচার। মাউন্টেড পুলিস যাঁদের একমাত্র সম্বল ওই ঝোলাটুকু ঘোড়ার খুরের নীচে পিষে দিচ্ছে না, তাঁরা উপভোগ করছেন এই ধর্মীয় মহামিলনকে। কিন্তু তাঁরা ভুলে যাচ্ছেন, 
তাঁদের সংখ্যাটা পাঁচ হলে সত্যিকারের ভারত পাঁচ লক্ষ। ভিআইপিদের প্রচার ওই ভারতের জন্য নয়। সুবিধাও নয়। তাদের প্রিয়জন এই মেলায় এসে পদপিষ্ট হয়, তবু তারা হাঁটে। উন্মুক্ত জায়গাতেই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে হয় তাদের। পুলিস, সাফাইকর্মী দাঁড়িয়ে দেখে। হাসে। আঙুল তুলে দেখিয়ে সহকর্মীর সঙ্গে মজা করে। লজ্জায় মুখটুকু ঢেকে তারা ঈশ্বরকে ডাকে। তাও আসে। মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায় অজানায়, মেলে না ঠিকঠাক ডেথ সার্টিফিকেট, কিংবা কখনও দেহটাও... তবু তারা হাত জোড় করে ডুব দেয় পুণ্যসলিলায়। সামান্য একটু পুণ্যের খোঁজে। ট্রেনে উঠতে গিয়ে ভিড়ের চাপে চিরতরে হারিয়ে যায় তাদের স্ত্রী-মেয়ে। তারপরও তারা খোঁজ নেয় প্রয়াগরাজ স্পেশালের। কারণ যে একটাই... ১৪৪ বছর। হ্যালির ধুমকেতুও ৭৬ বছরে আসে। আর মহাকুম্ভ ১৪৪ বছরে একবার। এ সুযোগ পাবে না আর... তাই দাম দিয়েই চলেছে সত্যিকারের ভারত। গরিব ভারত। ধর্মপ্রাণ ভারত। তারা ভাবছে না যে, এই সুযোগে কতই না রাজনীতি কামিয়ে নিচ্ছে ভেকধারী গেরুয়া বাহিনী। এই ভারতের কাছে তুচ্ছ যে মৃত্যুও! ভিড় তাই আসানসোল স্টেশনে, লখনউ থেকে এলাহাবাদগামী জাতীয় সড়কে, পাটনা থেকে মুঘলসরাইগামী বাসে। সেই ভিড় সম্পৃক্তও নয়... অতিপৃক্ত। বাতাস গলে যাওয়ারও জায়গা নেই তাতে। তীর্থের এমনই টান। পুণ্যলাভের এমনই মহিমা। 
গোকুলে ছোট্ট শ্রীকৃষ্ণ সেই পুরোহিতকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তীর্থে গিয়ে কী খুঁজে পেলেন?’ পুরোহিত মশাই উত্তর দিয়েছিলেন, ‘শান্তি।’ শ্রীকৃষ্ণের আবার প্রশ্ন ছিল, ‘আর ঈশ্বর?’ পুরোহিতের জবাব ছিল, ‘তাঁকে কি বললেই পাওয়া যায়? অনেক সাধনা করতে হয়। অনেক তীর্থ করতে হয়।’ হেসে শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন, ‘কে জানে, তীর্থে গিয়েও যা পাননি, হয়তো এই বাড়িরই কোনও কোণার ঘরে তাঁকে পেয়ে যাবেন।’ রাজনীতি আমাদের এই শিক্ষা দেয় না। বরং তারা ধর্মের মোড়কটাকে আরও বেশি চেকনাই করে তোলে। তারা ডাকে... আরও বেশি করে। তাহলেই যে তাদের অর্থনীতির শ্রীবৃদ্ধি। ক্ষমতার উত্তরণ। মনে পড়ে ‘বর্তমান’-এরই সাংবাদিক সমৃদ্ধ দত্তর এক অভিজ্ঞতার কথা। প্রয়াগেই তাঁর দেখা হয়েছিল খয়রাশোল থেকে যাওয়া উজ্জ্বল পালের সঙ্গে। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, ‘ভগবানের মোবাইল নম্বরটা জানেন তো?’ সাংবাদিক দু’পাশে মাথা নাড়লে একটু ক্ষুণ্ণ হয়ে তাঁর উত্তর ছিল, ‘এটাও জানেন না!’ কর গুনতে গুনতে শিখিয়েছিলেন উজ্জ্বলবাবু আট ডিজিটের নম্বর... ‘হরেকৃষ্ণ হরেকৃষ্ণ, কৃষ্ণকৃষ্ণ হরেহরে/ হরেরাম হরেরাম, রামরাম হরেহরে।’ বলেছিলেন, ‘এই নিন। সারাদিন যখন সময় পাবেন, ডায়াল করবেন। একদিন না একদিন কানেকশন হবেই।’ 
এটাই যে সনাতন ভারত। তারা রাজনীতি জানে না। বোঝে না। দুঃখ পায়। প্রিয়জনের দেহ কাঁধে নিয়ে বাড়িতে ফেরে। তারপরও ক্ষমা করে দেয় রাজনীতির কারবারিদের। ঠাকুরের আসল শিক্ষাটা যে তারাই নিয়েছে... ‘ক্ষমা পরম ধর্ম’। তাই এই ভারত সাধনায় মাতে। কর্ম করে। ফলের আশা না করেই। 
25th  February, 2025
শোলের ৫০ বছর, তবু অটুট যৌবনের জেল্লা
সন্দীপন বিশ্বাস

বৈঠকে সকলেরই চিন্তান্বিত মুখ। তাহলে কি সব আশার বিনাশ হল অঙ্কুরেই? ওদিকে বেশ কয়েকটি বিরোধী প্রোডাকশন হাউস পার্টি দিতে শুরু করেছে। তারা আড়ালে দুয়ো দিয়ে বলছে, ‘ফুঃ! 
  বিশদ

চালের দাম বাড়ছে, কিন্তু ফিক্সড ডিপোজিটের সুদ?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আয়করে ছাড়ের সীমা ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা হওয়ার পর সবকটা এলআইসি সারেন্ডার করে দিয়েছে সমরেশ। পুরনো কাঠামোয় আয়কর দেওয়ার তো আর প্রশ্নই ওঠে না।
বিশদ

04th  March, 2025
হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অবাঞ্ছিত চেষ্টা
পি চিদম্বরম

বিনা উসকানিতে যুদ্ধ—কোনও উচ্চ লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য নয়, তা করার পিছনে বরং একটি দলীয় মতাদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য থাকে। বিজেপির মধ্যে অবশ্য বিনা উসকানিতেই যুদ্ধ নামার প্রবণতা বিদ্যমান। নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি) এর উদাহরণ।
বিশদ

03rd  March, 2025
ট্যাংরা কাণ্ড নীরবে যে শিক্ষা দিয়ে গেল
হিমাংশু সিংহ

কী শেখাল ট্যাংরার সম্পন্ন ব্যবসায়ী পরিবারের মাত্র এক রাতে শেষ হয়ে যাওয়ার মর্মন্তুদ কাহিনি। নিঃসন্দেহে এই বাংলায় হালের অন্যতম বড় পারিবারিক বিপর্যয়ের ঘটনা। এ নিয়ে দু’সপ্তাহ পরও শহর থেকে প্রত্যন্ত জেলা, মানুষের প্রশ্নের অভাব নেই। খণ্ড খণ্ড উত্তর মিললেও এখনও পুরো বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
বিশদ

02nd  March, 2025
মমতার প্রতিপক্ষ বলেই ফ্যাসিস্ট নয় বিজেপি!
তন্ময় মল্লিক

শেষ পর্যন্ত কি ঝুলি থেকে বেড়ালটা বেরিয়েই পড়ল? বিজেপি সম্পর্কে দেশের বৃহত্তম বামপন্থী দলটির সর্বশেষ মূল্যায়ন সামনে এসেছে। তাতে সিপিএম এখন আর বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদির সরকারকে ‘ফ্যাসিবাদী শক্তি’ মনে করে না।
বিশদ

01st  March, 2025
যুগদিশারি শ্রীরামকৃষ্ণ
স্বামী আত্মবোধানন্দ

মহামানবেরা নির্জীব সত্যগুলিকে ধরে সাধনা দ্বারা জীবন্ত করে দেন। তখন সত্য আমাদের জিজ্ঞাসামাত্র থাকে না। তা আমাদের প্রাণের আশ্রয় হয়ে ওঠে। সাধক-ভক্ত মহামানব বা অবতারকে বাইরের ইন্দ্রিয়লোকে না রেখে, তাঁকে একেবারে অন্তরলোকে নিয়ে ‘মনের মানুষ’ করেন, তখন আর সীমার বা পরিমাণের বোধ থাকে না।
  বিশদ

01st  March, 2025
বিশ্বে নতুন ইতিহাসের সূচনা: ভারত কী করবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

কঙ্গো অথবা লিবিয়া। লেবানন কিংবা নাইজেরিয়া।  সারাক্ষণ কেন যুদ্ধ অথবা গৃহযুদ্ধ লেগে থাকে? অভ্যন্তরীণ সংঘাত? দুই গোষ্ঠী, সরকার বনাম বিদ্রোহীর ক্ষমতার লড়াই? গণতন্ত্র বনাম স্বৈরাচার? এসব কারণেই তাবৎ সংঘাত ঘটছে। কিন্তু আসলে সেই কারণ গৌণ। মুখ্য কারণ মিনারেলসের লড়াই।
বিশদ

28th  February, 2025
দুনিয়া কাঁপানো সাত দিন!
মৃণালকান্তি দাস

আমরা জানি না শান্তি আগে আসে, নাকি বসন্ত। কিন্তু আমরা জানি বসন্ত অবশ্যই আসবে। যেখানে সবকিছু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে, সেখানেও বসন্ত আসবে। ঘাস গজাবে পরিখায়, মৃত সেনাদের হাড়ের ভিতর দিয়ে। পুড়ে যাওয়া সাঁজোয়া যানগুলির উপরেও।
বিশদ

27th  February, 2025
যোগী রাজ্যে ধর্মের বেসাতি
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

 

লাশ, সর্বত্র লাশ। প্রয়াগের সঙ্গম থেকে নয়াদিল্লির স্টেশন—স্তূপাকার লাশ। সরকারি হিসেবে সংখ্যাটা এখনও পর্যন্ত ৫৫। কিন্তু কে না জানে, বাস্তবের সঙ্গে সরকারি হিসেব কখনওই মেলে না। বাস্তবে সংখ্যাটা হাজার ছাড়িয়ে যাওয়াও আশ্চর্যের নয়। সেই লাশের স্তূপের উপর দাঁড়িয়েই চলছে মোদি-যোগীর ২ লক্ষ কোটি টাকার বেসাতি— ধর্মের নামে।
বিশদ

26th  February, 2025
প্রয়াগে ঠাকুর, সারদা মা পুণ্যস্নান করেছিলেন
হারাধন চৌধুরী

আজ, মহাশিবরাত্রি এবং ৪৫ দিনের মহাকুম্ভ মেলার শেষদিন। কোটি কোটি ভক্তজনের পুণ্যস্নানকে কেন্দ্র করে অনেকগুলি মর্মান্তিক ঘটনা ইতিমধ্যেই ঘটে গিয়েছে।
বিশদ

26th  February, 2025
বেকারত্ব, উৎপাদন, মুদ্রাস্ফীতি, গরিব উপেক্ষিত
পি চিদম্বরম

সরকারের দেওয়া শুকনো প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে আমি সাধারণত সন্দেহ পোষণ করে থাকি। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য একটি সময়সূচি মেনটেন করতে পছন্দ করি। আর চাই কাজের শেষে একটি পারফর্ম্যান্স রিপোর্ট থাকবে।
বিশদ

24th  February, 2025
রাজনীতির ওঠাপড়া

এই রাজ্যের দুই প্রধান বিরোধী দলের গ্রহণযোগ্যতা শূন্যে উড়ে বেড়ানো দিশাহীন বেলুনের মতো! আসলে আসন্ন নির্বাচনে সিপিএম, বিজেপি কেউ ক্ষমতা দখলের জন্য লড়াই করছে না। সিপিএম লড়ছে শূন্যের গ্লানি মোচনের লক্ষ্যে। যদিও তাও খুব সহজ হবে না। আর বিজেপি লড়ছে, গতবারের ৭৭টি আসনের অন্তত অর্ধেক আসনে মানরক্ষার টার্গেট হাতে নিয়ে।
বিশদ

23rd  February, 2025
একনজরে
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হঠাৎ প্রসূতিদের শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ার ঘটনায় তদন্তে নামল স্বাস্থ্যদপ্তর। শুধু অ্যান্টিবায়োটিকের রি-অ্যাকশন, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে সেই রিপোর্ট ...

বিএনপি সহ একাধিক রাজনৈতিক দল দাবি করেছে, চলতি বছরের শেষেই বাংলাদেশে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। চাপের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসও জানিয়েছিলেন, আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন হতে পারে। ...

গ্রামীণ বা শহর এলাকায় প্লাস্টিকের সমস্যা দীর্ঘদিনের। আর এই সমস্যা মেটানোর জন্য তৎপর হয়েছে প্রশাসন। তাই গ্রিন টাইবুনালের নিয়ম মেনে অব্যবহৃত প্লাস্টিক দিয়ে উত্তর ২৪ ...

মতের অমিল মিটিয়ে দিল এপিকে গরমিলের ঘটনা।  বিবাদ ভুলে এককাট্টা মৃণাল সরকার, গৌতম দাস, সুভাষ ভাওয়াল। দীর্ঘদিন পর জেলার সাংগঠনিক মিটিংয়ে গঙ্গারামপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে দেখা গেল তৃণমূলের সব গোষ্ঠীর নেতৃত্বকে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিপার্শ্বিক কোনও ঘটনা চিন্তা বাড়াতে পারে। সাংস্কৃতিক কর্মে যোগদান ও মানসিক তৃপ্তিলাভ। শরীরের খেয়াল রাখুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৩৯৭- অক্সফোর্ডের নতুন কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।
১৫৫৮- ইউরোপে প্রথম ধূমপানে তামাক ব্যবহার শুরু হয়
১৮১৫- ‘প্রাণী চুম্বকত্বের’ (ম্যাসমেরিজম) প্রবক্তা ফ্রানৎস ম্যাসমের মৃত্যু
১৮২২- ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘সমাচার চন্দ্রিকা’ প্রকাশিত হয়
১৮৩৩- অবিভক্ত ভারতের প্রথম দুই মহিলা কাদিম্বিনী ও চন্দ্রমুখী বসু স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন
১৯৯০- অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৩৯- সাহিত্যিক দিব্যেন্দু পালিতের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৫৩ টাকা ৮৮.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৩২ টাকা ১১৩.১১ টাকা
ইউরো ৯০.২৬ টাকা ৯৩.৬৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৭,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৫,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৫,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২০ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫। পঞ্চমী ২৩/১৫ দিবা ৩/১৭। ভরণী নক্ষত্র ৫১/৩৮ রাত্রি ২/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৫৯/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৩৭/১৯। অমৃতযোগ দিবা ৮/১৯ গতে ১০/৩৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/৩১ মধ্যে পুনঃ ৩/১৭ গতে ৪/৫০ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৭ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৫ গতে ১১/২৩ মধ্যে পুনঃ ১/৫১ গতে ৩/৩১ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৯ গতে ৮/৪৩ মধ্যে।
১৯ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫। পঞ্চমী  রাত্রি ৭/৫৫। অশ্বিনী নক্ষত্র দিবা ৮/৫২। সূর্যোদয় ৬/২, সূর্যাস্ত ৫/৩৭। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩ গতে ১০/২৮ মধ্যে ও ১২/৫৪ গতে ২/৩১ মধ্যে ও ৩/১৯ গতে ৪/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩২ মধ্যে ও ৮/৫৫ গতে ১১/১৭ মধ্যে ও ১/৪০ গতে ৩/১৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১০ গতে ৮/৪৩ মধ্যে। 
৩ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হলেন রাচীন রবীন্দ্র

10:43:00 PM

ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়ে বীরভূমের লাভপুরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হলেন বৃদ্ধ দম্পতি

10:36:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫০ রানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছল নিউজিল্যান্ড

10:22:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): সেঞ্চুরি করলেন ডেভিড মিলার, দক্ষিণ আফ্রিকা ৩১২/৯ (৫০ ওভার), টার্গেট ৩৬৩

10:21:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): হাফসেঞ্চুরি করলেন ডেভিড মিলার, দক্ষিণ আফ্রিকা ২৬৩/৯ (৪৬.৪ ওভার), টার্গেট ৩৬৩

10:05:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): ১৬ রানে আউট কাগিসো রাবাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা ২৫৬/৯ (৪৫.৩ ওভার), টার্গেট ৩৬৩

09:58:00 PM