Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিশ্বে নতুন ইতিহাসের সূচনা: ভারত কী করবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

কঙ্গো অথবা লিবিয়া। লেবানন কিংবা নাইজেরিয়া।  সারাক্ষণ কেন যুদ্ধ অথবা গৃহযুদ্ধ লেগে থাকে? অভ্যন্তরীণ সংঘাত? দুই গোষ্ঠী, সরকার বনাম বিদ্রোহীর ক্ষমতার লড়াই? গণতন্ত্র বনাম স্বৈরাচার? এসব কারণেই তাবৎ সংঘাত ঘটছে। কিন্তু আসলে সেই কারণ গৌণ। মুখ্য কারণ মিনারেলসের লড়াই। খনিজ সম্পদ। কোন খনিজ? সবথেকে বেশি জরুরি ব্যাটারি নির্মাণে যে সব খনিজের প্রয়োজন। কেন? বিশ্বজুড়ে সবথেকে বেশি চাহিদা এখন লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির। তিনটি কারণে? মোবাইল ইন্ডাস্ট্রি, ইলেকট্রিক ভেহিকেল এবং সোলার এনার্জি। কানাডা, চীন, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া সহ আন্তর্জাতিক বহু সংস্থার এক ও একমাত্র লক্ষ্য বিশ্বের সেইসব দেশে প্রবেশ করা, যেখানে এইসব খনিজ পাওয়া যায়। 
যে দেশের কাছে যত বেশি ক্রিটিকাল মিনারেলস থাকবে আগামী দিনে, সেই দেশের অর্থনীতি এবং বাণিজ্য তত বেশি ফুলে-ফেঁপে উঠবে। এই প্রবণতাকে আন্তর্জাতিক কূটনীতির জগতে কী বলা হচ্ছে? নিউ কোল্ড ওয়ার। অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে আরও ৪০ শতাংশ বাড়বে বিশ্বের কোবাল্ট ডিমান্ড। সবথেকে বেশি কোবাল্ট অর্থাৎ ৭০ শতাংশ কোথায় উৎপাদন হয়? কঙ্গোয়। কোথায় ২০ বছর ধরে যুদ্ধ অথবা গৃহযুদ্ধ চলছে? কঙ্গোয়। ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এনার্জি ১৭টি ক্রিটিকাল মিনারেলসের তালিকা তৈরি করেছে। যার মধ্যে অন্যতম হল কোবাল্ট, ডিসপ্রোসিয়াম, ন্যাচারাল গ্রাফাইট, ইরিডিয়াম, গালিয়াম ইত্যাদি। ঠিক এই খনিজগুলি প্রধানত কী কাজে লাগে? আর্থ ম্যাগনেট, ব্যাটারি, এলইডি, হাইড্রোজেন ইলেকট্রোলাইজার উৎপাদনে। 
ক্রিটিকাল মিনারেলস উৎপাদনে সবথেকে এগিয়ে কোন রাষ্ট্রের সংস্থা? চীন। এবং আমেরিকা সিংহভাগ ক্ষেত্রেই আমদানি নির্ভর। কোথা থেকে আমদানি করতে বাধ্য হচ্ছে আমেরিকা? চীন। তাহলে আমেরিকার এখনই কী প্রয়োজন? নিজের হাতে প্রত্যক্ষ অধিকারে থাকবে এরকম কোনও খনিজ সম্পদের সম্ভার। 
ওয়াশিংটনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট  আজ কার সঙ্গে জরুরি বৈঠক করবেন একটি বিশেষ চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য? ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। কী সেই চুক্তি? ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে প্রস্তাব দিয়েছেন আমেরিকা ইউক্রেনকে ৩০০ থেকে ৫০০ বিলিয়ন ডলার অনুদান দেবে। ইউক্রেনের পুনর্গঠনের জন্য। বিনিময়ে কী করতে হবে ইউক্রেনকে? তার খনিজ সম্পদের দরজা খুলে দিতে হবে আমেরিকার কাছে। একটি বিশেষ তহবিল তৈরি হবে। তার নাম ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড। সেই তহবিলে থাকা টাকা দিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে পুনরায় গঠন করা হবে। কিন্তু সেই ফান্ডের অধিকার সিংহভাগ থাকবে আমেরিকার হাতে। 
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের অন্যতম কারণ কী ছিল? ইউক্রেনের মাটির নীচে থাকা অগাধ ক্রিটিকাল মিনারেলস! কত? বিশ্বের ৬ শতাংশ ক্রিটিকাল মিনারেলস ইউক্রেনের মাটির নীচে। যার মধ্যে ২০০ লক্ষ টন গ্রাফাইট আছে। গ্রাফাইট কেন গুরুত্বপূর্ণ? ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারি নির্মাণ করা হয় গ্রাফাইট দিয়ে। ক্রাইমেট প্রোটোকলে এক নম্বর দেশ হওয়ার লক্ষ্যে তেল নির্ভরতা কমাতে আমেরিকা ১০০ শতাংশ ইলেকট্রিক ভেহিকেলের লক্ষ্য নিয়েছে। আর তাই গ্রাফাইটের কতটা প্রয়োজন সহজেই অনুমেয়। 
কিন্তু এত সহজ নাকি এভাবে ইউক্রেনের খনিজ আমেরিকার হাতে চলে আসা? সহজ নয়। কারণ রাশিয়া কি এতদিন ধরে বিনা কারণে যুদ্ধ করল? কী জানা যাচ্ছে তথ্য পরিসংখ্যানে? জানা যাচ্ছে, ৩৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ক্রিটিকাল মিনারেলস এই মুহূর্তে রয়েছে রাশিয়া অধিকৃত ইউক্রেনের এলাকায়। অর্থাৎ যুদ্ধের সময়সীমায় ইউক্রেনের যে এলাকা রাশিয়া সর্বাগ্রে নিয়ম করে দখল করে নিয়েছে, সেই সবই হল আদতে মাটির নীচে বা পাহাড়ের অন্দরে মিনারেলস থাকা অঞ্চল। 
তাহলে কি অবশেষে জলে ভাসতে চলেছে শিলা? অসম্ভবও সম্ভব হবে বাণিজ্যিক লক্ষ্যে? অর্থাৎ আমেরিকা এবং রাশিয়া বন্ধু হয়ে যাবে? রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে সাম্প্রতিক ইউক্রেন সংক্রান্ত প্রস্তাবে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ট্রাম্পের আমেরিকা ভোট দিয়েছে। কী ছিল প্রস্তাব? রাশিয়াকে ইউক্রেনে আাক্রমণকারী বলা যাবে না! আমেরিকা সমর্থন করেছে। গোটা পশ্চিমী দুনিয়া স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছে। আর কে এই প্রস্তাবের পক্ষে? উত্তর কোরিয়া! তাহলে ক্রমেই বিশ্বের কোন কোন পাওয়ার সেন্টার পরস্পরের বন্ধু হওয়ার আভাস দেখাচ্ছে? আমেরিকা, চীন, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া। এই চারটি রাষ্ট্রের মধ্যে সাদৃশ্য কোথায়? চার রাষ্ট্রপ্রধান সবথেকে বেশি পছন্দ করেন একনায়কতন্ত্র মনোভাবকে। গণতন্ত্র নয়, তাঁদের পছন্দ স্বৈরতন্ত্র! তাঁরা প্রত্যেকেই নিজেদের দেশে জনপ্রিয়। এবং বলশালী। এবং উগ্র জাতীয়তাবাদের প্রচারক। 
বদলে যাচ্ছে পৃথিবী? আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় সবথেকে বেশি চর্চা এখন যা চলছে, সেটি হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর দুনিয়ায় আবার এই প্রথম লক্ষ করা যাচ্ছে নতুন এক বিশ্ব সমীকরণ তৈরি হতে চলেছে। সোজা কথায় এমন একটি সময় ২০২৫ সালে প্রবেশ করেছে, যেটি পৃথিবীর নতুন ইতিহাসের সন্ধিক্ষণ রচনা করতে চলেছে। ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা এবং ইওরোপের সঙ্গে ট্রাম্পের আমেরিকা এতদিনের সম্পর্ক ছিন্ন করার ইঙ্গিত দেখাচ্ছে। সম্পূর্ণ নতুন একটি পৃথিবীর ক্ষমতার ভারসাম্য নির্মাণকার্য চলছে। পরিচিত শত্রুপক্ষ এখন পরস্পরের বন্ধু হচ্ছে। ৮০ বছরের পুরনো বন্ধুত্বে বিচ্ছেদ সৃষ্টি হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে চরম এক অনিশ্চিয়তার সৃষ্টি হয়েছে। বাণিজ্য, আমদানি, রপ্তানি, মাইগ্রেশন, অভিবাসী নাগরিক এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘ। সব কিছুই অনিশ্চিত একটি সময়কালে প্রবেশ করেছে। 
ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভ্লাদিমির পুতিন, জি জিনপিং এই ত্রয়ী বিশ্বের সবথেকে বেশি ক্ষমতা নিয়ে বসে আছেন। তাঁরা যদি সব শত্রুতা সরিয়ে রেখে হাত মেলান, তাহলে কেমন হবে ভবিষ্যৎ পৃথিবী? ইওরোপজুড়ে প্রবল আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তাদের আমেরিকা বার্তা দিয়েছে, চীন অথবা রাশিয়া নয়, ওইসব দেশের আসল সমস্যা নিজেদের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি এবং গণতান্ত্রিক পরিসর কমে যাওয়া। আগে নিজেদের অর্থনীতির দিকে তারা নজর দিক। অন্যদের উপর নির্ভরশীল হলে কোনও রাষ্ট্র সম্মান পায় না। খোদ মার্কিন উপ রাষ্ট্রপতি এই বার্তা দিয়েছেন। অর্থাৎ আমেরিকা নির্ভরতা থেকে ইওরোপ বেরিয়ে আসুক। 
ঠিক এখানেই প্রশ্ন উঠছে ভারত কী করবে? ট্রাম্প একবারও এখনও পর্যন্ত ভারতকে আমেরিকার লাগবেই এরকম কোনও বার্তা দেননি। তিনি উল্টে  হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সমান ও বিপরীত শুল্ক চাপানোর। ভারত থেকে বেআইনি পথে আমেরিকা যাওয়া ভারতীয়দের ফেরত পাঠানো শুরু হয়েছে দলে দলে। এমনকী গ্রিন কার্ড নীতির বদল হতে পারে। অর্থাৎ যে অভিবাসীরা আমেরিকার নাগরিক, তাঁদেরও যে সেই নাগরিকত্ব নিরাপদ এরকম নয়। মার্কিন সরকারের পার্সোনেল দপ্তর সরকারি কর্মীদের চিঠি পাঠিয়ে জানতে চেয়েছে গত এক সপ্তাহে কী কাজ করেছেন? বিস্তারিত জানান। জানাতে না পারলে ইস্তফা দিতে হবে। আতঙ্কে সরকারি কর্মীরা। 
সুতরাং এমতাবস্থায় এই নতুন বিশ্বসমীকরণের আবহে ভারতকে এখনই স্থির করতে হবে যে, তারা কী করবে। বোঝাই যাচ্ছে, ট্রাম্প চাইছেন কোনওরকম প্রতিপক্ষ শিবির বলে কিছু থাকবে না। থাকবে দুটি শিবির। একদিকে ক্ষমতাবান রাষ্ট্রগুলির জোট। তারা রাজা। অন্যদিকে দুর্বল রাষ্ট্রগুলি। অর্থাৎ অনুগামী অথবা বিরোধী। দুর্বল রাষ্ট্রগুলি ক্ষমতাবানের জোটে আসতে চাইলেও তাদের জোটসঙ্গী হিসেবে বিবেচনা করা হবে না।
 মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্স গত সপ্তাহে জার্মানির মিউনিখে গিয়ে বলেছেন, হিয়ার কামস দ্য নিউ শেরিফ ইন টাউন! বিশ্ব ক্ষমতায়নের মানচিত্রে নতুন কর্তা এসে গিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি হলেন ট্রাম্প। সুতরাং হয় তাঁর অধীনস্থ হয়ে থাকতে হবে, অথবা তাঁর রোষানলে পড়তে হবে। ভারত, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, রাশিয়া মিলে একটি জোট গঠন করেছিল। তার নাম ব্রিকস। সম্প্রতি ট্রাম্প উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, ব্রিকস ইজ ডেড! ওসব গুরুত্বপূর্ণ নয়। প্রশ্ন হল, এখনও পর্যন্ত ট্রাম্পের কোনও মন্তব্যের প্রতিবাদ কিংবা পক্ষে বিপক্ষে মন্তব্য করেননি ভ্লাদিমির পুতিন! তাঁর মনে কী আছে? জিনপিং কী ভাবছেন? তাঁরা কি ট্রাম্পের প্ল্যানেরই সমর্থক? অর্থাৎ শক্তিশালী কয়েকটি রাষ্ট্র মিলে ক্রমেই হবে অঘোষিতভাবে পৃথিবীর শাসক? বাকিরা প্রজা? 
মন্দির, মসজিদ, হিন্দি, হিন্দু, মুসলিম, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন এইসব থেকে এবার তো একটু বেরিয়ে আসতে হবে! দুনিয়া যে বদলে যাচ্ছে! ১৪৩ কোটি জনসংখ্যা এবং ৬৫ শতাংশ যুবসমাজের একটি শক্তিশালী দেশ কি চুপচাপ পৃথিবীর ইতিহাসের এই বদলে যাওয়া স্রেফ দেখে যাবে? ভারত কী করবে? 
ভারত সরকার আপাতত ব্যস্ত বিরোধী রাজ্যগুলি দখল নিয়ে। তারা পশ্চিমবঙ্গ দখলেরও ছক কষছে। কেন? কারণ ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, বিহার, দখল হয়ে গিয়েছে। খনিজ সম্পদে অন্যতম প্রধান রাজ্য দখল হয়নি এখনও। বাংলা। 
28th  February, 2025
শোলের ৫০ বছর, তবু অটুট যৌবনের জেল্লা
সন্দীপন বিশ্বাস

বৈঠকে সকলেরই চিন্তান্বিত মুখ। তাহলে কি সব আশার বিনাশ হল অঙ্কুরেই? ওদিকে বেশ কয়েকটি বিরোধী প্রোডাকশন হাউস পার্টি দিতে শুরু করেছে। তারা আড়ালে দুয়ো দিয়ে বলছে, ‘ফুঃ! 
  বিশদ

চালের দাম বাড়ছে, কিন্তু ফিক্সড ডিপোজিটের সুদ?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আয়করে ছাড়ের সীমা ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা হওয়ার পর সবকটা এলআইসি সারেন্ডার করে দিয়েছে সমরেশ। পুরনো কাঠামোয় আয়কর দেওয়ার তো আর প্রশ্নই ওঠে না।
বিশদ

04th  March, 2025
হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অবাঞ্ছিত চেষ্টা
পি চিদম্বরম

বিনা উসকানিতে যুদ্ধ—কোনও উচ্চ লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য নয়, তা করার পিছনে বরং একটি দলীয় মতাদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য থাকে। বিজেপির মধ্যে অবশ্য বিনা উসকানিতেই যুদ্ধ নামার প্রবণতা বিদ্যমান। নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি) এর উদাহরণ।
বিশদ

03rd  March, 2025
ট্যাংরা কাণ্ড নীরবে যে শিক্ষা দিয়ে গেল
হিমাংশু সিংহ

কী শেখাল ট্যাংরার সম্পন্ন ব্যবসায়ী পরিবারের মাত্র এক রাতে শেষ হয়ে যাওয়ার মর্মন্তুদ কাহিনি। নিঃসন্দেহে এই বাংলায় হালের অন্যতম বড় পারিবারিক বিপর্যয়ের ঘটনা। এ নিয়ে দু’সপ্তাহ পরও শহর থেকে প্রত্যন্ত জেলা, মানুষের প্রশ্নের অভাব নেই। খণ্ড খণ্ড উত্তর মিললেও এখনও পুরো বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
বিশদ

02nd  March, 2025
মমতার প্রতিপক্ষ বলেই ফ্যাসিস্ট নয় বিজেপি!
তন্ময় মল্লিক

শেষ পর্যন্ত কি ঝুলি থেকে বেড়ালটা বেরিয়েই পড়ল? বিজেপি সম্পর্কে দেশের বৃহত্তম বামপন্থী দলটির সর্বশেষ মূল্যায়ন সামনে এসেছে। তাতে সিপিএম এখন আর বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদির সরকারকে ‘ফ্যাসিবাদী শক্তি’ মনে করে না।
বিশদ

01st  March, 2025
যুগদিশারি শ্রীরামকৃষ্ণ
স্বামী আত্মবোধানন্দ

মহামানবেরা নির্জীব সত্যগুলিকে ধরে সাধনা দ্বারা জীবন্ত করে দেন। তখন সত্য আমাদের জিজ্ঞাসামাত্র থাকে না। তা আমাদের প্রাণের আশ্রয় হয়ে ওঠে। সাধক-ভক্ত মহামানব বা অবতারকে বাইরের ইন্দ্রিয়লোকে না রেখে, তাঁকে একেবারে অন্তরলোকে নিয়ে ‘মনের মানুষ’ করেন, তখন আর সীমার বা পরিমাণের বোধ থাকে না।
  বিশদ

01st  March, 2025
দুনিয়া কাঁপানো সাত দিন!
মৃণালকান্তি দাস

আমরা জানি না শান্তি আগে আসে, নাকি বসন্ত। কিন্তু আমরা জানি বসন্ত অবশ্যই আসবে। যেখানে সবকিছু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে, সেখানেও বসন্ত আসবে। ঘাস গজাবে পরিখায়, মৃত সেনাদের হাড়ের ভিতর দিয়ে। পুড়ে যাওয়া সাঁজোয়া যানগুলির উপরেও।
বিশদ

27th  February, 2025
যোগী রাজ্যে ধর্মের বেসাতি
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

 

লাশ, সর্বত্র লাশ। প্রয়াগের সঙ্গম থেকে নয়াদিল্লির স্টেশন—স্তূপাকার লাশ। সরকারি হিসেবে সংখ্যাটা এখনও পর্যন্ত ৫৫। কিন্তু কে না জানে, বাস্তবের সঙ্গে সরকারি হিসেব কখনওই মেলে না। বাস্তবে সংখ্যাটা হাজার ছাড়িয়ে যাওয়াও আশ্চর্যের নয়। সেই লাশের স্তূপের উপর দাঁড়িয়েই চলছে মোদি-যোগীর ২ লক্ষ কোটি টাকার বেসাতি— ধর্মের নামে।
বিশদ

26th  February, 2025
প্রয়াগে ঠাকুর, সারদা মা পুণ্যস্নান করেছিলেন
হারাধন চৌধুরী

আজ, মহাশিবরাত্রি এবং ৪৫ দিনের মহাকুম্ভ মেলার শেষদিন। কোটি কোটি ভক্তজনের পুণ্যস্নানকে কেন্দ্র করে অনেকগুলি মর্মান্তিক ঘটনা ইতিমধ্যেই ঘটে গিয়েছে।
বিশদ

26th  February, 2025
পুণ্যের আশা, রাজনীতির ফল
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভিড়ের স্রোতের মধ্যে বয়ে যেতে যেতেই ডান পা’টা আটকে গেল রামশরণের। কাঁধে একটা ঝোলা, আর ডান হাতে ব্যাগটা থাকায় প্রথমে ঠাহর করতে পারলেন না। ঘাড়টা একটু বেঁকিয়ে দেখতে পেলেন, এক বৃদ্ধা তাঁর পা’টা চেপে ধরেছে।
বিশদ

25th  February, 2025
বেকারত্ব, উৎপাদন, মুদ্রাস্ফীতি, গরিব উপেক্ষিত
পি চিদম্বরম

সরকারের দেওয়া শুকনো প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে আমি সাধারণত সন্দেহ পোষণ করে থাকি। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য একটি সময়সূচি মেনটেন করতে পছন্দ করি। আর চাই কাজের শেষে একটি পারফর্ম্যান্স রিপোর্ট থাকবে।
বিশদ

24th  February, 2025
রাজনীতির ওঠাপড়া

এই রাজ্যের দুই প্রধান বিরোধী দলের গ্রহণযোগ্যতা শূন্যে উড়ে বেড়ানো দিশাহীন বেলুনের মতো! আসলে আসন্ন নির্বাচনে সিপিএম, বিজেপি কেউ ক্ষমতা দখলের জন্য লড়াই করছে না। সিপিএম লড়ছে শূন্যের গ্লানি মোচনের লক্ষ্যে। যদিও তাও খুব সহজ হবে না। আর বিজেপি লড়ছে, গতবারের ৭৭টি আসনের অন্তত অর্ধেক আসনে মানরক্ষার টার্গেট হাতে নিয়ে।
বিশদ

23rd  February, 2025
একনজরে
পাঁচদিন আটকে রেখে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বন্ধুর বিরুদ্ধে। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের ঘটনা। ১৭ বছরের নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবকের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। ...

গ্রামীণ বা শহর এলাকায় প্লাস্টিকের সমস্যা দীর্ঘদিনের। আর এই সমস্যা মেটানোর জন্য তৎপর হয়েছে প্রশাসন। তাই গ্রিন টাইবুনালের নিয়ম মেনে অব্যবহৃত প্লাস্টিক দিয়ে উত্তর ২৪ ...

বিএনপি সহ একাধিক রাজনৈতিক দল দাবি করেছে, চলতি বছরের শেষেই বাংলাদেশে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। চাপের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসও জানিয়েছিলেন, আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন হতে পারে। ...

আইসিএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েকে নিয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার পথে অটো উল্টে মৃত্যু হল মায়ের। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে শ্যামনগর পাওয়ার হাউস মোড়ে ঘোষপাড়া রোডে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিপার্শ্বিক কোনও ঘটনা চিন্তা বাড়াতে পারে। সাংস্কৃতিক কর্মে যোগদান ও মানসিক তৃপ্তিলাভ। শরীরের খেয়াল রাখুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৩৯৭- অক্সফোর্ডের নতুন কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।
১৫৫৮- ইউরোপে প্রথম ধূমপানে তামাক ব্যবহার শুরু হয়
১৮১৫- ‘প্রাণী চুম্বকত্বের’ (ম্যাসমেরিজম) প্রবক্তা ফ্রানৎস ম্যাসমের মৃত্যু
১৮২২- ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘সমাচার চন্দ্রিকা’ প্রকাশিত হয়
১৮৩৩- অবিভক্ত ভারতের প্রথম দুই মহিলা কাদিম্বিনী ও চন্দ্রমুখী বসু স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন
১৯৯০- অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৩৯- সাহিত্যিক দিব্যেন্দু পালিতের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৫৩ টাকা ৮৮.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৩২ টাকা ১১৩.১১ টাকা
ইউরো ৯০.২৬ টাকা ৯৩.৬৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৭,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৫,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৫,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২০ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫। পঞ্চমী ২৩/১৫ দিবা ৩/১৭। ভরণী নক্ষত্র ৫১/৩৮ রাত্রি ২/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৫৯/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৩৭/১৯। অমৃতযোগ দিবা ৮/১৯ গতে ১০/৩৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/৩১ মধ্যে পুনঃ ৩/১৭ গতে ৪/৫০ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৭ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৫ গতে ১১/২৩ মধ্যে পুনঃ ১/৫১ গতে ৩/৩১ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৯ গতে ৮/৪৩ মধ্যে।
১৯ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫। পঞ্চমী  রাত্রি ৭/৫৫। অশ্বিনী নক্ষত্র দিবা ৮/৫২। সূর্যোদয় ৬/২, সূর্যাস্ত ৫/৩৭। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩ গতে ১০/২৮ মধ্যে ও ১২/৫৪ গতে ২/৩১ মধ্যে ও ৩/১৯ গতে ৪/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩২ মধ্যে ও ৮/৫৫ গতে ১১/১৭ মধ্যে ও ১/৪০ গতে ৩/১৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১০ গতে ৮/৪৩ মধ্যে। 
৩ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হলেন রাচীন রবীন্দ্র

10:43:00 PM

ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়ে বীরভূমের লাভপুরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হলেন বৃদ্ধ দম্পতি

10:36:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫০ রানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছল নিউজিল্যান্ড

10:22:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): সেঞ্চুরি করলেন ডেভিড মিলার, দক্ষিণ আফ্রিকা ৩১২/৯ (৫০ ওভার), টার্গেট ৩৬৩

10:21:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): হাফসেঞ্চুরি করলেন ডেভিড মিলার, দক্ষিণ আফ্রিকা ২৬৩/৯ (৪৬.৪ ওভার), টার্গেট ৩৬৩

10:05:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): ১৬ রানে আউট কাগিসো রাবাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা ২৫৬/৯ (৪৫.৩ ওভার), টার্গেট ৩৬৩

09:58:00 PM