হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়গ্রাম ব্লকের নগরগ্রাম একটি ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা। এখানেই রয়েছে বিভিন্ন সরকারি অফিস থেকে বাজারগুলি। প্রায় ১৪ বছর ধরে গোটা এলাকায় পিএইচই দপ্তরের পক্ষ থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাসিন্দাদের পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছিল। পাম্প মেশিনের সাহায্যে জল উঠিয়ে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হতো সকাল ও সন্ধ্যায় ২ ঘণ্টা করে। কিন্তু প্রায় দু’মাস হল এই পরিষেবা একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমনকী, পাম্প ঘরের তালাও দু’মাস খোলেনি বলে অভিযোগ।
বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’মাস হল ফরাক্কা হলদিয়া-বাদশাহি সড়ক সংস্কার শুরু হয়েছে। রাস্তা সংস্কারের সঙ্গে চওড়াও করা হচ্ছে। সেই কাজ এখনও চলছে। কিন্তু সংস্কারের সময়েই জলের ওই পাইপ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর রাস্তার প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হলেও পাইপ লাইন মেরামত করা হয়নি। ফলে দু’মাস পরেও বাসিন্দাদের জল সঙ্কট মেটেনি।
স্থানীয় মোমিনপাড়ার গৃহবধূ সুলেখা বিবি বলেন, আমাদের পাড়ায় অধিকাংশ দুঃস্থ পরিবারের বাস। আগে ট্যাপ থেকে জল পেতাম, সমস্যা হতো না। কিন্তু দু’মাস হল চরম সমস্যায় পড়েছি। এখানে সবাই প্রতিবেশীদের বাড়ি থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করছেন। আর প্রতিবেশীদের বাড়িতে দু’বারের বেশি তিনবার গেলেই কথা শোনাচ্ছে। অপর গৃহবধূ সাবিনা বিবি বলেন, এলাকায় একটি মাত্র সরকারি সাবমার্সিবল পাম্প রয়েছে। সেখানে চরম ভিড় লেগে থাকে। তাই প্রতিবেশীদের কথা শুনতে হলেও আমাদের উপায় নেই। আমরা চাই দ্রুত সমস্যার সমাধান হোক। যদিও সমস্যা থেকে রেহাই পেতে এলাকার সচ্ছল পরিবারগুলি নিজেদের বাড়িতেই সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে নিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী রাইহান মোমিন বলেন, প্রায় দু’মাস হল পাম্প বিক্রি অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এই সঙ্কট থেকে রেহাই পেতে অনেকে কিস্তিতেও পাম্প কিনছেন। এবিষয়ে খড়গ্রামের বিডিও মিলনী দাস জানান, রাস্তার কাজের সময় পাইপ লাইন ভেঙে যাওয়ায় বিপত্তি তৈরি হয়েছে। তবে, এনিয়ে বৃহস্পতিবার পিএইচই দপ্তরের সঙ্গে আমাদের মিটিং রয়েছে। ওই মিটিংয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধানের কথা তুলে ধরা হবে।