Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

শোলের ৫০ বছর, তবু অটুট যৌবনের জেল্লা
সন্দীপন বিশ্বাস

বৈঠকে সকলেরই চিন্তান্বিত মুখ। তাহলে কি সব আশার বিনাশ হল অঙ্কুরেই? ওদিকে বেশ কয়েকটি বিরোধী প্রোডাকশন হাউস পার্টি দিতে শুরু করেছে। তারা আড়ালে দুয়ো দিয়ে বলছে, ‘ফুঃ! ফালতু মাল্টি স্টারার নিয়ে হাইপ তুলেছিল। বেশ হয়েছে, দেখ কেমন লাগে!’ অবশ্য এসব বলার কারণও ছিল। প্রথম কয়েকদিনের মধ্যেই বোঝা গেল এ ছবি ফ্লপ। তাকে রক্ষা করার ক্ষমতা কারও নেই। একটি সংবাদপত্র সপ্তাহ পেরনোর আগেই বের করে দিল চিত্র সমালোচনা। ফালা ফালা করে কাটা হল ছবিটাকে। এ কেমন চিত্রনাট্য! একগাদা অভিনেতা, অভিনেত্রী নিয়েও ছবিটা দাঁড়াল না। ইংরেজি অ্যাকশনের টুকলি করে দিলেই ছবি হিট করে না। নানা শ্লেষাত্মক মন্তব্যে বিদ্ধ হল ‘শোলে’। 
এসব ১৯৭৫ সালের কথা। ১৫ আগস্ট রিলিজ করেছে শোলে। কিন্তু প্রথম সপ্তাহের ব্যবসা দেখে সকলেরই মন খারাপ। তিন কোটি টাকার ছবি, প্রথম সপ্তাহে আয় মাত্র ৬৯ লক্ষ টাকা। এ ছবিকে কি বাঁচানো যাবে না? তাই পথ খুঁজতে বৈঠকে বসলেন পরিচালক রমেশ সিপ্পি, প্রযোজক জি পি সিপ্পি, চিত্রনাট্যকার সেলিম খান ও জাভেদ আখতার। বৈঠক বসেছে জাভেদের বাড়িতেই। রমেশ বললেন, ‘আমার মনে হয় কয়েকটা দৃশ্যের জন্য ছবিটা মার খেয়ে গেল। এখনও তো ছবিটা সব জায়গায় রিলিজ করেনি, কয়েকটা দৃশ্য নতুন করে তুলে ছবি ভারতের অন্যত্র রিলিজ করানো যায়, তাহলে কিছু পয়সা উঠে আসতে পারে।’ 
কথাটা শুনে জোরে জোরে মাথা ঝাঁকালেন সেলিম ও জাভেদ।  দু’জনেই জোরের সঙ্গে বললেন, ‘ভারতীয় চলচ্চিত্রে শোলে এক নতুন ধারার ছবি। এ ছবি হিট করবেই। আমাদের মনে হয় প্রচারে কোনও খামতি আছে।’ রমেশ সিপ্পি কিছুটা আশার আলো দেখলেও পুরোপুরি ভরসা করতে পারলেন না। তবুও তৎকালীন বোম্বের দু’টি সংবাদপত্রে ফুল পেজ বিজ্ঞাপন দেওয়া হল। দ্বিতীয়, তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ব্যবসা একটু একটু করে বাড়তে লাগল। তাও খুব বেশি নয়। ধীরে ধীরে শোলে রিলিজ করতে লাগল দেশের অন্য প্রদেশেও। মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়তে লাগল ছবির আলোচনা। মাউথ পাবলিসিটির ফলে লাফ মারল ব্যবসা। নবম সপ্তাহে শোলে ব্যবসা করেছিল ৫৯ লক্ষ টাকা। দশম সপ্তাহে বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মারামারি, টিকিটের হাহাকার শুরু হল। দু’টাকার টিকিট ব্ল্যাক হল পাঁচ-ছ’টাকায়। দশম সপ্তাহে শোলে ব্যবসা করল ৯ কোটি টাকা। এরপর আর ছবিকে পিছনের দিকে তাকাতে হয়নি। হু হু করে বেড়েছে শোলের জনপ্রিয়তা আর ব্যবসা। পঞ্চাশ বছরে এই ছবি একটা মিথ হয়ে গিয়েছে। ব্যবসার নিরিখে অন্যেরা শোলেকে টপকে গেলেও ৫০ বছর ধরে রাজত্ব করার ক্ষমতা দেখিয়েছে একমাত্র শোলে। আজও টিভিতে ছবিটি দেখানো হলে অনেকেই হাতের কাজ ফেলে বসে পড়েন। চরিত্রগুলোর সঙ্গে নিজেরাই মনে মনে সংলাপ আওড়ান। ‘তুম অগর এক মারোগে তো হম চার মারেঙ্গে’, ‘আরে ও শামা, কিতনা ইনাম রাখা হ্যায় রে সরকার হাম পর’, ‘ইয়ে হাত নেহি, ফাঁসি কা ফান্দা।’
৫০ বছর পরে ফিরে তাকালে মনে হয় এমন জনপ্রিয়, সুপারহিট, বাণিজ্যিক সফল ছবি আমাদের দেশে খুব কমই তৈরি হয়েছে। সেই বিনোদন যেন সর্বজনীন ও সর্বকালীন হয়ে আছে। যে সময়ের প্রেক্ষাপটে ছবিটা রিলিজ করেছিল, সেই বিক্ষুব্ধ সময় এখন আর নেই। সময়ের প্রাসঙ্গিকতা ও প্রেক্ষাপট বদলেছে, কিন্তু বদলায়নি তার বিনোদনের মাত্রাহীন আবেদন। শুধু বিনোদন নয়, শোলের মধ্যে যে বদলা, যে চ্যালেঞ্জ, যে হিংসার বিন্যাস রয়েছে, সেটাকে সম্যক বুঝতে গেলে সেই সময়কে একটু ছুঁয়ে দেখা দরকার। ১৯৭৫ সালের ২৯ জুন সারাদেশে ঘোষিত হল জরুরি অবস্থা। ভারতের মানুষের অবস্থা কি রামগড়বাসীর মতো ছিল না? আতঙ্ক, উৎকণ্ঠার জীবন কেড়ে নিয়েছিল মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা। গব্বর সিংয়ের অত্যাচার, উৎপীড়ন মানুষের জীবনকে অসহায় করে তুলেছিল। সেই অসহায় মানুষের প্রতীক ঠাকুরসাব। তাঁর দুটো হাত কেটে নেওয়া হয়েছে, গণতন্ত্র পঙ্গু। এই অবস্থায় মুক্তির জন্য অসহায় মানুষের মনে প্রতিবাদের জন্ম নেয়। সে স্বপ্ন দেখে, একদিন এই দমবন্ধ করা অবস্থা থেকে মুক্তি মিলবে। মানুষের প্রত্যাশা পূরণের সেই যোদ্ধা দু’জন হলেন জয় এবং বীরু। লড়াই, বিদ্রোহ, বদলা চাই। হিংসার মধ্য দিয়েই জয় আসে। হিংসার ব্যাপক ব্যবহার, মৃত্যুর ঘনঘটা সত্ত্বেও আসলে মহাভারতের মতো এখানেও দু’টি শক্তির দ্বন্দ্ব। একটি পাণ্ডব বা ঠাকুরসাবের শিবির, অন্যটি কৌরব বা গব্বর সিংদের শিবির। মহাভারতের মতোই হিংসা, যুদ্ধের মধ্য দিয়েই যেন অশুভ শক্তির বিনাশ করে সত্যের প্রতিষ্ঠা করা হল। 
সময়ের এই পরিপ্রেক্ষিতে একটি কমার্শিয়াল ফিল্ম তৈরির জন্য সেলিম ও জাভেদ বেছে নিলেন আকিরা কুরোসাওয়ার বিখ্যাত ছবি ‘সেভেন সামুরাই’-এর গল্পের আদলটিকে। ৭১ বছর আগে তৈরি জাপানি ছবিটি সেই সময় সারা বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। দস্যুরা গ্রামবাসীদের ফসল লুট করে নিয়ে পালায়। তাঁদের পক্ষে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় না। তখন গ্রামবাসীরা সাতজন সামুরাই বা যোদ্ধাকে ভাড়া করে নিয়ে আসেন বদলা নেওয়ার জন্য। ১৫৫৪ সালে নির্মিত সেভেন সামুরাইয়ের গল্পকে অনুসরণ করে আজ পর্যন্ত বিশ্বে অসংখ্য ছবি নির্মিত হয়েছে। ১৯৬০ সালে হলিউডে তৈরি হয়েছিল ‘ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন’। এছাড়া তৈরি হয় ‘দ্য ডার্টি  ডজন’, ‘দ্য স্যাভেজ সেভেন’ সহ অসংখ্য ছবি। 
বলিউডে অন্তত এক ডজন ছবি তৈরি হয়েছে সেভেন সামুরাইয়ের থিমটিকে মাথায় রেখে। ‘সাত হিন্দুস্তানি’, ‘খোটে সিক্কে’, ‘হুকুমত’, ‘তহলকা’, ‘কিমত’, ‘চায়না গেট’ ইত্যাদি। তবে সুপার ডুপারহিট ছবিটির নাম হল ‘শোলে’। একপাতার গল্পটি শুনে বহু প্রযোজকই সেলিম-জাভেদকে ফিরিয়ে দেন। কিন্তু রাজি হলেন রমেশ সিপ্পি। তিনি বললেন, ‘ভালো করে চিত্রনাট্য লেখো। আমি এটা নিয়ে একটা বিগ বাজেটের ছবি করতে চাই। মনে হচ্ছে গল্পটার মধ্যে সম্ভাবনা রয়েছে।’ 
সেলিম-জাভেদের যুগলবন্দি মানেই তখন একের পর এক হিট ছবি। সাতের দশকের গোড়া থেকেই এই জুটি উপহার দিয়েছে ‘আন্দাজ’, ‘হাতি মেরে সাথি’, ‘সীতা আউর গীতা’, ‘জঞ্জির’, ‘ইঁয়াদো কি বরাত’, ‘মজবুর’, ‘হাত কি সাফাই’, ‘দিওয়ার’ ইত্যাদি। সেলিম তৈরি করেন সিকোয়েন্স, চরিত্র, অ্যাকশন। তার ওপরে জাভেদের সংলাপ অসাধারণ ইন্টিরিয়র ডেকোরেশনের কাজ করে। সেলিম বলেন, ‘গ্রাম থেকে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা তিন শাগরেদকে গুলি করে মেরে ফেলবে গব্বর। দাও ঠাকুরসাবের হাত কেটে। তাঁর পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলো। 
শেষ দৃশ্যে মারো বীরুকে। তবেই লোকে মনে ব্যথা নিয়ে হল থেকে বেরবে। সংলাপ দিয়ে সুন্দর করে সিকোয়েন্সকে সাজাও। গব্বরের অত্যাচারের বীভৎসতা দেখানো না গেলে চ্যালেঞ্জ বা বদলা ততটা টানটান হবে না। শুরু থেকেই অ্যাকশনে বাঁধতে হবে।’ চিত্রনাট্যের পাশাপাশি জাভেদের তৈরি সেই সংলাপও আজ অমর হয়ে রয়েছে। ‘কিতনে আদমি থে’, ‘সরকার তেরা নমক খায়া’, ‘আভি গোলি খা’, ‘বহোৎ জান হ্যায় তেরে হাতো মে ঠাকুর, ইয়ে হাত মুঝে দে দে’। সংলাপ লিখতে গিয়ে জাভেদের মনে হয়েছিল, গব্বর সিংয়ের সংলাপ অন্যদের মতো অতটা ভদ্রজনোচিত করার দরকার নেই। একটু রাফটাফ ভাষা, একটু অবভাষা দিতে পারলে সম্ভবত সমীকরণটা আরও জমে যাবে। তাই নতুন ‘মাস্তানি শব্দ’ দিলেন গব্বরের সংলাপে, ‘খুরজ খুরজ’, ‘ফরফরারা’ ইত্যাদি।
জয়-বীরু-ঠাকুরসাবের পাশাপাশি শোলের আর একটি স্তম্ভ গব্বর সিং। প্রথম ছবিতেই একটা নতুন ধারার অভিনয় নিয়ে এলেন আমজাদ খান। অথচ ড্যানি গব্বরের ভূমিকায় অভিনয় করতে রাজি হলে বলিউডে আমজাদ খানের উদয় হতো কি না সন্দেহ। ড্যানির হাতে তখন ‘ধর্মাত্মা’ ছবির অফার আছে। তিনি ঠিক করতে পারলেন না কী করবেন। গল্প শুনে ভাবলেন, খোটে সিক্কের মতোই গল্পের আদলটা। যদি হিট না করে। তার থেকে ‘ধর্মাত্মা’ করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এর পর অনেককেই অফার করা হয় গব্বরের চরিত্রটা। কেউই রাজি হননি। তখন জাভেদের মনে পড়ে অভিনেতা জয়ন্তর ছেলে আমজাদের কথা। বহুদিন আগে মঞ্চে একটা নাটকে তিনি তাঁর বলিষ্ঠ অভিনয় দেখেছিলেন। রমেশ সিপ্পিকে তাঁর কথা বলতে তিনি রাজি হয়ে গেলেন। এরপর ইতিহাস। বারবার তর্ক হয়েছে, ভারতীয় চলচ্চিত্রে সেরা ভিলেন চরিত্র কোনটি, গব্বর না মোগাম্বো?
কলকাতায় ‘শোলে’ আলোড়ন তুলেছিল। কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন, মারামারি, এমনকী দু’এক জায়গায় টিকিট কাউন্টারের সামনে বোমাবাজির ঘটনাও ঘটেছে। একটানা ছবি চলার রেকর্ড রয়েছে অশোককুমার অভিনীত ‘কিসমত’ ছবিটির। ছবিটি কলকাতার রক্সি হলে একটানা ১৮৪ সপ্তাহ চলেছিল। জ্যোতি সিনেমায় শোলে চলেছিল টানা ১০৩ সপ্তাহ। কিন্তু জনপ্রিয়তার নিরিখে আজও টানটান ভারতীয় চলচ্চিত্রের মহাকাব্য ‘শোলে’। এখনও তার যৌবনের জেল্লা অটুট।  
চালের দাম বাড়ছে, কিন্তু ফিক্সড ডিপোজিটের সুদ?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আয়করে ছাড়ের সীমা ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা হওয়ার পর সবকটা এলআইসি সারেন্ডার করে দিয়েছে সমরেশ। পুরনো কাঠামোয় আয়কর দেওয়ার তো আর প্রশ্নই ওঠে না।
বিশদ

04th  March, 2025
হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অবাঞ্ছিত চেষ্টা
পি চিদম্বরম

বিনা উসকানিতে যুদ্ধ—কোনও উচ্চ লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য নয়, তা করার পিছনে বরং একটি দলীয় মতাদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য থাকে। বিজেপির মধ্যে অবশ্য বিনা উসকানিতেই যুদ্ধ নামার প্রবণতা বিদ্যমান। নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি) এর উদাহরণ।
বিশদ

03rd  March, 2025
ট্যাংরা কাণ্ড নীরবে যে শিক্ষা দিয়ে গেল
হিমাংশু সিংহ

কী শেখাল ট্যাংরার সম্পন্ন ব্যবসায়ী পরিবারের মাত্র এক রাতে শেষ হয়ে যাওয়ার মর্মন্তুদ কাহিনি। নিঃসন্দেহে এই বাংলায় হালের অন্যতম বড় পারিবারিক বিপর্যয়ের ঘটনা। এ নিয়ে দু’সপ্তাহ পরও শহর থেকে প্রত্যন্ত জেলা, মানুষের প্রশ্নের অভাব নেই। খণ্ড খণ্ড উত্তর মিললেও এখনও পুরো বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
বিশদ

02nd  March, 2025
মমতার প্রতিপক্ষ বলেই ফ্যাসিস্ট নয় বিজেপি!
তন্ময় মল্লিক

শেষ পর্যন্ত কি ঝুলি থেকে বেড়ালটা বেরিয়েই পড়ল? বিজেপি সম্পর্কে দেশের বৃহত্তম বামপন্থী দলটির সর্বশেষ মূল্যায়ন সামনে এসেছে। তাতে সিপিএম এখন আর বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদির সরকারকে ‘ফ্যাসিবাদী শক্তি’ মনে করে না।
বিশদ

01st  March, 2025
যুগদিশারি শ্রীরামকৃষ্ণ
স্বামী আত্মবোধানন্দ

মহামানবেরা নির্জীব সত্যগুলিকে ধরে সাধনা দ্বারা জীবন্ত করে দেন। তখন সত্য আমাদের জিজ্ঞাসামাত্র থাকে না। তা আমাদের প্রাণের আশ্রয় হয়ে ওঠে। সাধক-ভক্ত মহামানব বা অবতারকে বাইরের ইন্দ্রিয়লোকে না রেখে, তাঁকে একেবারে অন্তরলোকে নিয়ে ‘মনের মানুষ’ করেন, তখন আর সীমার বা পরিমাণের বোধ থাকে না।
  বিশদ

01st  March, 2025
বিশ্বে নতুন ইতিহাসের সূচনা: ভারত কী করবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

কঙ্গো অথবা লিবিয়া। লেবানন কিংবা নাইজেরিয়া।  সারাক্ষণ কেন যুদ্ধ অথবা গৃহযুদ্ধ লেগে থাকে? অভ্যন্তরীণ সংঘাত? দুই গোষ্ঠী, সরকার বনাম বিদ্রোহীর ক্ষমতার লড়াই? গণতন্ত্র বনাম স্বৈরাচার? এসব কারণেই তাবৎ সংঘাত ঘটছে। কিন্তু আসলে সেই কারণ গৌণ। মুখ্য কারণ মিনারেলসের লড়াই।
বিশদ

28th  February, 2025
দুনিয়া কাঁপানো সাত দিন!
মৃণালকান্তি দাস

আমরা জানি না শান্তি আগে আসে, নাকি বসন্ত। কিন্তু আমরা জানি বসন্ত অবশ্যই আসবে। যেখানে সবকিছু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে, সেখানেও বসন্ত আসবে। ঘাস গজাবে পরিখায়, মৃত সেনাদের হাড়ের ভিতর দিয়ে। পুড়ে যাওয়া সাঁজোয়া যানগুলির উপরেও।
বিশদ

27th  February, 2025
যোগী রাজ্যে ধর্মের বেসাতি
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

 

লাশ, সর্বত্র লাশ। প্রয়াগের সঙ্গম থেকে নয়াদিল্লির স্টেশন—স্তূপাকার লাশ। সরকারি হিসেবে সংখ্যাটা এখনও পর্যন্ত ৫৫। কিন্তু কে না জানে, বাস্তবের সঙ্গে সরকারি হিসেব কখনওই মেলে না। বাস্তবে সংখ্যাটা হাজার ছাড়িয়ে যাওয়াও আশ্চর্যের নয়। সেই লাশের স্তূপের উপর দাঁড়িয়েই চলছে মোদি-যোগীর ২ লক্ষ কোটি টাকার বেসাতি— ধর্মের নামে।
বিশদ

26th  February, 2025
প্রয়াগে ঠাকুর, সারদা মা পুণ্যস্নান করেছিলেন
হারাধন চৌধুরী

আজ, মহাশিবরাত্রি এবং ৪৫ দিনের মহাকুম্ভ মেলার শেষদিন। কোটি কোটি ভক্তজনের পুণ্যস্নানকে কেন্দ্র করে অনেকগুলি মর্মান্তিক ঘটনা ইতিমধ্যেই ঘটে গিয়েছে।
বিশদ

26th  February, 2025
পুণ্যের আশা, রাজনীতির ফল
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভিড়ের স্রোতের মধ্যে বয়ে যেতে যেতেই ডান পা’টা আটকে গেল রামশরণের। কাঁধে একটা ঝোলা, আর ডান হাতে ব্যাগটা থাকায় প্রথমে ঠাহর করতে পারলেন না। ঘাড়টা একটু বেঁকিয়ে দেখতে পেলেন, এক বৃদ্ধা তাঁর পা’টা চেপে ধরেছে।
বিশদ

25th  February, 2025
বেকারত্ব, উৎপাদন, মুদ্রাস্ফীতি, গরিব উপেক্ষিত
পি চিদম্বরম

সরকারের দেওয়া শুকনো প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে আমি সাধারণত সন্দেহ পোষণ করে থাকি। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য একটি সময়সূচি মেনটেন করতে পছন্দ করি। আর চাই কাজের শেষে একটি পারফর্ম্যান্স রিপোর্ট থাকবে।
বিশদ

24th  February, 2025
রাজনীতির ওঠাপড়া

এই রাজ্যের দুই প্রধান বিরোধী দলের গ্রহণযোগ্যতা শূন্যে উড়ে বেড়ানো দিশাহীন বেলুনের মতো! আসলে আসন্ন নির্বাচনে সিপিএম, বিজেপি কেউ ক্ষমতা দখলের জন্য লড়াই করছে না। সিপিএম লড়ছে শূন্যের গ্লানি মোচনের লক্ষ্যে। যদিও তাও খুব সহজ হবে না। আর বিজেপি লড়ছে, গতবারের ৭৭টি আসনের অন্তত অর্ধেক আসনে মানরক্ষার টার্গেট হাতে নিয়ে।
বিশদ

23rd  February, 2025
একনজরে
গ্রামীণ বা শহর এলাকায় প্লাস্টিকের সমস্যা দীর্ঘদিনের। আর এই সমস্যা মেটানোর জন্য তৎপর হয়েছে প্রশাসন। তাই গ্রিন টাইবুনালের নিয়ম মেনে অব্যবহৃত প্লাস্টিক দিয়ে উত্তর ২৪ ...

পাঁচদিন আটকে রেখে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বন্ধুর বিরুদ্ধে। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের ঘটনা। ১৭ বছরের নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবকের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। ...

আইসিএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েকে নিয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার পথে অটো উল্টে মৃত্যু হল মায়ের। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে শ্যামনগর পাওয়ার হাউস মোড়ে ঘোষপাড়া রোডে। ...

২০১৫-র ২৬ মার্চ আর ২০২৫-এর ৪ মার্চ। এক দশকের ব্যবধান। দশ বছর আগে ওডিআই বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নেমেছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্রিগেড। অভিশপ্ত সেই ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিপার্শ্বিক কোনও ঘটনা চিন্তা বাড়াতে পারে। সাংস্কৃতিক কর্মে যোগদান ও মানসিক তৃপ্তিলাভ। শরীরের খেয়াল রাখুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৩৯৭- অক্সফোর্ডের নতুন কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।
১৫৫৮- ইউরোপে প্রথম ধূমপানে তামাক ব্যবহার শুরু হয়
১৮১৫- ‘প্রাণী চুম্বকত্বের’ (ম্যাসমেরিজম) প্রবক্তা ফ্রানৎস ম্যাসমের মৃত্যু
১৮২২- ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘সমাচার চন্দ্রিকা’ প্রকাশিত হয়
১৮৩৩- অবিভক্ত ভারতের প্রথম দুই মহিলা কাদিম্বিনী ও চন্দ্রমুখী বসু স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন
১৯৯০- অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৩৯- সাহিত্যিক দিব্যেন্দু পালিতের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৫৩ টাকা ৮৮.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৩২ টাকা ১১৩.১১ টাকা
ইউরো ৯০.২৬ টাকা ৯৩.৬৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৭,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৫,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৫,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২০ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫। পঞ্চমী ২৩/১৫ দিবা ৩/১৭। ভরণী নক্ষত্র ৫১/৩৮ রাত্রি ২/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৫৯/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৩৭/১৯। অমৃতযোগ দিবা ৮/১৯ গতে ১০/৩৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/৩১ মধ্যে পুনঃ ৩/১৭ গতে ৪/৫০ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৭ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৫ গতে ১১/২৩ মধ্যে পুনঃ ১/৫১ গতে ৩/৩১ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৯ গতে ৮/৪৩ মধ্যে।
১৯ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫। পঞ্চমী  রাত্রি ৭/৫৫। অশ্বিনী নক্ষত্র দিবা ৮/৫২। সূর্যোদয় ৬/২, সূর্যাস্ত ৫/৩৭। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩ গতে ১০/২৮ মধ্যে ও ১২/৫৪ গতে ২/৩১ মধ্যে ও ৩/১৯ গতে ৪/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩২ মধ্যে ও ৮/৫৫ গতে ১১/১৭ মধ্যে ও ১/৪০ গতে ৩/১৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১০ গতে ৮/৪৩ মধ্যে। 
৩ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হলেন রাচীন রবীন্দ্র

10:43:00 PM

ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়ে বীরভূমের লাভপুরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হলেন বৃদ্ধ দম্পতি

10:36:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫০ রানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছল নিউজিল্যান্ড

10:22:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): সেঞ্চুরি করলেন ডেভিড মিলার, দক্ষিণ আফ্রিকা ৩১২/৯ (৫০ ওভার), টার্গেট ৩৬৩

10:21:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): হাফসেঞ্চুরি করলেন ডেভিড মিলার, দক্ষিণ আফ্রিকা ২৬৩/৯ (৪৬.৪ ওভার), টার্গেট ৩৬৩

10:05:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): ১৬ রানে আউট কাগিসো রাবাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা ২৫৬/৯ (৪৫.৩ ওভার), টার্গেট ৩৬৩

09:58:00 PM