Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

চালের দাম বাড়ছে, কিন্তু ফিক্সড ডিপোজিটের সুদ?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আয়করে ছাড়ের সীমা ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা হওয়ার পর সবকটা এলআইসি সারেন্ডার করে দিয়েছে সমরেশ। পুরনো কাঠামোয় আয়কর দেওয়ার তো আর প্রশ্নই ওঠে না। মাসে ৯০ হাজার টাকার উপর মাইনে পায় সে। মানে বছরে ১২ লাখের নীচেই থাকবে। এবার টাকা শেয়ার বাজারে খাটাবে বলেই ঠিক করেছে সমরেশ। কিন্তু সমস্যা একটাই, মার্কেটটা সে এতটুকু বোঝে না। লোকজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলে যা বুঝেছে, তাতে এসআইপি দিয়ে শুরু করাই ভালো। মানে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান আর কী। গোদা বাংলায় সে বুঝেছে, এটা অনেকটা রেকারিংয়ের মতো। মাসে মাসে একটা নির্দিষ্ট অঙ্ক কেটে নেবে অ্যাকাউন্ট থেকে। তারপর সেই টাকা তার হয়ে সেই কোম্পানি খাটাবে বাজারে। খুব ধস না নামলে রিটার্ন যা পাওয়া যাবে, রেকারিংয়ের থেকে বেশি। 
দীনেশবাবু ছেলেকে অনেক শখ করে ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন, টেনে দিতে পারবেন। কোভিড এসে তাঁকে পথে বসায়নি ঠিকই, কিন্তু ফুটপাতে অবশ্যই দাঁড় করিয়েছে। কোভিডের সময় বেতন কাটা গিয়েছিল। এখনও সেই মাপকাঠি ছুঁতে পারেননি তিনি। মাঝে হু হু করে বেড়ে গিয়েছে ছেলের স্কুলের মাইনে। এখন সে পড়ে ক্লাস এইটে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে চাল ডালের দাম। কোম্পানির অ্যাকাউন্টস দপ্তরে কাজ করেন দীনেশবাবু। অঙ্কটা বোঝেন। সাধারণ পাটিগণিতের হিসেব ধরলেও এই চার বছরে ৫ শতাংশ গড়ে মূল্যবৃদ্ধি ২০ শতাংশ বেড়েছে। স্কুলের মাইনে বছরে ১০ শতাংশ হারে বেড়েছে ৪০ শতাংশ। মানে নিজের এবং পরিবারের সব শখ আহ্লাদ বিসর্জন দিয়েও তাঁর মাসের খরচ বেড়েছে ৬০ শতাংশ। আর বেতন? সেই তিমিরে। এখন প্রতিদিন অফিস থেকে বেরিয়ে টিউশন পড়াতে যান দীনেশবাবু। তাতে কিছুটা ইনকাম হয় ঠিকই। কিন্তু রুমাল দিয়ে কি আর চাদরের বন্দোবস্ত হয়? অগত্যা হর্ষবর্ধন ফর্মুলা... এর কাছ থেকে ধার নিয়ে ওকে শোধ করেন। আর ওর থেকে ধার নিয়ে একে। 
প্রতি তিনমাসে একবার করে সাইকেল নিয়ে চরতে বেরন বিমল চক্রবর্তী। অবসর নিয়েছেন বছর দুয়েক। বেশ কিছু টাকা পেয়েছিলেন রিটায়ার করার পর। ভেবেছিলেন, সুদেই দিব্যি চলে যাবে। সংসার বলতে তো দুটি প্রাণী, তিনি আর স্ত্রী। কী আর খরচ? কিন্তু মাস ছয়েক যেতেই টনক নড়ল তাঁর। সুদের টাকায় যে আর চলছে না! খাওয়া খরচের থেকে ওষুধের বোঝা অনেক বেশি। ছমাস আগে দুই বুড়ো বুড়ির ওষুধে লাগত হাজার তিনেক টাকা। এখন প্রায় চার হাজার। চালের দাম হঠাৎ কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে গিয়েছে। স্ত্রী অনুরাধাকে এতকিছু বলেননি। তিন মাস অন্তর সাইকেল চালিয়ে ব্যাঙ্কে ব্যাঙ্কে ঘোরেন। যেখানে বেশি সুদ পাওয়া যায়, সব টাকা তুলে সেখানে নিয়ে গিয়ে রাখেন। যা বেশি পাওয়া যায়, সেটাই লাভ। 
সেদিন বিমলবাবু কাগজে পড়েছেন, ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার কমাচ্ছে না ব্যাঙ্কগুলো। হাঁফ ছেড়েছেন তিনি। এমনিতেই ব্যাঙ্কে টাকা রেখে লাভ যে হয় না, সেটা বোঝা হয়ে গিয়েছে তাঁর। সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য স্টেট ব্যাঙ্ক সুদ দেয় ৭.৭৫ শতাংশ। বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলোতে সামান্য বেশি। তাও কোথাও ৮.৬৫ শতাংশের উপর খুঁজে পান না বিমলবাবু। সেক্ষেত্রে আবার সময়সীমার কম-বেশি আছে। এর বেশি পেতে হলে অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্বারস্থ হতে হবে। ভরসা পান না বয়স্ক মানুষটা। কিন্তু ছ’মাস অন্তর যেভাবে সংসার আর চিকিৎসা খরচ বাড়ছে, তা চোখে অন্ধকার দেখানোর জন্য যথেষ্ট। এই ক’টা টাকা তো সুদ! আসলে হাত পড়েই যাচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম যে হারে বাড়ছে, তার সঙ্গে ব্যাঙ্কের সুদ কোনওমতেই পাল্লা দিচ্ছে না। দেবেও না। বরং যত দিন যাবে, সেটা আরও কমবে। ২০১৪ সালে একজন সিনিয়র সিটিজেন ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট করলে ৯.২৫ শতাংশের আশপাশে সুদ পেতেন। মূল্যবৃদ্ধির হার ৫-৬ শতাংশ থাকলেও সংসার চালাতে অসুবিধা হতো না। এখন ভাবছেন বিমলবাবু... এভাবে আর কতদিন! শেয়ার বাজারে টাকা খাটাতে ভয় পান তিনি। ভাবেন, যদি সব টাকা ডুবে যায়? তাহলে তো আত্মহত্যা করা ছাড়া গতি থাকবে না। ব্যাঙ্ক সুদ কম দিতে পারে, টাকাটা তো সুরক্ষিত! এটুকুই না হয় প্রাপ্তি। তিনি জানেন না, ব্যাঙ্ক কিন্তু তাঁর মতো প্রবীণ নাগরিকদের কথা ভেবে ফিক্সড ডিপোজিটের সুদে তালা মেরে রেখেছে, এমনটা নয়! তারা আসলে পড়েছে উভয় সঙ্কটে। মূল্যবৃদ্ধির বাজারে সঞ্চয় প্রায় ভুলেই গিয়েছেন দীনেশবাবুরা। তাঁদের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরনোর দশা। ব্যাঙ্কে টাকা জমাবেন কী! আর আম জনতা যদি ব্যাঙ্কে টাকা না রাখে, তাহলে তাদের ডিপোজিট ধাক্কা খাবে। জমা টাকা পর্যাপ্ত না থাকলে লোন দেবে তারা কোথা থেকে? ইদানীং তো লোন নেওয়ার মতো লোকও খুঁজেপেতে আনতে হচ্ছে। ব্যাঙ্কের এই ভাঁড়ে মা ভবানী দশার প্রভাব কিন্তু পড়ছে শেয়ার বাজারেও। গত কয়েক মাসে শুধুমাত্র ব্যাঙ্কিং সেক্টরের শেয়ারের দাম কত পড়েছে, সেই পরিসংখ্যান দেখলেই ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। বহু বিশেষজ্ঞ দাবি করছেন, আমেরিকার নতুন সরকারের নীতির জন্যই ভারতের শেয়ার বাজারে ধস নেমেছে। সেটা একটা কারণ হতে পারে, কিন্তু একমাত্র নয়। তলানিতে থাকা ব্যাঙ্কের ডিপোজিটও আর একটা কারণ। এছাড়া রয়েছে উৎপাদন ক্ষেত্রের হাতে হ্যারিকেন দশা। বাজারে চাহিদা না থাকলে উৎপাদন বাড়বে না। তাকে সঙ্গত করবে মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব। তার প্রভাব দেশের আর্থিক বৃদ্ধি বা জিডিপির উপর পড়বেই। আর জিডিপি ৬-৬.৫ শতাংশে থমকে থাকলে শেয়ার বাজার কার ভরসায় বাড়বে? বিদেশি লগ্নিকারীরাও এখন ভারতের মার্কেট থেকে ডলার তুলে নিয়ে চীনের শেয়ার মার্কেটে ঢেলে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জমা আমানতের উপর সুদের হার কমিয়ে দিলে সাধারণ মানুষ আরও বেশি করে ব্যাঙ্ক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। অর্থাৎ ফিক্সড ডিপোজিট করবে না। তখন ব্যাঙ্কের হবে আরও শোচনীয় দশা। তাই আরবিআই রেপো রেট কমানোর পর বহু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক গৃহঋণের উপর সুদ কমিয়েছে ঠিকই, কিন্তু ফিক্সড ডিপোজিটে হাত দেয়নি। 
এখন প্রশ্ন হল, ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে এই মানুষগুলো রাখছেন কোথায়? ডাকঘরের এমআইএস বা মান্থলি ইনকাম স্কিমে কেউ কেউ রাখেন। তাতেও সুদের হার কিন্তু সেই সাড়ে সাত শতাংশের আশপাশে। মাসে মাসে সুদটা অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাচ্ছে, এই যা। বাড়তি কোনও লাভ নেই। ২০১৪ সালে কিন্তু এই সুদের হারই ছিল প্রায় সাড়ে আট শতাংশ। সাদা চোখে অঙ্কটা স্পষ্ট—মূল্যবৃদ্ধির হার যতটা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, সঞ্চয়ের উপর সুদ ততই কমেছে। মানুষকে বাধ্য করা হয়েছে শেয়ার বাজারে লগ্নিতে। অর্থাৎ, ঝুঁকিহীন বিনিয়োগে রাষ্ট্র আর আমার-আপনার পাশে নেই। স্টক মার্কেটে বেশি টাকা ঢুকলে কর্পোরেট তো বটেই, লাভ বাজার অর্থনীতিরও। তাই এখানে কাদের টেনে আনতে হবে? চাকরিজীবীদের। এবং অবশ্যই যাঁদের বেতন বছরে ১০ লক্ষ টাকার বেশি। সমরেশ দেখে নিয়েছেন, পুরনো কাঠামোয় কর দিতে গেল তাঁকে ৩০ শতাংশ গুনতে হচ্ছে। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন এবং বিনিয়োগের ছাড় জুড়েও লাভ হচ্ছে না। অথচ নতুন কাঠামোয় এবার তাঁকে আয়কর কিছুই দিতে হবে না। যে টাকাটা বেঁচে যাবে, সেটা দিয়ে এসআইপি তিনি করতেই পারেন। বয়স কম। ঝুঁকি তাই নিতেই পারেন। পাঁচ বছর মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা ঠিকমতো খাটলে রিটার্ন ব্যাঙ্কের থেকে বেশিই মিলবে। কিন্তু ধীমানবাবুর সেই সঙ্গতি নেই। তিনি ভাবছেন, কবে আয়ত্তে আসবে চাল-ডালের দাম। কবে মাস-মাইনেটা লাফিয়ে আর কয়েক ধাপ উঠবে। কবে ছেলের বোর্ড পরীক্ষা মিটবে, আর পড়ার খরচের বোঝা খানিক হালকা হবে। চারদিকে তিনি বিজ্ঞাপন দেখেন, রিটায়ারমেন্ট বেনিফিটের কথা ভাবুন। দিনে ১৫০ টাকা জমালে অবসরের পর দেড় কোটি টাকা ঘরে নিয়ে যান। অলীক স্বপ্ন মনে হয় ধীমানবাবুর। দিনে ১৫০ টাকা মানে মাসে সাড়ে চার হাজার। কোথায় পাবেন তিনি? ধীমানবাবু জানেন, শূন্য হাতে অবসর নিতে হবে। তারপর কী? ভাবতে পারেন না। 
ভাবতে পারেন না বিমল চক্রবর্তীও। রোজ দিনের শুরুটা করেন একরাশ দুশ্চিন্তা নিয়ে। আর সাত-দশ বছর বাঁচলে ঠিক আছে। কিন্তু তারপর? তিনি চলে যাওয়ার পর যদি অনুরাধা বেঁচে থাকে? ও কীভাবে চালাবে? পাশের বাড়ির গৌতমের কাছে শুনছিলেন বিমল চক্রবর্তী... ওর এজেন্সিতে নাকি লোক নেবে। সিকিওরিটি গার্ডের কাজটা এখনও চালিয়ে দিতেই পারবেন তিনি। ঘরে বসে থেকে হবেটা কী?
04th  March, 2025
শোলের ৫০ বছর, তবু অটুট যৌবনের জেল্লা
সন্দীপন বিশ্বাস

বৈঠকে সকলেরই চিন্তান্বিত মুখ। তাহলে কি সব আশার বিনাশ হল অঙ্কুরেই? ওদিকে বেশ কয়েকটি বিরোধী প্রোডাকশন হাউস পার্টি দিতে শুরু করেছে। তারা আড়ালে দুয়ো দিয়ে বলছে, ‘ফুঃ! 
  বিশদ

হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অবাঞ্ছিত চেষ্টা
পি চিদম্বরম

বিনা উসকানিতে যুদ্ধ—কোনও উচ্চ লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য নয়, তা করার পিছনে বরং একটি দলীয় মতাদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য থাকে। বিজেপির মধ্যে অবশ্য বিনা উসকানিতেই যুদ্ধ নামার প্রবণতা বিদ্যমান। নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি) এর উদাহরণ।
বিশদ

03rd  March, 2025
ট্যাংরা কাণ্ড নীরবে যে শিক্ষা দিয়ে গেল
হিমাংশু সিংহ

কী শেখাল ট্যাংরার সম্পন্ন ব্যবসায়ী পরিবারের মাত্র এক রাতে শেষ হয়ে যাওয়ার মর্মন্তুদ কাহিনি। নিঃসন্দেহে এই বাংলায় হালের অন্যতম বড় পারিবারিক বিপর্যয়ের ঘটনা। এ নিয়ে দু’সপ্তাহ পরও শহর থেকে প্রত্যন্ত জেলা, মানুষের প্রশ্নের অভাব নেই। খণ্ড খণ্ড উত্তর মিললেও এখনও পুরো বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
বিশদ

02nd  March, 2025
মমতার প্রতিপক্ষ বলেই ফ্যাসিস্ট নয় বিজেপি!
তন্ময় মল্লিক

শেষ পর্যন্ত কি ঝুলি থেকে বেড়ালটা বেরিয়েই পড়ল? বিজেপি সম্পর্কে দেশের বৃহত্তম বামপন্থী দলটির সর্বশেষ মূল্যায়ন সামনে এসেছে। তাতে সিপিএম এখন আর বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদির সরকারকে ‘ফ্যাসিবাদী শক্তি’ মনে করে না।
বিশদ

01st  March, 2025
যুগদিশারি শ্রীরামকৃষ্ণ
স্বামী আত্মবোধানন্দ

মহামানবেরা নির্জীব সত্যগুলিকে ধরে সাধনা দ্বারা জীবন্ত করে দেন। তখন সত্য আমাদের জিজ্ঞাসামাত্র থাকে না। তা আমাদের প্রাণের আশ্রয় হয়ে ওঠে। সাধক-ভক্ত মহামানব বা অবতারকে বাইরের ইন্দ্রিয়লোকে না রেখে, তাঁকে একেবারে অন্তরলোকে নিয়ে ‘মনের মানুষ’ করেন, তখন আর সীমার বা পরিমাণের বোধ থাকে না।
  বিশদ

01st  March, 2025
বিশ্বে নতুন ইতিহাসের সূচনা: ভারত কী করবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

কঙ্গো অথবা লিবিয়া। লেবানন কিংবা নাইজেরিয়া।  সারাক্ষণ কেন যুদ্ধ অথবা গৃহযুদ্ধ লেগে থাকে? অভ্যন্তরীণ সংঘাত? দুই গোষ্ঠী, সরকার বনাম বিদ্রোহীর ক্ষমতার লড়াই? গণতন্ত্র বনাম স্বৈরাচার? এসব কারণেই তাবৎ সংঘাত ঘটছে। কিন্তু আসলে সেই কারণ গৌণ। মুখ্য কারণ মিনারেলসের লড়াই।
বিশদ

28th  February, 2025
দুনিয়া কাঁপানো সাত দিন!
মৃণালকান্তি দাস

আমরা জানি না শান্তি আগে আসে, নাকি বসন্ত। কিন্তু আমরা জানি বসন্ত অবশ্যই আসবে। যেখানে সবকিছু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে, সেখানেও বসন্ত আসবে। ঘাস গজাবে পরিখায়, মৃত সেনাদের হাড়ের ভিতর দিয়ে। পুড়ে যাওয়া সাঁজোয়া যানগুলির উপরেও।
বিশদ

27th  February, 2025
যোগী রাজ্যে ধর্মের বেসাতি
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

 

লাশ, সর্বত্র লাশ। প্রয়াগের সঙ্গম থেকে নয়াদিল্লির স্টেশন—স্তূপাকার লাশ। সরকারি হিসেবে সংখ্যাটা এখনও পর্যন্ত ৫৫। কিন্তু কে না জানে, বাস্তবের সঙ্গে সরকারি হিসেব কখনওই মেলে না। বাস্তবে সংখ্যাটা হাজার ছাড়িয়ে যাওয়াও আশ্চর্যের নয়। সেই লাশের স্তূপের উপর দাঁড়িয়েই চলছে মোদি-যোগীর ২ লক্ষ কোটি টাকার বেসাতি— ধর্মের নামে।
বিশদ

26th  February, 2025
প্রয়াগে ঠাকুর, সারদা মা পুণ্যস্নান করেছিলেন
হারাধন চৌধুরী

আজ, মহাশিবরাত্রি এবং ৪৫ দিনের মহাকুম্ভ মেলার শেষদিন। কোটি কোটি ভক্তজনের পুণ্যস্নানকে কেন্দ্র করে অনেকগুলি মর্মান্তিক ঘটনা ইতিমধ্যেই ঘটে গিয়েছে।
বিশদ

26th  February, 2025
পুণ্যের আশা, রাজনীতির ফল
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভিড়ের স্রোতের মধ্যে বয়ে যেতে যেতেই ডান পা’টা আটকে গেল রামশরণের। কাঁধে একটা ঝোলা, আর ডান হাতে ব্যাগটা থাকায় প্রথমে ঠাহর করতে পারলেন না। ঘাড়টা একটু বেঁকিয়ে দেখতে পেলেন, এক বৃদ্ধা তাঁর পা’টা চেপে ধরেছে।
বিশদ

25th  February, 2025
বেকারত্ব, উৎপাদন, মুদ্রাস্ফীতি, গরিব উপেক্ষিত
পি চিদম্বরম

সরকারের দেওয়া শুকনো প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে আমি সাধারণত সন্দেহ পোষণ করে থাকি। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য একটি সময়সূচি মেনটেন করতে পছন্দ করি। আর চাই কাজের শেষে একটি পারফর্ম্যান্স রিপোর্ট থাকবে।
বিশদ

24th  February, 2025
রাজনীতির ওঠাপড়া

এই রাজ্যের দুই প্রধান বিরোধী দলের গ্রহণযোগ্যতা শূন্যে উড়ে বেড়ানো দিশাহীন বেলুনের মতো! আসলে আসন্ন নির্বাচনে সিপিএম, বিজেপি কেউ ক্ষমতা দখলের জন্য লড়াই করছে না। সিপিএম লড়ছে শূন্যের গ্লানি মোচনের লক্ষ্যে। যদিও তাও খুব সহজ হবে না। আর বিজেপি লড়ছে, গতবারের ৭৭টি আসনের অন্তত অর্ধেক আসনে মানরক্ষার টার্গেট হাতে নিয়ে।
বিশদ

23rd  February, 2025
একনজরে
আইসিএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েকে নিয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার পথে অটো উল্টে মৃত্যু হল মায়ের। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে শ্যামনগর পাওয়ার হাউস মোড়ে ঘোষপাড়া রোডে। ...

মতের অমিল মিটিয়ে দিল এপিকে গরমিলের ঘটনা।  বিবাদ ভুলে এককাট্টা মৃণাল সরকার, গৌতম দাস, সুভাষ ভাওয়াল। দীর্ঘদিন পর জেলার সাংগঠনিক মিটিংয়ে গঙ্গারামপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে দেখা গেল তৃণমূলের সব গোষ্ঠীর নেতৃত্বকে। ...

পাঁচদিন আটকে রেখে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বন্ধুর বিরুদ্ধে। মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের ঘটনা। ১৭ বছরের নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবকের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। ...

২০১৫-র ২৬ মার্চ আর ২০২৫-এর ৪ মার্চ। এক দশকের ব্যবধান। দশ বছর আগে ওডিআই বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নেমেছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্রিগেড। অভিশপ্ত সেই ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিপার্শ্বিক কোনও ঘটনা চিন্তা বাড়াতে পারে। সাংস্কৃতিক কর্মে যোগদান ও মানসিক তৃপ্তিলাভ। শরীরের খেয়াল রাখুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৩৯৭- অক্সফোর্ডের নতুন কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।
১৫৫৮- ইউরোপে প্রথম ধূমপানে তামাক ব্যবহার শুরু হয়
১৮১৫- ‘প্রাণী চুম্বকত্বের’ (ম্যাসমেরিজম) প্রবক্তা ফ্রানৎস ম্যাসমের মৃত্যু
১৮২২- ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘সমাচার চন্দ্রিকা’ প্রকাশিত হয়
১৮৩৩- অবিভক্ত ভারতের প্রথম দুই মহিলা কাদিম্বিনী ও চন্দ্রমুখী বসু স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন
১৯৯০- অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৩৯- সাহিত্যিক দিব্যেন্দু পালিতের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৫৩ টাকা ৮৮.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৩২ টাকা ১১৩.১১ টাকা
ইউরো ৯০.২৬ টাকা ৯৩.৬৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৭,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৫,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৫,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২০ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫। পঞ্চমী ২৩/১৫ দিবা ৩/১৭। ভরণী নক্ষত্র ৫১/৩৮ রাত্রি ২/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৫৯/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৩৭/১৯। অমৃতযোগ দিবা ৮/১৯ গতে ১০/৩৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/৩১ মধ্যে পুনঃ ৩/১৭ গতে ৪/৫০ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৭ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৫ গতে ১১/২৩ মধ্যে পুনঃ ১/৫১ গতে ৩/৩১ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৯ গতে ৮/৪৩ মধ্যে।
১৯ ফাল্গুন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫। পঞ্চমী  রাত্রি ৭/৫৫। অশ্বিনী নক্ষত্র দিবা ৮/৫২। সূর্যোদয় ৬/২, সূর্যাস্ত ৫/৩৭। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩ গতে ১০/২৮ মধ্যে ও ১২/৫৪ গতে ২/৩১ মধ্যে ও ৩/১৯ গতে ৪/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩২ মধ্যে ও ৮/৫৫ গতে ১১/১৭ মধ্যে ও ১/৪০ গতে ৩/১৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১০ গতে ৮/৪৩ মধ্যে। 
৩ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হলেন রাচীন রবীন্দ্র

10:43:00 PM

ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়ে বীরভূমের লাভপুরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হলেন বৃদ্ধ দম্পতি

10:36:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫০ রানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছল নিউজিল্যান্ড

10:22:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): সেঞ্চুরি করলেন ডেভিড মিলার, দক্ষিণ আফ্রিকা ৩১২/৯ (৫০ ওভার), টার্গেট ৩৬৩

10:21:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): হাফসেঞ্চুরি করলেন ডেভিড মিলার, দক্ষিণ আফ্রিকা ২৬৩/৯ (৪৬.৪ ওভার), টার্গেট ৩৬৩

10:05:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল): ১৬ রানে আউট কাগিসো রাবাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা ২৫৬/৯ (৪৫.৩ ওভার), টার্গেট ৩৬৩

09:58:00 PM