হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম আনসার শেখ ও মকবুল শেখ। তাদের বাড়ি কাটোয়ার অগ্রদ্বীপের সাহেবনগর গ্রামে। মকবুল আনসারের ছেলে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁচা টাকার লোভে দুষ্কৃতীরা বছরের পর বছর পোস্তচাষ করে চলেছে। মাদক কারবারিরা চাষিদের এই কাজে যুক্ত করে। তারাই চাষিদের পোস্তর বীজ সরবরাহ করে। তারপর পোস্তর ফল থেকে মাদক কারবারিরা আঠা সংগ্রহ করে।
কাটোয়া-২ ব্লকের অগ্রদ্বীপের সাহেবনগর গ্রামের একেবারে শেষপ্রান্তে পোস্তচাষ করা হচ্ছিল। ধৃত আনসার শেখের তিন বিঘা জমি রয়েছে। তারমধ্যে সাড়ে তিন কাঠা জমিতে পোস্ত চাষ করে। খবর পেয়ে অগ্রদ্বীপ ফাঁড়ির পুলিস কাটোয়া-২ ব্লকের বিডিওকে সঙ্গে নিয়ে যৌথভাবে অভিযান চালায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিস অফিসারদের চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয়। জমিতে প্রচুর পোস্ত গাছ। প্রতিটি গাছেই ফল ধরেছে। পুলিস গাছগুলিকে কেটে নিয়ে বাজেয়াপ্ত করে। আজ বৃহস্পতিবার ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
আবগারি দপ্তরের এক অফিসার জানান, সাধারণত কিছু আন্তঃরাজ্য মাদক কারবারি মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে চাষিদের দিয়ে পোস্তচাষ করায়। আগেও এই মহকুমায় প্রচুর পোস্ত গাছ নষ্ট করেছে প্রশাসন। বছরখানেক আগে মঙ্গলকোট ব্লকে পোস্ত গাছ নষ্ট করতে গিয়ে পুলিসকে ব্যাপক বাধার মুখেও পড়তে হয়েছে। তাছাড়া, কাটোয়া মহকুমার পাঁচটি ব্লকের মধ্যে মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম-১ ও ২ ব্লকেই অতীতে সবচেয়ে বেশি পোস্তচাষের নজির রয়েছে। মঙ্গলকোটের কোঁয়ারপুর, খেঁদুয়া, ব্রহ্মপুর, কেতুগ্রাম-১ ব্লকের বাকলসা, ত্যাওড়া, গনফুল, চাকদা, কেতুগ্রাম-২ ব্লকের নতুনগ্রাম প্রভৃতি এলাকায় পোস্তর গাছ নষ্ট করেছে পুলিস-প্রশাসন।-নিজস্ব চিত্র