হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
আচমকা জল্পেশ মেলার স্টল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সকালের দিকে বেশ উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে আসেন ময়নাগুড়ির বিডিও প্রসেনঞ্জিত কুণ্ডু সহ থানার অফিসাররা। তাঁরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। জানানো হয় বৃহস্পতিবার এনিয়ে বৈঠক হবে। তাঁরা ব্যবসায়ীদের কাছে স্টল খোলার আহ্বান জানান। বিকেলে অবশ্য ব্যবসায়ীরা ফের পসরা সাজান। ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষ বলেন, সকলের সঙ্গে আলোচনা করে বিকেলেই দোকান খুলে দেওয়া হয়েছে।
জল্পেশ মেলা চলছে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে। ২৬ ফেব্রুয়ারি শিবচতুর্দশীর দিন শুরু হয়েছে। চলবে ৭ মার্চ পর্যন্ত। মেলার মাঠ এবার ২৬ লক্ষ ২৬ হাজার টাকায় ইজারা নেন সত্যেন্দ্রনাথ শর্মা নামে এক ব্যক্তি। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গতবছরের তুলনায় স্টলের ভাড়া দ্বিগুণ চাওয়া হচ্ছে। ফুটপাতে যাঁরা আইসক্রিম, ফুচকা, বাদামভাজার পসরা সজিয়েছেন তাঁদের কাছ থেকেও দৈনিক ১০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
কাঠের খেলনা নিয়ে আসা গোপাল সরকার, ফাস্টফুডের ব্যবসায়ী প্রদীপ দেবনাথ, লোহার জিনিসপত্রের দোকান সাজানো ব্যবসায়ী অনু রায়দের বক্তব্য, এ বছর ভাড়া অনেকটাই বেশি চাওয়া হচ্ছে। প্রথম ক’দিন বিক্রি ভালো হলেও এখন আর সেভাবে বিক্রিবাটা হচ্ছে না। শুধু দোকান ভাড়াই নয়, স্টলে লাইট দিতেও টাকা গুনতে হচ্ছে। লাইট পিছু ৩০ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। গত বছর ছিল ১০০ টাকা। এর প্রতিবাদেই ব্যবসায়ীরা এদিন দোকান বন্ধ করে দেন। প্রশাসন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার আলোচনায় বসবে। আপাতত আমরা সেদিকেই তাকিয়ে। ভাড়া কমানো না হলে মেলা ছেড়ে চলে যাব।
ইজারাদার সত্যেন্দ্রনাথ শর্মা বলেন, জেলা পরিষদ থেকে টেন্ডার পেয়েছি। আমাদের কাছে সরকারি রেটচার্ট রয়েছে। সেখানে যে দর রয়েছে তার থেকেও কম টাকা স্টল হোল্ডারদের থেকে চাওয়া হয়েছে। ফুটপাতে বসাদের উপর কোনওরকম জুলুম করা হচ্ছে না। যে যেমন পারছেন তেমনটাই দিচ্ছেন। এরপরেও অফিসে এসে কেউ কিন্তু কোনও অভিযোগ করেননি। আমার মনে হয় চক্রান্ত করে মেলায় ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছে একটি অংশ।