হস্তশিল্পীদের প্রতিভার স্বীকৃতি ও সুনাম। আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ায় বিরত হন। কর্ম বিষয়ে সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে কলেজ গেটের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে একদল ছাত্রছাত্রী। তাদের অভিযোগ, ভর্তি ফি’র সঙ্গে হিসেব বহির্ভূত ৫১ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এভাবে ৮-১০ হাজার পড়ুয়ার কাছ থেকে ৫১ টাকা করে টাকা নেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সাল কলেজের গোল্ডেন জুবিলি বর্ষ ছিল। কিন্তু সেই উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠান হয়নি। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০২৩ সাল থেকে প্রতি বছর গোল্ডেন জুবিলি বর্ষের জন্য পড়ুয়া প্রতি ১০০ টাকা করে ফি নিয়ে চলেছে। এমনকি ভাষা বিভাগের পড়ুয়াদের কাছ থেকেও ল্যাব চার্জ নেওয়া হচ্ছে। এমনই একাধিক অভিযোগ করে কলেজের গেটে বিক্ষোভ চলছিল। বিক্ষোভ চলাকালীন কয়েকজন বহিরাগত যুবক বিক্ষোভকারীদের প্ল্যাকার্ড ছিঁড়ে দেয় এবং মারধর করে বলে অভিযোগ। বিক্ষোভের খবর পেয়ে কলেজে পৌঁছয় ইসলামপুর থানার পুলিস। তখন আবার বিক্ষোভকারীরা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের রুমে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। সেসময় টিএমসিপি’র কয়েকজন কর্মী, সমর্থক অধ্যক্ষের রুমে ঢুকলে তাদের সঙ্গেও বিক্ষোভকারীদের বচসা বাধে। হঠাৎ মারধর শুরু হয় বলে অভিযোগ।
বিক্ষোভকারী মহম্মদ আলতাব বলেন, আগেও আমরা এবিষয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছি। এদিন শান্তিপূর্ণভাবে কলেজ গেটে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছিল। সেসময় ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের মদতপুষ্ট প্রাক্তন ছাত্ররা আমাদের উপর হামলা চালায়। পরে যখন অফিসে বিক্ষোভ দেখাছিলাম, তখন তারা মারধর করে আমাদের বের করে দিয়েছে। ওরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নাম করে গুন্ডামি করছে।
টিএমসিপি নেতা টুবা রেজার কথায়, ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের উপর চড়াও হয়েছিল বিক্ষোভকারী ছাত্ররা। তাঁকে অপমান করা হচ্ছিল। এধরনের অসভ্যতা আমরা মানব না। অভিযোগ থাকলে লিখিতভাবে অফিসে জমা দিয়ে জবাব নেবে। এভাবে কলেজ গেট, অফিসে বিক্ষোভ দেখানোর নামে অসভ্যতা ঠিক নয়। ওরা ভিত্তিহীন, মিথ্যা অভিযোগ করছে। ওরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করে না। তাই ওদের ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক উজির আহমেদ বলেন, কোনও আর্থিক অনিয়ম হয়নি। সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল একাংশ পড়ুয়া।
নিজস্ব চিত্র।