Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

প্রয়াগে ঠাকুর, সারদা মা পুণ্যস্নান করেছিলেন
হারাধন চৌধুরী

আজ, মহাশিবরাত্রি এবং ৪৫ দিনের মহাকুম্ভ মেলার শেষদিন। কোটি কোটি ভক্তজনের পুণ্যস্নানকে কেন্দ্র করে অনেকগুলি মর্মান্তিক ঘটনা ইতিমধ্যেই ঘটে গিয়েছে। ২৯ জানুয়ারি পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন অন্তত ৩০ জন এবং জখম হয়েছেন তার দ্বিগুণেরও বেশি নরনারী। প্রয়াগরাজে যাওয়ার ট্রেন ধরতে গিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি নিউ দিল্লি স্টেশনেও হতাহত হয়েছেন আর এক দল মানুষ। ওইসঙ্গে মহাকুম্ভে যাতায়াতের পথে গাড়ি দুর্ঘটনায় কত মানুষ যে হতাহত হয়েছেন তার খতিয়ান রাখা সহজ নয়। এছাড়া একাধিক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডেরও সাক্ষী থেকেছে এবারের মেলাপ্রাঙ্গণ। তবু পুণ্যকামী মানুষকে উৎসাহ হারাতে দেখেনি কেউ। বাংলাসহ রাজ্যে রাজ্যে রেল স্টেশনে তাঁদের ট্রেন ধরার তাড়া কিংবা বোচকা কাঁধে মাইলের পর মাইল হেঁটে চলার জাগতিক ব্যাখ্যা মেলা ভার! কিন্তু কেন এই উন্মাদনা? সনাতন ধর্মবিশ্বাসীদের কাছে মাঘীস্নান খুবই পবিত্র এবং পুণ্যপ্রদ। আর সেই স্নানের সুযোগ যদি প্রয়াগরাজে ঘটে তো তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ কিছু হয় না। কেননা, মাঘ মাসে গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর ত্রিবেণী তীর্থে সমস্ত দেবতার মিলন ঘটে। কথিত যে, কার্তিক মাসে সহস্রবার ও মাঘ মাসে শতবার গঙ্গাস্নানে এবং বৈশাখ মাসে কোটি বার নর্মদাস্নানে যে পুণ্য হয় একবার কুম্ভস্নানেই মেলে সেই ফল। এমনকী এই পুণ্যস্নানের প্রাপ্তিযোগ নাকি হাজার অশ্বমেধ এবং একশো বাজপেয় যজ্ঞেরও সমান! তার উপর এবার তো বারোটি পূর্ণকুম্ভের সমান মহাকুম্ভ! অতএব এবছর ভক্তজনের পুণ্য প্রাপ্তির ভাঁড়ার সবদিক থেকে উপচে পড়ারই কথা! একই বিশ্বাস থেকে প্রাচীন কালে প্রয়াগের পবিত্র জল ছাড়া রাজাদের অভিষেক সম্পূর্ণ হতো না। প্রয়াগ ছিল দেবতা থেকে দানব, গন্ধর্ব এবং ঋষিদেরও প্রিয়স্থান। বেদ লাভ করার জন্য প্রজাপতি ব্রহ্মা স্বয়ং এই জায়গাটিকে তাঁর যজ্ঞভূমি হিসেবে বেছে নেন। আদি শঙ্করাচার্য, দানবীর ভারতীয় রাজা হর্ষবর্ধন থেকে গ্রিক কূটনীতিক মেগাস্থিনিস, চৈনিক পরিব্রাজক ফা হিয়েন পর্যন্ত বহু ঐতিহাসিক চরিত্রের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে পুণ্যভূমি প্রয়াগের মাটিতে জলে।
 প্রতি ১২ বছর অন্তর একবার হয় ‘পূর্ণকুম্ভ’। আর ১২টি পূর্ণকুম্ভ শেষে, অর্থাৎ ১৪৪ বছর পর অনুষ্ঠিত হয় ‘মহাকুম্ভ’। স্বাভাবিকভাবেই ‘মহাকুম্ভ’ প্রত্যেকের জীবদ্দশায় হয় না। প্রয়াগে এবার সম্ভব হল সেই দুর্লভপ্রায় মহামিলন। শুভসূচনা হয়েছে ১৩ জানুয়ারি, সোমবার। শাহিস্নানের সমাপ্তি আজই, ২৬ ফেব্রুয়ারি, বুধবার। শুরুর দিন ছিল পৌষ পূর্ণিমা, সমাপ্তির দিন মহাশিবরাত্রি। সূচনা থেকে উপসংহার পর্যন্ত মোট ছয়টি বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে ভক্তরা মহাস্নানের সুযোগ পেয়েছেন। ওই দিনগুলি ছিল ১৩ জানুয়ারি পৌষ পূর্ণিমা বা প্রথম মহাস্নান। পরদিন ১৪ জানুয়ারি ছিল মকর সংক্রান্তী। তৃতীয় মহাস্নানের দিন ছিল ২৯ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যা। প্রয়াগরাজে ‘মহাবিপর্যয়টি’ ঘটেছে ওইদিনে। এরপর ৪ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমী, ১২ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমাতেও মহাস্নান করেছেন অগুনতি পুণ্যার্থী। কুম্ভমেলাকে বাঙালির কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় করেছেন কথাসাহিত্যিক কালকূট ওরফে সমরেশ বসু। তিনি আমাদের সেই থেকে নিয়ে চলেছেন অমৃত কুম্ভের সন্ধানে। লেখক শুরুতে জানিয়েছেন, ‘অনেক বিচিত্রের মধ্যে মানুষের চেয়ে বিচিত্র তো আর কিছু কোনদিন দেখিনি। সে বিচিত্রের মাঝেই আমার অপরূপের দর্শন ঘটেছে।’ এই অভূতপূর্ব কাহিনি সমাপ্ত হয়েছে ‘সন্ধানের শেষ নেই’—এই চরম সত্য দিয়ে।
অমৃতের সন্ধান আজকের নয়, পুরাকালের। এমন সন্ধানী কেবল রক্তমাংসের মানব-মানবী নয়, সুর ও অসুর, দেবতা ও দানবরাও। কেন? ‘জন্মিলে মরিতে হবে’, এই ‘অন্যায্য’ বিধান মানা যায় না। সকলের একটাই আকাঙ্ক্ষা, ‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে’! এই একটিমাত্র আকাঙ্ক্ষার জায়গায় মিল সকলের। অতএব মৃত্যুকে রুখে দিতে হয়েছিল ক্ষীরসাগর মন্থন—অসুর ও দেবতা দু’পক্ষের মিলিত উদ্যোগে। তাতে উঠেও ছিল অমৃতের ভাণ্ডার। অতল থেকে অমৃতকুম্ভ নিয়েই উঠে এসেছিলেন ধন্বন্তরি। কিন্তু এবার তার দখল নেবে কে? যে পাবে সেই তো লাভ করবে অমরত্ব! দেবতারা তা হতে দেবেন না। অতএব শুরু হল অসুর ও দেবতাদের মধ্যে লড়াই। শেষমেশ দেবরাজ ইন্দ্রপুত্র জয়ন্ত অসুরদের ঠকিয়ে অমৃতকুম্ভ বগলদাবা করে ছুটলেন স্বর্গের দিকে। যাত্রাকালে মোট ১২ জায়গায় অমৃত চলকে পড়ল। তার মধ্যে মর্ত্যের চার স্থানে—প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, নাসিক ও উজ্জয়িনীতে। তাতে পবিত্র হল প্রয়াগে ত্রিবেণী সঙ্গম, হরিদ্বারে গঙ্গা, নাসিকে গোদাবরী এবং উজ্জয়িনীতে শিপ্রা। বলা বাহুল্য, অমৃত কুম্ভ দখলের লড়াইতে ওস্তাদের মারটি দিয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং। চূড়ান্ত পরাজিত এবং বঞ্চিত হল অসুর বাহিনী। কুম্ভমেলার সূচনা সম্ভবত সেখান থেকেই। বৃহস্পতি মেষ রাশিতে, চন্দ্র-সূর্য মকরে এবং তিথি অমাবস্যা হলে প্রয়াগরাজে কুম্ভযোগ। বৃহস্পতি কুম্ভরাশিতে এবং সূর্য মেষ রাশিতে থাকলে কুম্ভযোগ হরিদ্বারে। নাসিকে কুম্ভযোগ আসে বৃহস্পতি ও সূর্যের কর্কটে গমনকালে। বৃহস্পতি, চন্দ্র ও সূর্য তুলা রাশিতে গেলে কুম্ভযোগ ঘটে উজ্জয়িনীতে।
এবার কুম্ভমেলা শুরু হয়েছে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী বা জাতীয় যুব দিবসের পরদিন। প্রয়াগের সঙ্গে স্বামীজির সম্পর্ককে সামনে রেখে লখনউয়ের বিবেকানন্দ কেন্দ্র এবার ২০ জানুয়ারি থেকে সেখানে বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করে। ছাত্র-যুবদের বিবেকানন্দের শিক্ষার আলোকে উদ্বুদ্ধ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল তাদের তরফে। এই প্রসঙ্গে জানানো যায়, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এবং সারদা মায়ের সংক্ষিপ্ত তীর্থযাত্রাতেও উজ্জ্বল হয়ে আছে প্রয়াগের সুখস্মৃতি। ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত’ গ্রন্থে উল্লেখ পাই, ‘ঠাকুর দুইবার তীর্থে গমন করেন। প্রথমবার মাকে সঙ্গে করিয়া ...। এবার বৈদ্যনাথ দর্শনান্তর কাশীধাম ও প্রয়াগ দর্শন হইয়াছিল। দ্বিতীয়বার তীর্থগমন ইহার ৫ বৎসর পরে, ইংরেজী জানুয়ারি, ১৮৬৮ খ্রীষ্টাব্দে। ... এ-যাত্রায় কাশীধাম, প্রয়াগ, শ্রীবৃন্দাবন দর্শন করেন।’ এছাড়া নির্মলকুমার রায়ের ‘চরণচিহ্ন ধরে (শ্রীরামকৃষ্ণের সমগ্র লীলাস্থল)’ গ্রন্থে পাওয়া যায়, ‘ঠাকুরের মহাপ্রয়াণের পরে শ্রীশ্রীমা এই ত্রিবেণী সঙ্গমে ঠাকুরের কেশ বিসর্জন দিয়েছিলেন।’ গ্রন্থটিতে আরও দাবি করা হয়েছে, ‘পাঁচ-সাত দিন কাশীতে থাকিয়া ঠাকুর মথুরের সহিত প্রয়াগে গমনপূর্বক পুণ্যসঙ্গমে স্নান ও ত্রিরাত্রি বাস করিয়াছিলেন। মথুর প্রমুখ সকলে তথায় শাস্ত্রীয় বিধানানুসারে মস্তক মুণ্ডিত করিলেও ঠাকুর উহা করেন নাই। বলিয়াছিলেন, আমার করিবার আবশ্যক নাই।’
ভক্তরা জানেন, রামকৃষ্ণদেব তীর্থভ্রমণের চেয়ে সাধুসঙ্গকেই উপরে রেখেছিলেন। শুদ্ধ মনে ঈশ্বরের নাম করার নির্দেশ ছিল তাঁর। তিনি বলতেন, ‘দেহত্যাগের আগে যদি কেউ ঈশ্বরের সাধন করে, আর সাধন করতে করতে ঈশ্বরকে ডাকতে ডাকতে যদি দেহত্যাগ হয়, তাকে আর পাপ কখন স্পর্শ করবে?’ ‘পাপের অভিনয়ও ভালো নয়’, বলেছিলেন তিনি। তিনি চান, ভগবানের উপর ‘জ্বলন্ত বিশ্বাস’ স্থাপন। ঠাকুর বলেছেন, ‘যার ঠিক বিশ্বাস—‘ঈশ্বর কর্তা আর আমি অকর্তা—তার পাপ হয় না। যে নাচতে ঠিক শিখেছে তার বেতালে পা পড়ে না।’ প্রকৃত সাধুজনের কাছে এই ত্রিবেণীসঙ্গম তো প্রতীকী। সত্য-জ্ঞান-আনন্দের ত্রিবেণী বা প্রবাহে, অর্থাৎ সচ্চিদানন্দে অবগাহনের কথাই বলা হয়েছে শাস্ত্রে। তবে এমন অবগাহনের আগে মনকে সবরকমে প্রস্তুত করতে হবে, না-হলে যাবতীয় আয়োজনই বৃথা!
লেখাটি শিব-পার্বতীকে নিয়ে একটি প্রচলিত গল্প দিয়ে শেষ হতে পারে, যেখানে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশের মিল রয়েছে হুবহু। কুম্ভস্নান নিয়ে মর্ত্যবাসীর উন্মাদনা দেখে পার্বতী প্রশ্ন করলেন, ‘আচ্ছা, স্নাত প্রতিটি নরনারী কি পাপমুক্ত হচ্ছে এবং পুণ্যলাভ করছে?’ শিব বললেন, ‘চল তবে কুম্ভস্নানের ঘাটে, যাচাই করেই দেখা যাক।’ শলাপরামর্শ মতো শিব এক সাধারণ মানুষের এবং পার্বতী এক হিন্দু বধূর বেশে উপস্থিত হলেন। মৃতের ভান করলেন শিব, আর পার্বতী সেই শব আগলে বসে বিলাপ করতে থাকলেন। থেকে থেকে বলে উঠছেন তিনি, ‘যেকোনও একজন পাপমুক্ত মানুষ এসে শুধু ছুঁয়ে দিয়ে আমার স্বামীকে বাঁচিয়ে তোলো!’ দ্বিধা নিয়েও দু’-একজন এগিয়ে গেল। তখন সাধারণ নারীরূপী পার্বতী হুঁশিয়ার করলেন, ‘আমার মৃত স্বামীকে সেই স্পর্শ করবে যে সত্যিই পাপমুক্ত হয়েছে। প্রকৃত পাপমুক্ত না-হয়ে এসে এই শব ছুঁয়ে দিলে কিন্তু উল্টে সেই ব্যক্তিকেই প্রাণ হারাতে হবে!’ এই শুনেই ‘দরদিরা’ একে একে সরে গেল। শেষমেশ একজন মাতাল গোছের লোক এসে ছদ্মবেশী শিবকে স্পর্শ করে দিতেই তাঁরা অন্তর্ধান করলেন। তখন পার্বতীকে বললেন দেবাদিদেব, ‘শেষের লোকটিই উদ্ধার পাবে। কারণ ও কুম্ভস্নান করেছে পরিপূর্ণ বিশ্বাস-ভক্তি নিয়েই। ও সত্যিই পাপমুক্ত হয়ে গিয়েছে এবং পুণ্যলাভ হয়েছে ওর।’
তবে মানুষের মনের অভ্যন্তরের লড়াই তো অব্যাহত। কোনোদিন বন্ধ হবে না। তাই অমৃত 
কুম্ভের সন্ধানে মানুষ ব্যাপৃত থাকবে, মৃত্যুকে উপেক্ষা করেই, যেমন এবারও এসেছেন কোটি কোটি পুণ্যকামী নরনারী।
26th  February, 2025
বিশ্বে নতুন ইতিহাসের সূচনা: ভারত কী করবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

কঙ্গো অথবা লিবিয়া। লেবানন কিংবা নাইজেরিয়া।  সারাক্ষণ কেন যুদ্ধ অথবা গৃহযুদ্ধ লেগে থাকে? অভ্যন্তরীণ সংঘাত? দুই গোষ্ঠী, সরকার বনাম বিদ্রোহীর ক্ষমতার লড়াই? গণতন্ত্র বনাম স্বৈরাচার? এসব কারণেই তাবৎ সংঘাত ঘটছে। কিন্তু আসলে সেই কারণ গৌণ। মুখ্য কারণ মিনারেলসের লড়াই।
বিশদ

দুনিয়া কাঁপানো সাত দিন!
মৃণালকান্তি দাস

আমরা জানি না শান্তি আগে আসে, নাকি বসন্ত। কিন্তু আমরা জানি বসন্ত অবশ্যই আসবে। যেখানে সবকিছু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে, সেখানেও বসন্ত আসবে। ঘাস গজাবে পরিখায়, মৃত সেনাদের হাড়ের ভিতর দিয়ে। পুড়ে যাওয়া সাঁজোয়া যানগুলির উপরেও।
বিশদ

27th  February, 2025
যোগী রাজ্যে ধর্মের বেসাতি
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

 

লাশ, সর্বত্র লাশ। প্রয়াগের সঙ্গম থেকে নয়াদিল্লির স্টেশন—স্তূপাকার লাশ। সরকারি হিসেবে সংখ্যাটা এখনও পর্যন্ত ৫৫। কিন্তু কে না জানে, বাস্তবের সঙ্গে সরকারি হিসেব কখনওই মেলে না। বাস্তবে সংখ্যাটা হাজার ছাড়িয়ে যাওয়াও আশ্চর্যের নয়। সেই লাশের স্তূপের উপর দাঁড়িয়েই চলছে মোদি-যোগীর ২ লক্ষ কোটি টাকার বেসাতি— ধর্মের নামে।
বিশদ

26th  February, 2025
পুণ্যের আশা, রাজনীতির ফল
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভিড়ের স্রোতের মধ্যে বয়ে যেতে যেতেই ডান পা’টা আটকে গেল রামশরণের। কাঁধে একটা ঝোলা, আর ডান হাতে ব্যাগটা থাকায় প্রথমে ঠাহর করতে পারলেন না। ঘাড়টা একটু বেঁকিয়ে দেখতে পেলেন, এক বৃদ্ধা তাঁর পা’টা চেপে ধরেছে।
বিশদ

25th  February, 2025
বেকারত্ব, উৎপাদন, মুদ্রাস্ফীতি, গরিব উপেক্ষিত
পি চিদম্বরম

সরকারের দেওয়া শুকনো প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে আমি সাধারণত সন্দেহ পোষণ করে থাকি। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য একটি সময়সূচি মেনটেন করতে পছন্দ করি। আর চাই কাজের শেষে একটি পারফর্ম্যান্স রিপোর্ট থাকবে।
বিশদ

24th  February, 2025
রাজনীতির ওঠাপড়া

এই রাজ্যের দুই প্রধান বিরোধী দলের গ্রহণযোগ্যতা শূন্যে উড়ে বেড়ানো দিশাহীন বেলুনের মতো! আসলে আসন্ন নির্বাচনে সিপিএম, বিজেপি কেউ ক্ষমতা দখলের জন্য লড়াই করছে না। সিপিএম লড়ছে শূন্যের গ্লানি মোচনের লক্ষ্যে। যদিও তাও খুব সহজ হবে না। আর বিজেপি লড়ছে, গতবারের ৭৭টি আসনের অন্তত অর্ধেক আসনে মানরক্ষার টার্গেট হাতে নিয়ে।
বিশদ

23rd  February, 2025
ছেঁড়া কাঁথা, তবুও লাখপতি হতে চায় বিজেপি

বঙ্গ বিজেপির অবস্থা যত করুণই হোক না কেন, ‘ভোট পুজো’র ঢাকে কাঠি পড়লেই দিল্লির নেতাদের বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু হবে। ফের বাড়বে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সক্রিয়তা। কিন্তু তাতে বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাবে না। কারণ বিজেপি আছে টিভিতে, বামেরা আছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, কিন্তু মমতা আছেন মাঠে, ময়দানে, মানুষের পাশে। তাই মাটি দখলের লড়াইয়ে তিনিই এগিয়ে যান অনায়াসে।
  বিশদ

22nd  February, 2025
ব্যর্থ নবরত্নসভা এবং দিল্লির নারী মুখ্যমন্ত্রী 
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদির আমলে মনোনীত বিজেপি’র প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেখা গুপ্তাকে কি দৃষ্টান্তমূলক এক সফল শাসক হয়ে ওঠার সুযোগ আদৌ তাঁর দল দেবে? এটা কিন্তু এক বড়সড় সুযোগ বিজেপির কাছে। প্রমাণ করা যে, তারা নারী ক্ষমতায়নের একটি জোরদার উদাহরণ স্থাপন করে যাচ্ছেন। নাকি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আর একজন পুতুল হবেন?
বিশদ

21st  February, 2025
‘আত্মঘাতী বাঙালি’র মুখের ভাষা আজ বিপন্ন
তাপসী দাস

সাহেবদের ভাষা বিহনে এখন উচ্চশিক্ষার জগৎ অন্ধকার। শৈশব থেকে তাই ইংরেজি শিখতে হবে। কিন্তু তার সঙ্গে মাতৃভাষা বাংলা ভুলতে হবে কেন? তাকিয়ে দেখুন, দক্ষিণ ভারতের দিকে। ইংরেজি সেখানেও স্বমহিমায় বিরাজমান। তবে কখনওই মাতৃভাষাকে বিসর্জন দিয়ে নয়। আজ দক্ষিণ ভারতের ছেলেমেয়েরা দেশ-বিদেশ সর্বত্রই উচ্চ পদমর্যাদার চাকরিতে বহাল। অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের সঙ্গে যদি ভাষাকে যুক্ত করা না যায়, তবে সেই ভাষা একদিন হারিয়ে যেতে বাধ্য।
বিশদ

21st  February, 2025
মিস্টার কো-প্রেসিডেন্ট!
মৃণালকান্তি দাস

মাস্ক এমনভাবে মার্কিন কংগ্রেসের উপরও ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেছেন, যেখানে বিভ্রান্ত রিপাবলিকান পার্টির মাথারাও। মাস্ক একেবারে ট্রাম্প সুলভ। প্রতিদিনই কার্যত উল্টোপাল্টা কিছু না কিছু বলেই চলেছেন। সারাক্ষণ সংবাদমাধ্যমের চর্চায় থাকতে ভালোবাসেন। ফলে রিপাবলিকান পার্টি ও ট্রাম্পের প্রশাসনে মাস্কের প্রভাব বাড়ছে দিন-দিন। ‘মাস্কম্যানিয়া’ নামে একটা শব্দই তৈরি হয়ে গিয়েছে আমেরিকায়।
বিশদ

20th  February, 2025
নতুন লড়াইয়ে দৃপ্ত হবে একুশের ময়দান
সন্দীপন বিশ্বাস

বাংলাদেশে উন্মত্ত এই নতুন প্রজন্ম কি চেনে আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে? এই মুহূর্তে যারা দাপাদাপি করে দেশটাকে আর একটা পাকিস্তান বানাতে চাইছে, তারা কি চেনে আব্দুল লতিফ কিংবা আলতাফ মামুদকে? এই আত্মঘাতী প্রজন্ম চেনে না রফিক, আজাদ, জব্বারকেও।
বিশদ

19th  February, 2025
সমাজে আলোর দিশারি দুই চিরজাগ্রত আলোকবর্তিকা
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শীতের শেষ বসন্তের আগমন। বসন্ত যেন নতুনের শুরু। প্রকৃতি এই সময় শীতের রুক্ষতা ত্যাগ করে নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছে গাছে গজিয়ে ওঠা নতুন কচি কচি পাতায় প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সেজে ওঠে। ফুল ফোটে।
বিশদ

18th  February, 2025
একনজরে
এবার মালদহের দর্শনীয় স্থান নিয়ে তৈরি হচ্ছে শর্ট ফিল্মস। বাংলার প্রাচীন রাজধানী গৌড় থেকে আদিনা, আম থেকে রসকদম্ব, গঙ্গা থেকে মহানন্দার প্রাকৃতিক বৈচিত্র নিয়ে তৈরি ...

টিউশন পড়তে গিয়ে শিক্ষকের লালসার শিকার কিশোরী। গত তিন বছর ধরে তাকে ধর্ষণ করে গিয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক। অবশেষে গুণধর গৃহশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ...

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে মোহন বাগানের অনুশীলন সবে শেষ হয়েছে। পড়ন্ত বিকেলে ফুটবলাররা একে একে বেরিয়ে যে যাঁর গাড়িতে উঠছেন। ই-স্কুটারে দিমিত্রি পেত্রাতোস বেরতেই ঘিরে ...

বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও সভাধিপতি কাজল শেখের মধ্যে দ্বৈরথ নতুন কিছু নয়। দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে জেলার রাজনৈতিক অলিন্দে নানা কানাঘুষো শোনা যায়। বহুবার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম ও পুনঃ সঞ্চয়। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি বা নতুন কর্ম লাভের সম্ভাবনা। মন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

মারাঠি ভাষা দিবস
বিশ্ব এনজিও দিবস
১৭১২- মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ ১-এর মৃত্যু
১৯৩১- স্বাধীনতা সংগ্রামী চন্দ্রশেখর আজাদের মৃত্যু
২০১২- কিংবদন্তি ফুটবলার শৈলেন মান্নার মৃত্যু 
১৯৬৭- অভিনেতা ববি দেওলের জন্ম
১৯৬৯- পরিচালক বিক্রম ভাটের জন্ম
১৯৭৬- অভিনেতা শ্রেয়স তালপাড়ের জন্ম
১৯৯৩- অভিনেত্রী তথা যুব নেত্রী সায়নী ঘোষের জন্ম
১৯৭৭- মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার জন্ম

27th  February, 2025


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৪৩ টাকা ৮৮.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৮ টাকা ১১২.৪৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৪ টাকা ৯৩.১৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৬,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৫,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৫,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ ফাল্গুন, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। অমাবস্যা ০/৩০ প্রাতঃ ৬/১৫ পরে ফাল্গুন শুক্ল প্রতিপদ ৫৩/৫ রাত্রি ৩/১৭। শতভিষা নক্ষত্র ১৯/৩ দিবা ১/৪০। সূর্যোদয় ৬/২/৫০, সূর্যাস্ত ৫/৩৫/৫০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৮/২১ গতে ১০/৪০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/৩১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৬ গতে ৮/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৩ গতে ৪/২২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৪/২২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৫৬ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪২ গতে ১০/১৫ মধ্যে। 
১৫ ফাল্গুন, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। অমাবস্যা প্রাতঃ ৬/৫৬ পরে প্রতিপদ শেষরাত্রি ৫/৪। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ২/৫৮। সূর্যোদয় ৬/৫, সূযাস্ত ৫/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৬ মধ্যে ও ৮/১৩ গতে ১০/৩৫ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/৩১ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৪/১৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২২ মধ্যে ও ৪/১৬ গতে ৬/৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/৫৮ গতে ১১/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫৩ গতে ১০/১৬ মধ্যে।  
২৯ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল: ম্যাচ ড্র, ওড়িশা ০-মহামেডান ০

09:35:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: বৃষ্টির জন্য পণ্ড ম্যাচ, সেমিফাইনালে পৌঁছল অস্ট্রেলিয়া

09:29:00 PM

ডব্লুপিএল: দিল্লিকে ১২৪ রানের টার্গেট দিল মুম্বই

09:10:00 PM

আইএসএল: ওড়িশা ০-মহামেডান ০ (৭৭ মিনিট)

09:07:00 PM

স্কাইপ পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত মাইক্রোসফ্টের

08:59:00 PM

লখনউতে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করলেন যোগী আদিত্যনাথ

08:45:00 PM